স্বপ্নছায়া ৯ম_পর্ব

0
1990

স্বপ্নছায়া
৯ম_পর্ব
মুশফিকা রহমান মৈথি

সকাল ৯টা,
ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি হচ্ছে। কাল রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। তাই আবহাওয়াটা বেশ স্যাতস্যাতে। পিটপিট করে চোখ খুলে ঐন্দ্রিলা। চোখ খুলতেই দেখলো তার গলা অবধি কম্বল টানা। যার যতটুকু মনে পড়ছে কম্বল ব্যাতীত ই ঘুমিয়ে পড়েছিলো সে। আজকাল বিছানায় গা এলিয়ে দিলেই ঘুম চলে আসে তার। বিছানায় শুতে দেরি হয় কিন্তু ঘুম আসতে দেরি হয় না। ঘুম ও বুঝি ঐন্দ্রির কানে কানে বলে,
“আমাতে বিলিন হয়ে নিজের করো উজার!”

কিন্তু কথা সেটা নয়, কথা হলো রাতে তার গায়ে কম্বল কে দিলো? অভ্র? ঐন্দ্রিলা রুমের জানালার দিকে চোখ দিলো। পর্দাটা টানা, এটা হবার কথা নয়। অভ্রের সাথে বাইশ দিন যাবৎ একই রুমে থাকায় অভ্রের অভ্যাস সম্পর্কে কম করে হলেও একটা বেসিক ধারণা ঐন্দ্রির হয়েছে। সকালবেলা উঠেই বান্দা সবার আগে পর্দা টেনে দিবে। সূর্যের আলো ঘরে না প্রবেশ করলে তার ভালো লাগে না। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এই কাজ সে সবার প্রথমে করবে। ফলে সূর্যিমামার তীর্যক প্রহারে ঐন্দ্রির ঘুমটা কেঁচে যাবে। এটাই হয়ে এসেছে, কিন্তু আজ এমন কিছুই হয় নি। ঐন্দ্রিলা হুট করেই তার বামপাশে তাকায়। তাকাতেই তার দৃষ্টি পাশে থাকা ঘুমন্ত পুরুষের শান্ত চেহারায় আটকে যায়। বাহিরের বৃষ্টির ধ্বনি ঐন্দ্রির কানে আসছে। আজ সূর্যিমামার দেখা মিলছে না। পর্দা টেনে দেওয়ায় ঘরটা এখনো আবছা আধারে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে। কেনো যেনো রুমের পরিবেশটা বেশ মনোরম লাগছে ঐন্দ্রির কাছে। হয়তো একারণেই অভ্রের ঘুমন্ত চেহারাটা দেখতে খুব ভালো লাগছে তার। বলাই বাহুল্য তার জামাই দেখতে বেশ সুদর্শন। তবে তার আচার ব্যাবহারটাই তার সুন্দর চেহারাটাকেও বিরক্তিকর করে তুলেছে ঐন্দ্রিলার কাছে। আজ ব্যাপারটা অন্যরকম, প্রকৃতিতে বেশ প্রেম প্রেম আমেজ। তাই তার আজ তার খচ্চর জামাইকে অতিরিক্ত ভালো লাগছে। ঐন্দ্রিলা খুতিয়ে খুতিয়ে অভ্রকে দেখতে। তার চোখ, নাক, ঠোঁট। অজান্তেই তার হাতটা অভ্রের দাঁড়ি ভর্তি গালের কাছে চলে গেলো। তর্জনি আঙ্গুলটা অভ্রের মুখখানায় ঘুরতে লাগলো। ঐন্দ্রিলার ভালো লাগছে, সে কেনো এমনটা করছে তা তার জানা নেই, তবে তার ভালো লাগছে। অভ্রের ঠোঁটের কাছে এসেই ঐন্দ্রিলা থেমে গেলো। কি করছে সে? কেনো করছে সে? প্রশ্নের উত্তরগুলো তার অজানা। এখন হুট করে যদি অভ্র চোখ খুলে তবে লজ্জায় মাথা কাঁটা যাবে তার। তবুও লজ্জাজ্ঞানের জ্বলাঞ্জলি দিয়ে সে এই মানুষটাকে নিবিড়ভাবে দেখে যাচ্ছে। বাইশটা দিন হয়েছে লোকটার সাথে তার বিয়ে হয়েছে কিন্তু তাদের মাঝে স্বামী স্ত্রীর কথোপকথনটুকু হয় নি। ঐন্দ্রিলার হৃদয়টা হুট করেই বিষাদে ভরে গেলো। যে মানুষটার মায়ায় তার হৃদয় ক্রমশ নিমজ্জিত হচ্ছে, সেই মানুষটার হৃদয়ে বড় করে তালা ঝুলছে। ভালোবাসা নামক অনুভূতিতে তার এলার্জি। আবারো হৃদয়টা বেহায়ার মতো নিজেকে বিলীন করবার জন্য উৎসুক হচ্ছে। ঐন্দ্রিলা উঠে বসলো। তার তার ভালো লাগছে না বিছানায় শুতে। ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই নিজের কপালে হাত পড়লো তার। কত সময় পেরিয়ে গেছে তার হিসেব নেই। তাড়াতাড়ি আলমারি থেকে একটা শাড়ি বের করে ছুটলো ওয়াশরুমে। ওয়াশরুমের দরজাটা বন্ধ হওয়ার শব্দ কানে আসতেই চোখ খুললো অভ্র। এতোক্ষণ সে সজাগ ছিলো। কিন্তু ইচ্ছে করেই চোখ খুলে নি। ঐন্দ্রিলাকে লজ্জা দিতে চায় নি। সে নিজেও বেশ উপভোগ করছিলো ব্যাপারটা। ঐন্দ্রিলা নামক নারীতে সে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হচ্ছে, ব্যাপারটা তার খারাপ লাগে না। আড়মোড়া দিয়ে উঠে বসলো অভ্র। হঠাৎ করেই তার ঠোঁটের কোনার হাসিটা মিয়ে গেলো, গত রাতের স্বপ্নটা তাকে ভাবাচ্ছে। জ্যানিকে দেওয়া প্রমিসটা সত্যি কি ভাঙ্গছে সে!

