স্বপ্নচারিণী,পর্ব_২০
সামান্তা সিমি
হাতের টাওয়ালটা বিছানায় ছুড়ে ফেলে নিশান এগিয়ে গেল।
“—আমার রাগ উঠিও না যূথী।যা বলছি শুনো।”
যূথী ডানে-বামে মাথা নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিল সে নিশানের কথা শুনতে নারাজ।
“—আমি আপনার সাথে এই রুমে থাকব না নিশান ভাইয়া।আমাকে যেতে দিন দয়া করে।”
“—এই রুমে থাকতে সমস্যা কোথায়?বউ তুমি আমার।এখন থেকে প্রতিদিনই এই রুমে থাকতে হবে তোমায়।”
“—কিসের বউ! জোর করে সকলের অমতে বিয়ে করেছেন আমায়।”
“—জোর করে হোক আর যাই হোক বিয়ে তো করেছি।সেই হিসেবে তুমি বউ আমার।”
যূথী রাগে দিশেহারা হয়ে নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরছে।সে জানে নিশানের সাথে কথায় পারবে না।তাঁকে এত জ্বালাতন করে লোকটা কি শান্তি পায় কে জানে!
“—ঠোঁটের উপর অত্যাচার করছো কেনো? এগুলো কিন্তু আমার জিনিস। ”
নিশানের কথা শুনে যূথীর কানদুটো গরম হয়ে উঠল।বিয়ে হতে না হতেই লাগামহীন কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে।
নিশানের মুখে এখনো মৃদু হাসি ঝুলছে।যূথী একবার চোখ রাঙিয়ে সেদিকে তাকিয়ে ধুপধাপ পা ফেলে বিছানার এক সাইডে শুয়ে পরল।মনে মনে নিশানকে উদ্দেশ্য করে অসংখ্য গালি ছুড়ছে।সামনাসামনি বলার সাহস তো নেই।তাই এভাবেই নিজের রাগ মিটানোর চেষ্টা করছে।
নিশান লাইট অফ করে যূথীর থেকে কয়েক হাত গ্যাপ রেখে শুয়ে পরল।
ঘুম আসছে না যূথীর।কিভাবে ঘুম আসবে! রাক্ষসের সাথে এক বিছানায় ঘুমানো যায় নাকি।যূথী ভয়ে ভয়ে একটু পর পর পেছনে ফিরে দেখার চেষ্টা করছে নিশান ঘুমিয়ে নাকি জেগে আছে।তাঁর মনে ক্ষীণ সন্দেহ যদি নিশান ভাইয়া অধিকার ফলাতে আসে!তখন বাধা দিলেও কি লোকটা শুনবে! হয়তোবা বলতে পারে তুমি আমার বউ।তোমার উপর অধিকার আছে আমার।এসব আকাশ-পাতাল ভেবে যূথী ছটফট করছে।
পরক্ষণেই নিজের মনকে বুঝালো সে যা ভাবছে তা কখনোই হবে না।নিশান ভাইয়াকে এক বিন্দু হলেও চিনে সে।আর যাইহোক এই কাজটা কখনোই করবে না।
শেষবারের মত নিশানের দিকে তাকিয়ে ঘাড় ঘোরাতেই ঘটল একটা অঘটন।ব্যালেন্স রাখতে না পেরে ধপাস করে বিছানা থেকে ফ্লোরে পরে গেল যূথী। ব্যথা পেয়ে সামান্য চিৎকার দিয়ে উঠল।
রাতের অন্ধকারে এমন আওয়াজ শুনে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল নিশান।সারাদিনের ক্লান্তিতে মাত্রই তাঁর চোখটা লেগে আসছিল।
টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে দেখে যূথী বিছানায় নেই।কাঁদো কাঁদো চেহারা নিয়ে ফ্লোরে বসে আছে।হতভম্ব হয়ে গেল নিশান।এই পাগল মেয়েটাকে নিয়ে সে যাবে কোথায়!নিশ্চয়ই বিছানার সাইডে যেতে যেতে নিচে পরে গেছে।
নিশান বেড থেকে নামতে নামতে দাঁত কটমট করে বলল,
“—ব্যথা পেয়েছো?
