হঠাৎ বিয়ে পর্ব ১৩

0
3320

হঠাৎ বিয়ে পর্ব ১৩
লেখা: Tanjila mitu

_ আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করি মাহিন কে মিতু বললো।
_ হুম বলো।
_ আপনি আগে থেকে আমাকে জানতেন তাই না??
_ হুম আমি তোমাকে আগে থেকেই চিনি এবং জানতাম।
_ তাহলে আমাকে কেন কিছু বললেন না??
_ তুমি কখনো জিজ্ঞেস করছিলা?
_ না।
_ তাহলে আমি কেন বলবো?
_ হুম মন খারাপ করে। তবে আজ আমার অনেক খুশি লাগছে নানা নানু কে তো খুজে পেলাম। আমার জীবনে আমি আম্মু কে প্রতিদিন কান্না করতে দেখতাম নানা নানুর জন্য।
আজ আম্মু থাকলে অনেক খুশি হতেন। আম্মু তুমি কেন আমাকে রেখে চলে গেলা তুমি থাকলে আজ জানি সব থেকে বেশি খুশি হতা ??।
আচ্ছা উনি আমাকে কেন বিয়ে করলো শুশুধু কি নানা নানুর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নাকি অন্য কিছু?? ??
এইসব ভাবতে হবে না আমার। এখন আব্বু কে ফোন দেই আব্বু কে ফোন দিলাম।
_ হ্যালো কে?
_ নিশ্চুপ
_ হ্যালো
_ নিশ্চুপ
_ কি হলো কে আপনি কথা বলেন না কেন?
_ ফোন কেটে দিলাম। ??
আব্বু কে খুব মনে পড়ছে ??
আব্বু আমাকে অনেক আদর করে। আর অনেক ভালোবাসে।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। এই আকাশ তুমি কেন আমার থেকে আমার আম্মু কে নিয়ে গেলে। আব্বুও কাছে নাই কেন করছ আমার সাথে এমন ???
আম্মু তুমি দেখছো আজ নানা নানুর সাথে কথা হয়েছে। নানা নানু আমাকে পেয়ে অনেক খুশি হইছি কিন্তু তুমি নেই এটা তো নানু জান্তো না। দেখো তোমার জন্য কত কষ্ট পাচ্ছে কেন চলে গেলা। হে আল্লাহ কে আমার আম্মুকে নিয়ে গেলা তুমি ??

মাহিন কাজ করছিলো রুমে বসে
অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ায় নিজে বারান্দায় গেলো। গিয়ে দেখে মিতু আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর চোখ দিয়ে পানি পরছে। ওর চোখে পানি দেখে আমার ভিতর টা কেঁপে উঠলো। জানি ও কেন কান্না করছে??
তাই ওকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে আসলাম।

_ হঠাৎ মনে হলো আমি উপরে উঠে গেছি।
তাকিয়ে দেখি মাহিন আমাকে রুমের ভিতর এ নিয়ে আসছে।
কি হলো আমাকে এইভাবে নিয়ে আস্লেন কেন??
_ চুপ করে বসে থাকো। আমি আসছি বলে চলে গেলেন।
কিছু ক্ষন পর নানু আর মাহিন রুমে আসলেন মাহিন হাতে করে খাবার নিয়ে আসলেন।
তারপর নানু কে বস্তে বললেন।
_ দাদি আজ তুমি আমাকে আর তোমার নাতিন কে খাওয়ায় দিবে।
_ নানু একটা মলিন হাসি দিয়ে আমাদের খাওয়াতে শুরু করলেন।
আমিও নানুকে খাওয়ায় দিলাম।
পরে নানু চলে গেলেন।
আমি বিছানায় বসে আছি।
মাহিন বললেন
_ কি হলো ঘুমাও??
_ আপনি কোথায় ঘুমাবেন ঐরুমে তো নানুরা।
_ এই রুমে ঘুমালে কি তোমার কোন প্রব্লেম হবে?? ।
_ না মানে
_ যদি হয় তারপরও আমার কিছু করার নাই আমাকে এই রুমেই থাকতে হবে। না হলে দাদা দাদি কষ্ট পাবে যদি জানে আআমার আর তোমার মধ্যে কিছু নেই।
_ ওকে
তবে আপনি সোফায় ঘুমাবেন।
_ ওকে
ঘুমাও তুমি।
শুভ রাত্রি।
_ গুড নাইট।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে আমরা আম্মুর কবরের কাছে গেলাম।
সাথে নানা নানু।
নানা তেমন একটা কান্না না করলেও বুঝতে পারছি অনেক কষ্ট পাচ্ছে। আসলে পুরুষ মানুষ এমনি হয়। তাদের বুক ফেটে যায় কিন্তু মুখে কিছু প্রকাশ করতে পারেনা।
আজ আর আমি কান্না করি নাই।
নানুর কান্না দেখে আমার কান্না বন্ধ হয়ে গেছে।
একটা মায়ের কাছে তার সন্তান না থাকার কষ্ট টা শুধু একজন মায়েই বলতে পারবে।
নিজের মেয়ের মৃত্যু হবে এটা উনি কখনো ভাবে নাই।
আসলে মানুষের আসার সিরিয়াল আছে কিন্তু যাওয়ার কোন সিরিয়াল নাই।
মানুষের মৃত্যু কখন হবে কেউ বলতে পারে না।
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।

তারপর আমরা চলে আসলাম সবার মন খারাপ তাই সবাই চুপ করে আছে।
আমি বললাম নদীর পাড়ে নিয়ে যেতে। কারন নদীর পাড়ে গেলে আমার মন ভালো হয়ে যায়।
নানা নানুর মন ভালো করতে হবে।
নদীর পড়ে ঠান্ডা বাতাস নির্জন পরিবেশে বসে আছি আমরা সবাই।
কথা বলতে বলতে দুপুর হয়ে গেছে। তাই সবাই মিলে রেস্টুরেন্ট গিয়ে খাবার খেয়ে আরও কিছুক্ষণ ঘুরে বাসায় চলে আসলাম।

বিকাল থেকে একটা কথা মাথায় ঘুরছে। উনি আমাকে কেম্নে চিনলেন??

চলবে
পিচ্ছি

(বি:দ্র: আমি অসুস্থ সবাই দোয়া করবেন)..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here