স্বপ্ন,পর্বঃ- ০২
সাদিয়া_সৃষ্টি
— “কি হয়েছে? কথা বলছ না কেন? আমার হাত তো আজ শেষ করে দিলে তুমি।”
— “দুঃখিত, আসলে আমি ইচ্ছা করে এমনটা করতে চাইনি। ভুলবশত হয়ে গিয়েছে। দুঃখিত।”
— “তো ভুল করার কারণটা কি জানতে পারি?”
— “ওই ঘুমের মধ্যে একটা খারাপ স্বপ্ন দেখছিলাম। তাই হয়তো ওই খামচি দিয়ে আপনার হাত ধরে ফেলেছি।”
— “খারাপ স্বপ্ন দেখলে মানুষ হাত পা ছোঁড়াছুঁড়ি করে শুনেছিলাম, অনেকে শান্তও থাকে। কিন্তু খামচাখামচি করে এটা প্রথম দেখলাম। ভয় পেয়েছিলে নিশ্চয়ই?”
— “তেমন কিছু না।”
— “থাক, চিন্তা করো না, তোমাকে ভীতু বলছি না।”
— “কি বললেন? আমি ভীতু?”
— “বললাম তো, ভীতু বলব না। তবে কেউ যদি নিজের মুখে স্বীকার করে থাকে তাহলে আমার আর কি করার? বল তো তার মুখ স্ট্যাপ্লার দিয়ে পিন মেরে দেই?”
— “আপনি এতো কথা বলছেন কেন? আর আপনি এই রুমে কী জন্য এসেছেন? হ্যাঁ? বলুন, বলুন আমাকে।”
— “তখন তো এই রুম থেকে একজ…”
— “কি এই রুম থেকে? থেমে গেলেন কেন? পুরোটা বলুন। এতো সকালে একজন মেয়ের রুমে কেন এসেছেন?”
— “বিয়ে বাড়ি বলে কথা। যেকোনো জায়গায় যেতেই পারি। তারজন্য এতো কিছু? কোথায় একটু ঘুরছিলাম। তখন এই রুম থেকে অদ্ভুত শব্দ পেয়ে চলে আসি। তারপর তোমাকে জাগাতে গেলে তুমি আমার হাতে খামচাখামচি শুরু করে দেও।”
বৃষ্টির খেয়াল হলো যে সত্যিই অনেক জোরে ধরেছিল ছেলেটির হাত। তাই বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল। বুকশেলফের মাঝ বরাবর তাকে রাখা ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে এলো আবার। তারপর তুলায় হেক্সিসল লাগিয়ে জায়গাটা পরিষ্কার করে দিয়ে একটা ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ লাগিয়ে আবার উঠে বাক্সটা আগের জায়গায় রেখে দিল। এতোটা সময় দুজনে চুপ করে ছিল। ছেলেটি বলে উঠল,
— “ধন্যবাদ।”
— “সাবধানে থাকবেন, খেয়াল রাখবেন যাতে ইনফেকশন না হয়। আপনি কি কোন কিছু খুঁজছিলেন?”
— “হ্যাঁ, বরের ঘরটা দেখিয়ে দিতে যদি একটু।”
— ” ওটা এই ফ্ল্যাটে না, পাশের ফ্ল্যাটে, তাই হয়তো খুঁজে পাচ্ছিলেন না।”
— “আবারো ধন্যবাদ।”
— “সরি।”
— “কেন?”
— “অজান্তেই খামচি দেওয়ার জন্য আর কিছুক্ষণ আগে ঝগড়া করার জন্য।”
— “ওটা ঝগড়া ছিল?”
— “কি বলতে চান?”
— “আমি বলতে চাচ্ছি যে তুমি যদি ওটাকে ঝগড়া ভেবে থাকো তাহলে তুমি ঝগড়ায় অনেক কাঁচা। এক দিন এসে শিখিয়ে দেব আমি, ঠিক আছে? অবশ্য প্র্যাকটিস ক্লাস হিসেবে পাশের বাড়ির অ্যান্টিদের ফলো করতে পারো।”
— “আমাদের পাশের বাড়ির অ্যান্টিগুলো সব সময় মিলে মিশে থাকেন, ঝগড়া করেন না।”
— “এইজন্য বলি, তোমার ঝগড়ায় এতো করুণ পরিস্থিতি কেন! চিন্তা করো না, আমার বাড়িতে চলে এসো, সেখানে পাশের বাড়ির অ্যান্টিগুলো জোস টাইপের ঝগড়া করে। কমপক্ষে ২ ঘণ্টা তো হবেই।”
— “কমপক্ষে? তাও ২ ঘণ্টা?”
