দেয়াল
পর্ব -৩,৪
লেখকঃ Ramim_Istiaq
.
রামিম দরজা খুলে দেয়। অবাক হয়ে দেখে মেয়েটা খাবার প্লেট আর পানির গ্লাস হাতে বাইরে দাড়িয়ে আছে। মায়া কাজ করে এই মেয়েটার ওপর, প্রুচর মায়া কাজ করে রামিমের।
মুখ ফসকে রামিম বলেই ফেলে,
– তোকে এত সুন্দর কেনো লাগছে আজকে?
তিন্নি মাথা নিচু করে রুমে ঢুকে। উত্তর দেয়না রামিমের প্রশ্নের।
ইশারায় ডাকে – আয় বস।
রামিম আস্তে হাটে। দু কদম এগুলেই বিছানা এই দু কদমই যেনো দু কিলোমিটার পথ এমন মনে হয় রামিমের।
শরীরে ভিষন ব্যাথা যে!
তিন্নি রামিমকে বলে,
– বাবা তোকে খুব মেরেছে তাইনা?
– তুই মারিসনি?
– হু মারছি তবে তোর ভালোর জন্যই।
– কি এমন ভালো হলো আমার?
– জানিনা তবে তুই যেটা বলেছিস সেটা সম্ভবনা, হাজার হোক আমরা ভাইবোন রামিম। একটু বুঝার চেষ্টা কর।
– তুই চাইলেই সব সম্ভব। শুধু একবার বল।
– আমি নিজেই চাইনা।
– সত্যি চাসনা তুই?
– আয় ভাত খেয়ে ঔষুধ খাবি, ব্যাথা কমবেনা নইলে।
রামিম উত্তর পায়না। তিন্নি খাইয়ে দেয়,রামিম খায়।
আলাদা একটা স্বাদ তিন্নির হাতে।
নিজ হাতে ঔষুধ খাইয়ে দিয়ে রুমে ঢুকে তিন্নি।
রুমে ঢুকে রীতিমতো চমকে উঠে তিন্নি।
কামরুল সাহেব বসে আছে তার রুমে। এতরাতে হঠাৎ রুমে দেখে থমকে দাড়ায় তিন্নি।
কামরুল সাহেব হাসিমুখে প্রশ্ন করে,
– রামিম খেয়েছে?
– হ্যা।
– মেডিসিন?
– হুমম।
– আচ্ছা ঘুমা। আমি যাই তাহলে।
কামরুল সাহেবের এরুপ ব্যবহারে তিন্নি অবাক না হয়ে পারেনা। সে ভেবেছিলো হয়তো জিজ্ঞাসাবাদ করবে নয়তো বকবে।
কিছু না করেই চলে গেলো যে।
সকাল হয়েছে। বাড়ির সবাই আজ ঘুমে।
খুব ভোরে ঘুম ভেঙেছে রোস্তম মিয়ার।
এত ভোরে ঘুম কখনো ভাঙেনা তার, আজ কোনো এক অদ্ভুত কারনে জেগে গেছে সে।
পাশে টুনি( তার মেয়ে ) আর বউ।
মেয়েটার দিকে তাকায় রোস্তম মিয়া।
মেয়েটা একদম মায়ের মত হয়েছে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার নাম গন্ধও নেই।
রহিমার দিকে তাকিয়ে রোস্তম মিয়া ভাব,
যৌবনকালে বড় সুন্দরী ছিলো মেয়েটা,এখন বয়সের ছাপ পড়ে গেছে সৌন্দর্য কিছুটা কমেছে বটে তবে এখনো বেশ সুন্দরী।
প্রেমের শুরুটা কতই না ভালো ছিলো।
রোস্তম মিয়া সেদিন গাড়ি করে নিয়ে আসে নাজনীন বেগমকে।
সাথে ছোটখাটো, ফর্সা আর লজ্জাবতী একটা মেয়ে।
রোস্তম মিয়া গাড়ির আয়নায় আড়চোখে কয়েকবার দেখে রাস্তায়।
মেয়েটা তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে।
তারপর কাজ করতে করতে কথা হয় একসময় প্রেম।
এখন আর আগের মতো এত চিন্তা ভাবনা আসেনা।
আগে বহুত কিছু ভাবতো এই করবে সেই করবে।
এখন অনেকদিন হয়ে গেছে, পাশাপাশি শুয়েও সেই ইচ্ছা আর করেনা।
তবে বউ বাচ্চা নিয়ে বেশ ভালোই আছে।
মেয়েটা সারাদিন দৌড়ায়।
রামিমকে খুব পছন্দ করে মেয়েটা।
কাছে কাছে থাকে সবসময় তবে রামিম অসুস্থ থাকলে কাছে যায়না।
শুধু রামিম না কেউ অসুস্থ থাকলে তার পাশে গেলে সেও নাকি অসুস্থ হয়ে যাবে এমনটাই ভাবে সে।
রামিম যখন টুনি বলে ডাকে মেয়েটা হাসতে হাসতে পারলে গড়িয়ে পড়ে।
পেটে হাত দিয়ে হাসে মেয়েটা।
এত যে খুশি মেয়েটার, এত হাসি কোথায় রাখে?