যূথী মাথা নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিল ব্যথা পায় নি।কিন্তু তাঁর গলা ফাটিয়ে কাঁদতে মন চাইছে।এমন বেকায়দায় পরলে ব্যথা না পেয়ে কেউ কি আরাম পাবে! তাঁর কোমড়ের হাড়গোড় বোধ হয় সব পাউডার হয়ে গেছে।
নিশান ঝট করে যূথীকে কোলে নিয়ে বিছানার মাঝখানে শুইয়ে দিল।যূথীকে কিছু বলার সুযোগই দিল না।আলো নিভিয়ে একহাত দিয়ে জড়িয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে নিল।ফ্রিজড্ হয়ে গেছে যূথী।হাত-পা প্রচন্ড গতিতে কাঁপছে।শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।এগুলো বোধ হয় হার্টঅ্যাটাক হওয়ার পূর্ব লক্ষণ।
“—প্লিজ ছা…ছাড়ুন।কেমন যেন লা..লাগছে আমার।”
যূথীর ভীত গলা নিশানকে স্পর্শ করল না।সে যেমনভাবে শুয়ে ছিল তেমনভাবেই রইল।
“—আজকের পর থেকে এভাবেই ঘুমাতে হবে।অভ্যাস করে নাও।”
শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে যূথীর।লোকটার গা থেকে কেমন একটা পুরুষালি গন্ধ আসছে।মাথা ঝিমঝিম করছে তাঁর।সারারাত এভাবে থাকলে সে নির্ঘাত সকাল হতে হতে প্যারালাইজড্ রোগীর মত হয়ে যাবে।
যূথী একটু নড়াচড়া করে উঠতেই ধমক লাগালো নিশান।
“—আমি কিন্তু বারান্দা থেকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেব।চুপচাপ ঘুমাও আর আমাকেও ঘুমাতে দাও।অনেক টায়ার্ড আমি।”
যূথী আর কোনো শব্দ করার সাহস পেল না।মরার মত সারারাত নিশানের বাহুডোরে বন্দী হয়ে রইল।
‘
‘
‘
ভোর হতেই নিশানের ঘুম ভেঙে গেল।আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসতেই পাশে ঘুমিয়ে থাকা যূথীর দিকে নজর গেল।এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল নিশানের মুখে।এই মেয়েটা তাঁর বউ।হ্যাঁ! তাঁর জীবনসঙ্গী।
পৃথিবীর সমস্ত সুখ সে এই মেয়েটার পায়ে এনে দিবে।যা-ই ঘটে যাক তাঁর হাতটা কখনোই ছেড়ে দেবে না।
গতকাল রাতে সে যূথীকে বলেছিল যা করেছে ভেবে চিন্তেই করেছে।আসলে ব্যপারটা তা না।হুট করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া।দিনের পর দিন সকলে তাঁর বিয়ে নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে পরোক্ষভাবে এত চাপ দিচ্ছিল যে হঠাৎ করেই যূথীকে বিয়ে করার চিন্তাটা মাথায় এল।অবশ্য একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে।তাঁর আর যূথীর সম্পর্কটা হয়তোবা কেউই মেনে নিত না।সকলকে মানানোর জন্য অনেক কাঠ-খড় পুড়াতে হত।সেইদিক থেকে বিয়েটা হয়ে যাওয়াতে ভালোই হয়েছে।এখন যূথীকে হারানোর ভয় একদমই নেই।
নিশান যূথীর কপালে পরে থাকা ছোট চুলগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দিল।নিচু হয়ে টুপ করে ঠোঁটে একটা চুমু খেয়ে নিল।হালকা কেঁপে উঠল যূথী।বড্ড আদুরে লাগছে মেয়েটাকে! মুচকি হেসে বিছানা থেকে নেমে গেল নিশান।
_____________
কলেজের ক্যাম্পাসে একটা গাছের নিচে মন খারাপ করে বসে আছে যূথী।রুমে থাকলে এতক্ষণে কেঁদে কেটে একাকার করে ফেলত।এখানে আশেপাশে ছেলেমেয়েরা দাঁড়িয়ে আছে তাই চোখের জল বহু কষ্টে আটকে রাখছে।আজ সকালে সে একতলায় নামতেই চাইছিল না।শুধুমাত্র নিশানের কারণে বাধ্য হয়ে ডাইনিং টেবিলে নাস্তা খেতে গিয়েছিল।
মনে প্রচন্ড ভয় কাজ করছিল।এখনই বুঝি সবাই তাঁর উপর হামলে পরবে।বকাঝকা শুরু করবে।কিন্তু এমন কিছুই হয়নি।সবার মুখ ছিল থমথমে।কেউ কোনো কথা বলছিল না। ডাইনিং টেবিলে বড় আব্বুকে দেখেনি।ভাগ্যিস ছিল না।নাহলে যূথী আতঙ্কে মাথা ঘুরে ওখানেই পরে যেত।
যূথী আড়চোখে একবার নিশানের দিকে তাকিয়েছিল।এত বড় ব্লান্ডার করে বসে আছে অথচ মুখ দেখে তা বোঝার উপায় নেই।আরামসে খেয়ে চলেছে।মাঝেমাঝে ফোনে কারো সাথে কথা বলছিল আবার মাঝেমধ্যে যূথীর দিকে চোখ রাঙিয়ে জলদি খাওয়ার জন্য ইশারা করছিল।আর এদিকে যূথীর গলা দিয়ে খাবার নামছিল না।
বড়’মা হয়তোবা আজকেই বাড়ি ফিরবে।এসব কাহিনি দেখে না জানি তাঁকে বাড়ি থেকেই বের করে দেয়।
এসব আকাশ-কুসুম চিন্তা করতে করতে যূথীর মাথাটা ব্যথায় ছিড়ে যাচ্ছে।
দূর থেকে মনীষা এবং নীলিমা’কে আসতে দেখে যূথীর আরো কান্না পেয়ে গেল।ওরা কি এখন তাঁকে কথা শুনাতে আসছে নাকি।এতগুলো ছেলেমেয়ের সামনে যদি কোনো অপমানজনক কথা বলে বসে তাহলে তাঁর অবস্থাটা কি হবে!
