হঠাৎ বিয়ে পর্ব ১৪
লেখা: Tanjila mitu
বিকালে নানুর সাথে আড্ডা দিয়ে
রাতে পড়তে বস্লাম।
নানু আমাকে আপেল খাওয়ায় দিচ্ছে।
নানু ঠিক আম্মুর মত আমাকে খাওয়ায় দেয়।
আগে আমি যখন পড়তাম আম্মু আমার পাশে বসে আমাকে খাওয়ায় দিতো।
কেউ পাশে বসে না থাকলে আমি ঘুমিয়ে যাই পড়তে বস্লে আম্মু মারা যাওয়ার পর আব্বু বসে থাক্তো এইগুলা নিয়াও অনেক কথা বলতেন ঐ মহিলা।
আমি পড়তেছি নানু পাশে বসে আছে।
পপি ডিনার তৈরি করছে। নানা ভাই রুমে শুয়ে আছে।
মাহিন অফিসে।
কিছুক্ষণ পর মাহিন আসে।
এসে দেখে আমি পড়তেছি তাই কিছু না বলে নানু র আর আমার জন্য ২ কাপ কফি এনে দিলো।
আমি বললাম
_ আপনি খাবেন না??
_ খাবো যদি কেউ তার টা থেকে ভাগ দেয়।
_ নানু হাসসে আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।
অনেক ভেবে থাক দিয়ে দেই কি হবে উনি তো আমার হাজবেন্ড।
_ আমি উনার দিকে বারিয়ে দিলাম।।
_ না আগে তুমি খাও পরে আমি খাবো।
_ কি আর করার নানু সামনে কিছু করার নাই।
আমি খেয়ে উনাকে দিলাম।
_ নানু আমাদের বললেন তোরা সারা জীবন খুশি থাকিস এইভাবে।
তারপর সবাই ডিনার করে রাতে ঘুমিয়ে যাই।
রাতে ঘুম ভেঙে যায় দেখি উনার সোফায় ঘুমাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। শীতে কাপছে।
তাই একটা চাদর নিয়ে উনার গায়ে দিয়ে দিলাম।
তারপর ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি গায়ে চাদর তবে আমার যতটুকু মনে আছে আমি এমনেই ঘুমিয়ে গেছি।
তবে কি মিতু আমাকে চাদর দিয়ে গেছে।। হুম মনে হয়।
থাক আমার জন্য একটু মায়া তো আছে।
এটাই অনেক তবে একদিন তুমি আমাকে খুব ভালোবাসবা। সেই দিন বেশি ধেরি নাই।।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ভার্সিটির জন্য বের হবো।
এমন সময় মাহিন বললেন
_ তুমি কি একা যেতে পারবে??
_ হুম পারবও।
_ ওকে তাহলে যাও ড্রাইভার তোমায় নিয়ে যাবে। আসেয়ার সময় আমাকে ফোন দিও আমি নিয়ে আসবো ওকে।
_ ওকে।
বায়
বায় নানু বায় নানা ভাই।
চলে আসলাম এসে দেখি আফরিন দাঁড়িয়ে আছে।
আমি ওর কাছে গেলাম
_ কিরে কি অবস্থা তোর??
_ এইতো ভালো
তুই কেমন আছোস?
_ হুম অনেক ভালো।
জানোস মাহিন আমার কাজিন হয়।
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
_ কিভাবে?.
_ হুম আর আমার ও নানা নানু আছে।
আমি আজ অনেক হ্যাপি অনেক তোকে বুঝাতে পারবোনা।
_ আমিও এটা চাইতাম তুই সুখে থাক সারাজীবন আমি পেরেছি। মনে মনে কথা গুলা ভাবছি।
_ কিরে তুই কথা বলছোনা কেন তুই খুশি হয়স নাই।
_ আমি অনেক খুশি হইছি
চল আমাকে ট্রিট দিবি আজ ।
বিয়ে করছোস সেটারও ট্রিট দিবি।
_ ওকে চল
_ আরে আমিও আছি আমাকে রেখে তোরা কই যাছ (শান্তা)
_ শান্তা তুই গ্রাম থেকে কবে আসলি (মিতু)
_ আজ আসলাম।
_ অহ তাহলে চল।
ভালোই হলো তুই চলে আসলি।
_ হুম শান্তা চল।
ক্যানটিনে এসে দেখি আকাশ ক্যানটিনে বসে আছে ওর বন্ধু দের সাথে।
অহ আপনাদের তো বলা হয়নাই।
আকাশ হলো ভার্সিটি টপার।
সব মেয়ের ক্রাশ।
আমারও ক্রাশ ছিলো। ??
_ মিতু তোর ক্রাশ তোর দিকে তাকিয়ে আছে (দুষ্টুমি করে)
_ উফ শান্তা কি হচ্ছে (আফরিন)
_ রেগে যাচ্ছিস কেন আমি তো মজা করছি।
_ ওকে থাম তোরা
খাবার খেয়ে নেয়।
তারপর আমরা আড্ডা দিয়ে ক্লাস করে চলে আসি।
এসে মাহিন কে ফোন দেই ১ঘন্টা আগে।
তারপর লাস্ট ক্লাস করে বাহিরে আসলাম আমরা।
হঠাৎ শান্তা বললও ওয়াও আমি ক্রাশ খাইছি।
_ কার উপর (আফরিন)
_ সামনে তাকা (শান্তা)
_ আমি সামনে তাকিয়ে দেখি ???
চলবে
পিচ্ছি