??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,পর্বঃ ০৯(শেষ)

0
3568

??ছদ্দবেশি CM যখন কলেজ ছাএ??,পর্বঃ ০৯(শেষ)
লেখক :Farvez Hosen Akash

ইরাঃ তাহলে শুনুন,ওই দিন সকালে আমি বাসা থেকে বের হতেই একটা পার্সেল দেখতে পাই আর ওই পার্সেলের ভিতর, আমি কিছু ছবি দেখতে পাই আর ওই ছবিতে আমি আপনাকে একটা মেয়ের সাথে দেখি।ছবিতে আপনি মেয়েটার খুব কাছাকাছি ছিলেন আর দেখে মনে হচ্ছে আপনারা একজন আরেকজনকে কিস করছেন।আর সাথে একটা চিরকুট ও পাই।

আকাশঃ ছবি গুলো দেখি।

তখন ইরা ওর হেন্ড ব্যাগ থেকে ছবি গুলো বের করে আকাশকে দেখায়।আর ছবিটা দেখে আকাশ মেয়েটাকে ঠিকিই চিন্তে পেরেছে।

আকাশঃ দেখ ইরা তুমি যেটা এখানে দেখলে আসলে তা নয় এখানে ওর চোঁখে কি যেন পড়েছিলো সেজন্য আমি দেখছিলাম কিছু আছে কিনা।

ইরাঃ তাহলে এই চিরকুটের মধ্যে যে লেখা গুলো আছে ওই লেখা গুলো।

আকাশঃ দেখাও তো চিরকুটটা।

তখন ইরা ওর ব্যাগ থেকে চিরকুটটা বের করে আকাশের হাতে দেয়।নাও তুমিই পড়ো।আকাশ ইরার হাত থেকে চিরকুট টা নিলো আর পড়তে থাকলো।

এভার চলুন চিরকুটের লেখাটা পড়ে নি।

।।।।
।।।।।
ইরা
জানি না তুমি আকাশকে কতটুকু ভালোবাসো,কিন্তু আকাশ তার থেকে আমাকে বেশি ভালোবাসে।সেজন্য ভালো হবে আমাদের দুজনের মাঝখান থেকে তুমি সরে যাও,হয়তো ভাবছো আমি মিথ্যে বলছি তাহলে পার্সেলের ভিতর কিছু ছবি পাঠিয়েছি ওই গুলো দেখলেই বুঝতে পারবে আকাশ আমায় কতটা ভালো বাসে সেজন্য তুমি আমাদের মধ্যে আসবে না।
ইতি,
আকাশের ভালোবাসা
।।।।।
।।।।।।।
এখন আকাশের কাছে ক্লিয়ার তাহলে রোজা তাহলে এই কাজটা করেছে,

আমি তো এই রোজাকে ছাড়বো না।

ইরাঃ না আকাশ এমনটা করবে না,আমি তোমাকে না জিঙ্গেস করেই অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি,প্লিজ আমাকে মাপ করে দাও।

আকাশঃ আরেহ,পাগলি আমি কি তোমার উপর রাগ করতে পারি।

ইরাঃ সত্যি,তুমি রাগ করে নেই তো।

আকাশঃ হ্যাঁ,সত্যি।

ইরাঃ আচ্ছা তুমি এক্সিডেন করলে কিভাবে।

আকাশঃ আসলে আমি ওই দিন অনেক জোরে গাড়ি চালিয়ে আসছিলাম,আর গাড়ির ব্রেক কাজ করছিলো না,সেজন্য গাড়ি কন্টোল হারিয়ে ফেলি।

