লেডি_ডন
সিজনঃ২
পার্টঃ৩,৪
Snigda Hossain Mona
পার্টঃ৩
জয় রুহির কথা ভাবতে ভাবতে সারারাত কাটিয়ে দিল।তার চোখ ২ টি ভিজে এসেছে,আজও জয় ঘুমাতে পাড়েনি।
জয় এখন অনেক বদলে গেছে সে আর এখন মাফিয়া নেই।মারামারি একদম ছেড়ে দিয়েছে, কারন রুহি যখন তার মা বাবার মৃত্যুর সময় এসেছিল জয়কে মারামারি করতে নিষেধ করেছিল।
,
,
,
দেখতে দেখতে ভোর হল,
লিজাঃ গুড মর্নিং বেবে….
জয়ঃ গুড মর্নিং।
লিজাঃ উঠো ফ্রেশ হয়ে নাও কিছুক্ষন পড়েই তো আমাদের ফ্লাইট।
জয়ঃ হুম আমার মনে আছে।
লিজাঃ আমাকে তো কখনো নিয়ে যাও না এই ট্যুরে নিয়ে যাচ্ছ ভাবতেই পাড়ছি না।
জয়ঃ আমি ঘুড়তে যাই না লিজা বিজনেস এর কাজে যাই সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকি একদম সময় পাই না তাই নিয়ে যাই না।এবার সময় আছে তাই নিচ্ছি।
লিজাঃ হুম বোঝলাম,আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে নিচে এসো মা অপেক্ষা করছেন নাস্তা করবা।
জয়ঃ তুমি যাও আমি আসছি।
লিজা চলে গেল।
কিছুক্ষন পর জয় নিচে নেমে আসল
জয়ের মাঃ আয় বাবা।
জয়ঃ হুম মা।
জয়ের মাঃ কিরে চোখ মুখ এমন দেখাচ্ছে কেন? আজকেও ঘুমাস নি তাই না?
জয়ঃ মা প্লিজ আজ আবার শুরু করো না।
মাঃ কেন শুরু করব না বল তো। শয়তানিটা আমার সংসারটাকে তছনছ করে দিয়েছে আর আমি কিছু বলতে পাড়ব না।
জয়ঃ মা রুহিকে কেউ খারাপ কথা বললে আমার ভাল লাগেনা, কেন বোঝ না?
মাঃ তা লাগবে কেন?
ওর জন্য কি করিস নি তুই বল তো? সব করেছিস আর সে কি করল তোর কথা একবারো না ভেবে নিজের পছন্দ মত বিয়ে করে নিল।ওই ডাইনিটার জন্য তোর নিজের কি অবস্থা করেছিস দেখেছিস?
জয়ঃ মা আমিও বিয়ে করেছি সেটা কি তোমার চোখে পড়ছে না।
মাঃ তা করেছিস কিন্তু তর আর লিজার মধ্যে ডাইনিটা সবসময় দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
বাবা শুন কেউ চায় না তার স্বামী অন্য মেয়ের কথা ভাবুক।
জয়ঃ মা তোমরা চাও নি রুহির সাথে আমি যোগাযোগ করি, তাই আমি করিনি এখন আমার ভাবনার মধ্যেও অধিকার ফলাতে চাচ্ছ?লিজা কি জানত না আমার জীবনে রুহি কি?সব জেনেই লিজা বিয়ে করেছিল যদি সেটা নাই মানতে পাড়ত তাহলে বিয়ে করল কেন আমায়?
