লেডি_ডন পার্টঃ১৯,২০

0
1198

লেডি_ডন
পার্টঃ১৯,২০
লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
পার্টঃ১৯

মনি,সাওন মাহির তাকিয়ে দেখলো
সামনেই হাঁটু ঘেরে আদি বসে আছে,
আদির অবস্থা দেখে মাহির,সাওন মনি সবাই অবাক।
আদি বসে বসে কাঁদছে,
মনি এগিয়ে গিয়ে আদি……

আদিঃ চমকে উঠে চোখ মুছতে মুছতে তোরা এখানে…???কিভাবে জানলি আমি এখানে?

মনিঃ হয়ত জয়ের আর রুহির মত বন্ধু হতে পাড়িনি কিন্তু ছোট থেকে ত একসাথেই বড় হয়েছি তাই না?একটু হলেও ত চিনি তোকে।
আদি মনিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করল,

মাহিরঃ এতদিন ধরে তোর সাথে আছি কখনো তোকে কাঁদতে দেখি নি আদি….তুই কি সত্যিই সেই আদি যে কিনা কথায় কথায় জেদ দেখাতো?

মনিঃ তোরা অনেক কিছুই জানিস না আমি সবটা আগে থেকেই জানতাম তাই আমি অনুমান করেছিলাম আদি নিজের চোখের জল লুকাতে কোথাও গিয়েছে…!! আর যেহেতু ও এখানে তেমন কিছু চিনে না তাই এই নীরব জায়গাটায় আসবে সেটা বোঝতে বাকি রইল না।এখানেই আমরা বিকালে এসেছিলাম

সাওনঃ তুই এমন কি জানিস যা আমরা জানি না?

মনিঃঅনেক কিছুই তবে শোন, আদি রুহিকে ভালবাসে হয়ত একটু বেশিই ভালবাসে।

মাহিরঃকি বলিস আমাদের কাউকে তো কোনদিন বলে নি।

মনিঃ আমাকে বলেছিল,আদি প্রথমদিনেই রুহিকে ভালবেসে ফেলেছিল যেদিন মেলায় রুহি আদিকে চড় মেরেছিল সেদিনেই। আদি সবসময় এমন একটা মেয়েই চেয়েছিল যার মধ্যে সাহস থাকবে।

একদিন আদিও সবার মত এক গুচ্ছ ফুল নিয়ে রাস্তায় হাঁটু ঘেরে বসে রুহির কাছে ভালবাসার প্রার্থনা করেছিল। কিন্তু বিনিময়ে পেয়েছিল অপমান।
যেখানে আদিকে সবাই চিনে সেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে রুহি আদিকে থাপ্পড় মেরেছিল তাও সেটা শুধু তাকে ভালবাসার নিবেদন করার জন্য।
সেদিন রাস্তায় সবাই হেসেছিল
প্রথমবার আদি মানুষের হাসির খোরাক হয়েছিল,আদির পরিচিত অনেকে সেদিন আদিকে কথা শুনানোর সুযোগ পেয়েছিল। আদি তবুও সব সহ্য করে নিয়েছিল,
আদি বারবার রুহিকে বোঝানোর চেস্টা করেছিল সারারাত ধরে রুহির বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু রুহি আদির কোনো কথা শুনে নি। পরদিন অফিসে এসে রিজাইন দিয়ে দেয় রুহি

তোরাই বল এরপরেও কি আদির উচিত ছিল রুহিকে আটকানো?

