হাই সোসাইটির ললিতা-১০,১১
লেখাঃ Mannat Mim – মান্নাত মিম
১০
“হুসস!”
“ডোন্ট টেক মাই নেইম।”
“তাদের সাহস হয় কী করে তোকে টাচ করার?”
কানের কাছে ফিসফিসানো শরীর হিম করা সুর তুলে বলল ঋষি। এদিকে আমি শ্বাস নেওয়ার তাড়নায় দুহাতে ঝাপটাঝাপটি চালিয়ে যাচ্ছি। অথচ মনে হচ্ছে, ঋষির ওপর অসুর ভর করেছে। এমনিইভাবে গলা চেপে ধরেছে। কানের কাছ থেকে নিশ্বাস নিতে নিতে গণ্ডদেশে এসে থামে সে। নাসিকাপথে ঘ্রাণ নেওয়ার মতো করে আচমকা গলা ছেড়ে দেয়। শ্বাস নেওয়ার তাড়নায় দুহাতে ঝাপটাঝাপটি চালিয়ে যাচ্ছি। অথচ মনে হচ্ছে, ঋষির ওপর অসুর ভর করেছে। এমনিইভাবে গলা চেপে ধরেছে। কানের কাছ থেকে নিশ্বাস নিতে নিতে গণ্ডদেশে এসে থামে সে। নাসিকাপথে ঘ্রাণ নেওয়ার মতো করে আচমকা গলা ছেড়ে দেয়। শ্বাস কার্য চালানোর চেষ্টা করার প্রয়োজন বোধে সাথে গণ্ডদেশে তীব্র ব্যথার অনুভূত হওয়ার নিমিত্তে গলা ধরে নিচে ফ্লোরে বসে পড়তে চাইলাম। কিন্তু নাহ, বাঁধাপ্রাপ্ত হলাম। সেই বাঁধ সাধল ঋষির পেশিবহুল দু’খানা হাত। ঝাপটে ধরে তার শরীরের সাথে জড়িয়ে নিলো। মনে হয় পিষে ফেলবে বলিষ্ঠ দেহের ভেতরে। কী হলো যে এমন দানবের মতো আচরণ শুরু করছে সে? ভাবব না কি জিজ্ঞেস করব, সেই সুযোগ এলো না বা পেলাম না। জড়িয়ে ধরার ফলে পিঠের ওপর থাকা ঋষির দু’হাতের আঙুলের সাহায্য স্লিভলেস মখমলি ব্লাউজ চিড়চিড় করে দু’টুকরোতে ছিঁড়ে ফেলল। ভড়কানো দৃষ্টি নিয়ে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে সম্বিত ফিরল অর্ধাংশ অনাবৃত। তৎক্ষনাৎ দু’হাতে ওপরের অংশ ঢাকার নিমিত্তে হাত ওঠাব কি ঋষি উলটো আমার হাত ধরে বিছানায় ছুঁড়ে ফেলল।
“ক্ষত-বিক্ষত হয়ে রক্তাক্ত
রহস্য শত-শত,
অনাহুত বস্তু
বহু আকাঙ্ক্ষিত।”
_______
“ঘুমাতে দিচ্ছ না কেন?”
আমার হু হু কান্নার শব্দে ঋষির ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় কথাটা বলল। আমি রোদনভরা দৃষ্টি নিয়ে তার পানে তাকালাম। আমার চোখে একই সাথে খেলা করছিল হতভম্বতা, নির্বাকতা, অভিমানে ভরা অবিশ্বাস্য দৃশ্য। কীভাবে পারল আমার শরীরটাকে খুবলে খুবলে খেতে? আগের অন্তরঙ্গতা থেকে এবারের বেলায় ছিল, কী পরিমাণ কঠোরতা, পৈশাচিক নির্যাতনের মাত্রা ছিল তীব্র, প্রখর। প্রশ্নটা করেই ফেললাম মনে না চেপে রেখে,
“আজ এমন কেন করলে ঋষি? কেন, কেন?”