ইরাঃ আর কখনো এমনটা করবে না।

আকাশঃ তাহলে প্রমিছ করো আর কখনো আমার ভুল বুঝবে না।

ইরাঃ কখনো না।

বলে দুজনেই হেঁসে দিলো আর একজন আরেকজনকে জড়িয়ে দরলো।

ইরাঃ এত ভালো বাসো আমায়।

আকাশঃ হ্যাঁ,অনেক।

ইরা ওদের বাড়ি থেকে চলে আসলো,এখন আর আকাশ কলেজে ক্লাস করতে যায় না,শুধু ইরাকে কলেজে পৌঁছে দেয় আর নিয়ে আসে।এভাবে চলতে থাকে ওদের দেখাশুনা,আর এইদিকে আকাশ ওর অফিসেও কাজ করতে থাকে।এভাবে আকাশ প্রতিদিন কলেজ আসে।আর কলেজের সব সমস্যা সমাধান করে দেয়,এখন আর কলেজে কোন সমস্যা হয় না।কারণ এখন সবাই আকাশের পরিচয় জেনে গেছে সেজন্য আকাশ এখন কলেজে আসলে সবাই ভয় পায়।আকাশ কোন খারাপ লোককেই এখন আর ছেড়ে দেয় না।
এভাবে ইরার পরিক্ষা চলে আসে আর আকাশ এখন ইরার প্রতি কেয়ার আরো বেশি দেয়।আর এই দিকে রোজার কোন খোঁজ পাচ্ছে না আকাশ,কেননা ওই দিনের পর থেকে আকাশ অনেক ট্রাই করে কিন্তু কোন খোঁজ পাচ্ছে না।এভাবে ভাবে পরিক্ষা দিচ্ছে আর ১ মাসের ভিতরেও ইরার পরিক্ষা শেষ হয়ে যায়।আর পরিক্ষা শেষ হওয়াতে আকাশের পরিবার আর ইরার পরিবারের সবাই মিলে ওদের বিয়ে দিন ঠিক করে।কেননা ওনারা চাচ্ছেন যত তাড়াতাড়ি ওদের বিয়ে দিয়ে দিতে।এভাবে ওদের বিয়ের দিন ঠিক করে। আর আকাশের বাড়িতে সব কিছুর এরেন্জ মেন্ট করা হয়, আর গায়ে হলুদ এবং কি সব কিছুর শেষ।
কাল ওদের বিয়ে সেজন্য বাড়িটা আরো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
আর এই দিকে আকাশ বসে আছে আর কাজি সাহেব বিয়ে পড়াচ্ছেন, হঠাৎ বাড়ির ভিতর থেকে ইরার বান্ধবী এসে বললো কারা নাকি ইরাকে তুলে নিয়ে গেছে।একথা শুনে আকাশের মাথা খারাপ হয়ে যায়।আর ভুলটা আকাশেরই কারণ আকাশ আজকে সিকিউরিটি একদম কমিয়ে দিয়ে যার জন্য আজকে ইরাকে কেউ নিয়ে গেছে।কিন্তু কে কিডন্যাপ করতে পারে ইরাকে।

আকাশের আব্বু ঃ এখানে থাকা সব সিকিউরিটি বলে যেখান থেকে পারো আমার বৌ মাকে নিয়ে এসো।

আকাশের আব্বুর কথা শুনে সব সিকিউরিটি আর পুলিশ বেরিয়ে পড়লো গাড়ি নিয়ে আর শহরের সব চেক পোস্টে ভালো করে নজর রাখতে বলে।কিন্তু ২ ঘন্টা হয়ে গেলো কোন খবরই পাচ্ছে না আকাশ ও তার পরিবার,আর এই দিকে ইরার বাবা-মা ও অনেক টেনশনে আছে।

ইরার আম্মুঃ যেখান থেকে পারো আমার মেয়েকে নিয়ে এসো।

ইরার আব্বুঃ ঃ দেখ ওনারা তো খুঁজতেছে দেখবে ঠিকই ফেয়ে যাবে।

কিন্তু হঠাৎ আকাশের মনে পড়ে রিং য়ের কথা যেটা আকাশ ইরাকে ওর জন্মদিনে দিয়েছিলো, সেজন্য আকাশ আর দেরি না করে ওর রুমে গিয়ে I-Pad বের করে রিংটার লোকেশন জানার চেষ্টা করে আর লোকেশন ফেয়ে যায়,আর লোকেশন দেখাচ্ছে শহরের বাহিরে একটা জঙ্গলে,সেজন্য আকাশ দেরি না করে পাভেল কে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে আর যাওয়ার আগে একটা কথা বলে যায় যেভাবেই হোক আমি ইরাকে পিরিয়ে আনবোই।আকাশ দেরি না করে বেড়িয়ে পড়ে গাড়ি নিয়ে আর এই দিকে রাস্তায় অনেক জ্যাম সেজন্য আকাশের অনেক অস্থির লাগছে কেননা ইরাকে যত তাড়াতাড়ি উদ্ধার করতে হবে, সেজন্য আকাশ পাভেলকে বলে তাড়াতাড়ি রাস্তা ক্লিয়ার করতে, সেজন্য পাভেল বেরিয়ে পড়ে আর পুলিশের কাছে যায় আর নিজের পরিচয় দিয়ে পুলিশের সাহায্য নিয়ে, কোন গাড়িকে চেক না করেই সব গুলো গাড়িকে যেতে দেয়। এতে করে রাস্তা অনেকটা ক্লিয়ার হয় আর পাভেল এসে গাড়িতে বসে আর আকাশ গাড়ি স্ট্রাট দেয়, আকাশের পিঁছু পিঁছু এখন ৫ টা পুলিশের গাড়ি আসছে।এই দিকে ১ ঘন্টার পর আকাশ ওই জায়গায় পৌঁছায়।আর সমস্ত পুলিশকে বলে পুরো বাড়ি ঘিরে নিতে, আকাশ আর পাভেল বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে আর ভিতরে প্রবেশ করেই আকাশ কেননা আফজাল হোসেন আর রোজা একসাথে বসে আছে।

