??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,পর্বঃ ০৮

0
2720

??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,পর্বঃ ০৮
লেখক :Farvez Hosen Akas

কেননা নিউজটা হচ্ছে আমাদের রাজ্যের (CM) আজ সকাল বেলায় গাড়ি এক্সিডেন্ট করে আর কেউ ইচ্ছে করে এই এক্সিডেন্ট করিয়েছে কিনা তা এখনো পরিষ্কার জানা যায় নি এখন হসপিটালের ICU তে ভর্তি আছে,ওনার অবস্থা খুবই খারাপ,আর উনি বাঁজবে কিনা ৪৮ ঘন্টা যাওয়া ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।
নিউজটা দেখার সাথে ইরা কাঁন্না করে দিলো, কেননা টিভিতে আকাশের ছবি দেখে বুঝতে ফেরেছিলো আকাশ ওদের রাজ্যের (CM).কিন্তু ইরা কি করবে সকাল বেলা ইরা আকাশকে অনেক বাজে কথা শুনিয়েছিলো যার কারণে আজ আকাশের এই অবস্থা।
।।।।
।।।।।
এখন হয়তো ভাবছেন রাত পর্যন্ত তো ঠিকই ছিলো ওরা দুজনে তাহলে সকালে কি এমন ঘঠনা ঘঠলো যে ইরা আকাশকে কি এমন কথা বলেছিলো যার কারণে আকাশ এর এই অবস্থা, এখন যদি বলে দেই তাহলে নায়কে আবার বলতে হবে। সেজন্য ভাবছি নায়ককে যখন বলবো তখন আপনারা শুনে নিবেন। কেননা এক কথা দুইবার বলাটা ঠিক হবে না।
।।।।
।।।।।
ইরা কান্না দেখে ইরার বাবা-মা দুজনেই দোঁড়ে আসে আর টিভিতে নিউজটা দেখে ওনারাও চমকে উঠে।

ইরার আম্মুঃ কিরে ইরা তুই এভাবে কাঁদছিস কেন আর আকাশের কি হয়েছে।

ইরার আব্বুঃ হ্যাঁ,ঠিক তো আর আকাশকে কেন টিভিতে দেখাবে,আর ওর চারপাশে এত লোকজন আন এত পুলিশ কি করছে।

ইরাঃ এসব আমার জন্য হয়েছে আমি আমার আকাশকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।

ইরার আম্মুঃ কি বলছিস এগুলো কাল রাত পর্যন্ত তো তোরা ঠিকই ছিলি তাহলে সকাল থেকে কি হয়েছে তোদের মাঝে।

ইরার আব্বুঃ হ্যাঁ,বল মা।

এরপর ইরা ওর বাবা -মা কে সকালে ঘটে যাওয়া গঠনা গুলো বলতে লাগলো।
।।।।
।।।।।।
গঠনা গুলো আপনাদের এখনো অজানা থাক,পরে আকাশ যদি বেঁচে থাকে তাহলে জানতে পারবেন।
।।।।।।
।।।।।।।।
ইরার আম্মুঃ দেখ মা তোর হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে।

ইরার আব্বুঃ হ্যাঁ,তুই এখনি হসপিটালে যা আর আকাশের সাথে দেখা কর।

কিন্তু ইরা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না৷কেননা আকাশকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছে ।
সেজন্য ইরা আর দেরি না করে ওর বাবা-মা কে সাথে করে বেরিয়ে পড়ে।আর রাস্তায় আটকে পড়ে কেননা আকাশের এই এক্সিডেন্ট হওয়ার পর পুরো রাজ্যে অনেক সমস্যা হয়ে পড়ছে।পুরো রাস্তায় চেকপোস্ট যার জন্য ওরা যেতে একটু লেট হচ্ছে, তবুও অনেক সময়ের পর ওনারা হসপিটালে এসে পোঁছায়। কিন্তু ভিতরে কোন কিছুর বিনিময়ে ওনারা যেতে পারছে না।কেননা আকাশ যতদিন পর্যন্ত এই হসপিটালে থাকবে ততদিন পর্যন্ত হসপিটালে রোগী আর রোগীর আত্নীয় ছাড়া আর কাউকে ডুকতে দিবে না।ইরা অনেক হাত জোর করে বললো তারপর ও পুলিশ ওদের ডুকতে দিচ্ছে না।ঠিক তখনই,

