??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,পর্বঃ ০৪

0
2974

??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,পর্বঃ ০৪
লেখক :Farvez Hosen Akash

আর তানুও বিকালের মিটিং গুলো ক্যান্সেল করে দিলো।ইরা রুম থেকে বের হলে হলে, ইরার মা
জিঙ্গেস করে ছেলেটা কে।তখন ইরা কলেজে ঘটে যাওয়ার সব
ঘঠনা ওর আম্মুকে বলে।ওর আম্মু শুনে অনেক ভয় ফেয়ে যায়।
কেননা ওই লোক গুলো তাহলে এই ছেলেটি এবং আমাদের উপর হামলা করতে পারে।শুধু শুধু ছেলেটা নিজের জীবন বিপদের মধ্যে ফেললো।আর এই দিকে ইরার মা আকাশের কাছে যায়।

ইরার আম্মুঃ এখন কেমন লাগছে, তোমার।

আকাশঃ জি আন্টি ভালো।ওরা কারা আর ইরাকে কেন কিডন্যাপ করতে চাইছে।

ইরার আম্মুঃ তাহলে শুনো আমার স্বামী একজন সরকারি লোক।কিছু দিন আগে ওনার কাছে একটা ট্রেন্ডার এসেছিলো। আর ওই ট্রেন্ডার পাবার জন্য অনেক লোক ওনাকে হুমকি দিয়ে ছিলো। কিন্তু ওনি ওদের না করে দেওয়াতে আমাদের অনেক হুমকি দেয় বলছে আমার স্বামী যদি ট্রেন্ডার ওদের দেয় তাহলে ওরা ইরাকে তুলে নিয়ে যাবে।

আকাশঃ তাহলে তো আপনাদের অনেক বিপদ।

ইরার আম্মুঃ হ্যাঁ।

আকাশঃ আপনারা পুলিশকে বলুন।

ইরার আম্মুঃ পুলিশ ও ওদের কিছু করতে পারবে না কেননা ওদের উপরে অনেক পাওয়ারফুল লোক আছে দেখবে ওদের ঠিকই বের করে নিয়ে যাবে।

আকাশঃ আন্টি তাহলে আমি আসি।

ইরার আম্মুঃ সে কি, দুপুরে একসাথে খেয়ে তারপর না হয় যাবে।

আকাশঃ কিন্তু।

ইরার আম্মু ঃ কোন কিন্তু নয়।
আমি গেলাম তুমি না হয় একটু ঘুমিয়ে নাও।

আকাশ শুয়ে পড়লো আর ১ ঘন্টা পর ইরা আসে আর আকাশকে ডাকে কিন্তু উঠে না দেখে আকাশ গায়ে হাত দিয়ে জাগাতে গেলে আকাশ ঘুমের ঘোরে ইরা হাত নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে যার জন্য ইরা মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।এতে ইরা অনেকটা লজ্জা পায় কিন্তু কিছুই বলছে না কারণ হাত জোরে টান দিলে আকাশ ওর কাঁটা জায়গায় ব্যথা পাবে সেজন্য কিছুই বলছে না।আকাশ ও চাড়ছে না একটু পর আকাশ চোঁখ মেলে দেখে কারোর হাত আকাশ বুকের সাথে চেপে রেখেছে, তা দেখে আকাশ সাথে সাথে চেড়ে দেয়।

আকাশঃ স্বরি আমি বুঝতে পারি নি ওটা কারো হাত ছিলো।

ইরাঃ ঠিক আছে,খাবেন চলুন।আর ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন।আমি আপনার খাবার নিয়ে আসছি।

আকাশঃ আপনি কিছু মনে করেন নি তো?

ইরাঃ আমি কিছু মনে করি নি।

এই দিকে আকাশ ফ্রেশ হতে চলে গেল আর ইরা খাবার নিয়ে আসলো। আকাশ ফ্রেশ হয়ে দেখে টেবিলের উপর খাবার রাখা আছে। আকাশের খিদে লাগার কারণে বসে পড়ে টেবিলে ইরা খাবার বেড়ে দেয় আর আকাশ খাওয়া শেষ করে।

আকাশঃ আপনি খেয়েছেন।

ইরাঃ না,আরেকটু পরে খাবো আগে আপনি খেয়েনিন,তারপর আমরা খাবো।

আকাশঃআচ্ছা, খাবার গুলো কে রান্না করছে।

ইরাঃ কেন,রান্না ভালো হয় নি।

আকাশঃ কি যে বলেন,রান্নাটা অসাধারণ হয়েছে।

হঠাৎ পিঁছন থেকে ইরার আম্মু বলে উঠলো।

ইরার আম্মুঃ বেশ তো তাহলে তোমার যে দিন ইচ্ছে হবে এসে খেয়ে যেও।

আকাশঃ তারচেয়ে ভালো রান্না করার লোকটাকেই যদি নিয়ে যাই।(বিড় বিড় করে)

ইরাঃ কি বিড় বিড় করছেন?

