স্পাইসি_লাভ #পর্ব_০৫ (শেষ)

0
411

#স্পাইসি_লাভ
#পর্ব_০৫ (শেষ)
#অধির_রায়

নিরব, নিধি কেউ বসে নেই৷ একে অপরকে হ’ত্যা করার জন্য আয়োজন করে যাচ্ছে৷ কেউ কাউকে এক চুল পরিমাণ ছাড় দিতে রাজি না৷ সবাই ছদ্মবেশ ধারণ করে সেখানে উপস্থিত থাকবে৷ তাদের কথোপকথনের মাঝখানেই দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিবে।
.
নিরব অভ্রকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,
“আমাদের যতগুলো লোক আছে সবাইকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে ফেলবে৷ আমার ইশারা পেতেই তারা যেন ঝাপিয়ে পড়ে ভেভিল কুইনের উপর৷ আমি কিছুতেই তাদের জীবন নিয়ে ফিরতে দিবো না৷”
.
অভ্র মুচকি হেঁসে জবাব দেয়,
“সে নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না৷ আমরা বিভিন্ন জায়গায় বো’মাও লাগিয়ে রেখেছি। যদি আমাদের হাত থেকে বেঁচে ফিরে বো’মার হাত থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না৷ আর পার্কে যতগুলো গাড়ি থাকবে সব গাড়িতে বো’মা লাগানোর হুকুম দেওয়া হয়েছে। কেউ বেঁচে ফিরতে পারবে না৷”
.
নিরব টেবিলের উপর পা রাখতে রাখতে বলে উঠে,
“তোমার কাছে আমি খুবই মুগ্ধ। তুমি সব সময় আমার মনের মতো কাজ করো৷ কিভাবে আমার মনের এতো খবর জানো?”
.
অভ্র কিছু সময় নিরবতা পালন করে৷ ঠোঁট ভিজিয়ে মুখে উচ্চ উল্লাস নিয়ে বলে উঠে,
“আমি আপনার সাথে থাকার জন্য আপনার কাছ থেকে সমস্ত কিছু আয়ত্ত করে ফেলেছি৷ কখন কি করতে হবে? কোন সময় কোন ডিসিশন নিতে হবে? সবকিছু বিষয়ে এখন আমি অবগত। সে নিয়ে এখন আমাকে তেমন ভাবতে হয়না৷ মুহুর্তের মাঝে মাথায় ভাবনা চলে আসে৷”
.
নিরব দাঁড়িয়ে রুমের চারিপাশ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে৷ এক ধ্যানে কোন কিছু ভাবতে থাকে৷ অভ্রর কোন কথা নিরবের কান অব্ধি পৌঁছাচ্ছে না৷ নিরবের মনে হঠাৎ করে ভয় কাজ করতে থাকে৷ অভ্র খেয়াল করে নিরব আকাশ পাতাল ভাবে যাচ্ছে৷ অভ্র নিরবকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে উঠে,
“আকাশ পাতাল এক করে কি ভাবছেন? আপনাকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছে৷ কি হয়েছে?”
.
নিরব চকিত দৃষ্টিতে অভ্রের দিকে তাকায়৷ অভ্রকে দেখে কিছুটা স্বস্তি পেলো৷ অভ্রের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মিহি কন্ঠে বলে উঠে,
“ডেভিল কুইন অল্প দিনেই সবথেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে৷ আমাদের বুদ্ধি থেকে তার বুদ্ধি বৃদ্ধি ঘটে তাড়াতাড়ি৷ এখন ভাবনা হলো সে কি প্ল্যান করছে? তার প্ল্যান সম্পর্কে আমরা কেউ কিছু জানি না৷ শত্রুকে দুর্বল ভাবা সব থেকে বেশি বোকামি। আমরা সব সময় ভেভিল কুইনকে বাচ্চা ভেবে দুর্বল ভাবতাম৷ এমন ভুল আর করা যাবে না৷”
.
অভ্র চিন্তিত কন্ঠে,
“একদম ঠিক বলেছেন স্যার৷ কিছুতেই ছেড়ে দেওয়া যাবে না৷ কিন্তু আমরা ডেভিল কুইনের প্ল্যান জয়ের মাধ্যমে জানতে পারি৷ জয়ের সাথে আমাদের যোগাযোগ আছে৷”
.
জয়ের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই৷ জয়ের ছেলে, স্ত্রীকে আমাদের কাছ থেকে কুশলে ছাড়িয়ে নিয়েছে৷ আমি যতটা জানতে পেরেছি ডেভিল কুইন জয়ের পুরো পরিবার নিঃশেষ করে দিয়েছে৷
.
অন্য কোন ভাবে আমরা জানতে পারি না৷ এমন কেউ নেই আমাদের সাহায্য করবে।
.
তাদের খবর আমার জানতে হবে না৷ কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো তারা আমাদের সকল আপডেট কিভাবে পাচ্ছে? কে দিচ্ছে সকল আপডেট ডেভিল কুইনকে? সবার উপর নজর রাখো৷ কাউকে সন্দেহ হলে পরিবার তুলে নিয়ে আসবে৷
.
ওকে স্যার….

