স্নিগ্ধ_অনুভব #পার্ট:১৩

0
381

#স্নিগ্ধ_অনুভব
#পার্ট:১৩
#পিচ্চি_লেখিকা

সময়ের স্রোতে মানুষও বদলে যায়। যেমন বদলে গেছে আমার প্রিয় মানুষগুলো। এক সময় তাদের চোখের মনি ছিলাম আর আজ..

লেহেঙ্গা ২ হাতে চেপে ধরে কোনো রকম দৌড়ে হসপিটালে ঢুকে রিসেপশন থেকে অনুভব কোথায় তা জেনে নিলাম। অনুভব icu তে আছে। দৌড়ে সেদিকটা যেতেই দেখি মামুনি বাবাই কাকা কাকি তুষার ভাইয়া তুবা মিরা সবাই দাঁড়িয়ে আছে। মামুনি কান্না করছে আর কাকি তাকে সামলাচ্ছে। আমার পেছন পেছন তিশা আপু, তন্নি, তামিম, অনা ওরাও এসেছে। মামুনি কাঁদতে দেখে বুকের ভিতর ধক করে উঠলো। লেহেঙ্গা ছেড়ে ধীর পায়ে মামুনির দিকে এগিয়ে গিয়ে উনার সামনেই বসে পড়লাম। কিন্তু মামুনি আমার দিকে না তাকিয়েই কেঁদে যাচ্ছে। কাকি আমাকে দেখেই মুখ ফিরিয়ে নিলো। বাবাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তিশা আপু এসে মামুনিকে ধরে শান্ত করতে লাগলো। তন্নি আর তামিম এসে এক পাশে দাঁড়ালো। আমি মামুনির সামনে থেকে উঠে icu এর দিকে এগোতে নিলেই মামুনির কড়া নির্দেশ শুনে থেমে গেলাম..
“এক পা ও এগোবি না। কেন এসেছিস তুই?”
মামুনির কথা শুনে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,,
“” মামুনি কি বলছো এসব? আমি অনুভবকে…
“চুপ একদম চুপ। জন্মের সময় নিজের মা কে তো খেয়েছিস,জন্মের পর বাবাকে আর এখন আমার ছেলেটার জিবন খাচ্ছিস!”
মামুনির কথা শুনে ছলছল চোখে তাকিয়ে আছি তার দিকে। এতদিন এগুলো কাকি বলতো আজ মামুনি বলছে। মামুনি এসব বলছে দেখে তিশা আপু বললো,,
“আম্মু কি বলছো এসব? ভাইয়ার শোকে কি পাগল হয়ে গেছো নাকি?”
“তুই চুপ কর তিশু। আর কত এই মেয়েটার পক্ষ নিবি হ্যাঁ। তোর ভাইয়ের আজ এই মেয়ের জন্য এমন অবস্থা।”
“কি বলছো আম্মু! কে বলেছে তোমাকে এসব? আর ভাইয়ার এক্সিডেন্ট হয়েছে এতে স্নিগ্ধুর কি দোষ?”
“তিশু তুই আজকেও পর পক্ষে কথা বলছিস? ও যদি আমার ছেলে টা কে অপমান নাা করতো তাহলে ও নেশাও করতো না আর এই ভাবে এক্সিডেন্টও হতো না। সব ওর জন্য হয়েছে!”
“আম্মু কে বলছে তোমাকে এসব?”
“যেই বলুক। সত্যি তো এটাই। আর ডক্টর নিজেও বলছে অনুভব ড্রিংক করে গাড়ি চালাচ্ছিলো!”
“তো ও অপমান করেছে তা কে বলছে?”
“তিশু বাড়াবাড়ি করবি না। আমার আর স্নিগ্ধুর মধ্যে তুই কেন ঢুকতেছিস?”
“আম্মু….
তিশা আপুকে থামিয়ে বললাম,,
” তিশা আপু চুপ করো প্লিজ,,মামুনি তোমার সত্যি মনে হয় অনুভবের এই অবস্থার জন্য আমি দায়ী?”
“হ্যাঁ মনে হয়। যদি সেদিন অনুভবের কথা শুনে তোর সাথে ওর বিয়ে দিতে রাজি না হতাম হয়তো আজ আমার এত কিছু দেখতে হতো না। তুই খবরদার আমার ছেলের কাছে যাবি না। তোর মুখ দেখতেও আমার ঘৃণা লগছে। তোর মুখ দেখাবি না কোনোদিন আমাদের। আমি চায় না আমার ছেলের ওপর তোর মতো অপয়ার আর কোনো ছায়া পড়ুক।”
মামুনির সব কথায় যতটা না অবাক হয়েছি তার থেকে বেশি শেষের কথাগুলোতে কষ্ট পেয়েছি। মনে হচ্ছিলো কেউ বুকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে ক্ষত বিক্ষত করছে। মামুনির সাথে এখন কাকিও বলতে শুরু করেছে। তিশা আপু আর তুষার ভাইয়া দুজনের বিরুদ্ধে কথা বলছে। কিন্তু কোনো কথায় আমার কানে যাচ্ছে না। ঘুরে একবার অনুভবের দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে পিছিয়ে এলাম। আশে পাশে কি আছে কিছুই আমার মাথায় যাচ্ছে না। হ্যাং মেরে গেছে মাথা। এরাই কি তারা যারা আমাকে আগলে রেখেছিলো? এটাই আমার সেই মামুনি যে মামুনি আমাকে মায়ের ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছে? মামুনি এত গুলো কথা বলতে পারলো কি করে? আমি কি সত্যিই এতটা খারাপ? কেন তাদের এতো পরিবর্তন? ৩ বছর আগে তাদের স্বার্থ পূরণ করতে পারিনি বলে এত পরবর্তিন এদের? রাস্তার পাশে হেঁটে চলেছি আর ভাবছি ৩ বছর আগের কথা….

