হঠাৎ বিয়ে পর্ব ২৩
লেখা : Tanjila mitu
কারন আব্বু আম্মু পালিয়ে বিয়ে করছে।
আম্মুর আর নানা ভাইয়া দের সাথে কোন যোগাযোগ রাখে নাই তাই।
আম্মু মারা গেলো ??
আব্বুও মারা গেলো ???
ডাইনি মহিলার জন্য আমি আব্বুকেও হারাইছি।
আমি ছাড়বো না তাকে। কোন দিনও না।
আমাকে মাথা উচু করে দাঁড়াতে হবে।
আব্বুর কষ্টের সকল ব্যবসা আমি ঐ মহিলাকে ভোগ করতে দিবো না।
প্রয়োজন এ এতিম খানায় দিয়ে দিবো সব।
বারান্দায় বসে ভাবছি।
এমন সময় মনে হলো পিছনে কেউ আছে।
তাকিয়ে দেখি মাহিন তাই জিজ্ঞেস করলাম
_ কিছু বলবেন??
_ হুম বলছিলাম কি কিছু খেয়ে নাও প্লিজ।
_ হুম তবে খেতে পারি একটা শর্তে??
_ কি শর্ত বলো??
_ ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে।
_ মাহিন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে
হাতে জোরে একটা চিমটি কাটলাম আমি
_ উফফ এটা কি করলা??
_ না মানে আমি সত্যি বলছি ঘুরতে যাবো
আপনি মনে হয় ভাবছিলেন আমি স্বপ্নে বলছি
তাই বিশ্বাস করালাম ???
_ এত দিন পর ওকে হাসতে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে।
এই কয়েক মাস তো ও কোন কথাও বলে নাই আমার সাথে প্রয়োজন ছাড়া।
কিছু জিজ্ঞেস করলে হ্যা না বলেই চুপ হয়ে যেতো।
_ ওকে রেডি হয়ে নাও।
– ওকে
তারাতাড়ি একটা কালো কামিজ পরে নিলাম।
জিন্স প্যান্ট কামিজের উপরে একটা কটি আর পাতলা ওড়না দিয়ে মাথায় ঘোমটা দিয়ে নিলাম।
আমি রেডি।
_ রেডি হয়ে গেছো এত তারাতাড়ি ??
_ হুম কেন??
_ না এমনেই চল (নীলা কে নিয়ে যখন কোথাও বের হতাম ও রেডি হতে ৩ ঘন্টা লাগায় দিতো মেকাপ দিয়ে মুখ পুরা ঢেকে রাখতো)
_ মুখের সামনে তুরি বাজিয়ে
কি ভাবছেন এত ??
_ না কিছু না বলেওর দিকে তাকাতে আমি আবার ক্রাশ খাইলাম।
কালো কামিজ এ ওকে অনেক সুন্দর লাগছে।।
মুখে কোন মেকাপ নাই।।
একটা মায়াবি মুখ চাহনি।
চোখ গুলার প্রেম আমি ১ম দিনই পড়ছিলাম।
আজ আবার প্রেমে পড়ে গেলাম ওর।
_ ??? কি হইছে এইভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন??
– কিছু না চলো যাওয়া যাক।
_ হুম। আমরা কিন্তু আজ বাইক দিয়ে যাবো কেমন??
– ওকে চলো।
_ মামা মামুনি কে বলতে হবে না??
_ বলা হয়ে গেছে তুমি আসো ওরা নিচে আছে।
_ ওকে।
নিচে এসে দেখি সবাই এক সাথে বসে আছে।
আমি আজ অনেক দিন পর নিচে আসলাম।
সবাই আমাকে স্বাভাবিক দেখে খুব খুশি।
_ সাবধানে যাইও মা (মামুনি)
_ হুম।
নানা নানু মামা সবাইকে বায় বলে চলে আসলাম।।
আজ বাইক এ উঠে মাহিন কে জড়িয়ে ধরে বস্লাম ও কিছু বলার আগেই।
বাইক এসে একটা পার্কের সামনে থামে।
আমি আর মাহিন ভিতরে গেলাম।
গিয়ে দেখি কিছু বাচ্চা রা ক্রিকেট খেলছে।
আমিও গেলাম খেলতে।
আমাকে খেলতে নিবেনা বলে দেয়।
তাই আমি মন খারাপ করে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম।
মাহিন কোথায় যেনো চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পর বাচ্চা রা এসে আমাকে বলে
আপু চলো তুমি না খেলবে বললা।
সত্যি ???