“কি রে! সারারুম পায়চারি করছিস কেন? একটু শান্ত হয়ে বসতে পারিস। তোর সমস্যার কথা আমাকে বলতে পারিস৷ আমি একটু সাহায্য করতে পারি কিনা৷”
অর্পি চিপস খেতে খেতে বলে উঠে।
.
“তুই বসে বসে চিপস খেতে থাক৷ আমাকে নিয়ে না ভেবে একটু নিজেকে নিয়ে ভাবতে শিখ৷ আজ আছি কাল নেই৷”
.
অর্পি রাগী গলায় ক্ষোভ নিয়ে বলে উঠে,
“আর একদিন ম’রার কথা বললে তোকে আমি নিজ হাতে খু’ন করবো৷ তুই ছাড়া আমার কেউ নেই৷ তোর কিছু হলে আমি কাকে নিয়ে বাঁচবো?”
.
অর্পি নিধিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়৷ আজও নিধির চোখে জল টলমল করছে৷ কিন্তু গড়িয়ে পড়ছে না৷ হারিয়ে ফেলার ভয় নিজের মনে খুব তেড়ে বসে আছে৷ অর্পির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে,
“আমি তোর সাথে মজা করেছি৷ তোকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না৷ তুই আমার একমাত্র আশা ভরসা৷ আর মন খারাপ করিস না৷”
.
অর্পি অভিমান স্বরে বলে উঠে,
“তোর সাথে কোন কথা নেই৷ তুই এখনই রুম থেকে বেরিয়ে যাবি। তুই আজ এ রুমে থাকতে পারবি না৷ যাবি নাকি লা’থি দিয়ে বের করে দিবো৷”
.
নিধি পিছন থেকে অর্পিকে জড়িয়ে ধরে,
“আমার অর্পি বেবি রাগ করেছে৷ রাগ ভাঙাতে আমায় কি করতে হবে? এখন আমি কান ধরে ওঠবস করবো৷”
.
অর্কি ক্ষোভ নিয়ে অভিমানী স্বরে,
“হ্যাঁ! তাই কর। তোকে এখন আর নাটক করতে হবে না৷ অনেক রাত হয়েছে৷ আমি ঘুমাবো৷ আমার সাথে তুইও আজ ঘুমাবি৷ তুই আজ বাহিরে যেতে পারবি না৷ এটাই তোর শাস্তি।”
.
দেখতে দেখতে ২৪ তারিখ চলে এলো৷ নিধি নিরবের থেকে কোন অংশে কম নয়৷ নিধি নিউ মার্কেটের এক কিলোমিটার আশেপাশে যারা আছে সবাইকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছে৷ নিজের করা কাজের জন্য অন্যরা না ভোগে সেদিকে কড়া নজর রেখেছে৷ তাদের বাসায় অবস্থান করছে নিধির লোকজন। নিধি শুধু নিজের লোক নিয়েই সন্তুষ্ট নয়৷ শহরের বুকে যত পা’তি নেতা আছে তাদেরকেও হায়ার করেছে৷ কিছুতেই নিধি ডেভিল কিং কে ছেড়ে দিবে না৷ দেশকে বাঁচানোর জন্য, দেশের সম্পদ রক্ষা করার জন্য নিধি নিজের জীবন উৎসর্গ করতে একবারও ভাববে না৷ নিউমার্কেট ভর্তি নিধির লোকজন৷
.
এতো বড় একটা কাজ নিধি একা করতে চাইনা৷ সেজন্য নিধি পুলিশ কমিশনারের কাছে সাহায্য চাই৷ তারাও নিধিকে যথাযথ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷
.
নিধি চায়ের কাপে চুমু দিয়ে বলে উঠে,
“সবাই বুলেট প্রোফ জ্যাকেট পড়ে নিবে৷ সবার মাথায় যেন হ্যামলেট থাকে৷”
.
মিরা নিধির চোখে চোখ রেখে বলে উঠে,
“আমাদের নিরাপত্তার জন্য আপনি অনেক কিছু করতেছেন৷ আপনার কথা একবার ভেবে দেখেছেন। আপনি তো সাধারণ পোশাকে দেখা করতে চাইছেন৷ আমার জানা মতে ডেভিল কিং কিছুতেই আপনাকে ছেড়ে দিবে না৷ আপনি তার সকল প্রকার বেআইনি কাজ বন্ধ করেছেন৷”
.
নিধি চায়ের কাপ রেখে বলে উঠে,
“আমায় নিয়ে তোমাদের ভাবতে হবে না৷ আমার কিছু হলে তোমরা আছো কেন? আমার কিছু হলে তোমরা সবাই হয়ে উঠবে এক একটা ডেভিল কুইন। তোমাদের কথা স্বরণ করেই সারা দেশে দুর্নীতি কমে যাবে৷ ডেভিল কুইন গরিবের মনে ভালোবাসার প্রতিক। অহংকারী, লোভী, দুর্নীতিবাজদের কাছে রবে ভয়ের প্রতিক৷ কিছুতেই তাদের ছেড়ে দিবে না৷”
.
নিয়ন কোমল গলায়,
“ম্যাম আপনি পোশাকের নিচে বুলেট প্রোফ জ্যাকেট পরে নিবেন৷ আপনার জন্য আমি সব থেকে ভালো বুলেট প্রোফ জ্যাকেট এনেছি৷ যা পড়লে অপর দিকের লোক কিছুতেই বুঝতে পারবে না৷”
.
নিধি নিয়নের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে,
“আমার লাগবে না৷ আমি নিজেকে বাঁচাতে পারবো। আমি মা’রা গেলেও তোমাদের সকলের মাঝে বেঁচে থাকবো৷”
.
নিয়ন কড়া গলায় বলে উঠে,
“আপনি নিজে যদি জ্যাকেট না পড়েন তাহলে আমরা কেউ পড়বো না৷ আমাদের শক্তি আপনি৷ ধরতে গেলে ফুটপাত থেকে তুলে এনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখিয়েছেন৷ আমরা কিছুতেই এমন অন্যায় মেনে নিবো না৷”
.
নিয়নের সাথে সুর মিলিয়ে সবাই বলে উঠে একই কথা৷ নিধি সকালের ভালোবাসা দেখে তাঁদের জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়৷ নিধি ভাবতেও পারেনি তাকে এতোটা ভালোবাসে৷ নিধি একপ্রকার বাধ্য হয়ে জ্যাকেট পড়ে নেয়৷
.
নিধি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,
“তাদের মাথায় হ্যামলেটের চিন্তা আসেনি৷ আমি যতটা জানি তারা সবাই জ্যাকেট পড়বে৷ কোন সমস্যা হলে সকলের গলায় গুলি তাক করবে৷ তাহলে আমরা সেখান থেকে জয়ী হয়ে ফিরে আসতে পারবো৷
.