৩ বছর আগে….

সেদিন আমাদের কলেজে নবীন বরন অনুষ্ঠান ছিলো। সবাই শাড়ি পড়বে। আমি যদিও পড়তে পারি না তবুও মেঘলা তন্নি আর তামিমের জোড়াজুড়ি তে পড়তে বাধ্য হয়েছি্। বাবাই আর তুষার ভাইয়া ২ জনেই অফিসে চলে যাওয়ায় আমি আর তুবা রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু রিকশা আসার নাম গন্ধও নেই তাই বিরক্ত হয়ে আমরা হাঁটা লাগালাম। তুবা আর আমি বকবক করতে করতে যাচ্ছিলাম তখনই একটা রিকশা পাওয়ায় ২ জনেই চলে আসলাম। তাড়াহুড়ো করে কলেজে ঢুকতে গিয়েই ধপাস করে একজনের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। এমনিতেই লেইট তার ওপর গরম। মেজাজ টা আরো চটে গেলো। দাঁত কিড়মিড় করে ছেলেটা কে বললাম,,
“এত বড় খাম্বা হয়ছেন কি করতে? দেখে চলতে পারেন না? চোখ কি বাসায় রেখে আসেন নাকি যত্তসব।”
“এই যে মিস হ্যালো! আপনি কি চোখ প্রেমিকের বাসাই রেখে আসছিলেন?”
“হ্যাঁ প্রেমিকের বাসাই রেখে আসছি্।”
ছেলেটা আমার কথা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো,,
“প্রথমত ধাক্কা দিয়েছেন আবার কথাও শুনাচ্ছেন? সরি বললে কি মুখ ক্ষয় হয়ে যেতো?”
“হ্যাঁ যেতো। আপনি চোখে না দেখে হাটলে ধাক্কা দিবেন ই। নিজে দোষ করে আবার আমাকে দোষারোপ করেন সাহস কত বড় আপনার?”
অবস্থা খারাপ দেখে তুবা আমাকে শান্ত করতে করতে বললো,,
“আপু চুপ করো প্লিজ। ওই দেখো মেঘলা আপুরা তোমার জন্য ওয়েট করছে। তাড়াতাড়ি চলো।”
আমি আর কিছু না বলে মুখ বাকিয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে অনুষ্ঠানের ওইদিকে চলে গেলাম। তারপর সারাদিন আড্ডা দিয়ে বিকালে বাড়ি চলে আসলাম। এর মাঝে কয়েকবার ছেলেটা কে দেখেছি তবে পাত্তা দেয়নি।

