স্বামীর_বিয়ে৮

0
2076

স্বামীর_বিয়ে৮
#সাখেরীন
রুহীনি এখন একাই কার ড্রাইভ করতে পারে। রুহীনি পড়াশুনা পাশে পাশে একটা ঈদের জন্য নাটক করছে। এখনো রিলিজ হয়নি। রুহীনি এখন কলকাতায় ফেশন ডিজাইনার তাই এখানে কাজের শুএে থাকে। রুহীনি সব জায়গাই নিহালকে নিয়ে যায়। কিন্তু মিডিয়ার সামনে নিহাল রুহীনির সাথে থাকেনা। অভ্র সব জেনে যাবে তাই। মিডিয়ার জন্য রুহীনির হোটেল থেকে কিছু দূরের হোটেলে থাকে নিহাল। আজকে পার্কে দুজন ঘুড়তে গেছিলো। অনেকটাই ইনজয় করেছে। সেখান থেকে রুহীনিকে ড্রপ করে নিজের বাসায় যায়।অভ্র টিভি এন্ড ওয়েবপেইজ সব জায়গাই রুহীনির ছবি দেখে এতে খুব রাগ হয় অভ্রের। অভ্রের এক বোন আছে। অরনি রুহীনির আগে অরনির চর্চা ছিলো সব জায়গাই কিন্তু রুহীনি আসার পর তা আর নেই। এতে অরনি প্রায় খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। অভ্রের মা কেদেঁ কেদেঁ শেষ একটাই মেয়ে তার খুব আদরের। এখন খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে তা মানতে পারছে না। অভ্র সেই লোকটাকে খুজঁছে যে রুহীনিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
পরের দিন………………
কিং কিং কিং
নিহাল:গুড মনিং অভ্র
অভ্র:কইরে তুই??বাসায় তোকে পেলাম না যে…??
নিহাল:( ভয়ে ভয়ে বললাম) কলকাতায়
অভ্র:কিহহহহহ??? তুই কলকাতায় আর আমাকে বলিস নাই??
নিহাল:আসলে এক ফ্রেন্ড সাথে ফটো শুট করতে আসছি??
অভ্র: তা শুনি কোন ফ্রেন্ড?? তোর যেগুলো ফ্রেন্ড আমরও একই ফ্রেন্ড… আমরা সবাই এক সাথে..আর তুই মিথ্যা বলছিস???
নিহাল:( ভয়ে হাকলা একটু হাসলো আর ভাবতে লাগলো কি বলবে)
অভ্র:কিরেেে?? কোন মেয়ে কে নিয়ে গেছিস নাকি?? মজা করতে….
নিহাল:( একটু জোড়েই বললো) হ্যা তাই
অভ্র:ওকে ইনজয় কর।
নিহাল:হু..
অভ্র ফোন রেখে শয়তানি হাসি দিলো সাথে অরিনও।
রুহীনি নানা ভাবে স্টাইল দিতে লাগলো শুটিং রাতে তাই এখন কিছু ফটে শুট করছে।
নিহাল ব্রেকফাস্ট করে কলকাতায় হাতিবাগানের গেলো। সেখান থেকে কিছু বই কালেক্ট করলো এন্ড ঘুরলো। তারপর শ্যামবাজারের গেলো সেখান একটা পিজার দোকান আছে নাম পিজা হাউস। কলকাতার মধ্যে এখানে সবচেয়ে ভালো পিজা পাওয়া যায় তাই আসলো নিহাল। আসলে অডারই করতো কিন্তু বোর লাগছিলো তাই ঘুরলে এন্ড পিজাও খেলো।
রুহীনি বসে আছে আর নিহালকে কল করছে কিন্তু নিহাল ফোনটা ধরছে এতে একটু চিন্তা হয় তাই আজ শুটিং বাহানা দিয়ে অফ করে।
রুহীনি নিহালের রুমে গিয়ে দেখে নিহাল গিটার বাজাছে। পাশেই ফোনটা দেখে একটু রেগে গেলো। রুহীনির নিহালের পাশে বসলো। তাতেও নিহাল হুস নেই যে রুহীনি তার পাশে বসে আছে। নিহাল মীমের সাথের দিন গুলো মনে পরছে আর সে সাথে তাল মিলিয়ে গিটারের শুর তুলছে। রুহীনি নিহালের পাশ থেকে উঠে গেলো নিজের রুমে। রুহীনি জানে নিহালকে একা থাকতে দেওয়াটাই ভালো।
নিহাল:( মনে মনে ভাবতে লাগলো)
– দু কাপ রং চা সঙ্গে প্রিয় মানুষের সাথে বকুল তলায় চোখাচোখি,আবার কাঁচের কাপে ছ্যাকা খেয়ে প্রিয় মানুষের আলতো ছোঁয়া পাওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ্য সিমাহীন!!
