হঠাৎ বিয়ে পর্ব ৩
লেখা: Tanjila mitu
।
তার পর মাহিন গাড়ি তে বসে
মিতুর মাথা টা এক হাত দিয়ে নিজের ঘারের সাথে মিলিয়ে ধরে রাখে। আর অন্য হাত দিয়ে ড্রাইভিং করে।
গাড়ি এসে মাহিনের বাসার সামনে থামে। মাহিন মিতুকে কোলে তুলে নিয়ে আসে বাড়িতে।
কলিং বেল বাজাতেই একটা মেয়ে এসে দরজা খুলে
মাহিনের কোলে মেয়ে দেখে বলে
।।ভাই জান এটা কে ( পপি, মাহিনের বাসার কাজের মেয়ে আসলে মাহিন এইখানে একা থাকে ওর আব্বু আম্মু এখন দেশের বাহিরে আছে, আর এই মেয়ে টা কে মাহিনের দাদা পাঠাইছে ওর দেখা শুনা করার জন্য তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে। )
এটা তোর ভাবি মাহিন বলেই রুমে চলে গেলো।
।
আর পপি ভাবছে ভাইজান বিয়ে করছে কিন্তু বাসার কেউ তো জানেনা দাদুকে বলবো একবার।
না থাক পরে ভাইয়া বলবে আমার চালাকি করার দরকার নাই।
।
মাহিন মিতু কে তার রুমে এনে শুইয়ে দিলো তারপর নিজে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে।
পপি কফি দে তো
।
জ্বী ভাইজান দারান দিতাছি বলে চলে গেলো পপি কফি আনতে
।
আমি দাদু কে একটা ফোন দেই
।
হ্যাল দাদু
কেমন আছো??
।
এই তো দাদুভাই আছি কোন রকম
তুই কেমন আছোস
।
আমি অনেক ভালো আছি
আজ আমি অনেক খুশি
।।
কিন্তু কেন দাদু ভাই কি নিয়ে এত খুশি
।
দাদু দাদি কই
।
তোর দাদি তো বাহিরে বসে আছে কেন কথা বলবি
।
হুম তুমি দাদি কে বলো আমি ফোন দিছি
।
তুই অপেক্ষা কর আমি যাচ্ছি
বলেই মাহিনের দাদু ওর দাদি কে নিয়ে আসে
।
হুম বল এইবার তোর দাদি আর আমি এক সাথে আছি
।
দাদি কেমন আছো
।
ভালো আছি দাদু ভাই
।
শুন তোমাদের ২ জনের জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে
তোমরা ঢাকা আসবা কবে সেটা বলো
।
আসবো দিকে দেখি
।
দেখি না বলো কবে আসবা যত তারাতাড়ি আসবা তত তারাতাড়ি সারপ্রাইজ পাইবা এখন বাকি টা তোমাদের হাতে।
এমন সময় পপি কফি নিয়ে আসে
ভাইজান আপনার কফি
।
ওকে
দাদু দাদি এখন রাখি ভালো থাকো
।
ওকে আল্লাহ হাফেজ
।
ফোন রেখে কফি টা খেতে খেতে বললাম পপি একটা প্লেটে খাবার বেরে আমার রুমে নিয়ে আয়
বলে চলে আসলাম
এসে দেখি মিতু এখনো ঘুমাচ্ছে আর কান্না করায় এখনো মাঝে মাঝে কান্না করে উঠছে ওকে যে করেই হক ভালো করে খাবার খাওয়ায় ঔষধ খাওয়াতে হবে বাচ্চা মেয়ে টা
আন্টি আগে বলতো ওকে ঘুমের মধ্যে খাইয়ায় দিলে নাকি খেয়ে ফেলে তাই আমিও চেষ্টা করে দেখি পারি নাকি
ফ্যানের বাতাসে চুল গুলা উড়ছে ওকে অনেক কিউট লাগছে
।
ভাইজন পপির ডাকে ভাবনা থেকে ফিরলাম
।
হুম বিতরে আয় খাবার টেবিলের উপর রাখ
।
ওকে
ভাইজান খাবার রেখে চলে গেলো পপি আমি হাত ধুয়ে এসে ওকে বসাতে চাইলাম কিন্তু লাভ হল না আবার শুয়ে পরছে
তাই ওর মাথাটা আমার বুকে রেখে এক হাত দিয়ে ধরে অন্য হাত দিয়ে খাওয়ালাম
মুখে দিতেই খেয়ে ফেললো
কি লক্ষি বাচ্চা
এই পিচ্ছি টা কে কি করে এত দিন এত কষ্ট দিছে আর আংকেল অ কিছু বললো না।
ওকে খাওয়ায় তারপর ঔষধ খাওয়ালাম। তারপর আবার শুইয়ে দিলাম
আহ দেখো কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে। হায় আমার কপালে কি আছে আল্লাহ জানে
এই মেয়ের এত ঘুম কেন
।
আমিও গিয়ে খেয়ে নিলাম
।
পপি তুই খাবার খাইছোস
।
না খাবো একটু পর
।
ওকে খেয়ে নিচ আর আমি এখন অফিসে যাচ্ছি আমার একটা মিটিং আছে তুই তোর ভাবিকে দেখে রাখিস
।
ওকে ভাইজান আপনি চিন্তা কইরেন না আমি দেখে রাখবো
।
ওকে
খাবার শেষ করে রুমে গিয়ে অফিসের জন্য রেডি হয়ে চলে গেলাম বিকাল তিনটায় একটা মিটিং আছে এখন ২.৩০ বাজে গিয়ে মিটিং টা করতে হবে এটা অনেক ইনপটেন্ড মিটিং তাই যাচ্ছি
পপি কে বলে চলে আসলাম।
।
বিকাল ৪.৪০ এ
আমার ঘুম ভাঙলো
ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি একটা অচেনা রুমে আছি কিন্তু এটা কার রুম আমি কই আছি
আমি তো আম্মুর কবরের কাছে ছিলাম এখন এইখানে আসলাম কি করে
এটা কার রুমে
রুম টার দিকে তাকিয়ে দেখি আমার কিছু পিক টানানো সোফার উপর একটা বড় ডল
চার পাশের পেন্টিং উয়াউ
এত সুন্দর করে সব কিছু গুছানো
খাট থেকে নেমে দেখি ট্রি টেবিলের উপর একটা কাগজ।
খাট থেকে নেমে কাগজ টার কাছে গেলাম গিয়ে দেখি একটা চিরকুট
খুলে দেখি লিখা আছে,,,,,,,,,,,,
।
চলবে
পিচ্ছি
।
(বি:দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন)