??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,পর্বঃ ০৫

0
2567

??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,পর্বঃ ০৫
লেখক :Farvez Hosen Akash

তখনই ইরার বান্ধবী শাহিনা বলে উঠে আরেহ দুলাভাই কখন এলেন।এই বলাতে ইরা শাহিনাকে ইশারায় বলে চুপ করে থাকতে বলে।আর শাহিনাও চুপ হয়ে গেলো।

আকাশঃ আমি কার দুলাভাই।

ইরাঃ আরেহ,কারোর না তো ও তো মজা করে বলেছে।

যদিও আকাশ ঠিকই বুঝতে ফেরেছে ইরা আকাশকে ভালোবাসে কিন্তু বলতে চাইছে না,কিন্তু আকাশ যে আজকের পর আর কলেজ আসবে না। সেজন্য ইরার সাথে আর কথা ও হবে না।

আকাশঃ ক্লাস না করে এভাবে বসে আছো কেন।

শাহিনাঃ এমনিতে,ভাইয়া।

আকাশঃ তোমাদের একটা কথা বলতে এসেছি।

ইরাঃ কি কথা।

আকাশঃ কাল থেকে আর কলেজ আসবো না।

ইরাঃ কেন, আসবেন না।
(কথাটা বলে মুখটা কালো করে ফেললো)

আকাশঃ আমি যে কাজের জন্য এসেছি ওই গুলো করা শেষ সেজন্য।

ইরাঃ মানে।

আকাশঃ মানে,এত কিছু জানি না কাল থেকে আর কলেজ আসবো না,সেজন্য তোমাদের জানানোর জন্য এসেছি আর ক্লাস করেই চলে যাবো।
বলে আকাশ ক্লাস করতে চলে গেলো।আর এই দিকে ইরার মনে ঝড় শুরু হয়ে গেল,কেননা যাকে ইরা ভালোবাসে তাকে ভালোবাসি কথাটা ও বলতে পারবো না।

শাহিনাঃ ইরা কি ভাবছিস,আকাশ ভাইয়াকে তোর মনের কথাটা বলে দে।

কলিঃ হ্যাঁ,ইরা ওটাই কর নয়তো দেরি হয়ে যাবে।

সেজন্য ইরা দেরি না করে আকাশের কাছে যায় আর আকাশকে ক্লাস রুম থেকে বের করে আনে আর সবার সামনে আকাশকে প্রোপোজ করে,যদিও আকাশ এটাই চেয়েছিলো যে ইরা ওর মনের কথা আকাশকে বলুক কিন্তু এভাবে যে বলবে আকাশ তা কল্পনাও করতে পারে নি।আকাশ ও হাঁসি মুখে ইরার প্রোপোজ গ্রহণ করে আর এটা দেখে ইরার বান্ধবীরা অনেক খুশি।আকাশ ইরাকে জড়িয়ে ধরলো।এরপর আকাশ ওখান থেকে ইরাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, কেননা আজকে আকাশ ইরাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরবে,সেজন্য আকাশ আজকের সারাদিন ইরার সাথে কাঁটালো আর সন্ধার আগেই ইরাকে বাড়িতে পৌঁছে দিলো।যাওযার আহে ইরার কপালে একটা কিস দিলো,আর ইরা লজ্জা পেয়ে দৌঁড়ে বাসার ভিতরে চলে গেলো আর আকাশ দেরি না করে ওখান থেকে চলে আসলো।আকাশ ওদের বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলো আর কালকে ড্রাগ্স বিক্রি করার লোক গুলোকে হাতে নাতে ধরতে হবে সেজন্য রাসেদ কে বলে যত লোক লাগবে নিয়ে যেতে তবুও ওদের মেইন লিডারের যেন নামটা জানা যায়।আর রাসেদের সাথে অনেক কথা বলে আকাশ, ঘুমিয়ে পড়ে।আজ শুক্রুবার সেজন্য অফিস বন্ধ আর আকাশ ইরাকে ফোন দেয় কেননা আজকে ওরা ঘুরতে যাবে সেজন্য ইরা কে শাড়ি পড়তে বলে আর শাড়ির উপর বোরকা পড়তেও বলে।আর সকাল ১০ টার সময় আকাশ ইরাকে নিতে ওদের বাড়ির সামনে আসবে।ইরা তাই করলো ১০ টার সময় রেডি হয়ে থাকলো আর আকাশ ঠিক ১০ টার সময় রেডি একটা সি.এন.জি নিয়ে ইরাদের বাড়ির সামনে এসে হাজির,আর ইরাকে ফোন করে ইরা বাড়িতে থেকে বের হয় একটা কালো বোরকা আর আর হাত আর পায়ে মুজা।দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে একদম রাজকন্যার মত। আকাশ ইরার হাত ধরে সি.এন.জি উঠাতে গেলে ইরা মানা করে।

