প্রতিশোধের_আত্মা পর্ব_০৭,০৮

0
1507

প্রতিশোধের_আত্মা
পর্ব_০৭,০৮

রাত প্রায় ৩ টা নাগাত,এই গভীর রাতে,
নিঝুম রেল স্টেশনের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে ৫
টা প্রান। ৪ জন মেয়ে,আর ১ টি বাচ্চা
ছেলে।দোকানটাও যেনো অদ্ভুত ভাবেই
উধাও হয়ে যায়। সবাই নিস্তব্ধ হয়ে
দাঁড়িয়ে আছে।বাচ্চা ছেলেটি লোহার
দন্ডটা এখনো ধরে আছে রিয়ার যৌনিতে।
বাকি ৩ জন হা করে দাঁড়িয়ে আছে।
পরিবেশ নিস্তেজ হয়ে গেছে।শনশন করে
ঠান্ডা বাতাস ধীর গতিতে বেয়ে চলছে।
এবার কি হবে….
হয়েছে বা কি।রিয়ার নাক মুখ দিয়ে রক্ত
বের হতে থাকে।মায়া,প্রিয়া আর সামিয়া
হা করে তাকিয়ে আছে।ওরা নিজের স্তান
থেকে নড়তে পারছে,সে শক্তিটাও ওরা
হারিয়ে ফেলে কোনো এক অজানা মায়ায়।
চোখের পলকেই বাচ্চা ছেলেটি এক দৌড়ে
পালিয়ে যায়।বাতাসের গতিতে বাচ্চাটি
হারিয়ে যায় ঝাপসা অন্ধকারের মধ্যে।
এবার মায়া, প্রিয়া আর সামিয়া নিজেদের
মধ্যে ফিরে আসে।হতভাগ হইয়ে আর
দাঁড়িয়ে না থেকে দৌড়ে গিয়ে রিয়াকে
ধরে। রিয়ার যৌনি থেকে অনেক বেশিই
রক্ত ঝরছে।মায়া জোরে চিৎকার করতে
করতে কান্নায় ভেঙে পড়ে। সাথে প্রিয়া
আর সামিয়াও কান্না করতে থাকে। এখন
প্রশ্ন, রিয়ার কাছে তাবিজ ছিলো, তবে
রিয়াকে স্পর্শ করেছে কিভাবে একটা
অশরীরী। তাছাড়া ওদের জানামতে
বাচ্চাটি একটি মেয়ে,এখানে ছেলে আসলো
কোথা থেকে।রহস্য কৃত হয়ে আছে সবকিছু।

ওরা রিয়াকে কোলে নিয়ে অনেক্ষন
কান্না করলেও বেশিক্ষন সেখানে থাকা
সুবিধের ঠেকেনি। ওরা রিয়ার লাশ
সেখানেই ফেলে চলে আসে গাড়িতে। ডান
বাম না তাকিয়ে নোয়াখালী সেই
কবিরাজের কাছে যেতে লাগলো। মায়া
ড্রাইভিং করলেও কান্না করতে করতে
হতাশ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষন পর সামিয়া
আবার গাড়ি চালায় এবং তারপর প্রিয়া।
অবশেষ তারা পৌছে যায় সেই কবিরাজের
বাড়িতে। বাড়ির সামনে এসে প্রিয়ার
ডাক।)
— বাড়িতে কি সুমন ভাই আছেন..?
— ( কোনো সাড়াশব্দ নেই)
–বাড়িতে কেও আছেন..? প্লিজ একটু বের
হয়ে আসুন,আপনার সাথে একটু কথা আছে।
( একটু পর খটখট করে দরজা খোলার শব্দ
শুনতে পায় তারা। দরজা খুলে এক বৃদ্ধস্য
লোক বের হয়ে আসে ভিতর থেকে। মায়া,
প্রিয়া আর সামিয়া উনার দিকে তাকি
আছে।লোকটি অনেকটাই বৃদ্ধ। উনি আবার
তাদের হেল্প করবে? ভাবতেই মনে মনে
হাসতে থাকে প্রিয়া)
— এই মেয়ে, আমি দেখতে বৃদ্ধ হতে পারি।
তবে আমার ভিতর এখনো সেই শক্তি
আছে,যে শক্তি বর্তমান যুগের একটা ২০
বছরের ছেলের মধ্যেও নেই।
( বুড়োর কথা শুনে ওরা তিন জনই চমকে যায়।
প্রিয়া অবাক হয়ে গেছে,ওর মনের কথা উনি
বুঝতে পেরেছে কিভাবে। চিন্তার বাধ
ভেঙে বুড়ো বলে উঠলো)
— এই ভোর সকালে যে তোমরা আমার কাছে
এসেছো,এইটা তোমরা তিন জন ছাড়া আর
কেউ কি জানে..?
— না হুজুর।আমাদের সাথে আরেকজন
ছিলো,সে এখানে আসার আ….( কথা শেষ
না হতেই বৃদ্ধ বলে উঠলো)
— মারা গেছে তাই তো..?