ফের চোখের বৃষ্টি ঝরা শুরু হলো। বেইমান চোখ দু’টোকে নিয়ে যত জ্বালা। যার জন্য নিজেকে স্ট্রং দেখাতে গিয়েও দূর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে৷ আর এতেই বিপক্ষের জয়ের ঘন্টা বাজার সুযোগ হয়। ঋষির বিরক্তিকর, কুঁচকে যাওয়া মুখ দেখে আমার ভেতরের চেপে থাকা রাগের মশাল ধিকিধিকি করে জ্বলে আগ্নেয়গিরির লাভার মতো প্রকাণ্ড রূপ ধারণ করতে শুরু করল। একপর্যায়ে রাগ-ক্ষোভে, হিতাহিতজ্ঞানশূন্য আমি তাঁর ফর্সা উন্মুক্ত পিঠে সরু দাঁত দ্বারা আক্রমণ করে বসি। প্রথমত সে থতমত খেয়ে বোঝার অপেক্ষায় পড়লে তিন-চারটে কামড় বসে পড়ে ততক্ষণে পিঠে। দ্রুত ঘুরে আমাকে তার শরীরে নিচে ফেলে দু-হাত চেপে ধরে বলল,
“আজব! কামড়াচ্ছ কেন? পিঠে এমনিতেই তোমার দেওয়া কম আঁচড় পড়েনি।”
ফের জোরাজুরি, দাপাদাপি শুরু করলাম। ঋষি তর শানিত দৃষ্টি আমার অনাবৃত শরীরে বুলিয়ে ফের বলল,
“নো দাপাদাপি। আবারও চাচ্ছ সেসব?”
কর্ণকুহরে বাক্যবাণ তীক্ষ্ণতার সহিত পৌঁছুনো মাত্রই ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গিয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালালাম।
“কী ব্যাপার? লাফাও আরো বেশি ছুটাছুটি চালাও। এমন চুপসে গেলে কেন?”
এবারও অপারগতার স্বীকারোক্তিতে চোখ বেইমানি করল আমার সাথে। সেটা দেখে ঋষি ছোট্ট এক শ্বাস ছেড়ে বলল,
” নরপিশাচগুলোর তোমাকে ছুঁয়ে দেওয়ার দৃশ্য আমার বুকে কাঁটার মতো বিদ্ধ হয়েছিল। মনে চাচ্ছিল জনসম্মুখে চিৎকার করে বলি, তুমি আমার, কেউ যেন আমার জিনিসে হাত না লাগায়।”
কীসের কী? কিছুক্ষণ পূর্বে শরীরে বয়ে চলা শারীরিক অত্যাচার ভুলে, আমি সম্মোহিত হয়ে অভিভূত হলাম ঋষির বলা কয়েক শব্দজালে জড়িয়ে। ভালোলাগার রেশ ধমনিজালে তীব্র গতিতে ছুটে চলছে। আচ্ছন্নে, মোহিত দৃষ্টি নিয়ে কিয়ৎক্ষণ পূর্বের ব্যথা ভুলিয়ে দিতে শুরু করল ঋষি। পরম আবেশে সময়-জ্ঞান ভুলে নতুনতর আনন্দম মুহূর্ত ভোগ করতে লাগলাম। সমুখের যে খেলায় নেমেছি। না জানি শেষ পর্যন্ত ঋষিকে আর ধরাছোঁয়ার মাঝে পাওয়া যায় না কি!