পরেরদিন তুবা কলেজ যায়নি। আমি একা কলেজ গেছি্। কলেজের সামনে যেতেই ওই ছেলেটা দৌড়ে এসে বললো,,
“ওই মিস থামো।”
আমি আশে পাশে তাকিয়ে ছেলেটার দিকে তাকলাম। ছেলেটা দৌড়ে এসে বললো,,
“উফফ কখন থেকে ডাকছি তুমি দেখি শুনোই না। যায় হোক যে জন্য আসা। আই লাভ ইউ”
ছেলেটার কথা শুনে হা করে তাকিয়ে আছি তার দিকে। কালকে প্রথম দেখা তার ওপর ঝগড়া দিয়ে শুরু। আর এখন বলছে আই লাভ ইউ। হচ্ছে টা কি? আমি রাগ নিয়ে বললাম,,
“এক দিনে আপনার প্রেম জেগে উঠেছে? এটা কি সিনেমা পাইছেন?”
“আরে সিনেমা কেন পাবো? কাল তো ভুলবশত ঝগড়া করে ফেলেছি নো প্রবলেম। আমি প্রোপোজ করছি তুমি রিপ্লাই দাও!”
“হুরু মিয়া ফাইজলামি পাইছেন?”
“ফাইজলামি কেন পাবো? আমি তো আমার মনের কথাই বলেছি!”
“আপনার মনের কথা পকেটে রাখেন যত্তসব।”
এটুকু বলেই চলে আসতে নিলাম। তখনই পিছন থেকে ছেলেটা ডেকে বললো,,
“এই যে মিস পরি এই রাহাত রায়ানের জন্য সব মেয়ে পাগল আর তুমি কি না রিজেক্ট করছো!”
“প্রথমত আমার নাম পরি না আর দ্বিতীয়ত পাগলের জন্য পাগলারাই পাগল হয়। বাট আমি সুস্থ মষ্তিকের মানুষ তাই আমার পাগল হওয়ার কোনো ইচ্ছা নাই।”
এটুকু বলেই সেখান থেকে চলে আসলাম। আমার মন জুড়ে একজনই আছে আর সে হলো অনুভব। সে ব্যাতীত কারো জায়গা নেই আমাার লাইফে।

এভাবেই কেটে যায় কয়েকদিন। সামনেই আমার ফাইনাল এক্সাম। কিন্তু রাহাত খুব বিরক্ত করে। প্রতিদিন কলেজ যাওয়ার পথ দাঁড়িয়ে থাকে। কখনো ফুল দেয়। কখনো চকলেট। একদম অতিষ্ঠ করে তুলেছিলো আমাকে। প্রতিদিনের মতোই আজও কলেজ যাচ্ছিলাম কিন্তু অদ্ভুদ বিষয় হচ্ছে আজকে রাহাত নেই। আমি তো খুশি মনে লাফাতে লাফাতে কলেজে ঢুকলাম। সবাই মিলে অনেক ইনজয় করে বাড়ি চলে আসলাম। বাড়িতে ঢুকতেই আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। সামনেই রাহাত আর তার পাশে কয়েকজন লোক বসে আছে। দেখে মনে হচ্ছে এটা ওর ফ্যামিলি। কিন্তু ওরা এখানে কেন? এটাই বুঝতে পারছি না। আমাকে দেখে মামুনি এগিয়ে এসে বললো,,
“স্নিগ্ধু মা যা তো তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয়। রুমে তোর জন্য শাড়ী রাখা আছে। তুই যা আমি আসছি।”
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মামুনি চলে গেলো। আমি অগত্যা ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি মামুনি আমার রুমে। মামুনি আমাকে শাড়ি পড়াতে লাগলো।
“মামুনি!”
“হুম বল!”
“উনারা কারা? আর এবাড়িতে কেন? আর আমাকেই বা সাজাচ্ছো কেন?”
মামুনি মৃদু হেঁসে বললো,,
“ওরা হলো শহরের বড় বিজনেসম্যান আশরাফ রায়ানের পরিবার। আর ওরা তোকে দেখতে এসেছে। আশরাফ রায়ানের ছেলে রাহাত রায়ান তোকে পছন্দ করে তাই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে!”
মামুনির কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লাম। আমাকে না জানিয়েই এত কিছু। আর রাহাত আমাকে একবারো জিজ্ঞেস করলো না আমি ওকে বিয়ে করতে চাই কি না?
“মামুনি আমি বিয়েটা করতে পারবো না প্লিজ।”
মামুনি আমার দিকে ভ্রুকুচকে তাকিয়ে বললো,,,
“কেন? এত বড়লোক ওরা তাও কেন বিয়ে করতে পারবি না? আর দেখ স্নিগ্ধু তুই যদি কাউকে পছন্দ করিস তো সেইটা ভুলে যা। তোকে আমি বড় করেছি। আজকে আমার স্বামীর বিজনেসের ব্যাপার এটা। তাই আমার এতদিনের এতকিছুর বিনিময়ে তো বিয়ে করতেই পারিস।”
মামুনির মুখের ওপর আর কিছু বলার সাহস পায়নি। চুপচাপ গিয়ে ওদের সামনে বসে পড়লাম। উনাদের আমাকে পছন্দ হয়েছে। সাথে এনগেজমেন্টের ডেইট ও ফাইনাল হয়ে গেছে। মামুনিকে কিছু বলে লাভ নেই তাই সরাসরি রাহাতের সাথেই কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয়।