রুহি হয়ত আগে থেকেই জয়কে ভালবাসতো তাই আদিকে ফিরিয়ে দিয়েছিল কিন্তু সেটা বলে দিলেই তো পাড়ত, এতটা অপমান করার কি প্র‍য়োজন ছিল?
তারপর আদি যখন সুযোগ পেল তখনি ওকে বাসায় নিয়ে আসলো কিন্তু সেটা প্রতিশোধের জন্য না ভালবাসাটা বোঝানোর জন্য।প্রতিদিন রুহির হাতে খেত চাইত, একটা বউ যা যা করে সব রুহিকে দিয়ে করাত আদি।এটা যে অত্যাচার না ভালবাসা ছিল সেটা রুহি বোঝল না। আদি শুধু এইটুকুই চেয়েছিল রুহি যেন নিজের মুখে ওকে এসে বলে যে,সে আদিকে ভালবাসে তাই আমাকে রিকুয়েষ্ট করেছিল যাতে আমি আসি আর আদির সাথে একটু ঘনিষ্টতার অভিনয় করি যাতে রুহি রেগে গিয়ে আদিকে ভালবাসার কথা বলে কিন্তু সেটাও হল না।

তখন আদি রুহির সাথে খারাপ ব্যবহার করলো রুহি সেই খারাপ ব্যবহার টাই দেখল। এর আগের ২ মাসের ভালবাসাটা দেখলো না।

রুহি বলেছিল সে নাকি আদিকে ভালবাসে ফেলছিল কিন্তু পরীক্ষা করার জন্য আদিকে রিজেক্ট করে ছিল।

যদি আদি বারবার অপমানিত হওয়ার পরেও ওকে গিয়ে ভালবাসার কথা বলত তাহলে নাকি ও রাজি হত।কিন্তু আদির নাকি ইগু বেশি তাই সে রাজি হয় নি।
আচ্ছা তোদের কি মনে হয় রুহিকে যদি এভাবে এখানে কেউ অপমান করে,রুহিকি তাঁকে বাঁচতে দিবে আমার ত মনে হয় না।তাহলে আদি কতটা সহ্য করেছে সেটা ও কিভাবে বোঝল না?

আসলে রুহির পরিক্ষা করার পদ্ধতিটা ভুল ছিল আর আদির ভালবাসা বোঝানোর পদ্ধতিটা…তাই আজ এই অবস্থা।

আদিঃ তুই চুপ কর মনি।

মাহিরঃ এতদিন আমাদের কেন বলিস নি এসব? আমরা জয়ের মত মাফিয়া হতে না পাড়ি বন্ধুকে খুশি রাখতে রুহিকে এখান থেকে নিয়ে যেতেতো পাড়ব।জয়ের সাথে মারামারি করতে না পাড়ি ভিক্ষা ত চাইতে পারব।

সাওনঃ ঠিকি বলেছিস দরকার হলে জয়ের হাতে জীবন দিব তবু রুহিকে আদি ছাড়া অন্য কারোর হতে দিব না। চল এক্ষুনি।

আদিঃ না যাস না তোরা, জয় অনেক ভাল একটা ছেলে ও যদি জানে আমি রুহিকে ভালবাসি ও রুহিকে বিয়ে করবে না, কিন্তু রুহি ওকে ভালবাসে আর রুহিকে এই পৃথবীতে যদি কেউ সুখে রাখতে পারে সেটা শুধুই জয়।

মনিঃ আর তোর কি হবে?জীবনে কখনো কাওকে রুহির জায়গাটা দিতে পাড়বি? জানি পাড়বি না।
যে আদিকে বাবা মা একটা কথা বল্লেও জবাব দিত সেই আদি একটা মেয়ের করা এত অপমান সহ্য করেছে…..সেই মেয়েকে আদি কতটা ভালবাসে আর কেউ না বোঝক আমরা চারজন অন্তত বোঝি।