আকাশঃ কি হলো, উঠবে না।

ইরাঃ আমি রিকসায় করে যাবো।

আকাশঃ আচ্ছা আমি রিকশা ডেকে আনছি।

এই দিকে আকাশ খোঁজার পর একটা রিক্সার নিয়ে এলো আর আর ইরাকে উঠতে বলে কিন্তু ইরা উঠছে না।

আকাশঃ কি হলো উঠো।

ইরাঃ তুমি কি জানো না রিক্সার কোন মেয়েকে কিভাবে উঠাতে হয়।

আকাশঃ এই রে,আগে তো কখনো উঠিনি আর এই শহরে তো রিকসা পাওয়াও যায় না।

ইরাঃ সেজন্যই তো আমরা রিক্সায় করে যাবো।এভার তুমি রিক্সা থেকে নামবে আর আমার হাত ধরে আমাকে উঠাবে তারপর তুমি উঠবে।

আকাশঃ ঠিক আছে।

আকাশ রিক্সা থেকে নেমে গেল আর ইরাকে রিক্সায় উঠালো আর নিজেও উঠলো।এরপর রিক্সা তার গতিতে চলতে থাকলো আর পিঁছনে আকাশ আর ইরার খুঁনসুটি চালু হয়ে গেল।আর ওরা একে অপরকে ধরে রেখেছে ছেড়ে দিলে মনে হয় দুজনই পড়ে যাবে।আর এই দিকে ওদের কয়েকটা গাড়ি ফলো করতে থাকে কিন্তু কারা ফলো করছে তা বলার দরকার নেই আস্তে আস্তে সব জানতে পারবেন।এভার দুপুর হয়ে এলো ওদের তো লান্চ করতে হবে সেজন্য ওরা রিক্সা বিদায় দিয়ে রেস্টুরেন্টে ডুকলো আর তখন ওরা নিজের জন্য আলাদা কেবিন নিলো আর ওখানে ইরাকে বোরকা খুলতে বলে আর ইরাও বোরকা খুলে ফ্রেশ হতে গেল আর ওয়েটার এরই মধ্যে খাবার দিয়ে গেলো।আকাশ খাবার গুলো রেখে দেয় আর ইরার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ১০ মিনিট পর ইরা আসে আকাশ তো ইরাকে দেখে অবাক কেননা ইরাকে দেখতে একদম পরির মত লাগছে, গায়ে নিল শাড়ি,নিল চুড়ি দেখতে অসাধারণ।

ইরাঃ এভাবে দেখতেই থাকবে না খাবে।

আকাশঃ ওহ,হ্যাঁ।

এরপর ওরা খেতে বসে যায় আর আকাশ ইরাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর ইরা আকাশকে, এভাবে ওদের খাওয়া শেষ হয় আর ইরা বোরকা পড়ে নেয় আর আকাশ খাবারের বিল ফ্লে করে ওখান থেকে বেরিয়ে আসে। আর ওরা বিভিন্ন পার্কে ঘুরতে যায় আর বিকালে দিকে আকাশ ইরাকে ওদের বাসার সামনে নিয়ে আসে। আর ইরা বাসায় দিকে যেতে গেলেই আকাশ ইরাকে টান দিয়ে নিজের সাথে চেপে ধরে আর ইরার কপালে ছোট্ট একটা চুমু দেয় আর ইরা লজ্জা ফেয়ে দৌড়ে বাসার ভিতর চলে যায়।আর এই দিকে আকাশ বাসায় চলে আসে আর কিছুক্ষণ রেস্ট নেয়,তখনই আকাশের ফোনে একটা কল আসে আর আকাশ তাকিয়ে দেখে রাসেদ ফোন দিয়ে।

আকাশঃ হ্যাঁ,বলো।

রাসেদঃ স্যার,আমরা সবাইকে হাতে নাতে ধরেছি আর ওদের লিডারের নামও জানতে ফেরেছি।

আকাশঃ কি নাম ওদের লিডারের।

রাসেদঃ আফজাল হোসেন।

আকাশঃ কিহ,ওনি তো বিরোধী দলের একজন নেতা।

রাসেদঃ সেজন্য আমি ওনাকে গ্রেপ্তার করতে পারছি না,আর ওনাকে গ্রেপ্তার করতে হলে আরো উপযুক্ত প্রমাণ লাগবে।