আকাশঃ না কিছু না।আমি তাহলে এভার আসি,কিন্তু আন্টি আপনার আঙ্কেল কে দেখছি না।

ইরার আম্মুঃ আসলে ওনার আসতে সন্ধা হবে।

আকাশঃ আন্টি তাহলে আমি আসি।

ইরার আম্মুঃ ঠিক আছে।কিন্তু তুমি এই অবস্থায় কি করে যাবে।

আকাশঃ সামান্য কেঁটেছে।আমি যেতে পারবো।।

ইরার আম্মু ঃ ঠিক আছে সাবধানে যেও।ইরা ওনাকে একটু এগিয়ে দিয়ে আয়।

আকাশঃ না আন্টি লাগবে না।

আকাশ বাড়ি থেকে বের হয়ে, ফোন বের করে কাকে যেন কল করে আর গাড়ি একটা ইরাদের বাসার সামনে চলে আসে আকাশ ওই বাড়িতে উঠে পড়ে আর আকাশ বাসায় চলে আসে।আকাশের হাতে বেন্ডেজ দেখে আকাশের আব্বু সিকিউরিটি দের অনেক কথা শুনায় পরে আকাশ সব গঠনা বলাতে আর কিছু বললো না।

আব্বু ঃ দেখ,তোমাকে নিজের খেয়াল রাখতে হবে এরকম হলে তো তুমি রাজ্য পরিচালনা করতে পারবে না।

আকাশঃ ঠিক আছে, আব্বু।

আকাশ উপরে চলে যায় আর রেস্ট নেয়।

আর পরের দিন আকাশ কলেজে যায় আর ওই ছেলে গুলোর সাথে দেখা করে আর ড্রাগ্স কে বিক্রি করে সব তথ্য পুলিশকে বলে আর ওদের এরেস্ট করা নির্দেশ নেয়।আর পুলিশ ও ওদের ওরেস্ট করে।আকাশ ওখান থেকে এসেই দেখে গত কালকের লোক গুলো কলেজে এসেছে কিন্তু এদের তো আমি গত কাল পুলিশে দিয়েছিলাম তাহলে এরা ছাড়া ফেল কি করে এসব কথা ভাবতে থাকে।তখনই ওই লোক গুলোর মধ্যে একজন বলে উঠলো।

লোকগুলো ঃ ওই, হিরো বলেছিলাম না আমাদের কিছুই করতে পারবি না কারণ আমাদের কাছে পাওয়ার আছে,বুঝলি।

আকাশ তখনও চুপ করে আছে কিছুই বলছে না আর তখনই ওখানে ইরার আগমন।

ইরাঃ দেখুন ওনার দোষ নেই আপনারা ওনাকে চেড়ে দিন, এমনিতে ওনার হাতে বেন্ডেজ।

লোকগুলো ঃ আজকে তো ওকে শেষ করেই দিবো।এই ওকে ধর।

ইরাঃ প্লিজ ওনাকে কিছু করবেন না বলে কান্না করে দেয়।

এই দিকে ইরার কান্না দেখে আকাশ হাতের ইশারায় ফায়ার করতে বলে আর ২ মিনিটে ওখানে ২০ জন লোকের মৃত দেহ মাটিতে পড়ে যায় তা দেখে ইরা ভয় ফেয়ে আকাশকে জড়িয়ে দরে।কিছুক্ষণ পরে কে যেন পুলিশকে ফোন করে আর পুলিশ এসে লাশ গুলো নিয়ে যায়।আর এই দিকে পুরো কলেজ আতঙ্ক কে ওদেরকে মারলো।আর এই দিকে একজন নেতার কাছে ফোন গেল কে বা কারা ওনার লোকদের কে কলেজে সবার সামনে গুলি করে মেরে ফেলেছে।এটা শুনে ওনি তো অবাক কার এতবড় সাহস যে আমার লোকদের গুলি করে মারে।আমি তাকে ছাড়বো না।

আর এই দিকে ইরা ব্যপারটা বুঝতে পেরে আকাশকে চেড়ে দেয়।আর ওখান থেকে ইরাকে নিয়ে বের হয়ে আসে।আর ইরাকে একটা গাড়িতে উঠিয়ে দেয় আর আকাশ ওর গাড়িতে করে অফিস চলে আসে।এসেই তানুকে বলে
A.C.P রাসেদ সাথে কন্টাক্ট করো আর বলো ড্রাগ্স কে সাপ্লাই করে তার ব্যপারে কিছু জানতে পেরেছে কিনা জিঙ্গেস করো।আর যদি কোন ইনফরমেশন পেয়ে থাকে তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলো।

তানুঃ ঠিক আছে, স্যার।

তানু চলে যায় তখনই আকাশ টিভিতে কিছুক্ষণ আগে কলেজে ঘটে যাওয়া কাহিনি গুলো টিভিতে দেখাচ্ছে। পুলিশ এই ব্যপারে কোন তথ্য দিতে পারছে না কারণ কে বা কারা ওদের মেরেছে এর কোন প্রমাণ নেই আর ওরা দাবি করছে শহরে নতুন কোন গ্যাঙ্গ এসেছে আর তারাই হয়তো এসব করছে।কিন্তু এই নিয়ে আকাশের কোন মাথা ব্যথা নেই।কিছুক্ষণ পর তানু আসে আর আকাশকে বলে।