আদিঃ ভালবাসা এক তরফা হয় না রে…. বোঝানোর কম তো চেষ্টা ত করি নি কিন্তু…..
আমি সেদিন হসপিটালে রুহির মা মানে নুরার মাকে কথা দিয়ে এসেছিলাম আমি রুহি কে বিয়ে করব। সেই জন্যই তিনি রুহিকে আমার বাসায় থাকতে দিতে রাজি হয়েছিল। সবকিছুই ঠিক করেই রেখেছিলাম আংকেল সুস্থ হয়ে গেলেই বিয়ে করে ফেলব বাবা মাকেও বিয়ের কথা বলে দিয়েছিলাম,
যানিস রুহির জন্য লাল টুকুটুকে একটা শাড়ি কিনেছিলাম আদির চোখ থেকে অনবরত অশ্রু ঝড়ছে। আর আদি বলছে
প্রতিদিন কল্পনা করতাম একদিন লাল টুকটুকে শাড়িটা পড়ে রুহি গুটি গুটি পায়ে আমার জীবনে আসবে কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজকেও রুহি লাল শাড়ি পড়বে কিন্তু সেটা আমার দেওয়া না জয়ের দেওয়া।

মাহিরঃ আদি তুই আর বলিস না আমার ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে। সহ্য করতে পাড়ছি না রে।

আদিঃ আমি এখানে এসেছিলাম সুসাইড করার জন্য যেন লাশ টা খুঁজে না পাওয়া যায় তাই এখানে আসা কিন্তু পড়ে ভাবলাম আমি হারিয়ে গেলে জয় আমাকে খুঁজতে ব্যস্থ হয়ে পড়বে তখন ওদের বিয়েটা হবে না।

আমি সব মেনে নিয়েছি।
আমি জয়কেও ভালবাসি,জয় রুহিকে ছাড়া থাকতে পাড়বে না আর আমি জয়কে কস্ট দিতে পারব না।
তাই আমি হাসিমুখেই ওদের বিয়েতে উপস্থিত থাকব এখানে যা যা হল সব ভুলে যা…..
রুহি আর জয়ের খুশিতেই আমি খুশি
তোরা আমার জন্য হলেও চুপ থাকিস প্লিজ।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি এখান থেকে চলে যাব….চোখ মুছতে মুছতে বলল আদি।

তারপর,হয়ত কখনো আর আমার জীবনে আসা এই লেডি ডন কে আমার দেখা হবে না। আমি না হয় ২ মাসের স্মৃতি নিয়েই বেঁচে থাকব। এই ২ মাস তো ও আমার বউএর মতই ছিল।

চোখের পানি মুছে ….জোর করে মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল চল ফিরে যাই, কাল আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটার বিয়ে আমি যদি কাজ না করি কে করবে বল তো…???
,
,
,
চলবে….!!!

#লেডি_ডন
#পার্টঃ২০
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona

মনি আদি কে খুঁজে পেলেও জয় বা রুহি কেউ তা জানে না।
জয় আদিকে পাগলের মত খুঁজতেছে।
এদিকে জয় রুহিকে বাসায় রেখে আসলেও। রুহি জয়ের নিষধ মানে নি। জয় বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই রুহিও বেরিয়ে গেছে আদিকে খুঁজতে।
রুহির কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না যে আদি নিজে নিজে কোথাও যেতে পাড়ে।ওর বিশ্বাস আদিকে কেউ তুলে নিয়ে গেছে কারন আদিত এখানে কিছুই চিনে না আর আদির কাছে কোনো টাকা বা ফোন নাই।
,
,
,
,
,
এখন ঘড়িতে রাত ১ টা বাজে সবাই বাসায় চলে এসেছে,আদি মাহির সাওন এমনকি জয় ও
কিন্তু রুহি নাই। রুহি সেই যে বের হয়েছিল এখুনো আসে নি।
জয় সব গার্ডসদের বকাবকি করছে কেন রুহিকে বের হতে দিল সে জন্য।
জয় রাগ কন্ট্রোল করার জন্য তার সামনে থাকা প্রতিটা জিনিস একটার পর একটা ছুড়ে ছুড়ে ফ্লোরে ফেলে দিচ্ছে

জয়ঃ আমি নিজে ওকে বাসায় দিয়ে যাওয়ার পড়েও ওর সাহস কি করে হয় বাইরে যাওয়ার?এই মেয়েটাকে মানুষ করতে পাড়লাম না আফসোস।

সবার টেনশান হচ্ছে

সেই মুহূর্তে রুহির এন্ট্রি হল,রুহিকে দেখে মনে হচ্ছে না এটা কোনো মেয়ে পুরো মাফিয়াদের মত ড্রেস পড়েছে রুহি।

বাসায় এসে বাসার এই অবস্থা আর আদিকে দেখে অবাক হল,
জয় রুহিকে দেখল কিন্তু কিছুই বলল না যেন স্টেচো হয়ে গেছে।

রুহিঃ পরিবেশ গম্ভির হওয়া মানে ঝড়ের পুর্বাভাস….