আকাশঃ কিন্তু এই প্রমাণ গুলো কি উপযুক্ত নয়।

রাসেদঃ কিন্তু,স্যার এই মামলায় তো ওনি সহজে বের হয়ে যাবেন আর আমাকেও মেরে ফেলতে পারেন।

আকাশঃ ঠিক আছে,ব্যপারটা আমি দেখছি।

রাসেদঃ ওকে, স্যার।

আকাশ কল কেঁটে রেখে দেয় আর ভাবে আফজাল হোসেন ওনাকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায় তখনই আকাশ, তানুকে ফোন করে আর বলে কালকে যেন আফজাল হোসেনকে অফিসে থাকে ওনাকে ফোন করে বলে দাও।

আকাশ রাতে ডিনার করে ইরার সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে পড়ে।আর সকালে রেডি হয়ে সিকিউরিটি নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়ে।আর অফিসে এসেই নিজের কেবিনে চলে যায় আর কাজ করতে থাকে।আর তখনই তানু বলে।

তানুঃ স্যার,আফজাল সাহেব চলে এসেছে।

আকাশঃ ঠিক আছে, ওনাকে ভিতরে আসতে বলো আর তোমরা সবাই বাহিরে যাও।

তানু রুমে আরো কিছু সিকিউরিটি ছিলো ওদের নিয়ে বাহিরে যায় আর আফজাল হোসেন ভিতরে আসে আর আকাশের অনুমতি নিয়ে চেয়ারে বসে পড়ে।

আফজাল ঃ স্যার, আমার কি সৌভাগ্য আপনি আমাকে ডেকেছেন।

আকাশঃ আপনাকে আমি এখানে যে কারণে ডেকেছি।

আকাশ ডয়ার থেকে কয়েকটা ছবি বের করে আফজাল কে দেখায় আর বলে এই লোক গুলোকে চিনেন।ছবি গুলো দেখে আফজাল হোসেন দেখে কপাল থেকে গাম বের হবার অবস্থা।

আফজাল ঃ না, স্যার আমি এদের চিনি না,কে এরা।

আকাশঃ আমি জানি আপনি ওদের চিনেন কিন্তু বলবেন না আর আপনি যে ওদের সাথে জড়িত তা আমি ভালো করে জানি আর আপনি এই ব্যবসা ছেড়ে দিবেন নয়তো আপনাকে জেলে ডুকতে বাধ্য হবো বুঝতেই পারছেন।

আফজাল ঃ তা কিন্তু আপনার জন্য ভালো হবে না আপনি জানেন আমার ক্ষমতা কতটুকু।

আকাশঃ ও তাই, আমি নিশ্চয়ই ভুলে গেছেন আমি আসলে কে আর আমি চাইলে আপনার অফিসে ডুকে আপনাকে মেরে ফেললেও কেউ আমাকে কিছু বলতে পারবে না।

আফজাল ঃ আমি ও কম না আর সামান্য প্রমাণে আমি যে এই কাজের সাথে যুক্ত তা প্রমাণ হয় না।সেজন্য আমার পথ থেকে সরে দাঁড়ান নয়তো ভালো হবে না।

আকাশঃ আমি আজই আপনাকে পার্টি থেকে বরখাস্ত করে দিলাম এবার দেখি আপনার ক্ষমতা কত টুকু।

আফজাল ঃ আমি দেখবো আর তা হলে আপনার জন্য ও ভালো হবে না।

বলে আফজাল হোসেন বের হয়ে যায় আর আকাশ অাফজাল কে পার্টি থেকে বের করার সব কিছু রেডি করে সাইন করে তা পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দেয়।আর পার্টি অফিস ও আর আকাশের কথা মতো ওনাকে বের করে দিলো আর আকাশ যেখানে একটা দেশের প্রধান সেখানে আকাশের কথাই তো শেষ কথা হবে এটাই স্বাভাবিক।

আকাশ আর অফিসে না থেকে বাসায় গেলো,কেননা দুপুর হয়ে এলো আর আকাশ বাহিরের খাবার পছন্দ করে না।আকাশ সিকিউরিটি নিয়ে বাড়িতে আসে। আর ফ্রেশ হয়ে খাবার খায়।আর আজকে আফজাল সাহেবের ব্যপারে আকাশ ওর আব্বুকে বলে আর আকাশের আব্বুও কিছু বললো না, কেননা ওনি জানে আকাশ কারণ ছাড়া কিছুই করে না।সেজন্য আকাশ বেরিয়ে পড়ে অফিসের উদ্দেশ্য আর অফিসে গিয়ে দেখে……..

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here