হঠাৎ বিয়ে পর্ব ৮
লেখা : Tanjila mitu
সামনে অনন্ত দাড়িয়ে আছে।
ওকে দেখেও না দেখার বান ক’রে চলে যেতে নিলাম।
ও আমার হাত ধরে টান দিয়ে ওর দিকে ঘুরালো।
_ কি হলো আমাকে দেখেও না দেখার বান করে চলে যাচ্ছো কেন?
_ হাত ছেড়ে কথা বলো। (রেগে বললাম)
_ ওকে হাত ছেড়ে দিয়ে, এইবার বলো কোথায় যাচ্ছো??
_ জাহারনামে যাবা ??
_ এমনে কথা বলছো কেন??
_ তো কিভাবে বলবো শুনি?
_ বললেই তো হয় কোথায় যাও।
_ আব্বুর অফিসে যাচ্ছি, এইবার পথ ছেড়ে দাড়াও।
_ চলো আমি দিয়ে আসি।
_ কেন রে আমি কি যেতে পারি না, না আব্বুর অফিস আমি চিনিনা ???
_ তোমার কি হইচ্ছে বলবা তো
সকাল থেকে আমার সাথে এমন বিহেভ করছো কেন?? কান্না কান্না ভাবে ওর মুখটা দেখে মায়া লেগে গেছে। আসলেই তো ওর কি দোষ আমি ওর সাথে কেন এমন বিহেভ করছি।
_ ওকে চলো, তবে আমার সাথে ভিতরে যেতে পারবা না আর আমাকে দিয়ে চলে আসবা।
_ ওকে।
তারপর ২ জন মিলে গাড়িতে উঠে বসলাম।
আব্বুর অফিসের সামনে এসে অনন্ত আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে।
আমি চুপিচুপি আব্বুর কেবিনের সামনে গেলাম ওড়না দিয়ে মুখ ডেকে।
আব্বু কেবিনে মন খারাপ করে বসে আছে। দেখেই চলে আসলাম। আব্বুর মন খারাপ দেখে আমার কান্না পাচ্ছে তাই তারাতাড়ি বাহিরে চলে আসলাম এসে। এসে রিক্সা নিয়ে নদীর পাড়ে চলে আসলাম আমার যখন মন খারাপ থাকে এইখানে বসে থাকি। এইখানে তেমন কেউ আসে না। চুপ করে বসে আছি আর ভাবছি আব্বু মনে হয় আমার জন্য মন খারাপ করে আছে। না জানি কত কষ্ট পাচ্ছে ভেবেই কান্না পাচ্ছে ????
কি করবো আমি , কিছু বুঝচ্ছি না। কান্না করতে করতে মনে হলো খুব ঘুম পাচ্ছে তাই পা একটু দাড়া করে তার উপর মাথা ২ পায়ের উপর দিয়ে হাত দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
মাহিন ভার্সিটি তে মিতু কে না পেয়ে আফরিন কে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে ও কখন বের হইছে।
মাহিন বাসায় এসে দেখে মিতু বাসায় নাই।
তাই আবার আফরিন কে কল দেয়। আফরিন বলে ও মনে হয় নদীর পাড়ে থাকবে। তাই মাহিন এইখানে চলে আসে এসে দেখে সত্যি ও এইখানে মাথা নিচের দিকে তাকিয়ে আছে হয়তো বুঝা যাচ্ছে না।
আমি ওর কাছে গিয়ে ওকে ডাক দিলাম কোন ছাড়া শব্দ নাই।
আস্তে করে ধাক্কা দিলাম। কিন্তু ওর কোন ছাড়া শব্দ নাই তাই কোলে তুলে নিলাম। দেখি ঘুমিয়ে আছে। আল্লাহ দড়ি ফালাও আমি ওকে উপরে পাঠাবো এই মেয়ে এইখানে এসে ঘুমিয়ে গেছে। আমি একে নিয়ে কই যাবো। ??