লিজাঃ তুমি কোথায় চলে গেছিলে তোমার টেনশানে আমাদের জান যায় যায় অবস্থা।

রুহি জয়ের দিকে আড় চোখে দেখে বলল কোথাও নাত আমিত ব্যাস এখানেই ছিলাম।

জয় উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল এখন এটা বলিস না যে তুই এই ড্রেসে ফুল তুলতে গেছিলি।
কাকে মেরে এসেছিস এক্ষুনি বল কোনো আবল তাবল কথা শুনতে চাই না।

রুহিঃএখন কি করব সত্যি বল্লে নিশ্চিত গিলে খাবে মিথ্যা বল্লেও ধরা পড়ব।ন্যাকা কান্না ছাড়া কোন উপায় নাই।
আ আ আ….. তুই আমাকে বকা দিলি জয়….???

জয়ঃ হাহহহ খোদা এই মেয়ে জয়ের সাথে গেম খেলতে চায়…??? ওর চালাকি আমি বুঝতে পাড়ব না এটাও ভাবতে পাড়ে (মনে মনে)
বোঝেছি আচ্ছা থাক বকা দিব না যা রুমে যা।

রুহিঃ বেঁচে গেছি বুঝে নাই বোকা কোথাকার মনে মনে
জয়ঃ সেটা আমি না তুই…

রুহিঃ আমি কি কিছু বলছি নাকি?

জয়ঃ আমি স্পষ্টই শুনতে পাড়ছি তুই মনে মনে কি বলছিস।
আর আমি জানি তুই কাউকে না কাউকে হসপিটালে রেখে এসেছিস কিন্তু আমি তোকে বলেছিলাম আদিকে কেউ নেয় নি ওই নিজে গেছে,শোনিস নি আমার কথা বেচারারা হুদাই মার খেল।
রুহিঃ খেল ত খেল তোর কি? তোকে ত আর মারি নি….
জয়ঃ এই তো স্বীকার করলি এবার সবটা বলে ফেল
রুহিঃ দূর কি করলাম এটা? এখন কি বলব…..কথা ঘুরাতে হবে মনে মনে….
জানিস জয় আমাদের না কাল বিয়ে,

জয়ঃ কিসের মধ্যে কি?

রুহিঃ শোন তর ফালতু কথা শুনার আর বলার সময় আমার নাই। আমার অনেক কাজ আছে

জয়ঃ তাই নাকি? তা কি করবি তুই এখন?

রুহিঃ তোরা বস আমি সেজেগুজে আসছি আমি কাল কি পড়ব সেটা ঠিক করে দিবি তো নাকি? তারপর প্রপোজ করা প্রেকটিস করতে হবে আরও কত কাজ।তোরা থাক আমি আসছি।বলেই দৌড়

জয়ঃ বড়সর কোনো ঝামেলা করে এসেছে নিশ্চিত এখন কথা ঘুড়াতে চাচ্ছে।ফোন হাতে নিয়ে হুম কিছু কি হয়েছে?
ওপাশ থেকে কেও বলল স্যার আপনি জানেন না?
রুহি ম্যাডাম বেহানকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে বেহানের লোকেরা রুহি ম্যাম কে হন্নে হয়ে খুঁজছে।
জয়ঃ হুম বোঝেছি।আচ্ছা রাখছি বলে ফোন কাটল।
সব শান্ত ছিল রুহির সেটা ভাল লাগল না এখন বিয়ের দিকে মন দিব নাকি বেহানকে আটকাব?

