হাই সোসাইটির ললিতা-৬,৭

0
495

হাই সোসাইটির ললিতা-৬,৭
লেখাঃ Mannat Mim – মান্নাত মিম
০৬

নীলচে রঙের আকাশে সাদা মেঘের পাল ওড়ে চলা দেখছি। আর ভাবছি, জীবনের গতিটা যদি ঠিক এমন হতো। কতোই না আনন্দে, বিহঙ্গে কাটত! তার আর ভাবার অবকাশ কই? জীবনের গতিপথ দূর্গম, বক্র। যদি ভাগ্যক্রমে পথ চলার সঙ্গীটি আপন হয়ে ওঠে, তাহলে সেই পথ হয় মসৃণ, সচ্ছ, সমান্তরাল। কিন্তু কষ্টের কথা আমার ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। ব্যতিক্রম পথ আমার, তবে দুর্জয় নয়। রুমের বাইরে দরজার টোকার শব্দে অফিসের জানলা থেকে সরে এসে চেয়ারে বসলাম।

“কাম ইন।”

বলার সাথে সাথে অফিসের ম্যানেজার সম্মুখের ডেস্কের সামনে দাঁড়িয়ে বলল,

“ম্যাম, সাইটে যেতে হবে। নতুন যে বিল্ডিংয়ের কাজ ধরা হয়েছে, সেখানের কাজকর্মে অগ্রগতি দেখার জন্য।”

অফিসের ম্যানেজার চয়ন একটু বেশিই স্যার বিশ্বস্ত লোক। শান্তনুর খাস পেয়ারা লোক বলে কথা। সকল দিকেই পুঙ্খানুপুঙ্খ নজর এলিয়ে রাখেন। এই যে আমি অফিসের কাজকর্ম চালাচ্ছি বসের বদলে আমি-ই আপাতত বস। তা না মনে হয় রিপ্লেসমেন্ট করেও আমি কর্মচারী কয়েকদিনের। কোথায় আমার হুকুম তামিল করবে, তা না করে এখানে যাওয়া লাগবে, ওখানে সাইন দিন করে আমার ওপর সকল হুকুম চলে। যত্তসব ফাউল কাজ! আজ একটু বাইরে যাব ঋষির খোঁজে। ছেলেটার নাম্বার একে তো নেওয়া হয়নি। উপরন্তু ঠায়-ঠিকানাও জানা নেই আমার। কী একটা মসিবত!
______

“তুমি! তুমি এখানে কী করে?”

আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম কেউ আমাদের দেখছে না কি। নাহ, কাউকে পেলাম না। অতঃপর পূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করব সম্মুখে থাকা ব্যক্তির ওপর ব্যক্তিটি-ই আমাকে তীক্ষ্ণ নজরবন্দি করছে। কিছু বলার আগেই শূন্য দালানের পিলারের আড়ালে নিজেকে তার বাহুবন্ধনীতে অধরবন্ধনে পেলাম। ঝাপটাঝাপটি করেও কোনো কুল না পেয়ে থেমে গেলাম একপর্যায়ে। অপর ব্যক্তি আমাকে শান্ত হতে দেখে এবার ক্ষিপ্র হলো। জোরালো ধাক্কার সাহায্য সরিয়ে দিয়ে বললাম,

“পাগল হয়ে গেছ? কী করেছে দেখো, রক্ত বের হচ্ছে। এই অবস্থায় আমাকে লোকে দেখলে কী বলবে? সাথে তো ম্যানেজারও আছে।”

ঠোঁটের বিশ্রী অবস্থা, আঙুলের ডগা চেপেও রক্ত থামানো যাচ্ছে না। টিস্যু সাথে নেই আর না পার্স। শুধু ফোন হাতে তাও ধাক্কা-ধাক্কিতে নিজে মরার মতোন পড়ে।

“কী করব বলো? পাগল হয়ে গেছি তোমাকে একদিন না দেখে।”