________
দু-তিনদিন হবে অফিসে যাওয়া হয় না। একে তো ঋষির করা সেদিনের অত্যাচারে ব্যথিত শরীর, দ্বিতীয়ত মরা বাড়ি তাও নিজেদের এসময় অফিসে গেলে লোকচক্ষু ভালোভাবে নিবে না। সকল হিসেব কষেই বাড়িতে থাকা। তাছাড়া ঋষির দেওয়া চিহ্ন শরীরে বহন করে কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না। আর না শান্তনুর সামনে। সেটাও একটা কারণ বাড়িতে থাকার। উপরন্তু আগেরবার তো শান্তনুর সন্দেহের শিকার হয়েছি। যার ফলস্বরূপ তাকেও দেখানো যে, আমি বিলকুল নির্দোষ আছি। মেয়েকে, স্বামীকে সময় দিতে এবং নিজেকে ভালো দর্শাতে এই পদক্ষেপ। যাইহোক শান্তনু আর আমি এখন বারান্দায় বসে। অবশ্য শান্তনুর বারান্দাতেই। আমার বারান্দায় তো ভুলেও নিয়ে যাই না সেদিনের ঋষির কর্মকাণ্ডের পর থেকে। তাছাড়া ঋষির বডির কড়া পারফিউম আমার ঘরের আনাচে-কানাচে বিদ্যমান। শান্তনুর চতুর মস্তিষ্ক সেটা ধরতে সক্ষম। এমনিতে আমি-ও রুম ফ্রেশনার দেই না ইচ্ছে করেই। ঋষির শরীরের মাদকতা, নেশা ধরানো ঘ্রাণ নিতে যে পারি নিশ্বাস ভরে। তার সাথে কথা হচ্ছে আপাতত ফোনে। ঠান্ডা আছে কারণ সেদিনের কর্মকাণ্ডে আমার হালত সম্পর্কে সে অবগত।
“কী ব্যাপার তোমাকে অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে? কিছু নিয়ে কি চিন্তিত তুমি?”
হকচকিয়ে গেলেও সেটা মুখের আদলে আনলাম না সন্তর্পণে। মুহূর্তেই হাসির মুখোশ টেনে ধরলাম চেহারাতে।
“না তো। আসলে ভাবছি, মাথার ওপর থেকে ছায়া চলে গেল। এটা যদি টেনসড হওয়ার বিষয় হয়, তাহলে সেটাই।”
শান্তনু বুঝল আমি কার কথা বুঝিয়েছি। তাই তার মুখে মলিনতার আর্দ্রতা ছড়িয়ে পড়ল। আমি তাকে হালকা করতে, তার কাঁধে মাথা রেখে আশ্বাসের ভঙ্গিতে বললাম,
“মন খারাপ করো না। আমরাই আমাদের ছায়া হবো।”
শান্তনু কী বুঝল কে জানে। আমার গালে হাত বুলাতে শুরু করল। আস্তে আস্তে তার মুখ নিচু করে একে-অপরের অধর একত্রিত করল। গভীর হলো অধরে অধরের বিচরণ। তবে অতটুকুই ঘনিষ্ঠতা। এরচেয়ে বেশি আগানোর ক্ষমতা নেই তার। সেজন্য মনে মনে ভাবলাম, থাক না বেচারা কতদিন স্ত্রীকে কাছে পায় না। টানতেই তো পারে না। এজন্যই তো তার স্ত্রী’র শরীরে পরপুরুষের স্পর্শ ঘুরে বেড়ায়।
শান্তনুর অধর আমার ওষ্ঠে যখন সন্তরণে ব্যস্ত। অপরদিকে রাস্তার ল্যামপোস্টের নিচে কেউ প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে মেতে। যা সকলের চক্ষু আড়ালে।
_______
চলবে…
লেখাঃ Mannat Mim – মান্নাত মিম
হাই সোসাইটির ললিতা |১১|
“ম্যাম, মার্কেটে আমাদের শেয়ারের অবস্থা খারাপ। দিনকে দিন নিম্ন গতির দিকে ছুটছে।”
আমার চিন্তিত হওয়ার ভাব মুখশ্রী আচ্ছাদিত হলো কপালের ভাজ পড়ার মাধ্যমে।
“আসলেই চিন্তার বিষয়। আমি তো সবে নতুন। এবিষয়ে শান্তনুর সাথে আলাপ করতে হবে। দেখি কী করা যায়।”
ম্যানেজার চয়ন শেয়ার মার্কেটের আমাদের শেয়ার বিষয়ক কিছু খুচরা আলাপ শেষে চলে গেল। এখন বাকি কাজ সম্পর্কে জানতে আমাকে বিনোদের সাথে কথা বলতে হবে। অর্ধেক হলো বাকিটা আর বাকি রাখার প্রয়োজন দেখছি না। সময়ের আগে শেষ করা জরুরি৷ নয়তে দেখা যাবে কোন ফাঁকফোকর রয়ে যায়। সেখান থেকে না আবার সাপ বেরিয়ে আসে।
______
“সুইটহার্ট, কখন দেখা করবে?”