– হুম আসো ?
ওকে
তারপর বাচ্চা দের সাথে কিছু আমি আর মাহিন ক্রিকেট খেললাম।
আমার টিম জিতে গেছে।
মাহিন হেরে গেছে ??।
তারপর আমরা একসাথে ফুসকা খেলাম।
অনেক ক্ষন বাচ্চা দের সাথে থেকে মন টা হালকা হয়ে গেছে।
মাহিন
ওর বাচ্চামি দেখে আবার ওর প্রেম পড়ে গেলাম।
কেউ দেখলে বলবেনা এই মেয়ে এত দিন কান্না করে করে ছিলো।
ওর মনে কত কষ্ট আছে।
এখন ওকে দেখলে সবাই ভাববে ও পৃথিবীর সব থেকে সুখি মানুষ।
ওকে দেখলে কেউ কোন দিন ওর কষ্ট গুলা বুঝতে পারবেনা।
এত টা স্টং।
আগে জানলে ওকে আরও আগেই আমি জোর করে নিয়ে আসতাম।। এত দিন কষ্ট পেতে দিতাম না।
এইভাবেই কেটে গেলো কিছু দিন।
ওকে নিয়ে আমি এখন অনেক সুখে আছি।
সব সময় অর পাশে পাশে থাকা।
সময় পেলে ২ জন ঘুরতে যাওয়া।
বাসায় আড্ডা দেওয়া সবার সাথে।
ও এখন অনেক টা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
আব্বু আম্মু ভাবছে আমাদের বিয়ের উপলক্ষে একটা পার্টি দিবে৷
বিয়েটা তো আর তেমন ভাবে হয় নাই।
শহরের ইয়াং বিজনেস ম্যানের বিয়ে বলে কথা।
শহরের ছোট বড় সকল বিজনেস ম্যানদের ইনভাইট করা হয়।
দেশ বিদেশ থেকে অনেকেই আসবে পার্টিতে।
সবাইকে বলা হয়।
মিতুও বেশ এক্সাইটেড।
এত দিনে মাহিনকে অনেক ভালোবেসে ফেলছে।
মাহিনও মিতুকে নিজের জীবনের থেকে বেশি লাভ করে।
পার্টির দিন
মিতুকে অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়।
কালো গাউন পরে।
মাথার চুল গুলা সুন্দর করে বেধে দেয় পাল্লারের মহিলারা।
মাহিন দের রুম সাজানো হয় গোলাপ ফুল দিয়ে।
পার্টি শেষ হলে
মিতুকে আবার বউ সাজায় মাহিনের আম্মু নিজের হাতে সাজায় দেয়।
নতুন বউ দের মত।
মাহিনের আআম্মু কে সাহায্য করছে নানু৷
মিতুর মাহিনের সকল ফ্রেন্ড রা আসছে।
শুধু নিলা ছাড়া।
মিতুর ছোট মামা মামি ও আসছে মিম আসতে পারেনাই কারন ওর পরীক্ষা ছিলো।
ওর পরীক্ষা শেষ হলে ও চলে আসবএ।
মাহিন তার বন্ধু দের সাথে ছাদে আড্ডা দেয়।।
তারপর রুমে আসে।
এসে দেখে রুমের লাইট অফ করা
ভাবছে হয়তো মিতু ঘুমিয়ে গেছে।
তাই ড্রিম লাইট জ্বালায়
সামনে তাকিয়ে অবাক ???
চলবে
পিচ্ছি