গাড়িতে তুলে বাসায় নিয়ে আসলাম এসে রুমে নিয়ে শুইয়ে দিলাম। আজ আর অফিসে যাবো না এইটা ঘুম থেকে না উঠলে তো আর খাবার খাবো না। তাই ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করলাম সোফায় বসে।
১ ঘন্টা পর মহারানীর ঘুম ভাঙলো। ওকে খুব সুন্দর লাগছে ঘুম ঘুম মুখটা এত সুন্দর হয় কারো কি জানি হয়তো।।
ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি রুমে শুয়ে আছি উনি আমার সামনে বসে আছে। কিন্তু আমি এইখান আসলাম কেম্নে??
এত ভাবতে হবে না।
যাও ফ্রেশ হয়ে আসো। খাবার খেতে হবে।
খুব ক্ষুধা লাগছে যাও।
_ হুম যাচ্ছি, কি বেপ্স্র উনি আমার জন্য না খেতে বসে আছে বেলা ৪ টা বাজে। আর আমাকে পেলো কি করে।
পরে জিজ্ঞেস করে নিবো এখন ফ্রেশ হয়ে তারাতাড়ি যাই।
ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলাম ২ জন।
এসে দেখি পপি সব কিছু গুছিয়ে রাখছে আমাদের জন্য খাবার বারছে।
তারপর আমরা ২ জনে খাবার খেলাম, পপি আগেই খেয়ে ফেলছে। উনি আমার জন্য বসে আছিলো।
খাবার শেষ এ আমরা রুমে আসলাম। রুমে আসতেই উনি বলেন
_ আর কোন দিন যদি আমাকে না বলে কোথাও যাও হাত পা ভেঙে ফেলবো। আমাকে না বলে তুমি নদীর পাড়ে গেছিলা কেন?? আর গেছিলা তো আবার ঐ খানে কেন ঘুমিয়ে গেছিলা, আচ্ছা বলো তো তুমি কোন জগতের মানুষ।
মানুষের এত ঘুম কি করে থাকে।
তুমি সত্যি মানুষ নাকি কোন এলিয়েন। ????
_ আমি চুপ করে ধাড়িয়ে আছি।
_ কি হলো কথা বলোনা কেন?? ধমক দিয়ে
_ আসলে আমার মন খারাপ থাকলে ঐখানে যাই।??
_ ওকে। কেন মন খারাপ তোমার ? নরম গলায়
_ আসলে আমি আজ আব্বুর অফিসে গেছিলাম আব্বু কে খুব মিস করছিলাম তাই। গিয়ে দেখি আব্বু বসে আছে মন খারাপ করে। আমি জানি আব্বু আমার জন্য মন খারাপ করে আছে। ??
মনের অজানতে আব্বুকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছি বলেই কান্না করে দিলাম। আমি আব্বুর কাছে যেতে চাই ???
_ ওকে টেনে আমার বুকে নিয়ে আসলাম বললাম তুমি কান্না করো না আমি তোমাকে তোমার আব্বুর কাছে নিয়ে যাবো।। কিছু দিন ধর্য ধরো আমি প্রমিজ করছি।
_ সত্যি তো
_ হুম এইবার হাসো ?
_ ওকে। চোখ মুছে
আচ্ছা তুমি চলো তো আমার সাথে তোমার বই গুলা কিনতে হবে।
_ আমার না ভাললাগছে না যেতে আমি নাম লিখে দেই আপনি নিয়ে আসেন।।
_ ওকে নাম লিখে দাও।
আমি বইয়ের নাম গুলা লিখে দিলাম তারপর উনি চলে গেছেন বই আনতে।
আমি ভাবছি
চলবে
পিচ্ছি
( বি:দ্র : অসুস্থ ছিলাম, অনেক কাজ ছিলো তাই এত দিন দিতে পারিনাই সরি তবে সুস্থ থাকলে প্রতিদিন দেওয়ার চেষ্টা করবো। )
???