— আরে..! আপনি কি করে জানেন।
— আত্মা নিয়ে খেলা করা আমার কাজ।সবই
জানি আমি।তোমাদের কি বিপদ সেটাও
জানি আমি।তবে হ্যাঁ, এই বিপদ থেকে
তোমাদের বাচতে হলে অনেক কস্ট করতে
হবে। তোমরা একটা নয়, তিন তিনটা খুন
করেছো।আর ওরা তিন জনই শক্তিশালী
আত্মা হয়ে গেছে।
— তিনজন মানে..? প্লিজ হুজুর,আমাদের
বলুন,কি হয়েছে,কিভাবে আমরা তিনটা খুন
করেছি।আমাদের জানামতে তো শুধু
রিয়াজ নামের একজনকে আমরা খুন করেছি।
আর কে কে আছে..
— লজ্জা করেনা তোমাদের…? একটা
নিষ্পাপ ছেলেকে এভাবে পৃথিবী থেকে
হারিয়ে ফেলোছো তোমরা..?
( মাথা নিছু করে মায়া উত্তর দিলো)
— আমরা ভূল করেছি হুজুর।আপনি আমাদের
রক্ষা করুন প্লিজ।আমরা আমাদের জীবন
ভিক্ষা চাচ্ছি আপনার কাছে।
( এই বলেই হাত জোড় করে মায়া হাটু
মাটিতে ফেলে বসে কান্না করতে থাকে।
হুজুরের মন কিছুটা গলে যায়।এমনিই কারো
কষ্ট চোখের সামনে উনি সহ্য করতে
পারেনা।)
— ঠিক আছে, আমি তোমাদের সাহায্য
করতে পারি।তবে জীবন আমার কাছে
নয়,উপরওয়ালার কাছে ভিক্ষা চাও।সে যদি
চায়,তবে আত্মা কেন,কোনো শক্তিই
তোমাদের কিছু করতে পারবেনা।আমরা
মানুষ্যরা তো শুধু উছিলা।
— এখন আমাদের কি করতে হবে বলুন হুজুর।
— তোমাদের হাতের তাবিজ ফেলে দাও।
— কিন্তু হুজুর…?
— হুম আমি জানি। কিন্তু এইটার কোনো
কাজ নেই এখন।রিয়ার হাতে তাবিজ থাকা
শর্তেও সে মারা গেছে।এর কারণ হচ্ছে
তাবিজটা শুধু সেই রিয়াজের আত্মা আর
বাচ্চা মেয়েটির আত্মার থেকে বাচাতে
রক্ষাকারী ছিলো।সেই বাচ্চা ছেলেটির
জন্য না।
— বাচ্চা ছেলেটি কে হুজুর?
— বলছি,এখন আমরা সকল আত্মাকে ডাকবো।
তোমরা ঘরে আসো, সব রহস্য এক্ষুনি বের
হবে।
— ওকে হুজুর
( সবাই মিলে হুজুরের রুমে চলে যায়।হুজুর
আগে থেকেই বাসায় সব রেডি করে
রেখেছিলো। হুজুরের ঘরের বর্ণনা হচ্ছে,
পুরো ঘরে হুজুর একাই থাকে।উনার
বউ,ছেলে,মেয়ে কেও নেই।ছিলোনা বললে
ভূল হবে,উনি আত্মা নিয়ে গবেষণা করেন
বলে উনার বউ ছেলে মেয়ে সবাই চলে যায়
উনার শশুর বাড়িতে। উনিও আত্মাদের
ছাড়বেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে।সে
থেকে উনার সাথে উনার স্ত্রী এবং
সন্তানদের কোনো যোগাযোগ হয়নি।হুজুরের
পুরো ঘরে একটাই রুম।রুম বলতে উনার ঘরে
এক্সট্রা কোনো রুম নেই।হুজুরের পুরো ঘরে
একটিই রুম থাকার কারণে পুরো ঘরের
ভিতরটা একটা স্টোডিয়াম এর মতো দেখা
যাচ্ছিলো।হুজুর ঘরের মাঝখান বরাবর একটি
কুণ্ডলী একে নেয়।কুণ্ডলী বলতে নিজেদের
মন্ত্র পড়া কোনো অক্ষর বা চিহ্ন একে একে
একটি নির্দিষ্ট অবস্তান। হুজুর সেই
আকিঝুকির চারপাশে লাল রঙের কিছু
পাউডার দিয়ে রেখা একে নেয়।একটা
গোলকার রেখার মতো। সেই
গোলকারবৃত্তের এক পাশে হুজুর নিজে
বসে,আর ওপর পাশে প্রিয়া মায়া আর
সামিয়া বসে পড়ে।

হুজুর চোখ বন্ধ করে কি যেনো পড়তে থাকে
মনে মনে। ওরা তিন জন হুজুরের দিকে
তাকিয়ে আছে। ভাবতে পারছেনা,কিছুক্ষন
পর আসলে তাদের সাথে কি হবে।একটা ভয়
তাদের ভিতর কাজ করতেই থাকে।রিয়াজ