তানুঃ স্যার,ওনাদের সাথে কন্টাক্ট হয়েছে ওদের নাকি কলেজের দারোয়ান নাকি এসব সাপ্লাই করে আর ওনিই বলতে পারবে কে এই কাজ গুলো করছে,এখন ওনাকে কি ধরতে বলবো।

আকাশঃ না,আমিই ওনার উপর নজর রাখবো।

তানুঃ ঠিক আছে,স্যার আমি তাহলে ওনাকে বলে দিচ্ছি।

আকাশঃ ঠিক আছে।

আর এই দিকে ইরা বাড়িতে গিয়ে ভাবতে থাকে আজকে হঠাৎ করে আকাশকে মারতে গেলে কে বা কারা ওদের মারলো,আচ্ছা এসবের পিঁছনে আকাশের হাত নেই তো। কিন্তু আকাশ তো এখানে নতুন তেমন কাউকেই তো ছিনে না।উপ কিছুই মাথায় ডুকছে না।

আর এই দিকে আকাশ পরের দিন সকালে কলেজে গিয়ে দারোয়ানের উপর নজর রাখে আর দেখে দারোয়ান কলেজের পিঁছনে একটা রুম আছে ওই রুমের ভিতরে গেল আকাশ ও পিঁছু পিঁছু ওই রুমে গেল কিন্তু আকাশ ওখানে গিয়ে কাউকে দেখতে পেল না,এটাই আচার্য বিষয় হলো রুম থেকে বের হওয়ার জন্য একটাই দরজা তাহলে দারোয়ান রুমে ডুকে কোথায় হাওয়া হয়ে গেলো, আকাশ তো মহা চিন্তায় পড়ে গেল তখন আকাশ একটা শব্দ শুনতে পায়। আর দেখে দেয়াল দুইভাগ হচ্ছে আর ওর ভিতর থেকে দারোয়ান একটা ব্যাগ নিয়ে বের হচ্ছে আর দেখেই বুঝা যাচ্ছে ওটাকে ড্রাগ্স আছে।আকাশ শুধু দেখতে থাকলো দারোয়ান কি করে, দারোয়ান বের হয়ে ওই রুমে একটা সুইচের মধ্যে চাপ দেয় আর দেয়াল আবার মিলে যায়।আর দারোয়ান রুম থেকে বের হয়ে যায়।তখনই আকাশ একটু আড়াল হয়ে যায়।আর কন্ট্রোল রুমে ফোন করে বলে আকাশ এখন কোথায় কোথায় যাচ্ছে তার ইনফরমেশন যেন আকাশকে জানায়।আকাশও সুইস অন করে ভিতরে প্রবেশ করে আর একটা পথ দেখতে পায়।সেই পথ ধরে আকাশ হাঁটতে থাকে আর ওই পথটা একটা পাহাড়ের গুহার সামনে এসে শেষ হয়,তবে গুহাটা কলেজ থেকে অনেক দূরে। আকাশ আবার গুহার পথ ধরে ওই রুমে আসে আর বের হয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।আর ওই রুমে দুটো সুইস একটা রুমের বাহিরে আর ভিতরে।আকাশ ওই দিন ক্লাস না করে অফিসে চলে আসলো আর ফোন করে দারোয়ানকে দরে নিয়ে আসতে বলে।আর বিকালে আকাশের মিটিং আছে।
সেজন্য আকাশ মিটিং করতে গেলো কেননা আকাশ আজকে যাদের সাথে মিটিং করবে তাদের কাউকে আকাশ চিনে না।আর আজকেই ওদের সাথে কথা বলবে ভিবিন্ন কাজ নিয়ে,সেজন্য আকাশ মিটিং রুমে যায় আর ওখানে বিভিন্ন নেতা এবং ব্যবসায়ি রয়েছে ওনাদের সাথে কথা বলে আর সব কিছু ঠিক আরে আকাশ চলে আসে।
বাড়িতে এসে রেস্ট নেয়। আর আজকের মিটিং ব্যপারে আকাশ ওর আব্বুকে বলে।
আর রাতে আকাশ ডিনার করে নিজের রুমে গিয়ে ভাবতে থাকে তখনই রাসেদ ফোন করে জানায়

RASHED—-দারোয়ান নাকি জানে না কে ওকে এই গুলো দেয় দারোয়ান শুধু মাএ পাহাড়ের ওখান থেকে ব্যাগটা নিয়ে আসে আর আমরা জানতে ফেরেছি ওই ব্যাগটা নাকি পরবর্তীতে শুক্রবার দিয়ে যাবে।সেজন্য আমরা ওই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।আর ওই দিনই ওদের বসের কাছে যেতে পারবো।

আকাশঃ ঠিক আছে।বলে আকাশ ঘুমিয়ে পড়ে।

পরেরদিন সকাল বেলা কলেজ যায় আর ইরার সাথে দেখা হয় দেখে ইরা ওর বান্ধবীর সাথে বসে আছে।তখনই ইরার বান্ধবী শাহিনা বলে উঠে…..

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here