রোস্তম মিয়া বাইরে বেরোয়।
বাহ খুব ভোরে উঠলে সকালটা ভালোই কাঁটে।
রোস্তম মিয়া খালি পায়ে হাটে।
হাটতে হাটতে চোখ পড়ে দোতলায়।
রামিমের জানালায় একটা কিছু ঝুলছে।
কুঁয়াশা কাটেনি এখনো। আবছা কিছু বোঝা যায়না,
ওদিকে খুব একটা মনোযোগ দেয়না।
তার এখন উদ্দেশ্য হলো পুরো বাড়ির চারপাশটা ঘুরে দেখা।
রহিম মিয়া আশ্চর্যজনক জিনিস দেখেন।
তিন্নির রুমের জানালায় ও কিছু একটা ঝুলছে।
মোটা সুতার মতো কিছু একটা।
চোখ ঢলে আবার তাকায় – নাহ কিছু নেই।
ঘুম কাটেনি হয়তো।
চোখে ভুল দেখছে সে।
রোস্তম মিয়া ভাবে দুইজনরে মিলায়া দিবো নাকি!
না না ছি ছি, লোকে কি বলবে? ভাইবোনের বিয়ে।
কল্পনাও করা যায়না।
কোথায় ভাইবোন?
রক্তের সম্পর্ক আছে? পালিত বোন?
তাও তো না শুধুমাত্র বন্ধুর মেয়েকে তার ছেলের সাথে একসাথে বড় করেছেন।
মানুষের মন বড় আজব জিনিস।
একই সময় কয়েকরকমের চিন্তাভাবনা করে শেষমেষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।
ব্যাথা কমেছে অনেকটাই।
হাটতে আর এখন অসুবিধা হচ্ছেনা।
বাবার প্রতি কোনোরকম রাগ নেই রামিমের।
ছোটবেলা থেকেই বাবা বেশ গম্ভীর তার সাথে।
বুদ্ধি হওয়ার পর, সবকিছু বুঝতে ও মনে রাখতে শিখার পর থেকে কখনো সে দেখেনি বাবা অফিস থেকে ফিরে তাকে কোলে তুলে কপালে একটা চুমু দিয়েছেন।
অথচ প্রতিদিনই তিন্নির জন্য চকলেট আনতো।
তিন্নি তার চকলেটের ভাগ রামিমকে দিতো।
প্রথম প্রথম মন খারাপ করতো রামিম কিন্তু পরে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়।
বাবার সাথে ছেলের সম্পর্ক নাকি বন্ধুর মতো হয় রামিম কখনো বাবার সাথে দরকারি কথা ছাড়া তেমন কিছু বলেনি।
সেই বাবা মারলেও রাগ করার কিছু নেই। বাবা যে তাকে পছন্দ করেনা সেটা অনেক আগেই বুঝে গেছিলো রামিম।
ব্রাশ হাতে বেলকনিতে দাড়িয়ে রামিম ভাবে এখান থেকে নিচে লাফ দিলে কেমন হয়?
