লেডি_ডন পার্টঃ১৩,১৪

0
1040

লেডি_ডন
পার্টঃ১৩,১৪
পার্টঃ গাজি স্নিগ্ধা হোসেন
পার্টঃ১৩

[গল্পের নায়ক কে সেটা নিয়া মাথা নস্ট করার দরকার নাই,এটা কোন বাস্তব জীবনি বা কপি করা গল্প না যে গল্পের কাহিনী চেঞ্জ হতে পাড়বে না।
যেকোনো সময় গল্পের কাহিনী বদলে যেতে পাড়ে তাই গল্পটা শেষ পর্যন্ত পড়ুন তারপর নাহয় মতামত দিবেন ভাল হল নাকি খারাপ]
,
,
,
আদি রুহির পিছনে বসে আছে রুহি ফুল স্পীডে ড্রাইভ করছে তাই আদি বাধ্য হয়েই রুহিকে জড়িয়ে ধরে বসলো। রুহির এলোমেলো চুল গুলি আদির মুখে এসে পড়ছে আদির সবকিছু বেশ ভালই লাগছে। কিন্তু আদি এখনো জানে না সামনে কি অপেক্ষা করছে তার জন্যে।

কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা বাড়ির সামনে পৌছে গেল, তারা আসার কিছুক্ষনের মধ্যেই মাহিরদের গাড়িও এসে পৌছে গেল
বাড়ির গেইটে বিশাল আয়োজন রুহিদের স্বাগতম জানানোর জন্য। রুহি সবাইকে ভিতরে আসতে বলল,
গেইটের সামনে মধ্যবয়সি ১ জন লোক ১ জন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। তারা অধীর আগ্রহ নিয়ে রুহির এগিয়ে আসার দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু রুহি তাদের সাথে কথা না বলে পাশ কাটিয়ে ভিতরে ডুকে গেল। সেখানে আরো একজন মহিলা ছিল রুহি গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলো ফুফি কেমন আছো?
মহিলাটা রুহিকে জড়িয়ে ধরে হাওমাও করে কেঁদে দিল। বলতে লাগল কি করে পাড়লি আমাদের এত কষ্ট দিতে? এতই জেদ তোর?
কত জায়গায় খুঁজেছি যানিস?

রুহিঃ মেরি ডার্লিং এখন কাঁদছো কেন এই তো আমি চলে এসেছি।এবার চোখ মুছো বলে রুহি মহিলার চোখ মুছে দিল। পিছনের সেই লোক আর মহিলাও কাঁদছিল।

রুহিঃফুফি এরা হল আমার বন্ধু আর বন্ধবী আমি এতদিন এদের সাথেই ছিলাম।
বলে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।

রুহিঃ ফুফি সবার আপ্যায়নের ব্যবস্থা করো।আর পিছনের ভদ্র মহিলা আর ভদ্র লোকের সাথেও পরিচয় করিয়ে দেও বলে রুহি ভিতরে চলে গেল।

রুহির ফুফিঃ তোমাদের আর কি বলব বাবা,এই হল রুহি। বাবা মায়ের আদুরি একমাত্র মেয়ে আমারও আদরের, আর এইখানে ওকে যে সবচেয়ে বেশি আদরে রাখে সে হল আমার ছেলে জয়। জয়ের আস্কারাতেই রুহি দিন দিন জেদি হয়ে গেছে।
তাই এতদিন পড়ে বাসায় ফিরেও বাবা মার সাথে কথা বলে নি। প্রায় ২ বছর আগে রুহি এখানে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল তাই তার বাবা মা ওকে শাসন করেছিল সেই রাগে রুহি বাড়ি থেকে চলে যায়।অনেক খুঁজেও ওর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি।
জয় ওকে খুঁজে পাগল প্রায়, আজ সকালে জয় হঠাৎ ফোন করে বলল রুহি আজ ফিরবে আমরা তো বিশ্বাস করতেই পারি নি ও ফিরবে? যে জেদ ওর।
ওকে ফিরে পেয়ে আমাদের সবার যে কি আনন্দ হচ্ছে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তোমাদের কি বলে যে কৃতজ্ঞতা জানাব বোঝতে পাড়ছি না। তোমরা আজ আমাদের বাড়ির প্রান ফিরিয়ে দিলে।
এরি মধ্যে রুহির বাবা মা এসে সবার সাথে পরিচয় করে নিল।
রুহির বাবাঃ বাকি কথা পড়ে এখন সবাইকে নিয়ে ভিতরে যাও নাহলে আবার রুহি রাগ করবে।