কি এসে তাদের এখানে মেরে ফেলবে
নাতো…? ওদের কল্পনাপ্রবণ বাধ ভেঙে
পুরো রুমে অন্ধকার নেমে আসে।অবস্তাব
হলেও সব কিছু বাস্তবে পরিণত হতে থাকে।
হুজুর চোখ মেলে জোরে জোরে পড়তে
থাকে,
{ভূত প্রেত আত্মা,করবিনা চালাকি,
ডাকছি আমি তোদের সবাইকে,
দিবিনা ফাকি।
আমি ধরছি তোদের লেজ,
বাড়াবিনা তোদের তেজ,
জলদি এসে ধরা দে নিজ শক্তিতে,
ভয়ংকর রুপ বাদ দিয়ে,বসে যা কুণ্ডলীতে।}
হুজুরের এই মন্ত্র পড়ার সাথে সাথে পুরো রুম
অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। কুন্ডলীর
মাঝখানে শুধু লাল রঙের একটা আলো দেখা
যাচ্ছে,সেই আলো ছাড়া রুমের ভিতর
নিজের দেহ নিজেই দেখতে পারছেনা
কেও। আলোটা হুট করেই মায়ার দেহে
প্রবেশ করে।মায়া হটাৎ করেই জোরে
জোরে হাসতে থাকে। প্রিয়া আর সামিয়া
ভয় পেলেও,হুজুরের কথামতো জায়গা থেকে
নড়াচড়া করছেনা। হুজুর জোর গলায় মায়ার
দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে,)
— কে তুই….
— রিয়াজ…. রিয়াজ হোসেন ইমরান আমি…
হাহাহাহাহাহা
( একটা ভয়ংকর কন্ঠে হাসতে থাকে
মায়া,তবে মায়ার ভিতর এখন আর মায়া
নেই,ও তো অন্য কেও হয়ে গেছে।মায়ার
কণ্ঠস্বর এখন অন্যরকম হয়ে গেছে। অর্ধেক
পুরুষ কন্ঠ,আর অর্ধেক মেয়ে কন্ঠ।হুজুর আবার
প্রশ্ন করলো)
— ওদের ক্ষমা করছিসনা কেন।ওরা তো
অনেক ক্ষমা চেয়েছে,ওদের ভূল ওরা বুঝতে
পেরেছে। এবার তো তাদের ক্ষমা করে দে।
— হা হা হা হা হা, আমিও তো অনেক
অনুরোধ সূচক কথা বলেছি তাদের,আমাকে
কি ছেড়েছে..? ছাড়বোনা,ওদের কাওকে
ছাড়বোনা,এক এক করে সবাইকেই মারবো।
আমার সাথে বাকি ২ জনও তাদের মারবে।
কয়জনকে আটকাবি বেটা ২ পয়সার
কবিরাজ…? হা হা হা হা
— শুন, তোর সাথে বাকি ২ জন কে কে…?
— ওরা যখন আমার লাশ ফেলে দেওয়ার জন্য
ময়লা ফেলার জায়গায় যায়।তখন সেখানে
বস্তির একটি মেয়ে পচা খাবার খুজছিলো।
এক মায়ের এক মেয়ে ছিলো সে, মাত্র ৮
বছর সে বাচ্চার বয়স। ওরা আমার লাশ ছুড়ে
ফেলার সাথে সাথে আমার লাশ বস্তা সহ
উড়ে পড়ে সেই বাচ্চার উপর।বাচ্চাটি
নিজেকে বাচানোর জন্য অনেক কস্টে
আমার লাশ ওর উপর থেকে সরিয়ে নেয়।
একটা ৮ বছরের বাচ্চার পক্ষে আমার লাশ
সরানো অনেক কস্টের হয়েছিলো। মারা
যাবার পর আমার লাশ হয়ে যায় আরো ভার।
তবুও বাচ্চাটি অনেক কস্টে আমার লাশ
সরায়।কিন্তু লাশটি সরাতে অনেকটাই
দেরি হয়ে গিয়েছিলো।
— দেরি হয়েছিলো মানে?
— লাশ সরিয়ে মেয়েটি যেই বের
হয়েছে,ততক্ষণে একটি ময়লার ট্রাক এসে
মেয়েটির উপর সকল ময়লার বস্তা ফেলে
দেয়। মেয়েটি ধড়পড় করতে করতে অবশেষে
সেখানেই জীবন হারায়।বস্তির ময়লাযুক্ত
একটি ময়লা হলেও,ওর চেহারা ছিলো ফুলের
মতো আকর্ষণীয়। সেও পৃথিবীর মায়া ত্যাগ
করে পাড়ি জমায় ওপারে।ছাড়বেনা সে,
সবাই এর শাস্তি পাবেই।
( বলে কান্না করতে থাকে মায়া, ওহহ
সরি,ওটা রিয়াজের আত্মা, যে এখন মায়ার
শরীরে অবস্তান করছে।)
— আর বাচ্চা ছেলেটি কে..?
— তোর পিছনে যে দাঁড়িয়ে আছে , সে
— মানে..?
