স্ত্রীর অধিকার,পর্বঃ০৯

0
2701

স্ত্রীর অধিকার,পর্বঃ০৯
লেখিকাঃ ফারহানা ইসলাম

বাবার কথা মনে পড়তে ই চোখ থেকে পানি পড়তে ই শুরু করলো।হঠাৎ মোবাইলের রিংটা বেজে উঠলো।মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি আননোন নাম্বার থেকে কল এসছে।নানা রকম অস্বস্ত্বি নিয়ে কলটা রিসিভ করলাম।কল রিসিভ করতে ই ওপাশ থেকে কেউ বলে উঠলো,,,,,,,,,,,

অনু তুই কেমন আছিস।(লোকটি)

লোকটির কথা শোনে আমি বেশ অবাক ই হলাম।কারন ও আর অন্য কেউ ছিলো না।ও ছিলো রাহুল।

আমি ভালো আছি।তুই কেনো কল করলি??(আমি)

তুই কী ভেবেছিস তুই আমাকে ব্লক দিবি আর আমি তোকে খুঁজে বের করতে পারবো না।তুই আমাকে কী ভাবিস??(রাহুল)

রাহুল শোন তুই আমাকে ভুল বুঝছিস।তুই ভুল।একটু বোঝার চেষ্টা কর।(আমি)

কী বুঝার চেষ্টা করবো!!(রাহুল)

তুই যা করছিস তা ঠিক না ভুল।প্লীজ একটু বুঝার চেষ্টা কর।(আমি)

অনু আমি তোকে ভালোবাসি।তুই মানিস আর না ই মানিস।এটা ই সত্যি।তোকে পাওয়ার জন্যে আমি সব করতে পারি।(রাহুল)

চুপ কর রাহুল।প্লীজ চুপ কর।(আমি)

তুই কী ভেবেছিস!!ঐ ল্যাংড়াটা তোকে সুখে রাখবে।মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে তুই এতটা বদলে গেছিস।।ছিঃ অনু!ছিঃ(রাহুল)

রাহুলের কথা শোনে আমার খুব রাগ হলো।কিন্তু আমি কিছু ই প্রকাশ করলাম না।আমি রাহুলের কলটা কেটে দিলাম।

রাহুলের কল কেটে আমি ছাদ থেকে নেমে সোজা অভ্রের কাছে গেলাম।অভ্রের কাছে গিয়ে দেখলাম অভ্র ল্যাপটপে কী যেনো করছে।
আমি গিয়ে পেছন থেকে দু হাত দিয়ে অভ্র র চোখ জোড়া ধরে ফেললাম।হঠাৎ অভ্র আমার হাত দুটো ধরে বললো অনু আমি তোমাকে চিনে গেছি।
অভ্রের কথা শোনে আমি ওর চোখ জোড়া ছেড়ে দিয়ে বললাম তুমি কী করে বুঝে গেলে??হুম!!
তখন অভ্র বললো ধূর পাগলী।তুমি আমার স্ত্রী আর আমি তোমাকে চিনবো না।এটা আবার কেমনে হয়।
অভ্রের কথা শোনে আমার চোখে বেয়ে পানি পড়তে শুরু করলো।
আমাকে কাঁদতে দেখে অভ্র আমার হাত ধরে বিছানায় বসালো।নিজের হাত দিয়ে আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো কী হয়েছে??অনু কাঁদছো কেনো??
আমি অভ্রের হাত ধরে বললাম অভ্র তুমি কী কখনো ঠিক হবে না??আমি কী কখনো তোমার হাত ধরে হাঁটতে পারবো না।
আমার কথা শোনে অভ্র বললো জানি না অনু।
তখন আমি বললাম আমি তোমাকে ঠিক করে তুলবো।ইনশআল্লাহ॥তুমি শুধু আমাকে একটু সময় দাও।শুধু অর্নবের বিয়েটা হতে দাও।
আমার কথা শোনে অভ্র বললো আচ্ছা।ঠিক আছে।
,

,
অভ্রের সাথে কথা বলে নিচে চলে গেলাম।নিচে গিয়ে দেখি দাদী আর বাকি সবাই বসে আছে।
আমাকে দেখে রিয়া বললো এই তো মহারানী এতক্ষণে এসেছে।

আমি বললাম আমি অভ্রের ঘরে ছিলাম।ওর সাথে কিছু জরুরী কথা ছিলো।

তখন রিয়া হেসে বললো অাদিক্ষেতা দেখানোর আর শেষ নেই।বিরক্তিকর।

আমি আর রিয়াকে কিছু ই বলি নাই।কারন আমি কথা বাড়াতে চাই ছিলাম না।ওদের সবাই কে আমি কিছু না বলে সোজা রান্নাঘরে চলে গেলাম।
,

,
রাত তখন আনুমানিক এগারোটা বাজতে চলছে।আমি আর অভ্র নিজেদের ঘরে বসে নিজেদের মধ্যে কিছু কথা বলছি।হঠাৎ করে আমার শ্বাশুড়ির চিৎকার শোনে অভ্রকে ঘরে একা রেখে ই নিচে চলে গেলাম।
নিচে গিয়ে দেখলাম বাড়ির সবাই সেখানে জড়ো হয়ে গেছে।আমি অবাক ই হলাম।কারন এতো রাতে সবাই এখানে কেনো??

আমি আমার শ্বাশুড়ির সাথে এমনিতে কথা বলি না।বললেও উনি চুপ করে ই থাকেন।কিন্তু তাও আজ অামি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম,,,,,,,,আম্মা কী হয়েছে??এত চিৎকার করছেন কেনো??কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি??
আমার শ্বাশুড়ি চুপ করে আছে।তাই আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম।
তখন রিয়া বললো অনু তোমাকে কী সবসময় অন্যের পারসোনাল লাইফে নাক গলাতে ই হয়।এইটুকু ভদ্রতা তোমার কাছে নেই।
,

,
রিয়ার কথা শোনে আমি কিছু বলতে যাবো ঠিক তখনি আমার শ্বাশুড়ি বললো দয়া করে তোমরা দুজন একটু চুপ করবে।আরে রিয়া তুমি তো জানো ই আমার মেয়েটা এখনো বাড়ি ফিরছে না।কোথায় ওর একটু খোঁজ নিবে!!তা না।।তুমি উল্টো অনুর দিকে ই আঙ্গুল তুলছে।ছিঃ রিয়া।

আমার শ্বাশুড়ির কথা শোনে আমি অবাক না হয়ে পারলাম না।কারন আজ এক মাসের মাথায় উনি আমাকে একটু ভালো চোখে দেখছে।ঠিক তা বলছি না মানে উনি একটু ন্যায়ের কথা ই বলছেন।
,

,
আমি বললাম কী অধরা এখনো বাড়ি ফিরে না।রাত এগারোটা বাজলো।তখন আমার শ্বাশুড়ি বললো হ্যাঁ আমার মেয়েটা এখনো বাড়ি ফিরে নি,,,,আর ওর,,,,,,,,,,,,,,

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here