স্ত্রীর অধিকার,পর্বঃ০৫

0
2797

স্ত্রীর অধিকার,পর্বঃ০৫
লেখিকাঃফারহানা ইসলাম

অনু মা শোন।হ্যালো!!হ্যালো!!মা কিছু বলার আগে ই আমি কল কেটে দিলাম।সবাই মিলে আমার সাথে এমন কেনো করলো।সবাই মিলে আমার জীবনটাকে নরক বানিয়ে ছেড়ে দিলো।আমি আমার পরিবারের কাছে এত বড় বোঝা সেটা আমার জানা ছিলো না।।

,
,
কয়েকদিন পরের কথা,,,,,,,,,
এখন মোটামোটি আমার ও অভ্রের প্রতি প্রচুর মায়া জন্মে গেছে।এখন আর চাইলে ও আমি অভ্রকে ছেড়ে যেতে পারবো না।আসলে মায়া নামক শব্দটা মারত্নক।আমি সবকিছু গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।কারন এটাতো এখন আমার নিজের সংসার।।
এর মধ্যে বাড়িতে একটা ভয়ানক কান্ড ঘটে গেলো।ঘটেছে বললে ঠিক ভুল হবে ঘটানো হয়েছে।
সেদিন রাত এগারোটার পর সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়লো তখন আমি নিচতলায় নামলাম।আসলে পানির বোতলের পানি শেষ হয়ে গেছে তাই।আমি পানির বোতলে পানি নিয়ে উপরের তলায় উঠতে যাবো ঠিক তখনি কেউ আমার মুখে চেপে ধরে আমাকে একটা রুমের মধ্যে নিয়ে গেলো।।হঠাৎ কেউ আমার মুখটা ছেড়ে দিলো।মুখটা ছেড়ে দিতে ই পেছনে তাকিয়ে দেখি অর্নবকে।অর্নবকে দেখে আমি যতটা না ভয় পেয়েছি তার চেয়ে ও বেশি অবাক হয়েছি।তাও কোনোমতে জিজ্ঞেস করলাম,,,,,,,,,,
এই কী অর্নব তুমি??(আমি)

ভাবী তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো তাই তোমাকে এইভাবে এইখানে নিয়ে আসলাম।।(অর্নব)

এমন কী কথা বলতে চাও তুমি?যার জন্যে আমাকে এইভাবে কিডন্যাপ করলে!!(আমি)

আসলে কথাটা সেইরকম কিছু না।।আমি আসলে একটা মেয়েকে ভালোবাসি।।(অর্নব)

অর্নবের কথা শোনে আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
একটুপর বললাম আমি এখন কী করতে পারি??(আমি)

ভাবী প্লীজ তুমি বাবাকে আর দাদীকে বুঝিয়ে আমাদের বিয়ের ব্যবস্থাটা করে দাও।।(অর্নব)

তো তুমি এইসব বাবাকে না বলে আমাকে কেনো বলছো??(আমি)

আসলে মেয়েটা না অনেক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে।কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর।আর অনেক ভালো।।ঠিক তোমার মতো ই।।(অর্নব)

কত বছরের সম্পর্ক তোমাদের??(আমি)

দুইবছরের।।(অর্নব)

আচ্ছা আমি বাবাকে বুঝিয়ে বলবো।।তুমি কোনো চিন্তা করিও না।।(আমি)

ধন্যবাদ ভাবী।।(অর্নব)

আচ্ছা এখন আমি তাহলে যাই কথাটা বলে আমি যেই না অর্নবের ঘরের দরজা খুলে বের হইতে যাবো ঠিক তখনি দেখি রিয়া আর অরূপ(মেজো দেবর)দুজনে ই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।আমি হতবাক হয়ে ওদের দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি।।এতটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে নিজের রুমে চলে যাওয়ার কথাটাও আমি ভুলে গেছিলাম।।
হঠাৎ রিয়া বললো এতো রাতে একজন অবিবাহিত পুরুষের ঘরে তুমি কী করছো??
রিয়ার কথা শোনে আমি বললাম সেই বিষয়ে তোমাকে কৈফিয়ত দিতে আমি বাধ্য নই।।
তখন অরূপ বলে অবশ্যই বাধ্য তুমি।।এতো রাতে অর্নবের ঘরে কী করছো তুমি??কী সম্পর্ক অর্নবের সাথে তোমার??পরকীয়া চলছে বুঝি!!!
অরূপের কথা শোনে আমি বললাম মুখ সামলে কথা বলো।।
তখন অর্নব বললো তোরা দুজন আমাদের অযথা ভুল বুঝছিস।।আমি ভাবীকে এখানে ডেকেছি।।প্লীজ তোরা শান্ত হও।
,

,
কিন্তু কে শোনে কার কথা!!রিয়া আর অরূপের চিৎকার শোনে সারা বাড়ির লোক অর্নবের রুমের সামনে এসে জড়ো হয়ে যায়।আর আমার শ্বাশুড়ি তো আছেই।আমার শ্বাশুড়ি অরূপ কে জিজ্ঞেস করলো,,,,,,,,,,,,
কী রে অরূপ এতো রাতে এমনভাবে চিৎকার করছিস কেনো??(মা)

আরে মা দেখো না এই ভিখারীর মেয়েটা এতরাতে অর্নবের ঘরে দরজা বন্ধ করে অর্নবের সাথে কী করেছিলো জিজ্ঞেস করো তো??আমি আর রিয়া ওকে হাতে-নাতে ধরেছি।।(অরূপ)

অরুপের কথা শোনে আমার শ্বাশুড়ি তো রেগে আগুন।তিনি আমাকে রেগে রেগে জিজ্ঞেস করলেন এই মেয়ে এতো রাতে তুমি আমার ছোট ছেলের ঘরে কী করছো??আমার বড় ছেলেটাকে তো আমার থেকে তুমি কেড়ে নিয়েছো আর এখন আমার ছোট ছেলেটাকে কেড়ে নিতে চেষ্টা করছো!!তোমাকে আমি ছাড়বো না।।

আমার শ্বাশুড়ির কথা শোনে আমি শান্ত গলায় বললাম আম্মা আপনি না জেনে আমাকে দোষারপ করছেন।অর্নব আমাকে এখানে একটা জরুরি কাজে ডেকেছে।আর আমি নিচে এসেছিলাম পানির বোতলটা ফুরিয়ে নিয়ে যেতে কিন্তু হঠাৎ অর্নব আমাকে ওর ঘরে নিয়ে গেলো।।

আমার কথা তো শ্বাশুড়ি কিছুতে ই বিশ্বাস করতে রাজি নন।উল্টো আমাকে কিছুটা গালি-গালাজ করলো।।
অর্নব এতক্ষণ চুপ ছিলো মায়ের এমন কান্ড দেখে মাকে বললো মা ভাবী ঠিক কথা ই বলছে।।ভাবীর কোনো দোষ নেই।।
তাও ওরা তিনজনে আমার দিকে ই আঙ্গুল তুলছে আর আমাকে ই দোষারপ করছে।।

তখন দাদী বললো অনু আমাদেরকে বলা যায় না কী এমন গোপনীয় কথা।।তখন আমি বললাম,,,,,,,,

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here