সবাই ভিতরে গেল,কি অসম্ভব সুন্দর বাড়িটা সবাই তো হতবাক রুহি এত বড়লোক….!!!
আর একে দিয়ে নাকি আমরা বাড়ির কাজ করেয়েছি।
আদিঃ ইচ্ছা করছে মাটি ফাঁক করে সারাজীবনের জন্য ডুকে যাই (মনে মনে)
,
,
,
আদিরা সবাই নিচে বসে আছে তখনি রুহি মাথা মুছতে মুছতে নিচে নামল। রুহিকে এত সুন্দর লাগছে যে চোখ সরানো যাচ্ছে না মাত্রই শাওয়ার নিয়েছে রুহি একটা পিংক কালার শর্ট বেবি ফ্রক পড়েছে।
ভিজা খোলা চুল আর ফ্রকে রুহি একদম বারবি ডলের মত লাগছে।

আদিঃ এত সুন্দর্য্য এতদিন কোথায় লুকিয়ে রেখছিলে রুহি….(মনে মনে)

রুহিঃএরা এখানে কি করছে? কতটা জার্নি করে এসেছে যানো?সবাইকে রুমে নিয়ে যাও এদের মাথা পড়ে চিবিয়ে খেও এখন ফ্রেশ হতে দাও।

রুহিঃমিলি সবাইকে রুম দেখিয়ে দাও (মিলি রুহির সার্বক্ষনিক দেখাশুনা করত)

মিলিঃ জ্বি ম্যাডাম সবাইকে গেস্ট হাউজে নিয়ে যাচ্ছি।
রুহিঃ হেই ওয়েট কোথায় নিয়ে যাবা বললা?(ধমক দিয়ে)
তুমাকে যেন আর এই বাড়িতে না দেখি বোঝেছো?
সবাই অবাক হয়ে গেল রুহির কথায়।

ফুফিঃ ও আবার কি করল?

রুহিঃ তোমরা কি শুনতে পাওনি আমি এতদিন এদের বাসায় ছিলাম।
আমি এদের বাসায় যদি ফ্যামেলি ম্যাম্বারের মত থাকতে পাড়ি তাহলে এরা আমার বাসায় গেস্ট হয় কি করে? বলে সামনে থাকা ফ্লাওয়ার ভাস টা ফেলে দেয় রুহি।

রুহিঃওকে বোঝেছি….. আমার ফোন কোথায়?
ফোন হাতে নিয়ে….. হ্যালো কোন চিড়িয়াখানায় আমাকে ফিরে আসতে বলছিলি তুই?এখানে তো আমার থাকার মত ঘরেই নাই,

ওপাশ থেকে কেউ বলল রুহি…. রুহি….
come down dear. I am on the way.
আর কিছুক্ষন সহ্য কর baby।একটু কস্টকরে থাক আমি এসেই তোকে নিয়ে যাচ্ছি।

রুহিঃ তুই কই?

জয়ঃআমি আউট অফ টাউন ডেয়ার অনেক আগেই রওনা দিয়েছি কিন্তু এখুনো পৌছতে পারিনি এর জন্য তোর যা খুশি শাস্তি দিস এখন আমার কথা শোন প্লিজ।

রুহি ফোন কাটতেই মিলি এসে বলল সরি ম্যাম আর হবে না।
এদিকে রুহির ফুফির ফোন বেজে উঠল জয় ফোন করেছে।
ফুফিঃ হ হ হ হ্যালো….

জয়ঃ মাম্মাম কি সমস্যা তোমাদের? সবাইকে বলে দিছি না রুহির যেন এক চুল পরিমান অসুবিধে না হয়। কথা বোঝ না তোমরা? লাগবে না তোমাদের আমি এসেই ওকে নিয়ে যাব এইটুকু সময় শুধু ওকে ভাল রাখো প্লিজ। না হলে…..!!!