ছোট্ট একটা নিশ্বাস নির্গতকরণ করার মাধ্যমে ঋষিকে বললাম,
“ঝামেলায় আছি বুঝেছ।”
ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে ঋষি প্রশ্ন করল উদ্বিগ্ন হওয়া কণ্ঠে,
“কী হয়েছে? শরীর খারাপ করছে?”
“না, তা না। আসলে শেয়ার মার্কেটে আমাদের শেয়ার ডাউন করেছে। বড়ো বাজেটের ইনভেস্ট ছিল। এখন ভর্তুকি দিতে হবে দেখা যাচ্ছে।”
“আরে টেনশন নিও না। এসব শেয়ারে আপ-ডাউন হয়-ই। তাই ভেঙে না পড়ে সামনে কী করবে চিন্তা করো।”
“আসলেই ঠিক।”
সম্মতি জানানোর মাধ্যমে কথার ইতি টানতে চাচ্ছিলাম আমি। কিন্তু মনে হয় না, ঋষি সেটা হতে দিবে। তাই আগের সূত্রের জের ধরে কথা আগালো,
“বললে না তো, দেখা কবে করছ?”
“দেখি সময় ঠিক করতে পারি কি না।”
“সময় ঠিক করার অজুহাত বাদ দাও। এমনিতেও তোমার কণ্ঠস্বর শুনে মনে হচ্ছে, তোমার মন খারাপ। ডিপ্রেশড হয়ে আছ। দেখা করো, ডিপ্রেশন ভুলিয়ে দেব।”
মন খারাপ নয়, চিন্তিত। সেটা তো আর বলা যাবে না। ঋষি যা ভাবার ভাবুক গিয়ে। এমনিতেও দেখা করা জরুরি। মাইন্ড রিফ্রেশার হিসেবে সে কাজে দেয়।
______
শান্তনুর সাথে কথা বলতে এসেছিলাম। এখন দরজা দেখিয়ে ভেজানো! শান্তনু তো কখনো দরজা ভেজিয়ে রাখে না। কারণ হাঁটাচলা করতে পারে না মানুষ। তাকে উলটো ধরে নিয়ে চলাতে হয়। এরমধ্যে দরজা ভেজিয়ে রাখার বিষয়টা খটকার মতো মটকা মারছে বুকের ভেতরে। কিছু যদি হয়ে যায়, তাহলে তো ফ্যাসাদে পড়ব। নাহ, আর চিন্তা-ভাবনা করতে পারছি না। ভেতরে প্রবেশের করলাম। এত ঘুটঘুটে আঁধার কেন? আজব তো। রাতের বেলাতে তো ভুলেও আমরা কেউ শান্তনুর রুমের দরজা আঁটকে দেই না আর না লাইট নিভিয়ে রাখি। তাহলে আজকের এমন গুমোট আবহাওয়া কেন? দ্রুততার সাথে লাইট জ্বালিয়ে দিলাম। বিছানায় ঘাড় ফিরিয়ে তাকিয়ে দেখলাম, শান্তনু নেই। শান্তনুকে না দেখে আমার মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। যদি-ও থাকা না থাকায় কিছু আসে যায় না আমার। কিন্তু বর্তমান সময়টা আমাকে বাঁধ সাধছে শান্তনুকে গুরুত্বহীন ভাবতে। তার-ই প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। তার অবর্তমানের বর্তমান যদি-ও আমি, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতের সুদূরপ্রসারী হিসেবে স্থায়িত্বতা ধরে রাখা তো এখনো হয়নি। তাই আমার টিকে থাকার প্রাণপাখিকে প্রাণপণে বাঁচানোর চেষ্টা করতে তো হবে। এদিক-সেদিক তাকিয়ে এগিয়ে গেলাম বিছানার কাছাকাছি যেতেই দেখি উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে শান্তনু। দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে শান্তনুর কাছে পৌঁছে, তাকে উপুড় থেকে চিৎ করলাম। নিশ্বাস চলছে তবে ধীরগতিতে। ফের বাইরে বেরিয়ে মনিকে ডেকে গাড়ি বের করতে বললাম।
________
“জি, কেমন আছে এখন শান্তনু?”