যূথী ওদের দেখেও না দেখার ভান করে অন্যদিকে তাকিয়ে বসে রইল।
“—যূথী তুমি ক্লাস না করে এখানে বসে আছো যে? তোমার ক্লাস নেই এখন?”
মনীষা’র কথা শুনে কিছুটা অবাক হলো যূথী।মেয়েটা তো আগের মতই স্বাভাবিকভাবে কথা বলছে।সে তো ভেবেছিল উল্টোটা হবে।
“—না এমনিই বসে আছি।ভালো লাগছিল না।”
দুইবোন যূথীর দুইপাশের খালি জায়গাটায় বসে পরল।নীলিমা যূথীর কাঁধে হাত রেখে কিছু একটা বলতে নিতেই যূথী কাঁদকাঁদ হয়ে বলতে লাগল,
“—বিশ্বাস করো আমি এসবের কিছুই জানতাম না।নিশান ভাইয়া এমন কাজ করে বসবে তা আমি কখনই ভাবি নি।তোমরা তো আমাকে চেনো।কখনো কি নিশান ভাইয়ার সাথে কোনো অদ্ভুত আচরণ করতে দেখেছো আমায়?”
যূথীর কথা শুনে দুইবোন মুখ চাওয়াচাওয়ি করল।
মনীষা বলল,
“—রিল্যাক্স যূথী।আমরা কি তোমাকে কিছু বলেছি?এখানে তোমার কোনো দোষ নেই।আমরা তো বুঝতেই পারিনি নিশান ভাইয়া কবে কখন তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছে।কালকে ভাইয়ার কথাবার্তায় স্পষ্ট বুঝে গেছি ভাইয়া কতটা ভালোবাসে তোমায়। আর কালকের ঘটনাটায় আমরা বেশি একটা অবাক হইনি।ভাইয়াকে তো চিনি।অন্য পাঁচটা মানুষ যে কাজটা সোজা পথে করে ও সেটা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নিজের মন মত করে।কেউ বাঁধা দিতে লেগেই রেগে ফায়ার।”
“—কিন্তু মনীষা বাড়ির লোকজনদের কথাটা একবার ভাবো।ওরা সকলে খুব আপসেট।তাঁদের আশা ছিল বাড়ির বড় ছেলের জন্য ভালো শিক্ষিত মেয়ে খুঁজে তারপর বিয়ে দিবে।ইতিমধ্যে মেয়েও ঠিক করে ফেলেছিল।আর সেখানে উনি এমন একটা কাজ করে বসলেন।আমি কখনোই উনার যোগ্য হতে পারব না মনীষা।আমার না আছে রূপ আর না আমি শিক্ষিত।”
নীলিমা অনেকটা ধমকের সুরে বলল,
“—থামো তো।এই যূগে এসেও তুমি সেই পুরোনো দিনের ধ্যান-ধারণা নিয়ে পরে আছো!ভাইয়ার ভালোবাসাকে তুমি রূপ দিয়ে মাপতে চাইছো!আর রইল বাকি শিক্ষিত হওয়া।তুমি মাত্রই অনার্সে পড়ছো।অনেকটা পথ বাকি।তুমিও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভাইয়া তোমাকে সর্বোপুরি সাহায্য করবে।বাড়ির লোকদের নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই।যেখানে নিশান ভাইয়া আছে সেখানে তুমি সারাক্ষণ চিল মুডে থাকতে পারো।দেখবে ভাইয়া সবটা সামলে নেবে।ইউ নো ভাইয়া ইজ আ জিনিয়াস ম্যান।”
দুই বোনের কথা শুনে যূথীর চোখে পানি আসার উপক্রম। ওরা কত ম্যাচিউরড্।সবকিছু কত সুন্দরভাবে ব্যাখা করে দিল।কিন্তু তবুও যূথীর চিন্তা দূর হচ্ছে না।মনে একটা ভয় দানা বেঁধে আছে।মাথা ঠান্ডা রাখতে গেলে মন অজানা আতঙ্কে কেঁপে উঠে।আর মনকে বুঝাতে গেলে মাথার ভাবনাগুলো এলোমেলো হয়ে যায়।সে বোধ হয় পাগল হয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যে।