নিধি রাত এগারোটাই চলে আসে৷ জ্যাকেটের উপর সাদা কালো পোশাক। দুই হাতে দুইটা বন্ধুক৷ হাতে সাদা ভ্যাস৷ যা দ্বারা সবাই নিধির ইশারা বুঝতে পারবে৷ নিরব ঠিক ১২ টায় উপস্থিত হয়৷ নিধির দিকে গুলি তাক করিয়ে বলে উঠে,
“ডেভিল কুইন তোর সাথে আমার কোন শত্রুতা ছিল না৷ তুই তোর মতো কাজ করলে তোকে নিয়ে আমার কোন সমস্যা হতো না৷”
.
নিধি আকাশের দিকে তাকিয়ে,
“বন্ধুক নিচে নামিয়ে কথা বলেন৷ আপনাকে কেউ মা’রবে না৷ আপনার মতো আমি সমস্ত এলাকা ঘিরে ফেলিনি৷ আর আমার কোন লোক নেই৷ আমি মা’রা গেলে আপনিও মা’রা যাবেন৷ আমি সমস্ত এলাকায় বো’মা লাগিয়েছি৷ আমার গায়ে একটা বুলেট লাগার সাথে সাথে আমার সাথে আপনি সহ আপনার সমস্ত লোক মারা যাবে৷
.
নিরব অট্টহাসি দিয়ে,
“এভাবে মুখ লুকিয়ে না থেকে সামনে আয়৷ দেখি তোর কেমন সাহস৷”
.
মি. নিরব চৌধুরী আমার সাহস কতোটা তা আপনার থেকে ভালো আর কেউ জানে না৷
.
নিরব ঘাবড়ে যায় নিধির কথা শুনে৷ নিরব আমতা আমতা করে,
“তুমি আমাকে চিনলে কিভাবে? কে তুমি?”
.
আমি কে সে নিয়ে পরে নাহয় গবেষণা হবে৷ ভয় পাচ্ছেন কেন? পাশে জল রাখা আছে খেতে পারেন৷ একদম পিউর জল।
.
তার প্রয়োজন নেই। সাহস থাকলে আমার মুখোমুখি হয়ে কথা বলো৷”
.
নিজেকে শক্ত করেন৷ আমাকে দেখলে আপনি নিজেই মারা যাবেন৷
.
নাটক না করে সামনে আসো৷ আমার বিষয়ে যখন সব জানো তখন এটা জানাও আছে আমি নাটক সহ্য করতে পারি নআআআআ…