ঋষির মতো আমর-ও একই হাল। তাই বলে এতো এগ্রেসিভ নয়। কারণ তার মতো আগ্রাসী রূপ ধারণ নারী আরো ভয়ংকর হয়। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবণা বেশি। যা আমার জন্য হানিকর। ফের আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম আগের মতোই কেউ নেই। এবার ফোন থেকে কল করলাম ম্যানেজারকে।

“হ্যালো, চয়ন।”

রিসিভে সম্মতি দিয়ে ওপাশে চয়ন বলল,

“জি ম্যাম।”

“আমি একটু বেরুবো। তুমি একটু দেখে নিও।”

খানিকটা সময় চুপ রইল। তবে তার জিজ্ঞেস করার অতদূর সাহস নেই বলে শুধু বলল,

“আচ্ছা, ম্যাম।”

মনে মনে ভাবলাম, খবর তো এদিক-সেদিক ঠিকই করবে। জি হুজুরির বাচ্চা। তারচেয়ে আমি-ই জানিয়ে দেই বাইরে বেরোনোর কারণ।

“তোমার স্যারকে জানিও। এই একটু কেনাকাটার জন্য বেরুচ্ছি।”

সবাই-ই জানে আমি ড্রেস সেন্সে বেশ নিখুঁত। নতুন নতুন ড্রেস কালেকশন ও পরিধানে বরাবরই পছন্দ আমার। তাই আজকে এই সুযোগ বাঁচিয়ে দিলো। এবারের মতো তো কাজ হলো কিন্তু সামনে কী হবে চিন্তায় পড়ে গেলাম। তবুও এগিয়ে গেলাম সমুখে।
________

“সর‍্যি বললাম তো। এবার তো কথা বলো।”

ঋষির কথায় আমার পক্ষ থেকে কোন জবাব এলো না। চুপটি করে গাড়ির ফ্রন্ট মিরর দেখে ঠোঁটের ক্ষত পরিষ্কারে ব্যস্ত হয়ে রইলাম।

“প্লিজ, প্লিজ জান। আই বেগ ইউ, টক টু মি প্লিজ।”

হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে বলা কথায় এবার আমার মন’টা নরম ও শান্ত করে দিলো। ঘুরে তার দিকে ফিরে বসলাম। কপালে ঠেকানো হাত মাফ চাচ্ছে ঝুঁকে, চোখ বন্ধ। কালো লেদারের জ্যাকেট গায়ে। বড়ো বড়ো এলোমেলো স্মুথ ও সিল্কি চুল কপালে অযত্নে পড়ে রয়েছে। অতিরিক্ত ফর্সা, হ্যান্ডসাম গাই। বয়সেও আমার কয়েক বছরের ছোটো। হবে হয়তো পঁচিশ কিংবা ছাব্বিশ। অথচ আমি ত্রিশ প্লাস। আনমনে জিজ্ঞেস করলাম,

“গার্লফ্রেন্ড চলে গেল নতুন কাউকে জোগাওনি কেন?”

মাথা তুলে ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। বোধহয় বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছে। কোন পরিস্থিতি এখন আমি কী জিজ্ঞেস করছি। বোধগম্য না হওয়ায় ভ্রু নাচিয়ে দুষ্ট ভঙ্গিতে প্রশ্ন করল,

“গফ না জোগাড়ে রেগে আছ না কি? অদ্ভুত তো?”

প্রসঙ্গ পালটে জিজ্ঞেস করলাম উলটো,

“জানো তো আমার বয়স ত্রিশ প্লাস।”

“সো হোয়াট? হয়েছে কী তোমার ঠিক করে বলো তো?”