শুক্রবার হওয়ায়, আজ নাস্তার টেবিলে সবার সাথেই নাস্তা করছে অভ্র। এই একটা দিন ই সকলের সাথে নাস্তা করার সুযোগটা পায় সে। অন্যথা অফিসের ক্যান্টিনেই তাকে পেট পুজো করতে হয়। আজ সকালে ভুনা খিঁচুরি এবং ডিম ভুনার আয়োজন করেছেন শারমিন বেগম। বৃষ্টির বাহানায় খিঁচুরি খাওয়ার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চান না তিনি। শওকত সাহেব একবার ঐন্দ্রিলা এবং একবার অভ্রের দিকে তাকালেন। এরপর গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন,
– অভ্র তুমি কিছুদিন অফিস থেকে ছুটি নাও বুঝলে! ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে একটু ঘুরে আসো। আসলে তোমাদের বিয়েটা যেভাবে হয়েছে, তারপর থেকে তোমরা নিজেদের চেনার সময়টুকু পাও নি। আমার মনে হয় এটা তোমাদের উভয়ের জন্য ভালো হবে। একটু সাগরের পাড়ে ঘুরে টুরে আসলে দেখবে তোমাদেরও ভালো লাগবে আর তোমাদের সম্পর্কটা ও একটু ভালো হবে।

শওকত সাহেব বেশ বিচক্ষণ মানুষ। অভ্র-ঐন্দ্রিলাকে বিয়ের পর থেকেই তিনি পর্যবেক্ষণ করছেন। তাদের মাঝের সম্পর্কটা কতোটা গভীর এবং কতোটা দেখানো সেটা আন্দাজ করাটা তার জন্য খুব একটা কঠিন নয়। অনেকদিন যাবৎ কথাটা তার মাথায় ঘুরছিলো। কিন্তু বলার সুযোগ পান নি। আজ পেয়েছেন তাই কথাটা না পেড়ে থাকতে পারলেন না। অভ্র চুপ করে আছে। একটা সময় ছিলো যখন অভ্র চাইলেই খাবারের প্লেটটা ছুড়ে ফেলে গটগট করে হেটে চলে যেতো। বাবার কোনো কথা ভালো না লাগলে এক কান দিয়ে শুনে গা ছাড়া দিয়ে থাকতো। রাগে গজগজ করতে করতে রুমের জিনিসপত্র ভাঙ্গতো। কিন্তু এখন সেটা করতে পারে না। কারণ এখন সেও একজন বাবা। নিজেকে বাবার জুতোয় রাখলে বুঝতে পারে, মানুষটার জন্য সে কতোটা জরুরি। জ্যানির মৃত্যুর পর যখন শিশুটিকে নিয়ে হিমসিম খাচ্ছিলো এই মানুষটা তার পাশে দাঁড়িয়েছিলো। তখন যদি তারা তাদের জেদ না ছাড়তো তবে আজ ক্যালিফোর্নিয়ার কোনো এক গলিতে দিশান এবং অভ্র হয়তো হারিয়ে যেতো। অভ্র কিছু বলার আগেই ঐন্দ্রিলা বলে উঠলো,
– বাবা, আমি একটা আবদার করবো?
– প্রশ্ন কেনো করছো মা? নির্দ্বিধায় করো।
– আসলে আমার ক্লাস সামনের সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে। তাই এখন ঘুরতে যাবার প্লানটা না করি? আমি চাচ্ছি না ক্লাসটা মিস দিতে।
– সামনের সপ্তাহ তো। অনেক দেরি আছে এখনো। দুদিনের জন্য না হয় ঘুরে আসো। ক্ষতি কি?
– দিশানকে নিয়ে এতোদূর ট্রাভেল?
– দিশান আমাদের কাছে থাকবে, এর আগেও বহুবার ও থেকেছে। তুমি চিন্তা করো না।
– কিন্তু…..