— তাকিয়ে দেখ তো আগে,হা হা হা
( হুজুর পিছনে তাকাতেই, সেই বাচ্চা
ছেলেটিকে দেখতে পায়,চোখ ২ টি গাড়ো
লাল,মুখের চামড়া পচে প্রায় অর্ধেক ঝরে
গেছে। পেটের ভিতর সকল মাংস,হাড্ডি
আর পাকস্থলী দেখা যাচ্ছে। হুজুর কিছু বুঝে
ওঠার আগেই,বাচ্ছাটি দৌড়ে এসে হুজুরের
একটি চোখ তুলে ফেলে,
অন্ধকার একটি হৈ চৈ করা রুমের ভিতর ঘটে
যাচ্ছে অনেক অবস্তাব ঘটনা। যা মানুষ্যরা
করেনা বিশ্বাস,তবে এই অবিশ্বাস্য ঘটনার
পিছনে লুকিয়ে আছে হাজারো বাস্তব
রহস্য,দৌড়াদৌড়ি করছে অদ্রিশ্য কিছু
প্রান।যা দেখিনা আমরা খালি
চোখে,তবে তাদের নিয়েই আমাদের
সমাজবিধি চলছে। কি হবে,এইবার ওদের..?
পাঠকরা, জানাবেন, #গল্প_কি_চলবে …?
নাকি বন্ধ করে দিবো..

প্রতিশোধের_আত্মা
পর্ব_০৮

অন্ধকার একটি হৈ চৈ করা রুমের ভিতর ঘটে
যাচ্ছে অনেক অবস্তাব ঘটনা। যা মানুষ্যরা
করেনা বিশ্বাস,তবে এই অবিশ্বাস্য ঘটনার
পিছনে লুকিয়ে আছে হাজারো বাস্তব
রহস্য,দৌড়াদৌড়ি করছে অদ্রিশ্য কিছু
প্রান।যা দেখিনা আমরা খালি
চোখে,তবে তাদের নিয়েই আমাদের
সমাজবিধি চলছে। কি হবে,এইবার ওদের..?
.
এদিকে হুজুরের চোখ তুলে ফেলার কারণে
হুজুর ধড়পড় করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে
পড়ে।প্রিয়া আর সামিয়া, হুজুরের এমন
অবস্তা দেখে চিৎকার চেঁচামিচি শুরু করে
দেয়।এদিকে মায়া জোরে জোরে
পৈশাচিক ভাবে হাসছে।সামিয়া চিৎকার
করতে করতে কিছুক্ষনের মধ্যে সেখানেই
জ্ঞ্যন হারায়।এবার প্রিয়া হয়ে যায় একা।
প্রিয়া না পারছে মায়াকে কিছু বলতে।আর
না পারছে নিজে কিছু করতে। প্রিয়া
হাউমাউ করতে করতে হটাৎ খেয়াল করে
হুজুর শুয়া থেকে উঠে দাঁড়ায়। প্রিয়া
কিছুটা আস্থা পেয়ে দৌড়ে এসে হুজুরের
পিছনে দাঁড়িয়ে পড়ে। হুজুর এক চোখের
মধ্যে,উনার নিজের ব্যাগ থেকে কিছু
পাউডার নিয়ে চোখে লাগিয়ে দেয়। এইটা
চোখ ভালো করার জন্য না,চোখের যন্ত্রণা
থেকে বাচার জন্য অবশ হওয়ার একটা কিছু।
হুজুর আশেপাশে তাকিয়ে দেখে বাচ্চা
ছেলেটি রুমে নেই। প্রিয়া উনার পাশে
দাঁড়িয়ে আছে আর সামিয়া পড়ে আছে
মাটিতে।হুজুর তড়িঘড়ি করে আরো কিছু
পাউডার রুমে ছিটকে দেয়।যেনো কোনো
অশরীরী সেই পাউডার অতিক্রম করে
ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে। হুজুর আবার
মায়াকে প্রশ্ন করে।)
— আমার এক চোখ গেছে তো কি হয়েছে,অন্য
চোখ এখনো আছে। তুই যতই চাল চালিসনা
কেনো।আমার থেকে রেহাই পাওয়া
অসম্ভব। গত ৩৫ বছর ধরে এই কাজ করে আসছি
আমি।এইবার বল,ছেলেটা কে।
— শুন ২ পয়সার কবিরাজ।এই ঝামেলায়
নিজেকে জড়াতে আসিস না। নইলে অনেক
ক্ষতি হয়ে যাবে তোর। তোর স্ত্রী
সন্তানদের মেরে ফেলবো আমি হা হা হা
হা
— দেখ বাবা রিয়াজ, তোর আত্মার
শান্তির জন্য আমি ২ টা ছাগল জবাই
দিবো।তবুও তুই চলে যা।
— না…. ( রাগম্বীত কন্ঠে) এই কিছুতেই
হবেনা।আমি আমার খুনের বদলা নিবোই
নিবো।কেও আটকাতে পারবিনা আমাকে।
আমি যাবো না…
— ঠিক আছে।তোর কথাই মানলাম।কিন্তু তুই
বল,ওদের তিনজনকে না মেরে অন্য কি
করলে তুই চলে যাবি।
— আমি ওদেরকেই চাই।ওদের যৌনাবেদনা
আমি বুঝিয়ে দিবোই।সেই কস্ট দিয়েই
মারবো।যে কস্ট আমাকে দিয়েছিলো ওরা।
— তুই তাহলে আমার কথা শুনছিস না,
— কিছুতেই না
— আমি চাইলে তোকে বোতলে আটকাতে
পারি জানিস..?