ইরার আম্মুঃ আচ্ছা ওই দিন আকাশের বন্ধু একটা এসেছিলো ও হয়তো ভিতরে থাকতে পারে। ওকে একটা ফোন কর।

ইরা আর দেরি না করে ব্যাগ থেকে ফোন বের করে পাভেলকে ফোন করে।

ইরাঃ হ্যালো,পাভেল ভাইয়া।

পাভেলঃ হ্যাঁ,কে বলছেন।

ইরাঃ আমি ইরা বলছি।

পাভেলঃ কোন ইরা।

ইরাঃ আরেহ,ওই দিন আকাশের সাথে আমাদের বাড়িতে এসেছেন না আমি ওই ইরা।

পাভেলঃ আরেহ,ভাবি,কোথায় আপনি। স্যারের অবস্থা অনেক খারাপ।

ইরাঃ আমি হসপিটালের বাহিরে কিন্তু আমাকে তো কেউ ভিতরেই ডুকতে দিচ্ছে না।(বলে কান্না করে দেয়)

পাভেলঃ আরেহ,ভাবি আপনি কান্না করবেন না, আমি ৫ মিনিটের মধ্যে নিচে আসছি।

ইরাঃ ওকে,ভাইয়া।

পাভেল ঃ স্যার(আকাশের আব্বু) আমাকে একটু নিচে যেতে হবে।

আকাশের আব্বু ঃ কোন প্রয়োজন আছে।

পাভেলঃ আসলে, স্যার।

আকাশের আব্বু ঃ কি, তাড়াতাড়ি বলো।

পাভেলঃ আসলে, আকাশ স্যার একটা মেয়েকে ভালোবাসে।আর ওই মেয়েটি স্যারের সাথে দেখা করতে এসেছে সেজন্য ওনাকে নিচ থেকে আনতে হবে।আর এ জন্য আমাকে নিচে যেতে হবে।

আকাশের আম্মু ঃ কিহ,আকাশ কাউকে ভালো বাসে আর আমরা জানি না।

পাভেলঃ মেডাম,আসলে আমি গত ৩ দিন হলো ওনি আমাকে বলছেন।

আকাশের আব্বু ঃ তাহলে তাড়াতাড়ি আমার বৌ মাকে নিয়ে এসো।

পাভেলঃ ঠিক আছে, স্যার।

পাভেল ইরাকে আনতে হসপিটালের নিচে লিপ্ট দিয়ে নামতে লাগলো।
আর এই দিকে ইরার কাছে ৫ মিনিট যেন ৫ ঘন্টার মত লাগছে। অবশেষে ইরা পাভেলকে দেখতে পায়।
আর পাভেল নিছে নেমে আসতেই পুলিশ ওকে সেলুট দিচ্ছে।পাভেল হসপিটাল থেকে বের হয়ে ইরার কাছে যায়।

পাভেল ঃ হ্যাঁ,মেডাম চলুন আমার সাথে।

ইরাঃ হ্যাঁ,বলুন।

ইরার সাথে ওর বাবা-মা আসতে লাগলো।আর সবার সামনে পাভেল থাকাতে কোন গার্ড আর ওদের কোন প্রশ্নই করেনি।আর ওনারাও পাভেলের পিঁছু পিঁছু যেতে লাগলো।আর কিছুক্ষণ পর ওনাদের নিয়ে ICU সামনে দাঁড় করিয়ে আকাশের বাবা-মা বেরিয়ে আসে আর ইরার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে।আর ওনাদের সাথে কথা বলার পর ওনারা হসপিটাল থেকে চলে যায় কিন্তু ইরা থেকে যায়।
আর ওনারা ইরাকে আকাশের সাথে দেখা করার জন্য ICU ভিতর নিয়ে যায়।
ইরা দেখে আকাশ একটা জীবন্ত লাশ হয়ে শুয়ে আছে।আর আকাশের এই অবস্থা দেখে ইরা কান্না করে দেয়।কিন্তু ইরা এখন ইচ্ছে করলেও আকাশকে ধরতে পারবে না আর আকাশের এখনো ঞ্জান ও আসেনি।সেজন্য ইরা ওখানে থাকা একটা চেয়ারে বসে রইলো। তখই আকাশের মা জিঙ্গেস করলো।