;
– আবার রং চা’র সাথে সঙ্গিহীন হয়ে বকুল তলায় ফু দিয়ে চা দিয়ে গলা ভেজানো অনুভূতি
ও আলাদা!! ( এসব আর পূরন হবে না)
অভ্র অনেক কষ্টে রুহীনির ফোন নাম্বার নিলো। তারপর কল করলো গুনে গুনে চার বার কল করলো কিন্তু রুহীনি ফোনটা ধরলো না। রুহীনি শাওয়া নিচ্ছে তাই কল রিসিব করতে পারছে না। অবশ্য সে জানেও না যে অভ্র তাকে কল দিয়েছে,জানলে হয়তো শাওয়া রেখেই খুশিতে আগে কল রিসিভ করতো।
রুহীনি শাওয়া নিয়ে এসে লান্স কম্পিলিট করে ঘুমিয়ে পরে।
নিহাল তার মনের কষ্টে গিটার বাজিয়েই যাচ্ছে। একবারের জন্য চোখ খুলেনি। শুধু গিটারের সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে।
রুহীনি ঘুমতে উঠে দেখে রাত হয়ে গেছে। ফোন চেক করে যা দেখলো তার চোখ থেকে পানি পড়ছে, আর মুখে বড় একটা স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে ফোনের স্কিনে। কতক্ষন যে তাকিয়ে ছিলো ফোনের স্কিনে তা রুহীনির জানা নেই। রুহীনি ডান্স করলো কতক্ষন আর চিৎকার করে বলতে লাগলো তার স্বামী অভ্র ফোন করে। রুহীনি তাড়াতারি ফ্রেশ হয়ে কার নিয়ে রওনা হলো নিহালের কাছে যাবে তাই। নিহালে রুমের সামনে গিয়ে রুহীনি থতমত খেয়ে গেলো দুপুরের মতো এখনো ডোর খোলা আবার টুটাং আওয়াজ হচ্ছে। রুহীনি সাত পাচঁ না ভেবে রুমে ডুকে দেখলো নিহাল এখনো গিটার নিয়েই পরে আছে। রুহীনি যেয়ে কেড়ে নিলো নিহাল থেকে গিটারটা।
নিহাল:( চমকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠ) আরে তুই???
রুহীনি:হুম… কি এটা নিয়ে পরে আছিস…মানলাম মীমকে অনেক ভালোবাসিস কিন্তু ও তো তোকে বাসে না ভালো। তাহলে তুই কেনো পড়ে আছিস??
নিহাল:না আসলে তুই যা ভাবছিস তা না আমি মাএই গিটার টা নিলাম
রুহীনি:ওও আচ্ছা। তোর হাতের দিকে তাকা…
নিহাল:( চেয়ে দেখি রক্ত) এ কি রক্ত কিভাবে..???
রুহীনি:দুপুর থেকে গিটার চলালে এমন হয়…
নিহাল:এর মানে তুই দুপুরবেলা আসছিলি…
রুহীনি:হুম..
নিহাল:ডাকিস নাই কেনো??
রুহীনি:এমনি…
নিহাল:এটা কোন কথা হলো
রুহীনি:( নিহালকে বেডে বসিয়ে হাতের রক্ত গুলো পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিলাম) মুভ অন কর বুঝছিস… এভাবে কষ্ট পেয়ে লাভ নেই।
নিহাল চুপ করে রইলো।
রুহীনি ডিনার করার জন্য কিছু খাবার অডার করলো।
নিহাল চুপ করেই আছে মন খারাপ করে।
রুহীনি:চল একটা জোকস শোনাই
নিহাল তারপরও কিছু বলল না।
রুহীনি বলতে লাগলো_____
দাঁতের ডাক্তারের কাছে এক মেয়ে এসে বলল-
মেয়ে : ডাক্তার সাহেব, আপনি দাঁত তুলতে পারেন?
ডাক্তার : হ্যাঁ, পারি।
মেয়ে : তাহলে যে আমার সঙ্গে আমাদের বাড়ি যেতে হবে। আমার দাদির দাঁত তুলতে হবে।
ডাক্তার : তা যাওয়া যাবে। ফি কিন্তু ডাবল দিতে হবে।
মেয়ে : সেটা সমস্যা না, চলেন আমার সঙ্গে।
ডাক্তার মেয়েটার বাড়ি গেল। সেখানে গিয়ে মেয়েটার দাদিকে বলল-
ডাক্তার : দেখি, আপনার কোন দাঁত তুলতে হবে?
দাদি : আমার সঙ্গে একটু কষ্ট করে পুকুরপাড়ে চলেন।
পুকুরপাড়ে গিয়ে দাদি বললেন, আজ গোসল করতে গিয়ে পুকুরে দাঁত পড়ে গেছে। আপনি কষ্ট করে তুলে দেন
এই জোকস টা শুনে নিহাল বাচ্চাদের মতো খিলখিল করে হাসতে লাগলো। খাবার এসে দিয়ে গেলো স্টাফ। রুহীনি আর নিহাল ডিনার কম্পলিট করলো। রুহীনি আর অভ্রের কথা বললো না। নিহাল রুহীনিকে ড্রপ করে দিয়ে আসে। তারপর নিজের রুমে এসে লম্বা শাওয়ার নিলো তারপর ডিনার না করেই ঘুমের জগতে পা দিলো।
রুহীনি আর ঘুমাতে পারছে না। সে ভেবেই অস্থির কিভাবে কি হবে?? অভ্র কেনো কল করলো??নিহালকে কিভাবে বলব??কি হতে চলছে?? অভ্র কি চায় আমাকে??স্ত্রী হিসাবে কি মেনে নিবে??, হাজারও প্রশ্ন চোখে সামনে ভাসছে। এভাবেই রুহীনি রাতটা পারি দিলো……
চলবে…
( এই গল্পটা আবার কবে দিবো সিওর জানি না। টাইম পেয়েছি তাই লিখে ফেললাম জানি কেমন হয়েছে… তারপর লিখলাম)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here