— আর সঙে সঙে যদি শুনতে পাস যে তোর
পরিবার শেষ..? তখন..?
— জন্ম মৃত্যু আল্লাহর কাছে। তোকে আমি
ভয় পাইনা।
— কিন্তু ওই তিনজনের মৃত্যু আমার হাতে।
আমাকে কেও আটকাতে পারবেনা। কেওই
না,
— মায়ার দেহ ত্যাগ করে যাওয়ার শক্তি
এখন তোর নেই।আমি মন্ত্রজ্ঞ পাউডার
ছিটিয়ে দিয়েছি।বোতলে প্রবেশ করার
জন্য প্রস্তুতি নে রিয়াজ।
( হুজুর তার ব্যাগ থেকে একটি বোতল বের
করার সঙে সঙে হটাৎ করেই জানালা খুলে
যায়।হুজুর এক চোখে কোনো রকম জানালার
দিকে তাকিয়ে দেখে, জানালা দিয়ে
বাহির থেকে অনেক জোরে বাতাস আসতে
থাকে।হুজুর মায়ার দিকে তাকিয়ে কিছু
বলার আগেই,মায়ার ভিতরে অবস্থান করা
রিয়াজের আত্মা বলে উঠে)
— বলেছিলাম না..? আমাকে আটকানোর
ক্ষমতা কারো নেই।দেখ আমার বাকি
শক্তিগুলো তোর পাউডার নস্ট করে
দিয়েছে। কি করবি এবার তুই..? তোকে তো
আমি দেখেই ছাড়বো। বিদায়
( এই বলে হটাৎ মায়া পিছনের দিকে শুয়ে
পড়ে। মায়া শুয়ে পড়েনি।মায়ার দেহ
থেকে রিয়াজের আত্মা বাহির হয়েছে।
যার জন্য মায়া বেহুশ হয়ে পড়ে যায়
মাটিতে। এদিকে সামিয়া এখনো জ্ঞ্যান
হারিয়ে পড়ে আছে।প্রিয়া শুধু সব কিছু
তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছে। হুজুর
প্রিয়াকে বলে একটু পানি এনে বাকি দুই
জনের মুখে ছিটকে মারে।সামিয়া চোখ
মেলেই বাচাও বাচাও বলে দুই একটা
চিৎকার মেরে দেয়। পরে হুজুরের ধমকে চুপ
হয়ে যায়।মায়াও শুয়া থেকে উঠে বলে যে
তার কি হয়েছে। এদিকে প্রিয়া, মায়া আর
সামিয়াকে সব কিছু খুলে বলে।ওরা
কথাগুলো শুনে আরো বেশি ভয় পেয়ে যায়।
কিন্তু হুজুর ওদের ভয়ের মাত্রা কমিয়ে
দিয়ে বলল)
— একটা পথ খোলা আছে এদের থেকে
বাচার।
— কোন পথ হুজুর।বলুন..?
— রিয়াজের লাশ খুজতে হবে।
— মানে..? কি বলছেন আপনি এসব হুজুর।
— হুম,ওর লাশ খুজে, লাশকে জানাজা
পড়িয়ে কবর দিলে ওর আত্মা মুক্তি পাবে।
তখন ইচ্ছে করলেও আসতে পারবেনা।
— তাহলে কি আমরা আজই যাবো..?
— হুম, কিন্তু…
— কিন্তু কি হুজুর
— কিন্তু বাকি যে বাচ্চা ২ টা আছে।তারা
তো থেমে থাকবেনা।একটা বাচ্চা কে,
সেটা জানলা। তাকেও একই ভাবে দাপন
করলে ঠিক হয়ে যাবে।তবে ছেলে বাচ্চাটি
কে হতে পারে। সেটাই তো বুঝলাম না।
— হুজুর, এদিকেও একবার ভাবুন।প্রায় ১ বছর
আগে আমরা রিয়াজের লাশ ফেলেছিলাম।
এখন ওর লাশ পবো কোথায়।
— তার ব্যবস্তা করে রেখেছি আমি।
রিয়াজকে যেখানে ফেলেছিস।সেকানকার
এক মুঠো মাটি নিয়ে আসবি।আর ওটাই হবে
রিয়াজের লাশ।
— বুঝলাম।আর বাকি ২ জন..?