আকাশের আম্মু ঃ আচ্ছা,ইরা আকাশের সাথে কি তোমার সকালে কোন কথা হয়েছিলো বা ও তোমাকে কিছু বলেছিলো।

ইরাঃ না, আন্টি।
(ইরা মিথ্যে বললো কারণ সত্যি টা এখন বললে ওনা ইরাকে এখান থেকে তাড়িয়ে দিবে সেজন্য)

আকাশের আম্মু ঃ যানি না সকালে কি এমন হয়েছিলো যে আমার ছেলেটা রাগ করে কোন সিকিউরিটি না নিয়েই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো আর এখন এই অবস্থা। (কথাটা বলে কান্না করে দেয়)

এরেই মধ্যে ডক্টর আসলো আকাশকে চেকাপ করলো আর বললো আর দুই দিনে যদি ওনার জ্ঞান না আসে তাহলে আর ওনাকে বাঁচানো যাবে না।

কথাটা শুনে ইরাও অনেক ভেঙ্গে পড়লো কারণ আকাশের এই অবস্থার জন্য ইরাই দায়ি।

এই দিকে ইরা নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না, কেননা ইরা কোন সঠিক তথ্য না জেনেই আকাশকে অনেক হার্ড কথা বলে দিয়েছে,একবার ও জানতে চাইনি আসলে ওই দিন হয়েছেটা কি,আজ আমার জন্য আমার আকাশ মরতে বসেছে,আকাশের কিছু হয়ে গেলে আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না।
এই দিকে ইরা আকাশের কাছে যায় অনেক কান্না করে আকাশকে ধরে,এভাবে ১ দিন পার হয়ে যায় ইরা একদম কিছু খাচ্ছে না কারণ আকাশ আজ যে কষ্ট পাচ্ছে এর জন্য ERA দায়ি।আকাশের আব্বু-আম্মুও ইরাকে অনেক বার খাওয়ার কথা বলছে কিন্তু ইরা বলে দিয়েছে আকাশ যতদিন না পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠবে ততদিন ইরাও খাবেনা।এই দিকে রাত হয়ে গেলে মাঝ রাতে ইরার ঘুম ভেঙ্গে যায় আর দেখে আকাশ কি যেন ইশারা করছে জানালার বাহিরের দিকে,কিন্তু ইরা তাকিয়ে দেখে কেউ নেই।সেজন্য ইর্ আবার ও শুয়ে পড়লো তখনই ইরার মনে পড়লো আরেহ আকাশের তাহরে ঞ্জান এসেছে।তার মানে সপ্ন নয় সত্যি।সেজন্য ইরা দৌঁড়ে যায় আর আকাশকে জড়িয়ে ধরে আর চিৎকার করে ডক্টর দের আসতে বলে,ডক্টর এসে আকাশকে চেকাপ করে।

ইরাঃ ভয়ের কোন কারণ নেই তো।

ডক্টর ঃ এখন তো ঠিক আছে,আর ভালোই হয়েছে ওনার ঞ্জান এসেছে কিন্তু পুরো পুরি সুস্থ হতে ৭ দিনের মত সময় লাগবে।

এই দিকে আকাশের বাবা-মাও এসে হাজির।

আকাশের আব্বু ঃ ভয়ের কোন কারণ নেই তো ডক্টর।

ডক্টর ঃ না, তবে ওনাকে একটু রেস্ট নিতে হবে আর ভালো করে দেখা শুনা করলেই ঠিক হয়ে যাবে।