অথচ মন কেমন খারাপে ছেয়ে গেল। কিছুই উত্তর দিলাম না। গাড়ি পার্কিং করা ঘোরাঘুরি করার স্থান, গাছপালায় ভরা উদ্যানে। পার্কও বলা যায়। কানের কাছে কারো গভীর নিশ্বাসে গাড়ির জানলা দিয়ে তাকানো থাকা ঘাড় ঘুরিয়ে পিছন ফিরে তাকালাম।

“তখনকার কারণে এখনো রেগে, তাই না? সর‍্যি বললাম তো। এই যে কানে ধরছি।”

ঋষির এক কানে হাত ধরে করুণ মুখ করে রেখেছে। একদমই বাচ্চাদের মতো দেখানোতে হেসে ফেললাম। কাছে গিয়ে দু’হাতে তার গলা জড়িয়ে হৃদপিণ্ড বরাবর মাথা রাখলাম। স্মুথ তবে ডিপলি হৃৎস্পন্দনের অস্বাভাবিকতা হারে ছন্দ তুলে শব্দ করে চলা উপভোগ করতে লাগলাম। হতবাক ঋষি আস্তে আস্তে মাথায় হাত রেখে বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,

“তুমি কি কোন বিষয়ে ডিপ্রেশড?”

“তুমি আমার চেয়ে অনেক হ্যান্ডসাম, গুড লুকিং। বোথ আওয়ার এইজ ডাজেন্ট ম্যাচ, ইট’স মিসম্যাচ।”

কথা বোধহয় হাস্য, রসাত্মক ছিল। নাহলে হো হো করে উচ্চশব্দে ঋষি হাসছে কেন? উত্তর মিলক পরক্ষণেই।

“একটাই উদাহরণ দেব। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নাম শুনেছ নিশ্চয়ই? না কি তুমি আদি যুগের দাদি আম্মা?”

ফের হাসি। দিলাম কয়েক ঘা কিল বসিয়ে তার বুক বরাবর। বাজিয়ে দেখার কার্যক্রমে সফল হয়েছে দেখা যায়।। ভেবেছিলাম, কয়েকদিন খেলে-খুলে ভুলে যাবে ছেড়ে চলে। নিজের থেকে বয়সে বড়ো অহরহ রিলেশনশিপ রয়েছে। আমি-ও সেসব মানি নির্দ্বিধায়। আধুনিকতায় গড়া প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের যুগ এটা। তবে হতে পারে ঋষি সেটা নাও পছন্দ করতে পারে। সমবয়সী পছন্দ করার স্বাভাবিকতা বেশি। বয়সটাই ওইরকম। অবশ্য আমাকে অতটা বোঝা যায় না। নিয়ম মেনে ডায়েট কন্ট্রোল করা ফিগার ও তথানুযায়ী ড্রেস সেন্সে আমাকে ঋষির বয়সীই দেখায়। হতে পারে তারচেয়েও কমই। এমন নানান ধরনের কমপ্লিমেন্ট পাই যে প্রতিনিয়ত। অনেকে বলেই ফেলে আপনাকে দেখে মনেই হয় না, আপনার বয়স কুড়ি পেরিয়েছে। তখন হাস্যোজ্বল মুখে উত্তর দেই,

“লাগবে কেন? ত্রিশ পেরোনো কাউকে বিশ প্লাস বোঝায় না কি?”

চলবে…

লেখাঃ Mannat Mim – মান্নাত মিম

হাই সোসাইটির ললিতা |৭|

নিরালা স্থান, নিস্তব্ধতা ছড়ানো যদি-ও। তবুও হরেক রকম পাখ-পাখালির কিচিরমিচির, সেই নিস্তব্ধতার জাল ছিঁড়ে মধুর ছন্দাময় শব্দের তরঙ্গ সৃষ্টিতে অব্যাহত। ঋষির কাঁধে মাথা রেখে বসে ছিলাম। সমুখ বরাবর কৃত্রিম জলাশয়। ভালো লাগছে ওয়েদারটা। কিন্তু ঋষির মুড অফ হয়ে আছে সেই কোনক্ষণ থেকে। কারণ একটাই, চলো হোটেলে যাই। এখানে তার ভালো লাগছে না।

“আর কতক্ষণ এভাবে বসে থাকব? বসে থাকার জন্য কি এসেছি না কি? ধুর!”