— হুম।ওদেরকেও তো থামাতে হবে। আচ্ছা
শুন, রিয়াজ আর বাচ্চা মেয়েটিকে,মাটি
দিয়েই মুক্তি করতে পারবো।কিন্তু বাচ্চা
ছেলেটি..? তাকে কি করবো।ওর সম্মন্ধে
তো আমি কিছুই জানিনা।
— আপনি তো অনেক অলৌকিক শক্তি
জানেন।ওভাবে দেখেন..?
— নাহ,আমি কোনো মানুষ এর চেহারা
দেখলে তাদের সমস্যার কথা বুঝতে পারি।
মন পড়তে পারি।তবে কোনো আত্মাকে
নিয়ে পারিনা।ওমন শক্তি নেই আমার।
— এখন উপায়..?
— উপায় একটা আছে।
— যেমন…?
— বাচ্চা ছেলেটিকে বোতল ভরে রাখবো।
তবে আগে ওই ২জনকে আটকাতে হবে।তারপর
বাচ্চা ছেলেটি।নাহলে ওরা এসে বাধা
দিবে।
— ঠিক আছে।আমরা আজই ঢাকা যাচ্ছি।
গিয়ে মাটি নিয়ে আবার এখানে আসবো।
— হুম যাও,
( হুজুরকে বিদায় দিয়ে প্রিয়া, সামিয়া আর
মায়া গাড়িতে বসে পড়ে।মায়া ড্রাইভিং
করছে,আর বাকিরা বসে আছে।আসার সময়
হুজুর ওদের একটা একটা আঙটি দিয়েছে। আর
বলেছে,যা কিছুই হোক,আংটি যেনো না
খোলে।হুজুরের কথামত ওরা সেম কাজই
করলো।আঙটি আঙুলে পড়েই বের হয়েছে।
কুমিল্লা পার হয়ে যাখন ওরা কাচপুর
ব্রিজের উপর উঠে।তখন শুরু হয় এক
অভিশাপ্ত সময়।সামিয়ার ফোনে একটা
অদ্ভুত নাম্বার থেকে ফোন আসে।সামিয়া
নাম্বারটা দেখেই যেনো আধমরা হয়ে
গেছে।নাম্বারটি ছিলো সেই নাম্বার,যে
নাম্বার থেকে জান্নাতকে কল করা
হয়েছিলো তার মৃত্যুর আগে।৩০৬৩ নাম্বার।
সামিয়া ব্যাপারটা বলে মায়া এবং
প্রিয়াকে।মায়া বলল)
— দোস্ত,ফোন ধরিসনা।হয়তো কোনো
খারাপ কিছু হয়ে যাবে।
— আমিও তাই ভাবছি। ফোন ধরবোনা।
( হটাৎ ফোনটি অটোমেটিক রিসিভ হয়ে
যায় সেই ভাবে,যেভাবে জান্নাতের ফোন
রিসিভ হয়েছিলো। মায়া প্রিয়া সামিয়া
এবার ভয় পেয়ে ফোন বন্ধ করতে চেস্টা
করে।কিন্তু কিছুতেই ফোন অপ হচ্ছেনা।
ফোনটাও এখন তাদের বিরুদ্ধতা করছে।
সামিয়া অবশেষে ফোনটা ব্রিজের উপর
থেকে নদীতে ফেলে দেয়। হারিয়ে যায়
ফোন নদীকূলে। কিন্তু ব্যাপারটা এখানেই
থেমে গেলে হতো।ঘটনা সেখানেই
সীমাবদ্ধ ছিলোনা।হটাৎ প্রিয়ার ফোনেও
সেই নাম্বার থেকে ফোন আসে। ৩০৬৩,
প্রিয়া নাম্বারটা দেখে এবার নিজেও
চোখ বড় করে ফেলে। সামিয়া আর মায়ার
দিকে তাকিয়ে প্রিয়াও সেম ভাবে
ফোনটা ব্রিজের নিছে ফেলে দেয়। ব্রিজে
গাড়ির জ্যাম ছিলো। যার কারণে তারা
অনেক্ষন ধরেই ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে আছে।
এবার ওদের সন্দেহ মায়ার ফোনেও ফোন
আসতে পারে। ফোন আসতেই পানিতে
ফেলে দিবে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে
রেখেছে ওরা। এবার ঘটনা ঘটলো উল্টো
ভাবে। মায়ার ফোনে কোনো কল না এসেই
ফোনের ভিতর থেকে সেই ভয়ংকর কন্ঠ
ভেসে আসতে লাগলো)
— হা হা হা হা, ভেবেছিস কি।আমাকে
আটকাবি? কখনোই এই দুঃস্বপ্ন দেখিসনা
তোরা। আমি ঠিকই আমার হিসাব
মিটাবো। প্রস্তুত থাক, হা হা হা হা হা
( ভয়ংকর সেই হাসির শব্দ ওদের কান
জ্বালাফালা করে ফেলছে।মায়া হাসির
শব্দ সহ্য করতে না পেরে নিজের ফোনটাও
গাড়ির জানালা দিয়ে বাহিরে ফেলে
দেয়। প্রচণ্ড রকমের ভয়ের মধ্যে আছে ওরা।
এদিকে চারপাশে হরনের শব্দে ওদের ঘোর