— “আসি। বিয়েতে দেখা হচ্ছে।”
বলেই ছেলেটি চলে গেল। বৃষ্টি তখনও ভাবনায় মগ্ন। তার মস্তিষ্কে একটা ঝগড়ার উদাহরণ চলে এসেছে। সেটাকে বার বার মনে করে ২ ঘণ্টা বানানোর চেষ্টা করল। যেন একটা ১০ মিনিটের ভিডিওকে এডিট করার সময় বারবার যুক্ত করে সেটাকে ২ ঘণ্টার চলচ্চিত্র বানাচ্ছে। ভাবতে গিয়েই মাথা খারাপ হয়ে গেল বৃষ্টির। সেসব চিন্তা বাদ দিল সে। আবার ২ ঘণ্টার ঝগড়ার কথা মনে পড়ায় মুচকি হাসলো সে। ঝগড়া দেখার বদলে ওই সময় একটা মুভি দেখাকে বেশি উপযুক্ত মনে করছে সে। তার সাথে সাথে আবিরের বিয়ের কথা মনে পড়ায় মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল। এখন থেকে আবির আর মৌটুসিকে রোজ সামনে দেখতে হবে। সেটা বৃষ্টির কাছে কেমন লাগবে, নিজেই বুঝতে পারছে না সে। হাত মুখ ধুতে সে একটা তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়ল। বিয়ে বাড়ি হওয়ায় অনেক কাজ। বিয়ের সেখানেও সবার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আবিরেরবাবা না থাকায় সেই জায়গায় বৃষ্টির বাবা সবটা একা হাতে সামলাচ্ছেন। আর বিভোরও ছোট। অতো ছোট না তবে, বিয়ের কাজ কম সামলাচ্ছে না সে! এখন ঘুরে ঘুরে বন্ধুদের সাথে আনন্দ করার কথা তার। তাই বিয়ের দায়িত্বগুলো বৃষ্টি নিজেও ভাগ করে নিয়েছে। বিয়ের ওদিকে কোন সমস্যা হলো কি না সেগুলোও দেখতে হবে। কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখায় নিজের অনুভূতিগুলোর দিকে আর তেমনভাবে খেয়াল রাখা হচ্ছে না। এতে আলাদা এক প্রকার শান্তি আছে। কাজে নিজের সম্পূর্ণ মনোযোগ রাখতে পারলে আর অন্যদিকে খেয়াল থাকে না। তখন মনের আনন্দ-দুঃখ সবটা ভুলে থাকা যায়। অনেকে তো কষ্ট পেলেই নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখে। অবশ্য সবার কষ্ট লাঘবের ধরণ এক না!
_____
বিয়েটা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হলো। কোন ঝামেলা ছাড়াই। বৃষ্টি সত্যিই অবাক হলো। অনেক বেশিই অবাক হলো। আবিরের চেহারা দেখে, সেই হাসিমুখ, হাসার সময় চোখ দুটো ছোট হয়ে আসে তার। কিন্তু আজ হাসিটা অন্য কারো জন্যই। নিজের বিয়েতে এমন ভাবে সবার সাথে কথা বলল যেন সে এই বিয়েতে খুব খুশি, অথচ গতকালও গায়ে হলুদের আগে বৃষ্টির হাত টেনে এনে বলেছে সে আজও বৃষ্টিকে ভালোবাসে। কি অদ্ভুত ভালোবাসা তার! দুই নৌকায় পা দিয়ে চলার ব্যাপারটা আজ সত্য বলে মনে হচ্ছে বৃষ্টির। আগে ভাবত মানুষ এতটাও খারাপ না, অন্তত তার চেনা জানা মানুষগুলো তো একদমই না। কিন্তু বৃষ্টির ধারণা কি সুন্দর বদলে দিয়ে আবির হাসিমুখে কবুল বলে দিল। অদ্ভুত এই সমাজ, অদ্ভুত সমাজের রীতিনীতি, তবে তার থেকেই বেশি অদ্ভুত সেই সমাজে বসবাসরত মানুষগুলো।
আবির আর মৌটুসিকে সামনে একসাথে বসে থাকতে দেখে বৃষ্টির আবছা ভাবে মনে পড়ল গত রাতের স্বপ্নের কথা। সেই একই পোশাক, আবিরের পরনে মৌটুসির পছন্দ করা শেরওয়ানি আর মৌটুসির পরনে সেই শাড়ি, যেটা হয়তো বৃষ্টি গত রাতের স্বপ্নে পরিধান করেছিল। সম্পূর্ণ স্বপ্ন তো মনে নেই, তবে আবছাভাবেই মনে পড়ল,
“রক্ত!”
_____
— “কি দেখছেন ম্যাডাম এইভাবে? আসতে ধরুন, নাহলে খামচি লাগবে তো!”