মাঃ লিজার মত হাজারে ১ টা পাওয়া যায় বুঝলি।সময় থাকতে ঠিক হয়ে যা।
জয়ঃ মা আমি কার কোন চাওয়া অপুর্ন্য রাখছি বলতো? তবু কেন প্রতিদিন তোমরা রুহিকে আজেবাজে কথা বলো।
মাঃ কারন ও একটা ডাইনি তোর কাছ থেকে সব খুশি কেড়ে নিয়েছে।বলতো ২ বছরে কখনো হেসেছিস? তোকে এভাবে দেখতে আমাদের ভাল লাগে না জয়।
লিজাঃ থাক না মা এসব কথা তুমি খেয়ে নাও।কথা বল্লেই কথা বাড়বে। এটা জয়ের দোষ না মা, একটা মেয়ে এভাবে একটা ছেলের সাথে মিশে থাকলে যেকোন ছেলেরি খারাপ লাগবে।
আমাদেরও তো বন্ধু ছিল তাই বলে তার সাথে এভাবে পড়ে থাকতাম না।রুহির তো ঢ্লাঢ্লি না করলে ভালই লাগত না।কি এক অবস্থা সবার মাথা একদম জিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পাড়ে।
নিজের হাজারটা ছবি ছেলের বাড়িতে রাখতে হবে ছেলের বেড রুম তার পছন্দে সাজাতে হবে কতটা খারাপ মন মানুষিকতা হলে এমন করা যায়? রুহির ত চরিত্রের ঠিক নাই। এভাবেই আদির ঘাড়ে চাপল। ছেলেদের পটানোতে ওকে এওয়ার্ড দেওয়া উচিত।
জয় দাঁড়িয়ে কিছুটা ধমক দিয়ে বলল অনেক হয়েছে আর না। তোমরা আমাকে পেয়েছোটা কি?রুহির ছবি এই বাড়িতে থাকতে পাড়বে মেনে নিয়েছি,রুহির নাম মুখে নেওয়া যাবে না সেটাও মেনে নিয়েছি।রুহি পছন্দের সব জিনিস বাড়ির বাইরে ফেলে দিয়েছো সেটাও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছি।শেষ পর্যন্ত আমার ঘরটাও বদলে দিয়েছো কারন সেটা রুহি সাজিয়েছিলো।আর কত?
আমি রুহির জন্য না বরং তোমাদের মানুষিক অত্যাচারে হাসতে ভুলে গেছি বোঝেছো? আমিও একটা মানুষ, প্রতিদিন কেচাল করতে আমার ভাল লাগে না।
লিজাঃ তা লাগবে কেন? যা করার ডাইনি তো আগেই করে গিয়েছে আমার জীবনটা ধ্বংস করে দিয়েছে।
জয়ঃ তোমার ঠিক কি কি অসুবিধে হচ্ছে জানতে পাড়ি?তুমি যখন যা চাও আমি করি না?
লিজাঃ তা ত করতেই হবে কারন আমি তোমার বউ আমার তোমার উপড় অধিকার আছে।
জয়ঃ সেই….. বলে জয় না খেয়ে উঠে গেল।
মাঃ দেখলি ডাইনির কি প্রভাব সশরীরে উপস্থিত না থেকেও জয়ের খাওয়া বন্ধ করে দিল শুধু শুধু কি ডাইনি বলি? বাবা মাকে তো খেয়েছে আমার ছেলেটাকেও তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে।
জয় উপড়ে গিয়ে চুপচাপ বসে আছে।
মা আর লিজা রুহিকে একদম সহ্য করতে পাড়েনা অথচ তারাই একদিন ওকে কত ভালবাসত। তাদের ধারনা রুহির জন্য আমি বদলে গেছি। আরে আমি যে আর এত ছোট নেই সেটা কেন বোঝেনা? আমি বিয়ে করেছি আমার সংসার আছে এখন আগের মত পাগলামি করা আমাকে মানায় না কেন বোঝে না ওরা। আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাই না লিজা আর মায়ের সব আবদার মেনে নেওয়ার পড়েও ওরা রুহিকে নিয়ে খারাপ কথা বলতেই থাকে আমার যে একটু মানুষিক শান্তি প্রয়োজন কেউ কেন বোঝে না।