ফুফি ফোন রেখে বলল জয় খুব রেগে গেছে। মা তুই আর কিছু করিস না তাহলে ও এসে কাকে কাকে মারতে শুরু করবে কে জানে।

রুহিঃহুম ফুফি আমার এটা ঠিক হয় নি জয় রাস্তায় আছে ওকে উত্তেজিত করা উচিত হয় নি আমার।

আচ্ছা মিলি শোন উপড়ে সবার থাকার ব্যবস্থা করো আমার রুমে আদিকে থাকতে দিও। আমি গেস্ট রুমে থাকব।
কারো জন্য রুহি নিজের রুম ছেড়ে দিচ্ছে বোঝতেই পাড়ছো কেমন গেস্ট তারা।আর বোঝাতে হবে?
মিলিঃ না ম্যাম আমি দুঃখিত

লিজাঃ রুহি আমাদের নিয়ে এত চিন্তা করো না আমাদের এখানে কোন সমস্যা হবে না।

রুহিঃ হেসে বলল,উপড়ে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো ক্ষিদে পেয়েছে।

আদিঃ এইটুকু কথা যে মেয়ের সহ্য হয় না সে আমার করা এত অত্যাচার কি করে সহ্য করেছিল?
আর কে এই জয় যাকে রুহি বাবা মার যে বেশি ভরসা করে।জয়কে দেখার আগেই আদির মধ্যে ইনসিকিউরিটি কাজ করছে।
এগুলা ভাবতে ভাবতে আদি উপড়ে গেল।

সাওন আর মাহিরের শিক্ষা হয়ে গেছে,এইটুকু কথার জন্য জয় নিজের মা কে যেভাবে শাঁসালো আর এই জয়কে যদি রুহি আমাদের সব কথা বলে দেয়, জয় না টয় আমাদেরকে তো ২ টুকরা করে ফেলবে। সবকিছু বদমাইশ আদির জন্য হল।আমাদের নিশ্চুই জামাই আদর করার জন্য এখানে আনে নি।কি যে হবে কে জানে।।আল্লাহ মালুম রক্ষা করো।

মনিঃ আমাকে আর কেউ বাঁচাতে পাড়বে না।মনি যা নিজের মরার দিন গুনতে থাক।
,
,
,
,
রুহি খাবার টেবিলে বসে আছে। সবার জন্য অপেক্ষা করছে।
রুহিঃ মিলি যাও সবাইকে ডেকে আনো…
,
,
,
,
সবাইকে নিয়ে মিলি নিচে আসলো।
সবাই খেতে বসেছে রুহি সবাইকে সার্ভ করে দিচ্ছে এটা দেখে রুহির বাবা মা সহ বাড়ির সব কাজের লোকের চোখ কপালে উঠে গেছে।

রুহিঃ এভাবে তাকানোর কিছু নাই। আমি কে এরা জানত না তবুও আমাকে মাথায় করে রেখেছিল তাই আমিও সেটাই করছি।

রুহির কথায় আদির মনে পড়ে গেল সে রুহির খাবার ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলো।মনে পড়তেই আদি খাবার ছেড়ে উঠে গেল,

আদিঃ আমার ক্ষিদে নেই এক্সকিউজ মি বলে চলে যেতে চাইল।

রুহিঃ এই কে আছো স্যারকে বসিয়ে দাও।একজন এসে আদিকে জোর করে বসিয়ে দিল।

রুহি আদির কাছে এসে চোখ গরম করে আদির মুখের একদম কাছে গিয়ে আদির চোখে চোখ রেখে দাঁতে দাঁত চেপে বলল এটা তোমার বাসা না আর রুহি কি সেটা আগেই দেখে নিয়েছো তাই বাড়াবাড়ি করবা না।এখানে আমি যা বলব তাই হবে is it clear to you?