আকাশঃ রোজা তুই, তোর সাহস কি করে হয় ইরাকে তুলে আনার।

রোজাঃ তার আগে বল তুই আমাদের লোকেশন কিভাবে ফেলি।

আকাশঃ সেটা পরে জানতে পারবি,আর আফজাল হোসেন ওনি এখানে কেন।

রোজাঃ কারণ ওনি আমার বাবা।

আকাশঃ তাহলে বাবা -মেয়ে মিলে তাহলে কিডন্যাপিং করিছ।

রোজাঃ বিশ্বাস করো আকাশ আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালো বাসি।

আকাশঃ এসব বলে এখন লাভ নেই,ইরা কোথায়।

আফজাল হোসেন ঃ আগে রোজাকে বিয়ে করতে হবে তাহলে ইরাকে ফিরে পাবি।

আকাশঃ বলবেন কিনা বলেন,নয় তো বেঁচে ফিরতে পারবেন না।

আফজাল হোসেন ঃ তাই তাকি।

একথা বলে আফজাল হোসেন ওনার লোকদের আকাশের উপর হামলা করতে বলে আর ওরাও তাই করতে আসছিলো কিন্তু পুলিশ এসে ওদের চারপাশে ঘিরে দরলো।সেজন্য আফজাল হোসেন পুলিশের হাত থেকে বন্দুক নিয়ে আকাশকে গুলি করে আর রোজা আকাশের সামনে চলে আসে আর গুলি এসে রোজার বুকে লাগে আর রোজা নিচে পড়ে যায়।

আর পুলিশ গিয়ে আফজাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

আর এই দিকে আকাশ রোজাকে বলে।

আকাশঃ এই তুই কি করলি রোজা।

রোজাঃ আমি তোকে সত্যি কারে ভালো বেসেছি আর আমি বেঁচে থাকতে আমার ভালোবাসার মানুষটাকে কেউ মারতে পারবে না কথাটা বলে রোজা মারা যায়।

তা দেখে আকাশ কিছুক্ষণ রোজাকে ধরে কান্না করে।আর এর মধ্যে পাভেল ইরাকে খুঁজে বের করে, আর ইরা আকাশের সামনে এসে দেখে আকাশ রোজার মৃত দেহ নিয়ে কান্না করছে।

ইরাঃ তুমি কাঁদছো কেন।আর একে কে গুলি করলো।

আকাশঃ আমাকে বাঁচাতে গিয়ে রোজা নিজের জীবনটা দিয়ে দিলো।

একথা শুনে ইরা ও কান্না করে দিলো।কেননা আজ রোজা না থাকলে আকাশ বেঁচে থাকতো না।
আর এই দিকে রোজাকে কবরে দাপন করে আকাশ আর কিছু সিকিউরিটি মিলে।

আর আফজাল হোসেন পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে ইনকাউন্টারে মারা যায়।

আর দিকে আকাশ ইরাকে নিয়ে আবার ওদের বাড়িতে আসে আর আকাশ আর ইরাকে দেখে সবাই খুশি।আর ইরাকে আবার নতুন করে বৌ -সাজিয়ে নিয়ে আসে,আর ওদের দুজনকে একসাথে বসায় আর কাজি সাহেব বিয়ে পড়িয়ে চলে যায়।
আর দিকে আকাশ আর ইরা ফুল সজ্জা, সেজন্য ওদের বিচানাটা অনেক রকমের ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।আর ওখানে ইরা আগে থেকে বসে আছে,আর বসে থেকে বিরক্ত হচ্ছে কেননা আকাশ এখনো আসছেনা রুমে।একটু পর দরজা খুলে আকাশ ভিতরে প্রবেশ করে ইরার সামনে আসে আর ইরা গিয়ে আকাশের পা দরে সালাম করে।আর দুজনেই বিছানায় চলে যায়।
।।।
।।।।
এরপর যা হলো, আপনাদের লজ্জা করছে না এরপর কি হলো ওসব শুনতে চাচ্ছেন।
।।।।।
।।।।।
পরের দিন সকালে ইরা ঘুম থেকে উঠে গোছল করে আয়নার সামনে বসে আছে আর আকাশ ইরাকে দেখছে, কেননা ইরার চুল বেয়ে পানি পড়ছে, এই দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লাগছে আকাশের।