নিরবের কথা শেষ হবার আগেই নিধি নিরবের দিকে ঘুরে৷ সাথে সাথে সেখানো আলোকিত হয়ে উঠে৷ নিরন নিধিকে দেখে দুই কদম পিছিয়ে যায়৷ চোখ ঢলতে ঢলতে বলে উঠে,
“নিধি তুমি! তুমি অন্ধকার জগতের কুইন।”
.
হ্যাঁ স্যার! আমি অন্ধকার জগতের কুইন৷ আপনার প্রেমে পা’গ’লী মেয়ে৷ আপনার পিছনে সারাদিন ঘুরে বেড়ায়৷ একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য৷
.
নিধি তুমি অনেক বড় ভুল করছো৷ তুমি আমার সমস্ত ব্যবসা পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছো৷ তোমার জন্য আমার কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে৷
.
নিধি মাথা নিচু করে মিহি কন্ঠে,
“স্যার আমি যেদিন জানতে পারি আপনি বেআইনি কাজ করেন সেদিন আমি প্রতিজ্ঞা নিছিলাম আপনার সব ভুল কাজকে ধ্বংস করার৷ আপনি আমাদের নীতির বাক্য শিখান৷ তবে কেন বেআইনি কাজ করেন?”
.
নিরব কর্কশ কন্ঠে,
“নিধি তুমি অনেক বড় ভুল করছো৷ এজন্য তোমার মৃত্যু অবধারিত। তুমি বেঁচে থাকলে আমার সত্য সবার সামনে আসবে৷ আমি চাইনা তোমার জন্য আমার সত্য সামনে আসুক৷”
.
নিধি চোখের জল মুছে,
“স্যার এসব কাজ ছেড়ে দেন৷ এতোক্ষণে আপনার সকল লোকদের পুলিশ ধরে ফেলেছে৷ আমি আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসি৷ আপনার হাত কখনও ছেড়ে যাবো না৷ অন্ধকার জগৎ থেকে ফিরে আসবো৷”
.
নিরব চকিত হয়ে,
“কি! সবাইকে পুলিশ ধরে ফেলেছে৷”
.
পুলিশ কমিশনার আদিত্য চৌধুরী এগিয়ে এসে বলে উঠে,
“হ্যাঁ! তুমি একজন প্রফেসর হয়ে এমন নিকৃষ্ট কাজ কিভাবে করলে? প্লিজ এসব কাজ ছেড়ে দাও৷ আমি নিধির জন্য তোমার কাছে হাত জোড় করছি৷ তুমি গরিরদের কাছ থেকে টাকা মে’রে খাচ্ছো৷ কতো মানুষ না খেয়ে মা”রা যাচ্ছে। আজ যদি তোমার কাছ থেকে সবকিছু কেঁড়ে নেওয়া হয়৷ তুমিও পথের ভিক্ষারি হয়ে যাবে৷ একবার ভেবে দেখো৷ তুমিও না খেয়ে মা’রা যেতে পারো৷”
.
নিরব তার ভুল বুঝতে পারে৷ নিধিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়৷ নিরব প্রতিজ্ঞা করে আর কখনও সে এমন কাজ করবে না৷ নিধির হাত ধরে বাকি জীবন পার করে দিবে৷ সকলের রক্তাক্ত শেষ হয় ভালোবাসার মাধ্যমে।

নিরব নিধিকে সেখানেই হাঁটু গেড়ে বসে প্রপোজ করে৷ নিধিও প্রপোজ এক্সেপ্ট করে। রক্তাক্ত বন্যা শেষ হয় ভালোবাসা দিয়ে৷ নিরব নিধির কপালে ভালোবাসার পরশ একে নিধিকে জড়িয়ে ধরে।

সমাপ্ত….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here