ভাঙলো। জ্যাম ছুটেছে আরো ১০ মিনিট
আগে। কিন্তু ওদের হুশ যেনো নিজেদের
মধ্যেই ছিলোনা। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে
আবার সামনে এগুতে থাকে ওরা। চলন্ত
গাড়ির ভিতর তিন যুবতী মেয়ের পথ চলছে
ভয়াবহ এক মুহুর্তে। বুক ধুপ ধুপ করে কেপেই
যাচ্ছে। নিজেদের হারিয়ে ফেলছে বার
বার অজানা কোনো ভয়ের জগতে। হুম ভয়ের
জগত, সেই ভয়ের জগত থেকে বাচার জন্যেই
তাদের এতো আয়োজন।
ঢাকার পাশাপাশি আসতেই ওরা দেখতে
পায় সামনে রাস্তার মাঝখানে অনেক
গুলো লোক দাঁড়িয়ে আছে। সম্ভবত
মারামারি লেগেছে রাস্তায়। ওরা গাড়ি
রাস্তার এক পাশে দাড় করিয়ে অপেক্ষা
করতে থাকে। কিন্তু ঝামেলা যেনো শেষ
হবার নয়। পুলিশ মিডিয়া এসে ভরপুর হয়ে
যায় রাস্তা। ধীরে ধীরে জনগনের সাথে
পুলিশের মারামারি লেগে যায়। হুম এইটাই
বাংলাদেশ। যেখানে বুঝার লোক একটাও
না থাকলে, অবুজ করে দেওয়ার লোক
হাজারো আছে। মায়া কিছুক্ষন পর পর
গাড়ির স্টাডিং এর মধ্যে থাপড়াতে
থাকে। কখন ঝামেলা শেষ হবে,আর কবে
তারা পৌছাবে সেই সাভারের
পাশাপাশি। এদিকে হটাৎ ওদের গাড়ির
মধ্যে একটা পাথর উড়ে আসে । মারামারির
মধ্যে থেকে কে যেনো পাথর মেরেছে।
হয়তো নিশানা সটিক ছিলোনা তাই।
পাথরের আঘাতে ওদের গাড়ির কাচ ভেঙে
যায়। মায়ার মাথা গরমে আগুন। ৬০ লক্ষ ৪২
হাজার টাকা দামের গাড়ি ওর।ও না পেরে
গাড়ি থেকে বাহির হয়। বের হয়ে রাস্তার
পাশ থেকে আরেকটা পাথর নিয়ে ছুড়ে
পারে সামনের মারামারি করা লোকদের
উপর। মায়ার ছুড়া পাথরটি গিয়ে পড়ে এক
ছেলের মাথায়। ছেলেটি দেখতেও
গাঞ্জাখোরের মতো।ছেলেটিকে দেখতে
রিয়াজের আত্মার মত মনে হয়,আপনারা
রিয়াজকে যারা দেখেছেন তারা মিলিয়ে
নিবেন, ছেলেটির গায়ে পাথরটি পড়ার
সাথে সাথে মাথা ফেটে যায় ছেলেটির।
এবার ছেলেটি রেগে গিয়ে মায়ার দিকে
দৌড়ে আসতে থাকে। গাড়ির ভিতর থেকে
প্রিয়া চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলো
গাড়িতে উঠার জন্য। মায়া প্রিয়ার ডাকে
গাড়ির দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করার
আগেই ছেলেটি এসে মায়াকে এক ধাক্কায়
মাটিতে ফেলে দেয়। রাস্তার পাশে
মাটির ধূলোয় মায়ার মুখ নাজেহাল
অবস্তা। সামিয়া গাড়ি থেকে নেমে
ছেলেটিকে এক ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়
রাস্তায়। এদিকে প্রিয়া মায়াকে ধরে
গাড়িতে তুলে ফেলে । তবে এখানে অনেক
বড় একটা ঘটনা ঘটে যায়। যা তারা খেয়ালই
করেনি। সামিয়া যখন ছেলেটিকে ধাক্কা
দেয়,তখন ছেলেটির হাতের ধাক্কায় মায়ার
আঙুল থেকে আঙটি টা পড়ে যায়। মায়া আর
প্রিয়া সামিয়াকে ডাকতে লাগলো।
সামিয়া গাড়িতে যেই উঠতে যাবে,তখনি
পড়ে থাকা ছেলেটি সামিয়ার ওড়না ধরে
টান দেয়। নিমিষেই সামিয়া পড়ে যায়
রাস্তায়। ছেলেটা এক লাফ দিয়ে রাস্তা
থেকে উঠে দাঁড়ায়। সামিয়া জোরে জোরে
চিৎকার দিতে থাকে, বাচাও বাচাও।
কিন্তু এর মধ্যেই ছেলেটি পিছন থেকে
একটা ধারালো ছুড়ি বের করে গাড়ির দিকে