এরিমধ্যে রুহি সেজেগুজে হাজির কেমন লাগছে আমায়?
লিজাঃ বাহ খুব সুন্দর বাকি দের মুখে কোন কথা নাই একেক জনের একক কারনে মন খারাপ।

রুহিঃ সবার মুখ দেখেত তা মনে হচ্ছে না। যে ভাল লাগছে
জয় রুহির কাছে এসে বলল বেহানকে কেন মারলি?
রুহিঃআমি ভেবেছিলাম বেহান আদিকে নিয়ে গেছে তাই।তুই বল আমি যদি হারিয়ে যেতাম তুই তোর শত্রু কে মারতি না?
রুহি সবসময় সব করা যায় না একা গিয়ে তুই বেহানকে মারলি তোর যদি কিছু হয়ে যেত

যদি হয়েই যেত তাহলে এতদিন কি শিখালি? ছাড়তো এসব চল বাবা মার কাছে যাই বিয়ের কথা বলতে হবে।
জয়ঃ শান্ত গলায় হুম চল।
রুহিঃ বাবা আসব?
রুহির বাবাঃ কোথায় ছিলে এতক্ষন টেনশানে ফেলে দিয়েছিলে।
রুহিঃ এখানেই ছিলাম বাবা এসব বাদ দাও। একটা কথা বলার জন্য এসেছিলাম
রুহির মাঃ এত জিজ্ঞাস করার কি আছে বলে ফেল।
রুহিঃ জয়কে উদ্দেশ্য করে বলল কি রে বল।
জয়ঃ আমি বলব?
রুহিঃ তো কে বলবে
জয়ঃ তুই বলনা
রুহিঃ আমি পারব না তুই বল
রুহির বাবাঃ আরে কি সমস্যা বল তো
জয়ঃ মামা আমরা বিয়ে করছি।
রুহির বাবা আকাশ থেকে পড়ল খুশিও হল।
এতদিন তো এটাই চাইছিলা তোরাই রাজি ছিলি না।
রুহিঃ হুম বাবা কাল সন্ধ্যায় পার্টি তুমি সবাইকে ইনভাইট করে দাও।
বললে রুহি আর জয় চলে গেল।
জয়ঃআচ্ছা আমি এখন যাই সকালে আসব বলে জয় চলে গেল
রুহিঃ আচ্ছা লিজা শোনো ৬ টায় যদি পার্টি হয় এখন ৩ টা বাজে তারমানে আজকেই আমার বিয়ে তাহলে আমার উচিত এখব মেহেদি পড়া তাইনা?

লিজাঃ হ্যা পড়তেই পাড়ো

রুহি ৩ টা মেহেদি নিয়ে এসে আদি সাওন আর মাহির হাতে দিয়ে দিল
আদিঃ এগুলা দিয়ে আমরা কি করব?

রুহিঃ পড়িয়ে দিবে বলে আদির দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।
মাহির,সাওন লিজা আর মনি কে পড়িয়ে দিবে আর তুমি আমাকে বন্ধুতো এইটুকু করতে পাড়ে।
জয় থাকলে অবশ্য ওই পড়িয়ে দিত।

আদিঃআমি এসব পাড়ি না রুহি….
পাড়ো না তো শিখে নাও আমাকে দিয়ে শুরু করো পড়ে নিজের বউ কে লাগিয়ে দিও।বেশি সময় নেই তাড়াতাড়ি লাগিয়ে দাও তো।
আদি বাধ্য হয়ে মেহেদী পড়িয়ে দিতে লাগল

আদিঃ কি ভাগ্য আমার…. যাকে নিজের বউ ভেবেছিলাম আজ থাকে অন্য কারোর বউ করে দেওয়ার জন্য নিজেই মেহেদী পড়িয়ে দিচ্ছি…..
,
,
,
,
চলবে….!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here