“তুমি এত অধৈর্য কেন বলো তো? পরিবেশটা কি সুন্দর লাগছে না?”

ঋষির কাঁধে মাথা রেখে জিজ্ঞেস করলাম। তার যে মেজাজের তিরিক্ষা অবস্থা বোঝা যাচ্ছে। নাক-মুখ ফুলেফেঁপে লাল হয়ে আসছে।

“পরিবেশ নিব্বা-নিব্বি’দের প্রেমের জন্য পারফেক্ট। আমাদের জন্য হোটেল।”

বলেই চোখ টিপ মারলো সে। ভেতরে ভেতরে এক্সাইটমেন্ট আমার-ও কাজ করছে। তবে সবকিছু দ্রুততম করার ইচ্ছা নেই আপাতত। ঋষির তাড়ায় সবকিছু গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে।

“আচ্ছা, চলো তাহলে।”

ঋষির হাত ধরে ওঠে বললাম।
____

“কী হলো মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়েছ কেন?”

“মাঝ রাস্তা নয় গাধা। ফার্মেসি সামনে। যাও।”

ঋষি বুঝল তাকে কী বুঝাতে চেয়েছি। দুষ্ট হাসির ভঙ্গিমা মুখশ্রীতে নিয়ে বলল,

“সেদিন তো নেইনি। আজও…”

“যাবে তুমি?”

চোখমুখ খিঁচে শক্ত হয়ে বললাম। তা দেখে সারেন্ডারের মতো হাত উঠিয়ে কাঁধ নাচিয়ে বলল,

“অকে, যাচ্ছি। হাইপার হয়ো না।”

রাস্তা নেমে ওপারে চলে গেল। আমি এপারে বসে হিসেব-নিকেশে বিভোর। লাইফের এমন টার্ণ-ট্যুইস্ট কতটুকু হ্যাপা করবে সমুখে ডোন্ট নোও এবাউট দ্যাট। বাট আই কান্ট লিভ ঋষি। প্রথমে সে যদি-ও বা বাজির নেশা ছিল বাট, ডোন্ট নোও একদিনেই তার আদরের জাদুতে নিজস্ব সত্তা হারিয়ে ফেলেছি তার মাঝে।

“হেই, কী ভাবছ?”

“নাহ, কিছু না। এনেছ?”

“হুম, অথচ তখন ভাবনায় আপনি মশগুল ছিলেন ম্যাডাম।”

“আপনার-ই ভাবনায় মজে ছিলাম স্যার।”

খুনসুটি করতে করতেই পৌঁছে গেলাম হোটেল। ফাইভ স্টার হোটেলগুলো আমাদের মতো সনামধন্য ব্যক্তিদের জন্য পারফেক্ট। আর নিম্নমানের মানুষের জন্য ছোটো-খাটো খুপরি দু-তিনশত টাকার রুম। দামী কামরার রুম বুক করলাম। লাগোয়া বারান্দা রয়েছে তাতে। সৌখিনতার নিমিত্তে কোনোরকম সাধারণ টাইপ রুম পছন্দ নয়। শোভন ও বাহুল্যর্জিত রুমে প্রবেশ মাত্রই লতার মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরল ঋষি। একেই ধরাশায়ী হয়ে পড়লাম বিছানায়। আদিম্মত্তায় মেতে উঠলাম তখন দু’টো শরীর। সম্পূর্ণ সাদা রঙের কামরার আলোকিত জ্বলজ্বল আলোকসজ্জা দ্যুতি ছড়াচ্ছে চারিদিকে। ঋষি ব্যস্ত আমাকে উন্মুক্ত করতে। একটা একটা করে শার্টের বোতামের খোলায় নিমগ্ন সে।