ঐন্দ্রিলা গাইগুই করছে। সে জানে অভ্র কখনোই ব্যাপারটায় সম্মতি দিবে না। বলা তো যায় না, শওকত সাহেবের এই আবদারের জন্যও তাকেই দোষ দিবে এবং অহেতুক রাগ ঝাড়বেন মশাই। এর মাঝেই অভ্র শান্ত গলায় বলে উঠলো,
– বাবা, ঠিক বলছে। আমরা ঘুরে আসতেই পারি। এমনিতেও আমি তিনদিনের জন্য চিটাগং যাচ্ছি। তুমি ও চলো আমার সাথে। ঘুরে আসা যাবে।

কথাটা বেশ স্বাভাবিক ভঙ্গিমাতেই বললো অভ্র, তারপর সুবোধ বালকের মতো খিঁচুরি খেতে লাগলো। ঐন্দ্রিলা নিজের কানকে বিশ্বাস করতে চাইছে না। অভ্র সত্যি তাকে নিয়ে যাবে! এটা অভ্র ই তো!

আসমা বেগম এবং পিউ রান্নাঘরে ব্যস্ত। আজ বদরুল সাহেব পিউ এর হাতে ছোট মাছের চচ্চরি খেতে চেয়েছেন। তার পিউ এর হাতের মাছের চচ্চরি খুব পছন্দ। তার কাছে মনে হয়, পিউ এর মাঝে তিনি তার আপার হাতের রান্নার স্বাদ পান। তাই তিনি গতকাল বাজারে যেয়ে ছোট মাছ কিনে এনেছেন। পিউ ও মামুর কথাকে অগ্রাহ্য করার প্রশ্নই উঠে না। বাহিরের বৃষ্টি এখনো থামার নাম নেই। বদরুল সাহেব খবরের কাগজে মুখ গুজে আছেন। মনটা বেশ ফুরফুরে লাগছে তার। এর মাঝেই একটি ফোন আসে। ফোন রিসিভ করতে অপর পাশের মানুষটি বলে,
– আসসালামু আলাইকুম বদরুল ভাই
– ওয়ালাইকুম সালাম ইকবাল ভাই। কি অবস্থা কেমন আছেন?
– এইতো আলহামদুলিল্লাহ। তা ভাই কি আজ বাসায় আছেন?
– হ্যা ভাই, শুক্রবার দিনে বাসায় থাকা হয়। একটু পর নামাযে যাবো।
– বিকেলে কি কোথাও বের হচ্ছেন?
– না তো কেনো বলুন তো?
– আসলে আমি, আমার বোন এবং দুলাভাই আসতে চাচ্ছিলাম। ভাই পিউ কে আপার খুব ভালো লাগছে। আমার ভাগ্নে শিহাবের সাথে আমরা পিউ মায়ের হাত চাচ্ছি। আপনার সম্মতি থাকলে আজকে পাকা দেখা সেরে ফেলতাম।

ইকবাল সাহেব, বদরুল সাহেবের কলিগ। একই সাথে তারা ব্যাংকে কাজ করেন। পিউ সম্পর্কে তিনি অনেক আগ থেকেই জানেন। পিউ অনার্স পাশ করার পর থেকেই লোকটা ছলেবলে পিউ এর ছবি, বায়োডাটা চাচ্ছিলেন। বদরুল সাহেব অমত করেন নি। মেয়ে তো বড় হয়েছে। এক না এক সময় বিয়েটা দিতেই হবে। কিন্তু পিউ এর সম্মতি ব্যাতীত তিনি কোনো কাজ করতে চান না। তাই বিনয়ী কন্ঠে বললেন,
– ভাই কিছু মনে করবেন না, তবে আজ আসবেন না। আমি আপনার ভাবী এবং মেয়ের সাথে কথা বলে আপনাকে জানিয়ে দিবো।
– আচ্ছা ভাই, সমস্যা নেই। ভাবীর সাথে কথা বলে জানিয়ে দিবেন। রাখছি তাহলে, ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম
– ওয়ালাইকুম সালাম।