এনগেজমেন্টের ডেইট ২ দিন পর করা হয়েছিলো। এই ২ দিন রাহাতের সাথে কথা বলতে পারিনি। আজ আমাদের এনগেজমেন্ট। সকাল সকাল যে করেই হোক রাহাতকে আসতে বলেছি। রাহাতও খুশি মনে এসে পড়েছে। বুঝতে পারছিলাম না কি করা উচিত! রাহাত যদি বিয়েটা না ভাঙে কি হবে তখন? এসব কিছু ভাবতে ভাবতেই রাহাত হাজির। রাহাত আসতেই আমতা আমতা করে বললাৃ,,
“আমি আপনাকে কিছু বলতে চায়?”
“হুম বলো।”
“আসলে আমি এই বিয়েটা করতে পারবো না প্লিজ বিয়েটা ভেঙে দিন।”
আমার এমন কথা হয়তো রাহাত আশা করেনি। তাই তার মুখের ধরনও বদলে গেছে। মলিন মুখ নিয়ে বললো,,
“কেন?”
“আসলে আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি। তাকে ছাড়া কাউকে মানিয়ে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আমার কোনো কথায় মামুনি শুনতে নারাজ। প্লিজ বিয়েটা ভেঙে দিন।”
“কাকে ভালোবাসো?”
আমি মাথা নিচু করে বললাম,,
“অনুভবকে।”
রাহাত আমার কথা শুনে মৃদু হেসে বললো,,
“ওকে এতো ভালোবাসো যে অন্য কাউকে মানতে পারছো না?”
“হুম।”
রাহাত কি ভেবে যেনো বললো,,
“ঠিক আছে।”
এটুকু বলেই রাহাত বড় বড় পা ফেলে চলে যায়। পরে জানতে পারি আমাদের বিয়েটা ভেঙে গেছে্। এক দিকে সস্তির নিঃশ্বাস নিলেও অন্য দিকে শুরু হয় খোটা দেওয়া। বাড়ির কেউ আর ঠিক মতো কথা বলতো না। বাবাই যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলতো। রাহাত ওইসবের পর বিডি ছেড়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে আমাকে বলেছিলো,,”তুমি তোমার ভালোবাসা নিয়ে ভালো থাকো স্নিগ্ধু,,চিন্তা করো না কখনো আসবো না তোমাদের মাঝে।”
সেইফ এটুকু বলেই চলে গেছিলো। ধীরে ধীরে সব ঠিক হতে লাগলো তবে কারোরই খোটা দেওয়া গেলো না।

অতীতের কথা ভাবছি আর রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছি। অনবরত চোখ বেয়ে পাানি পড়ছে। কি হতে আমার আব্বু আম্মু বেঁচে থাকলে? পৃথিবীতে এতো মানুষ আছে তারা ২ জন কি খুব বেশী হয়ে যেতো? কি হতো আমার জিবনে একটু সুখ আসলে? সুখ কি কমে যেতো এই পৃথিবীতে? আমার ভাগ্য সব সময় কেন আমার সাথে এত নিষ্ঠুর খেলা খেলে?
কাঁদতে কাঁদতে এক পা ২ পা করে এগোচ্ছি। হঠাৎ কেউ পাশে থেকে ধাক্কা মারায় সোজা একটা গাড়ির সামনে গিয়ে পড়ি। সামনে গাড়ি দেখে চিৎকার করে উঠতেই মনে হলো সব থেমে গেছে। রক্তাক্ত মুখ শরীর নিয়ে লুটিয়ে পড়লাম রাস্তার মাঝে। রাত হওয়ায় তেমন কেউ নেই। তবুও যারা ছিলে তারা দৌড়ে আমার দিকেই আসছে। যতক্ষণ সেন্স ছিলো শুধু চার পাশে রক্তই দেখলাম। বার বার মাথায় একটা কথায় আসছিলো! এখানেই কি শেষ অনুভবের সাথে পথ চলা? স্নিগ্ধ অনুভবের কি হবে না আর দেখা? অনুভবকে কি আর কখনোই দেখা হবে না আমার?মাথায় অনেকটা আঘাত পাওয়ায় বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারলাম না। চোখ দুটো আস্তে আস্তে বন্ধ করে নিলাম……..

চলবে..
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ❤️ সামনের পার্ট থেকে ধামাকা শুরু😌😐 বেচারি স্নিগ্ধু কি মরেই গেলো নাকি🥺)
হ্যাপি রিডিং😊

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here