কিছুক্ষন চুপচাপ বসে থাকার পর
জয়ঃ না আমি ঠিক করছি না লিজা আমার বিবাহিতা স্ত্রী। আমার উপড় তার অধিকার আছে, ওর কথা মানা আমার দায়িত্ব। রুহিকে কথা দিয়েছিলাম লিজার কোন অসুবিধা হতে দিব না। আমাকে সেই কথা রাখতে হবে।
নিচে গিয়ে,জয় বলল লিজা রেডি হয়ে নাও আমাদের বেড়ুতে হবে।
লিজাও গিয়ে রেডি হয়ে নিল আজ তারা দিল্লি যাচ্ছে জয়ের বিসনেস এর কাজে।
জয় লিজার বেশ কেয়ার করে তবুও লিজা জয়ের প্রতি খুশি না।তাই জয় লিজাকে সাথে নিয়ে যাচ্ছে যেন লিজা খুশি হয়।
তারা রওনা হয়ে গেল,
আর পৌছেও গেল। জয় ফ্রেশ হয়ে বলল আমার কিছু কাজ আছে লিজা তুমি থাকো আমি বাইরে থেকে আসছি। তুমি চাইলে শপিং করতে যেতে পাড়ো। আমি তোমাকে কাল ঘুরতে নিয়ে যাব কেমন।
রাত হয়ে গেছে জয় মিটিং শেষ করে হোটেলে ফিরছিল। হঠাৎ মনে হল লিজার জন্য কিছু চকলেট নিয়ে যাই ও খুশি হবে।চকলেট নিয়ে জয় যখন গাড়িতে উঠবে।
সে চমকে উঠল।
,
,
,
,
,
কারন তার নাম ধরে কেউ ডেকেছে,
জয়ঃ এটা রুহি ছাড়া কেউ হতে পাড়ে না। জয়ের হাত থেকে চকলেট গুলি পড়ে গেল সে ঘুরে থাকল কিন্তু এখানে কেউ নেই। জয় এদিক ওদিক ছুটাছুটি করে দেখল। তারপর বলল আমি জানি রুহি তুই এখানেই আছিস ফাযলামি করিস না বাইরে আয়।
কিন্তু কিছুক্ষন খোঁজার পর দেখল এখানে কেউ নেই। ২য় বার কোন আওয়াজ ও পাওয়া গেল না তারমানে আমার মনের ভুল(জয়)
কেউ নেই তাই জয় ফিরে যাবে,গাড়িতে উঠতে যাবে তখন মাটিতে পড়ে থাকা চকলেট গুলির উপড় চোখ পড়ল। জয় চকলেট গুলি নিতে নিতে জয় মনে মনে বলল।
লিজা কথা ভুল বলে নি তুই সত্যিই আমাদের মাঝে সবসময় থাকিস।
জয় হোটেলে ফিরে লিজাকে চকলেট দিতে চাইল।
কিন্তু লিজার সে দিকে খেয়াল নেই কারন সে তার জিনিসপত্র দেখতে ব্যস্ত যা সে আজ সারাদিন ধরে কিনেছে।
জয় লিজাকে দেখে আর কিছু বলল না চকলেট গুলি টেবিলে রেখে দিল।তারপর ফ্রেশ হয়ে এসে লিজাকে নিয়ে নিচে খেতে গেল খেয়ে দেয়ে রুমে ফিরে ঘুমিয়ে গেল।
পরদিন লিজাকে নিয়ে ঘুরতে বের হল।লিজাকে নিয়ে জয় মেলায় গেল, লিজা শুধু এটা ওটা কিনেই যাচ্ছে জয়ের প্রতি কোন নজর নেই।
জয়ঃ লিজা তুমি ভালবাসা আদায় করতেই শিখ নি। তোমার জায়গায় রুহি থাকলে এতক্ষনে কানের পোকা মেরে ফেলত এটা বলতে বলতে যে তাকে কেমন লাগছে।
রুহি জামা কাপড় কিনার সময় বারবার ট্রায়েল দিত আর জয়কে বলত আমাকে কেমন লাগছে খারাপ বল্লেই জয়ের মার খেতে হত।
খারাপ যখন বলাই যাবে না তখন জিজ্ঞাস করার কি দরকার কেমন লাগছে।
কথাটা মনে পড়তেই জয়ের মুখে হাসি ফুটে উঠল। ২ বছর পর জয় আজ প্রথম হাসল।
লিজার কিনা কাটা শেষ করে তারা ফিরে আসছিল কিন্তু আবারো সেই ডাক,
জয়……..