বলেই ফোনটা রেখে দিলেন বদরুল সাহেব। তিনি খবরের কাগজটা গুছিয়ে রান্নাঘরের দিকে গেলেন৷ পিউ মাজাতে ওড়না বেঁধে রান্না করছে। মেয়েটির মাঝে রত্না বেগমের ছায়া দিনদিন গাঢ় হচ্ছে। এক মূহুর্তের জন্য বদরুল সাহেবের মনে হলো তিনি তার বোনকেই দেখছেন। মেয়েটি সত্যি বড় হয়ে গেছে। এখন তার বিয়ের সম্বন্ধ আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পিউ এর অমতে তিনি কিছু করতে চাচ্ছেন না। তার ও পছন্দ থাকতে পারে, তার ও কাউকে ভালো লাগতে পারে। এই বয়সে ভালোলাগাটা অবাস্তব কিছু না। তাই ঠিক করলেন রাতেই পিউ এর সাথে কথা বলবেন। আসমা বেগম বদরুল সাহেব কে চিন্তায় মশগুল থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,
– কি গো? কিছু লাগবে?
– নাহ, পিউ মা এক কাপ লাল চা করে দে তো। চা খেতে ইচ্ছে করছে। চা খেয়েই গোসলে যাবো।

বদরুল সাহেবের কথা শুনে আসমা বেগম মুখখানা বাকিয়ে বললেন,
– বুড়ো বয়সে যতসব ঢং! সকাল থেকে মেয়েটা রান্না করছে অথচ এখন মশাই এর চা লাগবে। এখন চুলা খালি নেই। চা হবে না।
– আহ মামি, আমি করে দিচ্ছি মামু। তুমি পাঁচ মিনিট বসো।
– এই তোর আদিক্ষেতায় এই বুড়োর ভীমরতি বাড়ছে। যখন তুই থাকবি না, তখন এই ঢং গুলো কে শুনবে শুনি! আমি কিন্তু এসব এ নেই বলে দিলুম।

আসমা বেগমের স্বর বাড়ছে৷ তার মেজাজ খারাপ বুঝা যাচ্ছে। তাই বদরুল সাহেব সেখানে দাঁড়ালেন না। সুন্দর দ্রুত পায়ে ভেতরে চলে গেলেন। সত্যি ই তো মেয়েটা না থাকলে এই আবদারগুলো কাকে করবে সে!

ল্যাপটপ খুলে স্টাডি টেবিলে বসে রয়েছে অভ্র। এক কাপ কফি অনেক আগেই সে চেয়েছিলো কিন্তু এখনো সেটা তার কাছে আসে নি। মাথাটা ধরেছে। কাজগুলো যাবার আগেই শেষ করতে চায়। কিন্তু কফিটা এখনো আসে নি। তাই দাঁতে দাঁত চেপে কাজ করতে হচ্ছে তাকে। হঠাৎ খট করে মগটা টেবিলে রাখলো ঐন্দ্রিলা। তার মগ রাখার ধরনে অনীহা প্রকাশ পাচ্ছে। অভ্র চোখ মুখ খিঁচে তার দিকে না তাকিয়েই জিজ্ঞেস করলো,
– মগটা কি ভালো ভাবে রাখা যেত না? যদি ভালো নাই লাগে তবে অন্য কাউকে দিয়ে পাঠাতে! অনীহা করে আমার কাজ কেউ করুক এর থেকে না করাটাই ভালো

অভ্রের কথার উত্তর স্বরুপ ঐন্দ্রিলা হিনহিনে কন্ঠে বলে,
– নিচে আপনি যা করেছে এটা আপনার প্রাপ্য।
– আমি কি করেছি?
– আপনি বাবার কথায় রাজি কেনো হলেন?

ঐন্দ্রিলার প্রশ্নে মাথা তুলে তাকায় অভ্র। ধীর কন্ঠে বলে,
– না হবার তো কিছু নেই। ঘুরতে যাওয়া তো ভালো। তোমার মাথাটাও একটু ঠান্ডা হয়ে যাবে।
– ঠান্ডা হবে? তিনটা দিন শুধু আপনার সাথে থাকতে হবে। আর আপনি বলছেন আমার মাথা হবে। পাগল হয়ে যাবো আপনার সাথে একা থাকলে৷

ঐন্দ্রির কথা শুনে বাঁকা হাসি হাসে অভ্র। চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে হুট করেই ঐন্দ্রিলার কোমড় আকড়ে নিজের কাছে টেনে নেয়। অভ্রের এমন কাজে চোখগুলো বড় হয়ে যায় ঐন্দ্রিলায়। নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে টিটকারির স্বরে বলে,
– কেনো ভয় পাচ্ছো? একা আমার সাথে, তিন দিন৷ কেউ থাকবে না আমাদের মাঝে। শুধু তুমি আর আমি। বলা তো যায় না যদি কিছু হয়ে যায়………..

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here