এত যন্ত্রনার অবসান ঘটে যেতো তাইনা?
চলবে?
#দেয়াল
পর্ব – ৪
লেখকঃ Ramim_Istiaq
.
দু পা পিছিয়ে আসে রামিম।
চোখ বন্ধ করে তিন পা এগুলেই শুন্য।
শুন্যে ভাসতে কি মজা লাগে নাকি দম বন্ধ হয়ে আসে?
হয়তো মাটিতে আছড়ে পড়ার আগ পর্যন্ত বেশ ভালোই লাগবে তারপর যখন দেহটা মাটিতে পড়বে তাজা রক্ত ছিটকে বেরুবে শরীর থেকে, গরম রক্তে কি তখন ভালোলাগবে?
নাহ ভালোলাগার কথা না তখন যন্ত্রনায় মৃত্যুবরণ হবে।
এসব রামিমকে দিয়ে হবেনা, ভয় লাগে তার।
তবে একটা জিনিস বেশ ভালোই পারে। সিগারেট।
বাড়ির সবার থেকে লুকিয়ে সিগারেট খায় রোজই।
রামিমের ধারনা বাড়ির কেউ জানেই না সে সিগারেট খায়।
এই বাড়িতে দুজন মানুষ জানে যেটা রামিম নিজেও জানেনা।
তিন্নি আর কামরুল সাহেব।
কামরুল সাহেব জেনেও কিছু বলেন না।
মাঝে মাঝে ভাবেন কখনো ছেলেটাকে আদর – স্নেহ ভালোবাসা কোনোটাই দিতে পারিনি তবে আজ শাষন কেনো করবো?
অধিকার নেই তার। এই ভেবে কিছু বলেনা।
দুদিন বাইরে যাওয়া হয়নি।
যে ব্যাথা বাইরে কিভাবে যাবে।
এখন ব্যাথা কম, আজ যেতে হবে।
জিরু বাবার সাথে দেখা না করে ভালোলাগছেনা।
খাবার টেবিলে কথা বলেনা রামিম, চুপচাপ খায়।
পাশে কামরুল সাহেব ছেলেটার দিকে তাকাবেনা তাকাবেনা করেও বারবার দেখছে রামিমকে।
তার মনের ভিতর কি চলছে কে জানে!
তিন্নিও চুপচাপ।
ওই ঘটনার পর থেকে নাজনীন বেগমও দরকার বাদে কোনো কথা বলেনি কামরুল সাহেবের সাথে।
বাড়ির সবাই চুপচাপ শুধু টুনি বাদে।
ও দিব্বি চিল্লায়, এটা করে ওটা করে।
ওর এখন ভিষন আনন্দ, বাড়ির কেউ কিছু বলেনা কেউ শাষন করেনা।
যা ইচ্ছা করে বেরাচ্ছে ভালো থাকারই কথা।
খাওয়া শেষে রামিম ডাকে,
– এই টুনি বুড়ি আমার রুমে আয় তো।
– নাহ যাবোনা তোমার সাথে গেলে আমিও অসুস্থ হয়ে যাবো।
– আমি সুস্থ হয়ে গেছি এই দেখ হাটছি কথা বলছি।
– সত্যিতো?
– হু।
– আচ্ছা চলো।
রামিমের পিছে পিছে টুনি রুমে যায়।
– বলো কি বলবে?
– আগে পাপ্পি দে একটা।
টুনি মেয়েটা খিলিখিল করে হেসে উঠে।
ছোট বাচ্চাদের সব অবস্থাতেই ভালো লাগে।
আল্লাহ বানিয়েছেনই এমন করে।
হাসি থামিয়ে টুনি বলে,
– চাচ্চু তুমি বড় ফাজিল হয়েছো, তিন্নি আন্টির থেকেও পাপ্পি চাও আমার থেকেও চাও।
– তিন্নির থেকে চাই সেটা তুই কিভাবে জানলি?