“মাইনর অ্যাটাক করেছে। চিন্তার কারণ নেই। অবজারভেশনে রেখেছি আমরা। কাল রিলিজ দেয়া হবে।”
মনে মনে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। সোনার হরিণের আচমকা মৃত্যু লাভ নয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি করে। রাতে একই কেবিনে কাটিয়ে দিলাম অন্য বেডে থেকে। পরদিন সকালে রিলিজের সাথে একগাদা ওষুধপত্রের জিম্মাদারি নিতে হয়েছে। সাথে তো ফ্রি অ্যাডভাইস রয়েছে। শান্তনুর ভাবনা, তাকে না কি এমন অসহায়ের মতো পড়ে পড়ে সকলের সাহায্যে চলাচল করাতে ভেতরে ভেতরে কুরে কুরে খাচ্ছে অপরাধবোধে। নিতান্তই সত্যি বচন। অসহ্য লাগে তো এসব। যাক ব্যাটা বুঝতে পেরেছে। তাই ওপারে যাওয়ার তাড়ায় অ্যাটাক করে বসেছে। আমার কী আপাততের জন্য দেখভাল করি। সময়ের যাঁতাকলে পিষ্ট হবে নে। শান্তনুর দেখাশোনায় করতে গিয়ে অফিস কামাই সাথে ঋষির সাথে তো দেখা সাক্ষাৎ দূরে থাক; কথা পর্যন্ত ভালোভাবে হচ্ছে না। ব্যস্ততার চেয়ে ঘাড়ে ঝুটঝামেলার চাপ বেশি। যেন বেদম প্রহার করে জানান দিচ্ছে, সময় থাকিতে তাহারে কর সাধন। আমি-ও সেই প্রহারের প্রভাবে লালিত স্বপ্ন পূরণের ধাপ ক্রমান্বয়ে উত্তরণে এগিয়ে যাওয়া ধরেছি। আপাতত এপর্যন্ত বাঁধা পাইনি। উলটো কাজের সমাধা অতি সহজেই হয়ে যায় দেখি।
______
“তোমার তো ভুল হওয়ার কথা না। আমার কাজের পারফেক্ট মানুষটার পারফরম্যান্স। এত খারাপ বিষয়টা আমার মনঃক্ষুণ্ন করল।”
বিনোদ চিন্তিত ও দ্বিধাভরা কণ্ঠে বলল,
“ম্যাডাম, কাজ তো ঠিকই করেছিলাম। কিন্তু আমাদের লোক যে এভাবে ধরা পড়বে জানতামই না। ছেলেটা আহত হয়েছে।”
রাগে মাথার শিরা-উপশিরা দপদপ করছে। মস্তিষ্কের নিউরন কাজ করছে না আচানাক এমন হামলার কারণ। আহত করার উদ্দেশ্যে আসেনি আততায়ী দল। ট্রাকে থাকা সকল অবৈধ অস্ত্র, গাঁজা, ইয়াবা সব লুট করেছে ভালোভাবেই। ট্রাক পর্যন্ত ছাড় দেয়নি। এত বড়ো লোকসান করাতে কে আমার পিছু আদাজল খেয়ে নেমেছে?
চলবে…
লেখাঃ Mannat Mim – মান্নাত মিম