জয়ঃ না না এটা আমার মনের ভুল হতেই পাড়ে না রুহি এখানেই আছে।
জয় জোরে জোরে রুহি….. রুহি, বলে ডাকছে আর এদিক ওদিক ছোটছে রুহি কোথায় তুই প্লিজ সামনে আয়।
লিজাঃ আরে এখন কি পুড়াই পাগল হয়ে গেছো নাকি?এখানে রুহি কোথা থেকে আসবে?এই মেয়ে তোমায় সত্যিই পাগল করে ছাড়বে।
জয়ঃ আমার মন বলছে রুহি এখানেই আছে।
লিজাঃ তাহলেই হয়েছে… কিন্তু আশে পাশে আমিত কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। যতসব আচ্ছা তুমি রুহিকে নিয়েই থাকো আমি যাই।
জয় বাধ্য হয়েই লিজার সাথে ফিরে যাচ্ছিল কিন্তু
হঠাৎ কিছু একটার উপড় জয়ের চোখ পড়ল।
একটা ট্যাটু।
হ্যা এটা সেই ট্যাটুটাই যেটা জয়ের ঘাড়েও আছে।
জয় রহস্যময় দৃষ্টিতে ট্যাটুটার দিকে চোখ রেখে এগিয়ে যেতে লাগল।
কিছুটা এগিয়ে গিয়ে জয় হতভম্ব হয়ে গেল।
এটা আমি কি দেখছি,কিভাবে সম্ভব?
জয় মাটিতে বসে পড়ল,
না…….আমি বিশ্বাস করি না।
জয় এত জোরে চিৎকার করছে যে সবাই তার দিকে তাকিয়ে রইল।
লিজার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে সেও এই দৃশ্য বিশ্বাস করতে পাড়ছে না।
,
,
,
,
চলবে….!!!!
#লেডি_ডন
#সিজন_২
#পার্টঃ৪
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
জয় চিৎকার করে মাটিতে বসে পড়ল।
জয়ের অবস্থা দেখে লিজার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল কারন সে জানে বিরাট কিছু না ঘটলে জয় এমন করবে না।
লিজাঃ কিন্তু এখানে হওয়ার মত কিছু তো দেখতে পাচ্ছি না।
লিজা গিয়ে বলল কি হয়েছে চিৎকার করলে কেন?
জয়ের কথা জড়িয়ে যাচ্ছে বলতে চেয়েও বলতে পাচ্ছে না।চোখ দিয়ে অঝর ধারায় পানি পড়ছে।
লিজাঃ জয় এমন করছো কেন?
জয়ঃ আ আ আ আ আমার রুহি…..
লিজাঃ রুহি…..??? কি বলছো রুহি কোথায়? এখানে তো রুহিকে দেখতে পাচ্ছিনা।
জয় উঠে দাঁড়ানোর শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। সে এক নজরে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে।
সেখানে কয়েকটা বাচ্চা মিলে একটা মেয়েকে ঢিল মারছে।
আর মেয়েটা অস্পষ্ট ভাষায় জয় জয় বলে ডাকছে যা শুধু জয়েই বোঝতে পাড়ছে যে সে জয়ের নাম ধরে ডাকছে অন্যদের কানে এই আওয়াজ পৌছাবে না।
লিজাঃ জয়ের নজরের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিলের হাসি দিয়ে বলল জয় এটা একটা পাগলি তোমার কি দেখে মনে হচ্ছে যে এটা রুহি?