আদির কিছু করার নাই চুপচাপ খেতে লাগলো। রুহিও খাচ্ছে,এরমধ্যে বাড়ির গেইটে একটা বাইক এসে থামল বাইকটা সেম রুহির বাইকের মতই।

বাইক টা থামিয়ে একটা ছেলে এদিকেই এগিয়ে আসছে ছেলেটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি হ্যান্ডসাম।
আনুমানিক ৬ ফিট লম্বা,ফর্সা, বডিবিল্ডার আর খুব স্মার্ট ডান হাতের কুনুই থেকে কজ্বি পর্যন্ত ট্যাটু করা ঠিক ট্যাটু না ইংলিশে কিছু একটা লিখা।

ছেলেটিকে দেখেই রুহি খাবার ছেড়ে ছেলেটির দিকে ছুটে গেল ছেলেটিও রুহির দিকে ছুটে আসছে,
রুহিঃ o my devil…..!!!
ছেলেটিঃ my baby doll…..!!!
,
,
,
চলবে…!!!

#লেডি_ডন
#পার্টঃ গাজি স্নিগ্ধা হোসেন
#পার্টঃ১৪

বাইক টা থামিয়ে একটা ছেলে এদিকেই এগিয়ে আসছে ছেলেটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি হ্যান্ডসাম।
আনুমানিক ৬ ফিট লম্বা,ফর্সা, বডিবিল্ডার আর খুব স্মার্ট ডান হাতের কুনুই থেকে কজ্বি পর্যন্ত ট্যাটু করা ঠিক ট্যাটু না ইংলিশে কিছু একটা লিখা।

ছেলেটিকে দেখেই রুহি খাবার ছেড়ে ছেলেটির দিকে ছুটে গেল ছেলেটিও রুহির দিকে ছুটে আসছে,
রুহিঃ o my devil…..!!!
ছেলেটিঃ my baby doll…..!!!

রুহি ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরলো ছেলেটিও রুহিকে কোলে তুলে নিল।তারপর বাসার ভিতরে ডুকতে শুরু করলো,
ছেলিটি আর কেউ না জয়।

জয়ঃ কি করে পাড়লি বলতো? আমাকে ছেড়ে চলে যেতে,এতদিন আমায় ছেড়ে থাকতে? আমার বুঝি কষ্ট হয় না?
রুহি ছেলেটি গলা জড়িয়ে রেখেছে,
হুম হুম খুব কষ্ট হয়েছিল বোঝি?তাহলে তুই এত সুন্দর হয়ে গেলি কি করে? কষ্ট পেলে তো মানুষ দেখতে খারাপ হয়ে যায়?
জয়ঃ ভাল হচ্ছে না কিন্তু, এক্ষুনি ফেলে দিব।

রুহিঃ গলা জড়িয়ে আছি তো কি করে ফেলবি?

জয়ঃ তুই একটুও বদলাস নি হারামি।

রুহিঃ এই হ্যালো আমার পুঃজনম হয় নি যে বদলে যাব।আমি আগের রুহিই আছি।
২ জন হাসতে হাসতে ঘরে ডুকল।
,
,
,

জয় যখন টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আর রুহি জয়ের কোলে তখন,
রুহিঃ চল সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।

জয়ঃ পরিচিত না হয় হব কিন্তু এবার তো কোল থেকে নাম। ২ বছরে কত মুটকি হয়ে গেছিস রে…

রুহিঃ হারামি কোথাকার জীবনেও আর উঠব না যা সর বলে রুহি নেমে যেতে চাইল।
আচ্চা রাগ করতে হবে না বেবি তুমি কোলেই থাকো।

হুম বলে আবার জয়ের গলা জড়িয়ে ধরলো রুহি।

জয়ঃ হ্যালো everyone আমি সবাইকেই চিনি আদি,সাওন,মাহির,মনি,লিজা ঠিক বল্লাম তো?
আর আমি জয় রুহির মুখে নামটা আগেই শুনে নিয়েছো নিশ্চুই।জয় সবার সাথে বেশ ফ্রেন্ডলি কথা বলছে।
আদির নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে আজ
আদিঃরুহিকে কখনো অন্য কোনো ছেলের কোলে আবিষ্কার করব ভাবতেই পাড়ি নি।যাক জয় তো ওর জীবনে আগে থেকেই ছিল তাই মেনে নেওয়া ছাড়া কিছু করার নাই।