এগুতে থাকে। মায়া ভয় পেয়ে গাড়ি স্টার্ট
দিয়ে সামনে ৩০ হাত দূরে চলে যায়।
এদিকে সামিয়া পড়ে থাকে মাটিতে। ওই
ছেলেটা দৌড়ে এসে ঝাপিয়ে পড়ে
সামিয়ার উপর। তখনি চারপাশে থাকা
লোকজন ছুটে আসে ওদের দিকে। জনগন
পুলিশকে হামলা করে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু
মাঝ রাস্তায় একটি মেয়ের উপর একটা
ছেলে এভাবে পড়ে থাকতে দেখে বিনোদন
পেতে থাকে সবাই। মিডিয়ার লোক এসে
ভিডিও রেকর্ড শুরু করে।অনেক ছেলেরা
ক্যামেরা চালু করে ফোনেও ভিডিও করতে
শুরু করে। মায়া আর প্রিয়া গাড়ি থেকে
নেমে আসলেও,জনগনের ভীড়ের কারণে
ভিতরে প্রবেশ করতে পারছেনা। এদিকে
ছেলেটি সামিয়ার উপর ঝাপিয়ে পড়ার
সাথে সাথেই, ছেলেটির হাতে থাকা
ছুরিটি সামিয়ার ঘাড়ের এক পাশে ডুকে
যায়। ছেলেটি যেনো দেখেও দেখেনি।
সামিয়া ছেলেটিকে বাধাও দিতে
পারছেনা। কিভাবে বাধা দিবে,ওর তো
শুধুমাত্র চোখটাই খোলা।আর বাকি সব
শক্তি উধাও হয়ে যায় ছুরির আঘাতে।
সামিয়া চারপাশ দেখতে পারছে।সবাই যে
ভিডিও করতে ব্যস্ত,তাও বুঝতে পারছে
সে,তবে কিছুই করার নেই। শুধু ভাবছে,
এমনটাই হয়তো ওর সাথে হওয়ার কথা
ছিলো। এই কথাটা ভাব্বার পিছনেও রহস্য
জুড়ে আছে। তা হচ্ছে,সামিয়া স্পষ্ট বুঝতে
পারছে,ওর উপরে পড়ে থাকা ছেলেটির চোখ
লাল হয়ে আছে। মাথা ফাটার কারণে ঠিক
রিয়াজের মতই দেখাচ্ছিলো। তবে এইটা
শিওর হওয়ার আগেই ছেলেটি বলে উঠলো)
— বলেছিলাম না..? আমাকে আটকাতে
পারবিনা। প্রকৃতি আমার সহায় হয়েছে।
দেখ এবার কি হয়।
( হুম,ওটা রিয়াজ। ঠিকই ভাবছেন আপনারা।
ছেলেটির শরীরের প্রবেশ করে রিয়াজ
তার প্রতিশোধে ব্যস্ত। সামিয়ার
জামাকাপড় হাতের নখের আচড়ে ছিড়ে
ফেলে। সামিয়ার বুকের দিকে একটা সুতাও
নেই।স্তনের সৌন্দর্যবর্ধন উপভোগ করছে
চারপাশের ছেলেরা। গায়ের জোরে
সামিয়ার নিছের জামা টাও ছিড়ে ফেলে।
সামিয়ার যৌনিকে প্রদর্শন করছে হাজার
হাজার মানুষ। টিভিতে লাইভ দেখানো
হচ্ছে সামিয়ার ঘটনা,ফেসবুকে হাজার
হাজার ভিউয়ার হচ্ছে লাইভে। সামিয়ার
অর্ধ নগ্ন দেহ উপভোগ করছে পুরো বাংলার
এপার ওপারের মানুষ্যরা। ভাইরাল হয়ে যায়
মাত্র কয়েক মিনিটে সব।)
— এই দোস্ত দেখ..? এইটা আমাদের কলেজের
সামিয়া না..?
— আরে তাই তো..? এই তোরা কে কোথায়
আছিস, জলদি দেখে যা।সামিয়াকে কে
যেনো রাস্তায় ফেলে ধর্ষণ করতেছে।
( সামিয়ার কলেজে শুরু হয়ে যায় তোলপাড়।
সামিয়ার আব্বু টিভিতে নিউজ দেখছিলো।
হটাৎ নিজের মেয়েকে এই অবস্তায় দেখে
তিনি হার্টএট্যাক করে বসেন। সামিয়ার
পরিবারের সবাই সামিয়াকে এই অবস্তায়
দেখে যাচ্ছে। মনে কি ফিল হচ্ছে,তা আমি
লিখে বুঝাতে পারবোনা,আপনি নিজেই
ফিল করে দেখুন।
এদিকে রাস্তায় সামিয়াকে অর্ধ নগ্ন করে
২ মিনিট ধর্ষন করে ছেলেটি। হুম
ছেলেটিই,তবে ওর ভিতর থাকা রিয়াজের
আত্মাই তুলে নিচ্ছে তার প্রতিশোধ।
মানুষের ভিড়ের ভিতর আসতে না পেরে
প্রিয়া আর মায়া বাহির থেকে সামিয়া
সামিয়া বলে চিৎকার করে গলা ফাঠাচ্ছে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here