টুনি বিজ্ঞদের মতো গম্ভীর ভাব নিয়ে বলে,
– আমি এ বাড়ির সব খবর রাখি।
– তাহলে আমার একটা কাজ করে দে।
– কি কাজ?
– দেখতো পাশের রুমে তিন্নি আছে কিনা, আমি ও রুমে যাবোনা।
– আচ্ছা দেখতাছি।
টুনি ইনোসেন্ট একটা ভাব নিয়ে হাসিমুখে তিন্নির রুমে যায়।
তিন্নি রুমে নেই, ফিরে এসে বলে।
রামিম বিছানার নিচে থেকে চকলেট বের করে মেয়েটার হাতে দেয়।
টুনি খুশি হয়ে একটা পাপ্পি দেয় রামিমকে।
টুনি চলে যায়,
রামিম আবার বিছানার নিচে হাত দেয়।
এক কোনে একটা প্যাকেটে দুটো সিগারেট আছে।
জানালা বন্ধ করে সিগারেট ধরায় রামিম।
এগারোটা বেজে গেছে।
রামিম বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তার পাশে টংয়ের দোকানে বসেছে।
ছোট মামা টেলিফোন করে জানিয়েছে সে আসবে কিন্তু বাসায় যাবেনা তাই এখানে বসা রামিমের।
তবে রামিম ভেবে রেখেছে আজ মামাকে নিয়ে জিরু বাবার কাছে যাবে।
বয়স কত হলো এখনো বিয়ে করেনি কেনো?
এর একটা বিহিত করতে হবে।
পকেটে টেলিফোনটা আবার বেজে উঠে রামিমের।
– মামা কোথায় তুমি আমি কখন এসে বসে আছি।
– তুই একটু বাসায় আয় আমি কাজে ব্যস্ত আছি।
– আচ্ছা আসছি।
বিরক্ত মুখে ফোন কেটে দেয় রামিম।
এখন আবার এগারো মিনিট হাটো।
তবে দেখা করাটা মনে হয় জরুরি তাই মামা ডেকেছে, যেতেই হবে।
যেতে যেতে ছোট মামার বিবরন দেই।
নাম রন্টু মিয়া, দেখতে পুরাই সালমান খান।
বডিটা বানিয়েছে জটিল।
রামিমের মাঝে মাঝে হিংসে হয় মামাকে দেখে।
শুধু নামটা যদি রন্টু মিয়া না হয়ে রন্টি ইয়ো ইয়ো হতো তাহলে পুরাই আমেরিকান মনে হতো মামাকে।
এই একটা নাম নিয়ে তার আক্ষেপ,
আকিকা করে নাম পরিবর্তন করার পরও সবাই তাকে রন্টু মিয়া বলেই ডাকে।
রামিম ডাকে রন্টি ইয়ো ইয়ো।
এজন্যই বেশ পছন্দ করেন রামিমকে।
রন্টু ডাকে সমস্যা নেই তবে মিয়া কেনো ডাকবে?
এই মিয়া তার নিয়ে যত ঝামেলা।
তিনি ভাবেন সবাই যদি রামিমের মত রন্টি ইয়ো ইয়ো ডাকতো তবে কেমন হতো?
রামিম মামাবাড়ি পৌছায়।
সবার আগে বেরোয় তিথী।
রামিমের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ ভিজে উঠে তার।
ছলছল চোখে তাকায়।
চোখ ভিজে আসার আগেই চোখ নামিয়ে নেয় তিথী।
হাত ধরে টেনে ছাদে নিয়ে যায় রামিমকে।
ছাদে উঠেই জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে তিথী।
এটা রামিমের কাছে নতুন কিছুনা।
রামিমের সাথে কিছু খারাপ হলেই সে এভাবে কাঁদবে।
রামিম প্রতিবারের মতো এবারও ছাদের দরজা আটকে দেয় যাতে কেউ এই অবস্থাতে না দেখে ফেলে।
এখন বড় হয়েছে লোকে নানান জিনিস ভাবে।
– কি হয়েছে কাঁন্না করিস কেনো?