‘
‘
‘
সন্ধ্যায় নীলুফা চৌধুরী বাড়ি ফিরে সমস্ত ঘটনা শুনে আশ্চর্যের সপ্তম আকাশে উঠে গেলেন।তাঁর ছেলে যে একগুঁয়ে স্বভাবের তা তিনি জানেন।কিন্তু তাই বলে এই কান্ড করে বসবে!তিনি ভেবে রেখেছিলেন ধীরে সুস্থে তাঁর স্বামীর কানে প্রথমে নিশান আর যূথীর ব্যপারটা তুলবেন।হয়তোবা শুরুতে মানত না কিন্তু বিশ্বাস ছিল তিনি ঠিক মানিয়ে নিতে পারবেন।কিন্তু ঘটনা তো উল্টো হয়ে গেল।নিশান যে কেনো এটা করতে গেল!নিশানের বাবা’র দোষ তো এখানে দেখতে পাচ্ছেন না।ছেলে এমন কাজ করে বসলে রাগারাগি তো করবেই।তাঁর স্বামীও যে হুটহাট মাথা গরম হয়ে যাওয়া মানুষদের দলের মধ্যে আছে।
নীলুফা চৌধুরী কারো সাথে এই ব্যপারে কোনো কথা বললেন না।এমনকি যূথীর সাথেও দেখা করলেন না।অপেক্ষা করছেন নিশান কখন বাড়িতে পৌঁছে।
রাত দশটা’য় বাড়ি ফিরল নিশান।খবর পেয়েই নীলুফা চৌধুরী ছেলের সাথে দেখা করতে ছুটলেন।
নিশান ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই মা’কে দেখে থেমে গেল।
নীলুফা চৌধুরী কিছুটা কর্কশ গলায় বলে উঠলেন,
“—এসব কি শুনছি নিশান?” একটু কি ধৈর্য্য ধরে থাকা যেত না?আমার উপর বিশ্বাস ছিল না তোর?”
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাতের টাওয়ালটা রেখে নিশান এগিয়ে আসলো।মা’য়ের কাঁধে হাত রেখে কোমল গলায় বলল,
“—মা তুমি এটা ভেবে বসে আছো যে বাবা তোমার কথায় আমার ভালোবাসাকে মেনে নেবে তাই তো!ভুল ভাবছো তুমি।বাবা মাহবুব আঙ্কেলের মেয়ের সাথে আমায় বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পরে লেগেছে।আশা করি তোমাকে এই খবরটা কেউ দেয়নি যে কাল বাবা মাহবুব আঙ্কেল এবং তাঁর মেয়েকে এই বাড়িতে ইনভাইট করেছিল।কি জন্য জানো? বিয়ের কথা পাকা করার জন্য।এসব দেখে তখনই যূথীকে বিয়ে করার চিন্তাটা মাথায় চলে আসলো।”
নিশানের কথা শুনে চমকে উঠলেন নীলুফা চৌধুরী। সত্যিই তো এই কথাটা কেউ তাঁকে বলেনি।তিনি তাহলে ঠিকই ভেবেছেন।তাঁর ছেলে এমনি এমনি এই কাজটা করেনি।যা হওয়ার হয়ে গেছে।এখন এগুলো কথা বলে লাভ নেই।বাড়ির লোকদের কিভাবে হ্যান্ডেল করা যায় সেটাই ভাবতে হবে।
“—যূথীকে একটু ডেকে দাও তো মা।ওঁকে বলেছিলাম অফিস থেকে এসে যেন এই রুমে পাই।কিন্তু সে বোধ হয় নিজের রুমে ঘাপটি মেরে বসে আছে।ওর খবর আছে আজকে।”
ছেলের কথায় মুচকি হাসলেন নীলুফা চৌধুরী। হাসতে হাসতেই বললেন,
“—তুই আর মানুষ হবি না।আচ্ছা যূথীকে পাঠিয়ে দিব।বাড়িতে এসে এখনো দেখা করিনি ওর সাথে।তুই ফ্রেশ হয়ে আয়।আমি যাচ্ছি। ”
চলবে…………