হঠাৎ বিয়ে পর্ব ২৫ / শেষ
লেখা : Tanjila mitu
মাহিন আর মিতুর দিন খুব সুন্দর সুখের কেটে যায়।
মিতুর লেখা পড়া মাহিনের অফিস।
এই নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও দিনের শেষ তাদের ভালো বাসা কমে না।
সব ব্যস্ততার পর ও দুই জন দুজনের প্রতি কেয়ার ভালোবাসা সব থাকে।
এক মুহুর্ত চলে না একজন অন্য জন কে ছাড়া।
কথায় আছে না বেশি সুখ কপালে সয়না।
ঠিক তেমন হইছিলো মিতুর জীবনে।
একদিন হঠাৎ করে নিলা বাসায় আসে।
আর এসেই মিতুকে উল্টা পালটা কথা বলে।
মিতু নিলার থেকে সব শুনে চুপ হয়ে যায়।
_ মাহিন তাকে শুধু মাত্র তার নানা নানুর খুশির জন্য বিয়ে করছে।
মিতু ভাবতে পারছে না।
আগে মাহিনের সাথে নিলার সম্পর্ক ছিলো।
সব কিছু ভেবে চুপ করে কান্না করছে।
ও চায় মাহিনের থেকে সব শুনতে।
মাহিন কেন ওকে ঠকালো।
কি দোষ ছিলো ওর।।
এই সব ভেবে ঘুমিয়ে যায় কান্না করে।
বাসায় কেউ নাই।
শুধু নিলা আর মিতু ছাড়া।
বিকালে মাহিন বাসায় আসতেই নিলা মাহিন কে জড়িয়ে ধরে বলে
_ হাই বেবি কেমন আছো।
দেখও আমি চলে এসেছি তোমার কাছে তোমাকে খুব মিস করছিলাম তাই।
_ মাহিন নিলার থেকে ছুটে রুমে যায়।
গিয়ে দেখে মিতু বারান্দায় বসে কি জানি ভাবছে আর কান্না করছে।
মিতুর কান্না দেখেই মাহিনের মনের ভিতর একটা চাপ মেরে উঠে।
নিশ্চিত নিলা ওকে উলটা পালটা বলছে কিছু।
_ মিতু
_ হুম বলেন।
_ রুমে আসো
চুপ করে রুমে চলে আসে ।
তারপর মাহিন বলতে শুরু করে
_ মিতু আমি জানি তোমাকে আগে থেকে সব বলে দেওয়া দরকার ছিলো। কিন্তু আমি চাই নাই তোমাকে কিছু বলতে আর এটাই সব থেকে বড় ভুল।
এখন বুঝছি তোমাকে না বলে ভুল করছি।।
আজ আমি সব বলতে চাই।
– আমি কিছু শুনতে চাই না ???
_ প্লিজ মিতু
_ হুম
_ মিতু নিলা আর আমি এক সাথে লেখা পড়া করছি আর ও আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলো।
ও আমাকে লাভ করতো। ও আমাকে প্রপোজ করছে।
আমি রাজি হইনাই তখন ও আমাকে ব্লাক মেইল করে বলে আমি যদি ওকে ভালো না বাসি সুইসাইড করবে।
সৎ হক ও আমার ফ্রেন্ড ছিলো তাই তখন ওর কথায় রাজি হয়ে যাই।
কিন্তু কোন দিন ওকে বেষ্ট ফ্রেন্ড এর বেশি কিছু ভাবিনাই।
আর তুমি তখন আমার লাইফে ছিলা না।
যখন নানা নানু ফোন দিয়ে তোমার আম্মুর কথা বলে তখন আমি দেশে আসি। দাদা দাদুকে তার মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে।
কিন্তু এসে জানতে পারি আন্টি মারা গেছেন??।
উনাদের আমি কি জবাব দিবো কিছু খুঁজে পাইনাই তাই উনাদের বলিনাই।
তোমাকে আমি তোমার ভার্সিটির সামনে দেখি কালো একটা ড্রেস পড়া।
বলতে পারো তখনই লাভ এট ফাস্ট সাইট হয়।
আফসানার থেকে তোমার সব খবর রাখি।
জানতে পারি তোমার সৎ মা তোমাকে বিয়ে দিতে চায় তাই তোমাকে কিডন্যাপ করে বিয়ে করি।
তোমাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলছি।
এখন যদি তোমার মনে হয় আমি ভুল তো আর আমার কিছু বলার নাই।
– মিতু চুপ করে সব ভাবতে থাকে
মাহিন ফ্রেশ হয়ে নিচে যায়।।
গিয়ে দেখে নিলা বসে আছে।
ওকে আর বলার কিছু নাই সব মিতু ঠিক করবে আজ।
কিছু ক্ষন পর মিতু নিচে আসে আর নিলা কে বলে
_ নিলা আপু আপনি আমেরিকায় কবে চলে যাবেন??