আকাশের আব্বু ঃওকে, ডক্টর।

আকাশের আম্মু ঃ দেখো ইরা আকাশ তো এখন ঠিক আছে তুমি এভার কিছু খেয়ে নাও নয়তো আকাশ যদি তোমাকে এই অবস্থায় দেখে তাহলে বলবে আমরা ওর বউয়ের ঠিক মত খেয়াল রাখি নি।

বউ কথাটা শুনে ইরা লজ্জা ফেয়ে আকাশের মায়ের বুকে মুখ লুকালো।

আকাশের আম্মু ঃ থাক লজ্জা ফেতে হবে না এবার চলো কিছু খেয়ে নিবে।

আকাশের আম্মু ইরাকে নিয়ে নিয়ে ক্যান্টিনে চলে যায়।আর আকাশের আব্বু আকাশের পাশে রয়ে যায়।

আর একদিকে একজন আকাশের ঞ্জান ফেরার কথা শুনে,
বসঃ না না এই কিছুতে হতে পারে, এভাবে ওহ বেঁচে যেতে পারে না, কাল তোরা ওকে হসপিটালের মারতে গিয়েছিলি তাহলে ওহ বেঁচে গেলো কিভাবে।

লোকগুলো ঃ বিশ্বাস করেন, স্যার আমরা গিয়েছি কিন্তু ওই রুমে একটা মেয়ে আমাদের ছায়া দেখে ফেলে আর সেজন্য আমরা চলে এসেছি।

বসঃ তাই বলে তোরা না মেরেই চলে এসেছিস।

লোকগুলো ঃ কি করবো বস,মেয়েটা দেখার সাথে চিৎকার করে উঠলো আর ওখানে থাকা সবাই এল্যাট হয়ে গেলো।

বসঃ মেয়েটা কি তোদের দেখেছিলো।

লোকগুলো ঃ না বস, কেননা ওই সময়ই আকাশের ঞ্জান এসেছে সেজন্য মনে হয় বলতে পারে নি।

বসঃ ঠিক আছে তোরা এখন যা।

লোকগুলো ঃ ওকে বস।

ইরার নাস্তা করে এসে আকাশের পাশে বসে, আজ আকাশকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে আর বাকি চিকিৎসা ওখানেই হবে,সেজন্য আকাশকে ফুল সিকিউরিটি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলো আর আকাশকে ওর বিছানায় শুয়ে দিলো।আর দেখাশুনা করার জন্য ১ জন ডক্টর, আর ১ জন নার্স,আর ইরা ও থেকে যায়।কেননা ইরা না বুঝেই আকাশকে অনেক বড় ব্যথা দিয়ে দিলো।
এভাবে আকাশের দেখা শুনা করতে লাগলো আর ১ সপ্তাহ হয়ে এলো আর আকাশ এখন পুরোপুরি সুস্থ।

আকাশঃ আপনারা সবাই বাহিরে যান, ইরার সাথে আমার কিছু কথা আছে।

আকাশের আম্মু ঃ ঠিক আছে তোরা কথা বল আমরা বাহিরে যাচ্ছি আর ডক্টর আর নার্সকে এভার চলে যেতে বলি।

আকাশঃ ঠিক আছে।

আর এই দিকে ইরার মনে ভিতর অনেক ঝড় তুফান শুরু হয়ে গেলো কেননা ইরা ভালো করেই জানে আকাশ কেন ইরা ছাড়া আর সবাইকে বাহিরে যেতে বলছে।
সবাই বাহিরে যাওয়ার পর।
আকাশ ইরাকে দুই হাত দিয়ে চেপে দরে আর বলে

তোমার সাহস কি হয় আমাকে এই সব বাজে কথা বলার।

ইরাঃ আমার লাগছে।

আকাশঃ লাগুক,তখন মনে ছিলো না কথাটা শুনার পর আমার হবে।

ইরাঃ সত্যি আমি বুঝতে পারি নি।

তাহলে বলো ওই দিন কি হয়েছিলো যার জন্য তুমি আমাকে এত কথা বলেছিলে।

ইরাঃ তাহলে শুনুন,ওই দিন সকালে………

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here