ইরাঃ সারা রাত দেখে ও সাদ মিটে নি,এভার উঠুন, সবাই কি ভাববে বলুন।

আকাশঃ কেউ কিচ্ছু ভাববে না।

ইরাঃ না,তাড়াতাড়ি উঠুন, নয়তো পানি ঢেলে নিবো।

আকাশঃ এই না, না উঠছি।আকাশ ওয়াশরুমে যায় আর ফ্রেশ হয়ে আসে।দুজনেই একসাথে নিচে নামে।আর নাস্তা করে নেয়।

এভাবে চলতে থাকে ওদের জীবন,হঠাৎ একদিন ইরা মাথা ঘুরে পড়ে যায় আর এই কথা শুনে অাকাশ অফিস থেকে চলে আসে আর ডক্টর চেকাপ করে বলে ইরা প্রেগনেন্ট,এই কথা শুনে আকাশ ওহ আকাশের পরিবারের সবাই অনেক খুশি।

আর এখন তো ইরার প্রতি আকাশের কেয়ার আরো বেড়ে যায়।এখন আর ইরাকে একটুর জন্যও নিচে নামতে দেয় না আর আকাশ সব কাজ এখন বাড়িতে থেকেই করে।

এভাবে আরো ৫ মাস পর ইরার পেটে ব্যথা শুরু হয় সেজন্য আকাশ ইরাকে গাড়িতে বসায় আর আর কন্টোল রুমে ফোন করে বলে দেয় ট্রাপিক যেন রোড ক্লিয়া করে রাখে,আকাশ ইরাকে নিয়ে হসপিটালে নিয়ে আসে আর ওনারা ইরাকে ICU তে নিয়ে যায় আর ১ ঘন্টার মধ্যে ডক্টর এসে।

ডক্টর ঃ Congratulations. আপনার দুইটা বেবি হয়েছে একটা মেয়ে একটা ছেলে।

আকাশ ডক্টর কে ধন্যবাদ জানায়।

আকাশঃ আমি কি ভিতরে যেতে পারি।

ডক্টর ঃ না,বেডে শিপ্ট করার পর।

আকাশঃ ঠিক আছে, ডক্টর।

কিছুক্ষণ পর ওদের বেডে শিপ্ট করে আর
আকাশ ভিতরে যায় আর ওর বেবিদের আদর করে।

ইরাঃ বেবিদের ফেয়ে আমাকেই ভুলে গেলে।

বলে দুজনেই হাঁসতে লাগলো।

আর হসপিটাল থেকে ৫ দিন পর ইরাকে নিয়ে আসলো।

২ বছর পর।

আকাশ বাসায় ডুকছে,তখন আকাশের বেবিরা আকাশকে জড়িয়ে ধরে।

নীলাঃ আব্বু, আম্মু আমাকে মেরেছে।

নীলঃ আব্বু আমাকেও মেরেছে।

ইরাঃ বাপির কাছে বিচার দেওয়া হচ্ছে তাই না।

নীলা-নীলঃ দেখো না আবার ও বকছে।

আকাশঃ কি হচ্ছে ইরা এখনো বাচ্চা তো,মারছো কেনো।

নীল-নীলাঃ এই তো আব্বু আম্মুকে বকা দিচ্ছে।

নীলাঃ আম্মু তুমি আব্বুকে আদর করো।

আকাশঃ কিহহহ।

ইরাঃ ওলে আমার লক্ষী মেয়ে।উম্মা,উম্মা।
বলে ইরা আর আকাশ হেঁসে উঠে সাথে ওদের ছেলে মেয়েও
((এভাবে চলতে থাকে ওদের হাঁসি খুশি জীবনটা,সবাই ওদের জন্য দোয়া করবেন আর সব চেয়ে বেশি করবেন আকাশ আর ইরার বেবিদের জন্য)))

??সমাপ্ত??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here