জয়ঃ তোমরা খাও, পড়ে কথা হবে আমি একটু কাজ সেরে আসি বলে রুহিকে কোল থেকে নামিয়ে হাত ধরে টেবিলের ঠিক পিছনের সোফায় বসা রুহির বাবা মার কাছে নিয়ে গেল।

জয়ঃ কিরে এখুনো বলিস নি তাই না?
রুহিঃ উহু….
জয়ঃ তাহলে এবার বল….
রুহিঃউহু….
জয় রুহির দিকে তাকাল

রুহিঃ এভাবে তাকাতে হবে না বলছি… বলছি,

রুহিঃ সরি বাবা….সরি মাম্মম

রুহির বাবা মা খুশি হয়ে গেল।

রুহিঃ আমি সরি বলি নি জয় জোর করে বলিয়েছে।
সবাই হেসে দিল।
জয়ঃ আমি কখন জোর করলাম হুম (হেসে হেসে)

রুহিঃ মনে মনে করেছিস সেটা কি আর কেউ বোঝবে? আমিত ঠিকি বোঝেছি।এখন তো সরি না বললে রাগে হন হন করে চলে যেতি।

রুহির মাঃ কেমন আছিস তুই জয়? রুহি চলে যাওয়ার পর আজ আসলি এই ২ বছরে একবারো আসলি না আমাদের বাসায় তোদের এত জেদ?

জয়ঃএসব ছাড়ো ত আন্টি।

পিছন থেকে জয়ের মা বলে উঠল মেয়েটা যে এঁটু হাতে দাঁড়িয়ে আছে সেটা বোঝি তর চোখে পড়ছে না জয়?

জয়ঃ তাই নাকি? রুহি যা হাত ধুয়ে আয়।

রুহি মুখ গুমরা করে বেসিনের দিকে যাচ্ছে,
জয় হঠাৎ কি ভেবে যেন রুহির পিছনে ছোটল।

জয়ের মা(ফুফি)_ আরে জয় কই যাস? আর রুহি হাত ধুবে কেন ও খাবে না?

রুহির বাবাঃ তুমিও না আপা…. কখনো দেখেছো জয় রুহির সাথে থাকতে রুহি নিজের হাতে খেয়েছে?তাহলে আজ কি করে খাবে?

রুহিঃ বেসিনের কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই জয় পিছন থেকে বলল,
জয়ঃ কিরে নিজে নিজে হাত ধুতে বলেছি বলে মন খারাপ হয়েছে তাই না?

রুহিঃ না…. কত বদলে গেছিস তুই।

জয়ঃ কই বদলাম? বদলে গেলে কি বোঝতাম তুই মন খারাপ হয়েছে সবাইকে জিজ্ঞাস করে দেখ তো অন্য কেউ বোঝেছে কিনা?আমি ঠিকি বোঝেছি

রুহিঃ হয়েছে ঢং করতে হবে যা সর হাত ধুতে বলেছিস তাই করছি।
জয়ঃ একটানে রুহিকে কাছে নিয়ে এত রাগ করতে হবে না আমি আছি তো বলে রুহির হাত ধরে, হাত ধুয়ে দিল।
এসব দেখে আদির প্রায় কাঁদো কাঁদো অবস্থা।

সবার খাওয়া শেষ আদি এসে টেবিল থেকে এক প্লেট খাবার নিয়ে বলল চলো সবাই আড্ডা দেই বলে সবাই কে সোফায় বসতে বলল
জয়ঃতারপর আদি বলো কেমন লাগছে আমাদের এখানে?
আদিঃআপনি আমায় চিনেন?

জয়ঃ কী করছো?কিসের আপনি? তুমি করে বল ইয়ার। আজ থেকে আমিও তোমাদের একটা ভাল ফ্রেন্ড, যে তোমাদের যেকোনো বিপদে নিজের জান লড়িয়ে দিবে।

আদিঃ তা তুমি আমায় কি করে চিন?