পরিচিত কণ্ঠে খামচির কথা শুনে হুট করে হাতটা আগলা করল বৃষ্টি। সাথে সাথে হাতে থাকা ওয়ান টাইম গ্লাসটা পড়ে গেল নিচে। ওয়ান টাইম গ্লাসে করে পানি নিয়ে এসেছিল নিজের জন্য। সেটা পান করাও শেষ। বৃষ্টি শুধু হালি গ্লাস হাতে নিয়ে স্টেজের দিকে তাকিয়ে ছিল যেখানে আবির আর মৌটুসি বসে বসে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছে। বৃষ্টির মনে পড়ল সে তো এবার ছেলেটার হাত ধরেনি, তাহলে খামচি লাগবে কার? বৃষ্টি ভ্রূ কুঁচকে তাকাল ছেলেটার দিকে। সে হয়তো বুঝতে পারল বৃষ্টির ভু কোঁচকানোর মানে। তাই বলে উঠল,
— “বলতে চাচ্ছিলাম যে গ্লাসটার খামচি লাগবে, তোমার যে বড় নখ, খামচি লাগলে গ্লাসটা ব্যথা পেত না?”
— “অদ্ভুত কথা বলা বন্ধ করবেন?”
— “মাত্রই তো শুরু করলাম।”
— “কি জন্য এসেছেন?”
— “দেখে মনে হলো রেগে আছো। তাই রাগ কমাতে আসলাম।”
— “আমার রাগ কমানোর দায়িত্ব কি আপনাকে দেওয়া হয়েছে?”
— “না, তবে বিয়ে বাড়িতে আছো আর একটা দুইটা ছেলেকে সহ্য করবে না, এটা তো মানা যায় না। তাই আমিই আসলাম।”
— “ফ্লার্ট করছেন?”
— “না না, আমি ওসব করি না, আমি শুধু উদাহরণ দিলাম যাতে কে কেমন সেটা বুঝতে পারো। আচ্ছা তুমি কি করো?
— “আমি আপনার মতো একটা বুড়োকে সহ্য করছি।”
— “আমি বুড়ো হলে তো তুমি বুড়ি।”
— “আপনি একটা অচেনা মেয়েকে বারবার তুমি করে বলছেন কেন? আমাকে দেখতে ছোট মনে হলেও আমি বয়সে আপনার থেকে বড়। সম্মান দিয়ে কথা বলুন।”
— “এক্সের বিয়ে নাকি? এতো রাগছ কেন?”
বৃষ্টি চুপ করে রইল। ছেলেটা বৃষ্টির এমন পরিবর্তন দেখে চমকে গেল নাকি সেটা বৃষ্টি বুঝতে পারল না। তবে জানার ইচ্ছা হলো। তার অবস্থার কথা যদি সে কাউকে বলতে পারতো! কিন্তু পারবে না। কারণ নিজে র অনুভুতি সম্পর্কে সে নিজেই অবগত নয়। প্রচণ্ড বিভ্রান্তিতে আছে। শুধু সময়ের সাথে সাথে নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করছে তাই, না কাউকে জানাচ্ছে নিজের কথা আর না কাউকে জানতে দিচ্ছে। তাহলে হঠাৎ দেখা হওয়া একজন অচেনা ছেলে তার অনুভূতি কি করে বুঝ গেল? হয়তো আন্দাজে কিংবা মজা করে বলেছে। তবে সত্য কথাই তো বলেছে। এক্স! হাসি পায় বৃষ্টির শব্দটা শুনলে।
— “তাহলে আমি কি ঠিকই ধরেছি?”
ছেলেটা আবার বলে উঠলেও বৃষ্টি কিছুই বলল না। ছেলেটা যা ভাবার ভাবুক, তাতে ওর কি? দেখা তো শুধু এই দুই দিনের জন্যই। সারা জীবন তো আর দেখা হবে না। কিন্তু আরেকটা পরিচিত কণ্ঠ শুনে সে মাথা ঘোরাতে বাধ্য হলো।
— “তোমরা কি করছ এখানে?”
বৃষ্টির বাবার কণ্ঠ। বৃষ্টি অবাক হলো। বাবা কি ছেলেটাকে চেনে? চিনলে তো মহা মুশকিল! বৃষ্টির ভাবনাকে সত্য করে দিয়ে তার বাবা ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর বললেন,
— “কেমন আছো নিশান্ত? কোন সমস্যা হচ্ছে না তো?”
— “না আংকেল, একদম ঠিক আছে। কোন সমস্যা নেই।”
— “কি করছিলে তুমি?”
— “এই তো উনার সাথে বিয়ে নিয়ে কথা বলছিলাম?”
— “বিয়ে নিয়ে মানে? তুমি বৃষ্টিকে বিয়ে করতে চাও?”