– তোকে মেরেছে খুব তাইনা?
– হ্যা মেরেছে।
– কে কে মেরেছে?
– বাবা আর তিন্নি।
– তিন্নি কেনো মারবে?
– জানিনা।
– ওর জন্যই তো বলছিলি ও নিজেই মারলো?
– বাদ দে তো।
– আচ্ছা দিলাম বাদ তবে তুই এখন আর আমাদের বাড়ি আসিস না কেনো? তুই আসলে আমার ভালোলাগে।
– আচ্ছা আসবো।
– তোর জন্য বিরিয়ানি রান্না করছি আনবো?
– নাহ আগে ছোটমামার সাথে দেখা করি তারপর।
– আচ্ছা রুমে আসিস।
– আচ্ছা ছাড় এবার আমাকে লোকে দেখে ফেললে বাজে কথা বলবে।
– বলুক গে আমার কি! আমার কিছু যায় আসেনা।
– আমার আসে।
রামিম নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট মামার রুমের দিকে পা বাড়ায়।
রুমে নক করতেই দরজা খুলে দেয় মামা।
বয়সের পার্থক্য খুব একটা না ৫ বছর মাত্র।
রন্টি মামাকে তাই বন্ধুর মতোই ভাবে রামিম।
.
রুমে ঢুকতেই রন্টু মামা সিগারেট দেয় রামিমের হাতে।
রামিম সিগারেট ধরিয়ে বলে,
– মামা কাহিনি কি বলোতো, আজ হঠাৎ সিগারেট খাচ্ছো।
– ভাগ্নে বড় বিপদে আছি তোর সাহায্য দরকার।
– কি সাহায্য মামা?
– ভাগ্নে আমি বিয়ে করেছি কিন্তু বাসায় কিভাবে জানাবো বুঝতাছি না।
রামিম সিগারেট ফেলে মামার মুখের দিকে তাকায়।
এখন নেশা সিগারেটে না, মামার চোখের দিকে তাকালেই নেশা লেগে যাবে রামিমের।
– রন্টি মামা ইয়ো ইয়ো তুমি বিয়ে করেছো?
– আস্তে বল শালা, সরি ভাগ্নে। বাল পেইনে আছি কি বলছি তার ঠিক নেই।
– বুঝছি চলো তোমার ব্যবস্থা করতে হবে।
– কোথায় যাবি?
– জিরু বাবার কাছে। তিনি একটা হেস্তনেস্ত করেই দিবে।
রন্টু মিয়া রামিমের পিছে পিছে হাটে।
জিরু বাবাকে ভয় লাগে তার তারপরও যাচ্ছে।
সমস্যায় থাকলে কত কিছুই না করতে হয়।
রামিমের আর বিরিয়ানি খাওয়া হয়না।
তবে তিথী এসে খাইয়ে দিয়ে যাবে সেটা অজানা নয় রামিমের।
তিথী এত কষ্ট করে রান্না করেছে আর রামিমকে খাওয়াবেনা এটা হতেই পারেনা।
জিরু বাবা রামিমকে দেখে খুশি হয়।
কাছে ডাকে,
– বাবা আয়, অনেকদিন আসিস না তোরে খুব দেখতে ইচ্ছা করছিলো কয়দিন ধরে।
– বাবা ক্ষুদা লাগছে।
– কলা পাউরুটি খাবি? খিচুরি ও আছে গরুর মাংসের।
– তুমি খাওনি?
– খাইছি তুই আসবি আজ তাই রাখছিলাম।
– আমি আসবো তুমি কিভাবে জানো?
– বাবা তুই যে বিপদে আসিস সেটাও জানি।
রামিম বিষ্ময় নিয়ে তাকায় জিরু বাবার দিকে।
লোকটা আসলেই অনেক কিছু বুঝতে পারে।
পিছে চোখজোড়া চকচক করে উঠে রন্টু মিয়ার।
সে ভাবে সমস্যার সমাধান তিনিই করতে পারবেন।
চলবে?