“তোমার সৌন্দর্যে কেন এত মাদকতা বিরাজমান? নিজেকে ধরে রাখা বড্ড দায় হয়ে যায় যে।”

নিজের ওপর ঝুঁকে থাকা ঋষির আসক্তিঘণ কণ্ঠে তার চোখে চোখ রেখে বললাম,

“ধরে রেখে কে? ডুব দাও তলিয়ে যাও।”

“আমি যে চাই, সম্পূর্ণ সৌন্দর্য অবলোকন করতে।”

“কেন সেদিন কি অবলোকিত হয়নি?”

হালকা হেসে মজার ছলে বললাম। এমতাবস্থায় মজা করাটা ঠিক কোন পর্যায়ে গেল বুঝলাম না। তবুও জিজ্ঞেস করা, তার এত দেখার আগ্রহ কেন অন্তরঙ্গতার মাঝে বাঁধা সৃষ্টি করছে।

“তুমি তো পুরোই নেশাগ্রস্ত ছিলে। আমি-ও।”

ছিলাম অবশ্য নেশায় টাল হয়ে। আবছায়ার মতো কোনরকম ঋষিকে দেখেছিলাম না কি তার প্রতিচ্ছবি, তখন অতটা মাথায় আসেনি। সে-ও নেশাগ্রস্ত ছিল জানতাম না। সমুখে আর কোন কথা হলো না। শুধু প্রগাঢ় যৌনসম্ভোগের অভিলাষে দমবন্ধ অনুভব হলো। শুষে নিতে শুরু করল ঋষি আমোদে-আহ্লাদিতে। নিমজ্জিত হতে থাকলাম ঋষির সুঠাম দেহ ও পেশিবহুল হস্তে। মোহাবিষ্ট হয়ে আদুরী আঁচড়ে ছিন্নভিন্ন হতে থাকল বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী ঋষি। কাম শিৎকার কক্ষের দেয়ালে আছড়ে।
______

দুপুরে লাঞ্চ করা হয়নি দু’জনেরই। তাই হোটেল বয়কে কল করে লাঞ্চের ব্যবস্থা করার কথা জানালাম। পাঠাচ্ছে বলে চলে গেলে আমি-ও ফ্রেশ হওয়ার প্রয়োজনে ওয়াশরুমে গেলাম। ঋষি তখন ঘুমে বিভোর, নিমগ্ন প্রায়। শাওয়ারের মাঝামাঝি ওয়াশরুমের দরজায় টোকার শব্দ পেলাম। ঝর্ণার শব্দে কনফিউজড হয়ে গেলাম। হতে পারে দরজার শব্দ, হোটেল বয় খাবার নিয়ে এসেছে নিশ্চয়ই। ধ্যান সরালে ফের টোকার শব্দ এলো। বিরক্তিতে ছেয়ে গেল মুখমণ্ডল। বিক্ষোভ চিত্তে ওয়াশরুমের দরজার নব ঘুরালাম। আর সাথে সাথে ঋষির আগমন হলো। চেঁচিয়ে উঠলাম,

“হোয়াট ইট দিজ ঋষি?”

“একসাথে শাওয়ার নেওয়ার টেস্ট করা হয়নি। তাই নতুনত্বের স্বাদ নিতে আসা।”

তার ফিচলেমি মার্কা হাসিতে পিত্তিনাশ অবস্থা। হ্যাংকার থেকে টাওয়ালের জন্য হাত বাড়াতে বাঁধাপ্রাপ্ত হলাম। বিস্ফোরিত দৃষ্টি উপেক্ষা করে ঋষি বলল,

“নতুন দেখছি না। লাজ-লজ্জা আমার সামনে মানায় না।”

বলেই এক চোখ টিপ মারল। আমি ভড়কে গিয়ে হতভম্ব মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।

চলবে…

লেখাঃ Mannat Mim – মান্নাত মিম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here