— “ডেকোরেশন আংকেল। ডেকোরেশন।”
— “ওহ, হাহা, ভালো। এই যে দেখছ। পুরোটাই আমার মেয়ে বৃষ্টির সাজানো, প্ল্যানিং সব ওই করেছেন।”
— “দেখলাম, উনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছেন, আমার বিয়েতেও ভাবছি উনাকে নিয়ে যাব… সাজানোর জন্য।”
— “উনি বলছ কেন? তুমি করে বলো, ও তোমার থেকে ছোট।”
নিশান্ত বৃষ্টির দিকে আড়চোখে তাকাল। বৃষ্টি নিচের ঠোঁট চেপে ধরে চোখ বন্ধ করা রেখেছে। সে আবার হুহা করে হেসে জবাব দিল,
— “জ্বি আংকেল, তুমি করেই বলব। আসলে কি জানেন আংকেল, আজকাল মেয়েরা নিজেদের বুড়ি প্রমাণ করতে ভালোবাসে হয়তো।”
বৃষ্টির বাবা নিশান্তের কথা কিছু বুঝলেন না। তিনি অন্য কথা বলা শুরু করলেন।
— “আম্মু, ও হলো জুবায়ের হোসেন নিশান্ত, আমার বন্ধুর ছেলে। আর নিশান্ত। ও রাফিয়া সুলতানা বৃষ্টি, আমার মেয়ে। আমার ছেলেটা হয়তো ওই দিকে ছবি তুলছে। বৃষ্টি, সময় হলে নিশান্তের সাথে তোর ছোট ভাই এর কথা বলিয়ে দিস। আমি ওদিকটা দেখছি।”
বলেই হাসতে হাসতে বৃষ্টির বাবা চলে গেলেন। নিশান্ত এক ভ্রূ উঁচু করে বৃষ্টির দিকে তাকাল। বৃষ্টি জোরপূর্বক হেসে বলল,
— “বিয়ে বাড়ি, একটু মজা কেউ আপনার সাথে করবে না, এটা তো আমি হতে দিতে পারি না।”
— “বাহ! আমার ডায়ালগ আমাকেই ফেরত দিলে? তো বড় আপু, তুমি কি করো? এবার তো ঠিক করে বল।”
— “জানেনই তো আমি ছোট। ছোটরা পড়াশোনা করে, আমিও তাই করি। আর এতো প্রশ্ন করে আমার সময় নষ্ট করছেন কেন? আমার অনেক কাজ বাকি বুড়ো দাদু। আমি গেলাম।”
বলেই বৃষ্টি চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াল। নিশান্ত পিছন থেকে বলে উঠল,
— “আমাকে আবার বুড়ো বললে, তুমি বুড়ি। আর আংকেলের কাছে আবার জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছি। এবার যদি অন্য কিছু শুনি তাহলে পরে দেখে নেব তোমায়।”
বৃষ্টি থামল না। আবার হেঁটে চলল। নিশান্তের থেকে দূরে আসতেই আবার চিন্তা বাড়ল। স্বপ্নটা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। যেন মাথায় গেঁথে বসে আছে। এতক্ষণ নিশান্তের সাথে ছিল বলে কথাটা মনে পড়েনি। কিন্তু একা হতেই আবার মনে পড়ছে। সাথে সেই চির পরিচিত মাথা ব্যথা। একটা জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করলেই মাথা ব্যথা শুরু হয় বৃষ্টির। আজও হচ্ছে, আগেও হত এমন স্বপ্ন দেখলে। তবে কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল। আবিরের বিয়ে নিয়ে কথা শুরু হওয়ায় আবার অদ্ভুত অদ্ভুত স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে সে। কালই তো দেখল, নিজেকে রক্তাক্ত অবস্থায়। কিন্তু কোন অর্থ খুঁজে পেল না। শুরুতে ভয় পেলেও এখন কিছুটা ঠিক আছে বৃষ্টি। কারণ ওর দেখা বেশির ভাগ স্বপ্নই কোন না কোন ভাবে সত্য হয়ে যেত। তাই সেও ভেবেছিল যদি আজ ওর আবিরের সাথে বিয়ে হয়ে যেত আর আবির…
সেন্টারের এক কোণায় একটা বড় পিলারের আড়ালে গিয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। এখান থেকেই কেউ তাকে দেখতে পাবে না। নিজের দুই হাতে মাথা আঁকড়ে ধরল। যেন হাত দিয়ে আঘাত করেই ব্যথাটা কমাতে চাচ্ছে সে। কথায় আছে না, “কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা”। সেটার প্রয়োগ ঘটালেও যদি মাথা ব্যথাটা কমত!
চলবে।