_ মানে শক হয়ে ??
_ আপনি যত দিন এই বাসায় থাকবেন ততো দিন আমার আর মাহিনের মধ্যে পেছ লাগানোর ধান্দায় থাকবেন আমি জানি।
তাই বলছি কি কাল সকালে উঠে যেন আপনাকে আমার বাসায় না দেখি ???
বলেই উপরে চলে যায়
মাহিন তো পুরা হ্যা এটা মিতু তো৷
আবার পিছনে ফিরে
মাহিন রুমে আসো ১ মিনিট সময় ??
মাহিন হুমরি খেয়ে দৌড়ে আসে।।
_ মাহিন
মাহিন চিল্লায়া (মিতু)
_ আজ প্রথম মিতু নাম ধরে ডাকছে তাই শক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাহিন
– যাও আমার জন্য আইসক্রিম আর চকলেট নিয়ে আসো।।
_ ওকে (ভদ্র ছেলের মত)
_ ১ ঘন্টার মধ্যে
_ ওকে
মাহিন নিচে এসে দেখে নিলা চলে যাচ্ছে।
কিছু বলে নাই মাহিন।
নিলা ভালো থাকো।
আমার থেকে ভালো কাউকে তুমি পাইবা।
বলেই মাহিন চলে যায় মিতুর জন্য চকলেট আর আইসক্রিম আনতে।
তারপর বাসায় এসে দেখে রুমের লাইট অফ করা ।
রুমে এসে লাইট অন করতেই মাহিন ক্রাশ।
মিতু নাইটি পড়ে আছে।
ওকে এইভাবে দেখেই হার্ট এট্যাকের অবস্থা।
তারপর মিতু মাহিন কে বলে
– আমি তোমাকে ভালোবাসি মাহিন তোমার আগে কে ছিলো
তার কথায় আমি তোমাকে ছেড়ে যেতে পারবো না।
আর আমার জিনিস আমি কখনো কাউকে ভাগ দিবো না।
আমার টা শুধু আমার অন্য কেউ তা নিতে আসলে তার খবর করে ফেলবো।
তুমি যদি অন্য মেয়ে দের দিকে তাকাও তো তোমাকে মেরে ফেলবো বুঝছো।
_ হুম
আমি ও তোমাকে ভালোবাসি মিতু।
তারপর আর কি
দুজন ভালোবাসার সাগরে ডুব দিয়েছে। ????
৫ বছর পর
_ মিথি আম্মু উঠ তোমার না আজ স্কুল আছে।
_উফ পরে
বলেই আবার ঘুমিয়ে গেলো।
কি ভাবছেন এটা মিতু ডাকছে।
আরে না মিথির পাশাপাশি শুয়ে আছে মিতু।
দুই মা মেয়ে শুধু ঘুম আর ঘুম এই ছাড়া এরা কিছু পারে না।
একদম মায়ের মত হইছে।
– মিতু উঠো না তুমি না উঠলে তোমার মেয়েও উঠবে না।
_ মিথি সোনা উঠো।
– পাপা মাম্মিকে বলো উঠতে আমাকে কেন ডাকছ।
_ মিতুইইইইইইইই
_ কি হইছে ডাকছ কেন এমনে??
_ আজ তোমার মেয়ের স্কুলে প্রথম দিন মনে আছে।
– অহ আগে বলবা ত
তারপর মিথি আর মিতু উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে।
মাহিন মিতু আর মিথি কে খাওয়ায় দিয়ে সাথে সাথে নিজে খেয়ে নেয়।।
রেডি হয়ে ৩ জন বেরিয়ে যায়৷।
প্রথম এ মিতুর আব্বু আম্মুর করব এর কাছে গিয়ে দোয়া করে মিথি কে নিয়ে স্কুলে যায়।।।
এইভাবেই চলতে থাকে সময়।
ভালোবাসা।
সমাপ্ত
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
(বি: দ্র : এত দিন কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। গল্প টা কেমন হইছে জানাবেন। আবার কবে আসবো নতুন গল্প নিয়ে ঠিক নাই। এত দিন সবাই ভালো থাকবেন। ???)