জয় এবার উঠে দাড়াল সারা পৃথীবি ওকে না চিনলেও আমি চিনব লিজা।
জয় দৌড়ে গিয়ে বাচ্চা গুলিকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দিল।আর মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরল।
হ্যা জয় যা বলেছে তাই ঠিক মেয়েটি রুহি কিন্তু তাকে চিনার কোন উপায় নেই।এলোমেলো চুল ছেড়া জামাকাপড় আর আর মলিন চেহারা প্রমান করছে সে কতদিন না খেয়ে আছে।তারউপড় বাচ্চাদের ঢিলে কপাল কেটে গেছে তা থেকে টপ টপ করে রক্ত ঝরছে।
রুহি ভয়ে জয়কে আখঁরে ধরে আছে।
জয়ঃ রুহিকে নিজের সামনে ধরল। তোর এই অবস্থা কেন? আদি কোথায় রুহি….???
রুহির মুখে কথা নেই।
জয়ঃ রুহি কথা বলছিস না কেন? জবাব দে আদি কোথায়?
রুহি ফেলফেল করে তাকিয়ে আছে…..
জয়ের রাগ উঠে গেছে।কসম করে বলছি রুহি তোর এই অবস্থা যে করেছে আজকের মধ্যেই তার লাশ তর পায়ের কাছে ফেলব একবার শুধু বল কে সে? তোর কথাতেই বন্ধুক ছেড়েছিলাম আজ আবার তর জন্যই বন্ধুক হাতে নিব।
কথা বলছিস না কেন জবাব দে…. আচ্ছা তোর বলতে হবে না তুই শুধু দেখ জয় কতটা খারাপ হতে পাড়ে।
তোর এই অবস্থা যেই করোক প্রথম শাস্তি ত আদিকেই পেতে হবে কারন ওর হাতেই আমি তোকে তুলে দিয়েছিলাম। ও যদি তোকে রক্ষা নাই করতে পারে তাহলে আমাকে কেন বলল না? নাকি আদি নিজেই তোর এই অবস্থার জন্য দায়ী?আজ আদির রক্ষা নেই ওকে আমার হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পাড়বে না এমনকি তুই ও না।
তখন একটা লোক এসে রুহিকে উদ্দেশ্য করে বলল তোকে না বলছি বের হইস না প্রতিদিন কেন মার খাস বলতো?
জয় অবাক হয়ে বলল আপনি….???
লোকটিঃ আমি এখানে মেলায় দোকান দিয়েছি বাবা।
যেদিন থেকে এখানে এসেছি এই মেয়েটাকে দেখছি। প্রতিদিন বাচ্চারা এসে ওকে বিরক্ত করে মারে।আমি ফিরানোর চেস্টা করি কিন্তু আমিও তো ব্যস্ত থাকি, অনেক বলেছি আমার দোকানে বসে থাকতে কিন্তু প্রতিদিনি ও জয় নামের কাউকে খোঁজতে বের হয় আর বলে জয় এসে নাকি আদিকে বাঁচাবে।এর বেশি কিছু বলে না।
নাম কি কোথা থেকে এসেছে কিছুই বলতে পাড়ে না। কে জানে এই জয় আর আদি কে।
জয়ের মাথা কাজ করছে না। মনে হচ্ছে আকাশ টা ভেংগে পড়েছে।
জয়ঃ খোদা….. এই দৃশ্য দেখার আগে তুমি আমার মৃত্যু দিলা না কেন?
রুহিকে দুহাতে ঝাকিয়ে জিজ্ঞাস করল আদি কোথায় রুহি কি হয়েছে আদির? কিছু অন্তত বল প্লিজ…. আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।
রুহিঃ বোকার মত তাকিয়ে বলল, তুমি কি জয় কে দেখেছো? জয় আসবে না আমাকে আর আদিকে নিতে?
রুহির এই একটা কথা জয়ের চোখের পানির বাঁধ ভেংগে দিল রুহিকে জড়িয়ে ধরে বলল তুই আমাকে চিনতে পাড়ছিস না রুহি? জয় চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলল খোদা তুমি এটা করতে পাড়ো না……তুমি আমার মরন দাও আমি যে আর সহ্য করতে পাড়ছি না।
,
,
,
,
চলবে….!!!