জয়ঃ শুধু তোমায় নাকি?আমি সবাইকে চিনি বলছি দাঁড়াও।
কিরে তুই ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? খাবারটা কে খাবে?
রুহি জয়ের কাছে এসে বসলো,
জয় রুহির মুখে খাবার তুলে দিতে দিতে বলল
এই যে এটা হল সাওন গান বাজনা ভালবাসে।
আর এটা মাহির কারোর কষ্ট সহ্য করতে পাড়ে না এক কথায় ইমোশনাল।
এটা হল মনি একটু ফাযিল টাইপের কিন্তু এতও খারাপ না ওকে জয়ের একটু টাইট দিতে হবে এই আর কি…

কথাটা শুনে মনির গলা শুকিয়ে গেল।

আর সব শেষ লিজা
সি ইজ ওয়ান অফ দ্যা মোস্ট কিউট গার্ল ইন দ্যা ওয়াল্ড। সব ঠিক বল্লাম তো?

কথা বলার মাঝেই জয় রুহির মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে।
রুহির মা এসে বলল জয় তুই তো অনেক দূর থেকে এসেছিস তুই খাবি না?
জয়ঃ আন্টি রুহিকে আগে খায়িয়ে দেই তারপর খাচ্ছি।

রুহির মাঃ সত্যি আমি বোঝি না, যে ছেলে বাসায় এক গ্লাস পানি ঢেলে খায় না। সে এই মেয়েকে কি করে এত যত্ন করে?
রুহিঃ তোমার কি তাতে হিংসা হচ্ছে?
জয়ঃ রুহি…..
রুহি চুপ হয়ে গেল।
রুহির মা চলে যায়।
জয়ঃ তো সবাই যাও রেস্ট নিয়ে নাও বিকালে না হয় বের হব সবাই মিলে।
রুহি তোর খাওয়া শেষ হলে আমি একটু বাইরে যাব,

রুহিঃ কই যাবি আমাকেও নিয়ে যা।

জয়ঃ না এখন না বিকালে নিয়ে যাব তোকে।
সবাই রুমে গেল রুহিকে ঘরে পাটিয়ে জয় বাইরে চলে গেল।
,
,
,
,
,
বিকাল হয়ে গেল,
জয় এসেছে
জয়ঃরুহি এই রুহি….

জয়ের গলা শুনেই রুহি দৌড়ে বের হল

রুহিঃ এতদিন পর আমি আসলাম আর তুই আমায় রেখে চলে গেলি?আর এতক্ষন লাগলো আসতে? যা কথা বলব না।
জয়ঃকতগুলি চকলেট দিয়ে বলল এবার বলবি তো?

রুহিঃ আমাকে কাবু করার সব ব্যবস্থায় আগে থেকে করে রাখিস তাই না?

জয়ঃ কি করব বল একটাই বেবে ডল যে আমার।

রুহিঃ চকলেট খেতে খেতে বলল ঘুড়তে নিয়ে যাবি বলেছিলি যাবি না?
জয়ঃ হুম যাব। যা সবাইকে বল রেডি হতে।
তুই ও রেডি হ।

রুহিঃ ঠিক আছে।

জয়ঃ এই শোন এখন বাসায় যেতে পাড়ব না আমি তোর রুমে একটু ফ্রেশ হতে পাড়ি?

রুহিঃএটা আবার বলার কি আছে? পাগল নাকি তুই?যা….
,
,
,
কিন্তু আমার রুম ত আদিকে দিয়েছি।

জয়ঃ তাহলে আর তোকে বলছি কেন? তুই সর আমি আদির রুমে ফ্রেশ হতে যাচ্ছি।বলে চলে গেল
,
,
,
রুহি রেডি হয়ে বসে আছে সাওন মাহির লিজা মনি সবাই রেডি কিন্তু আদি আর জয় এখুনো নিচে নামে নি।

হঠাৎ রুহির চোখ সিঁড়িতে আটকে গেল আদি আর জয় একসাথে নামছে।
জয় একটা সাদা টিশার্ট পড়েছে তার উপড় জিপার খুলে কালো জ্যাকেট পড়েছে হাতা ফোল্ড করে রেখেছে ডার্ক ব্লু জিন্স চুলে জেল দিয়ে পিছনের দিকে ফেলে রেখেছে।ডান তাতে কয়েকটা ব্লেটের ব্রেসলেট বাম হাতে ঘড়ি চোখে কাল সান গ্লাস এক কানে কালো রং এর একটা দুল পড়েছে কি দারুন লাগছে জয় কে চোখ ফিরানো যাচ্ছে না।
আশ্চর্য্যের বিষয় আদিও সেম ড্রেস পড়েছে ২ জনকেই অপুর্ব লাগছে। রাস্তায় যেই ওদের দেখবে গুলিয়ে ফেলবে কারন কে কোনটা বোঝা কষ্টকর। আর মেয়েরা তো দেখা মাত্রই ক্রাস খাবে।
লিজা আর মনি অলরেডি ক্রাস খেয়ে ফেলছে।
২ জন একসাথে এসে দাঁড়াল,
রুহিঃ মাসাল্লাহ কারো নজর যেন না লাগে।
জয়ঃ কিন্তু তুই এসব কি পড়ছিস একদম ভাল লাগছে না। যা চেঞ্জ করে আয়
রুহিঃওই….
জয়ঃ মজা করতেছিলাম চল বের হই।
বের হয়ে,
রুহিঃআমার বাইক কই?
জয়ঃ আজ তুই বাইকে যাবি না সবার সাথে গাড়িতে যা।
রুহিঃ যা মানে? তুই যাবি না?ও নিজে বাইকে মজা করতে করতে যাবি আর আমাকে গাড়িতে পাঠাবি তাই তো?
জয়ঃ না আমিও গাড়িতেই যাব তবে অন্য গাড়িতে। বলে জয় আদির কাছে এসে রুহির হাত টা আদির হাতে দিয়ে বলল, আগামি ১ ঘন্টার জন্য তোমার হাতে রুহিকে তুলে দিলাম বলতে পারো আমার জীবন টাই তোমার হাতে তুলে দিলাম।
কথা দাও এই ১ ঘন্টা তুমি ওকে রক্ষা করবে?আজ আমাদের সাথে কোন গার্ডস যাচ্ছে না আর আমিও যাচ্ছি না তোমাদের সাথে তাই তোমাকে দায়িত্ব দিলাম আমি জানি তুমি এই দায়িত্বের যোগ্য।

আদিঃ হতবাক হয়ে গেল এসবের মানে কি বোঝতে পাড়তেছে না সে।কিন্তু নিজের অজান্তেই আদি বলে ফেলল নিজের জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করব।

জয়ঃ ড্রাইভার যেখানে বল্লাম সেখানে নিয়ে যাও আর রাস্তায় কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাবে আশা করছি কিছু হবে না কারন আদি আর আমাকে চিনা যাচ্ছে না আর আমি যেখানে আছি সেখানে কেউ আক্রমন করার সাহস পাবে না তার পরেও সাবধান থেকো।
বলে জয় চলে গেল
রুহিঃ কি হল কিছুই বোঝলাম না আমরা কি ঘুড়তে যাচ্ছি নাকি যুদ্ধ করতে?
যাই হোক চল যাই।
,
,
,
,
কিছুক্ষন পড় গাড়ি এসে একটা নির্জন লেকের পাড়ে থামলো লেকটার চারপাশে পাহাড়ে ঘেরা, গাড়িটাও একটা টিলার উপড়ে থামল। আশে পাশে কোন বাড়িঘর ত দূর একটা মানুষও নেই।
গাড়ি থেকে নামতেই,
জয় এসে বলল
রাস্তায় কোন অসুবিধে হয় নি তো?

রুহিঃ না হয় নি কিন্তু এই অদ্ভুত জায়গায় আমরা কি করছি? এটা ঘুড়ার মত জায়গা হল?

জয়ঃ এখানে ঘুড়তে আসি নি একটা কাজ করতে এসেছি।

রুহিঃ কি কাজ?

জয়ঃ সময় হলে দেখতে পাবি।

মাহিরঃ আমি জানি কি করতে এসেছে আমাদের মেরে পুঁতে দিতে এসেছে আজ আর রক্ষা নেই। মরার জন্য তৈরি হ সাওন ফিস ফিস করে।

লিজাঃ আমার কিন্তু তেমন মনে হচ্ছে জয় ছেলেটা বেশ ভাল।
মনিঃ সেই আশাতেই থাক আজ মিত্যু নিশ্চিত কোন সন্দেহ নাই।
,
,
,
চলবে…!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here