কাজের মেয়ে যখন ঘরের বউ♥ পার্ট :০৩

0
3161

কাজের মেয়ে যখন ঘরের বউ♥
পার্ট :০৩
লেখক : নাদিম আহাম্মেদ

—চুপ হয়ে গেলেন কেনো ।
—এমনি ।
—এমনি নাকি ধরা পরে গেছেন সে জন্য চুপ হয়ে গেছেন ।
.
এ মেয়ে কি বলে সে তো নিজে জানে না ।
ডিজিটাল যুগে ফ্যাশন প্যান্ট পরে তাই বলে ছেঁড়া প্যান্ট । কার পাল্লাই পরলাম রে বাবা ।
—অামি জানি আপনি ধরা পরে গেছেন ।
—পাগল হলেন নাকি আর কেনো ধরা পরবো ।
—এই যে বলছিলেন বাড়ির বড় ছেলে ।
.
অাসলে কি ওনি ভালো ছাত্রী নাকি মিথ্যে বলে আমাদের বাসায় কাজের মেয়ে নিয়ে এসেছে রহিম চাচা । বুঝতে তো পারছিনা কেমন গবর মাথা নিয়ে গোল্ডেন A+ পেয়েছে । নাকি আমাকে নিয়ে মজা নিচ্ছে বুঝতে পারছিনা ।
—অামি জানি অামাকে মিথ্যে বলে নিজেকে বাড়ির বড় ছেলে পরিচয় দিচ্ছেন । কিন্তু অাপনি জানেন না যে এই বাড়ির বড় ছেলে যদি সেটা জানতে পারে তাহলে আপনাকে কি করবে তা অাপনি কল্পনা করতে পারছেন না ।
—যখন বাসায় ভেতর ডুকে জানতে পারবে অামি কে তখন কি হবে সেটা নিজে একবার ভেবে দেখেন ।
—কিছু বললেন ।
—কই না তো । অাচ্ছা যদি বাসায় গিয়ে জানতে পারলেন অামি ওই বাসায় বড় ছেলে মানে এক মাত্র ছেলে তখন ।
—সেটা কখন হবে না তাই এটা নিয়ে ভাববার কোনো দরকার নেই ।
—অাপনি সিয়র করে বলেন তো ওই বাড়ির বড় ছেলে কেমন হবে ।
—চাচার কাছে শুনেছি ছেলেটা নাকি বিষন ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে মাথায় সমস্যা হয় ।
—হয়াট ।
—মানে ।
—কিছু না । অাপনি কেমন করে জানলেন তার মাথায় সমস্যা অাছে নাকি রহিম চাচা বলেছে ।
—অারে রহিম চাচা বলবে কেনো । অামি বুঝতে পারেছি ।
—কেমনে বুঝলেন ।
—রহিম চাচা বলে ছেলেটি নাকি মাঝে মাঝে রেগে গিয়ে খাবার খেয়ে উঠে আসে । কারও কথা শোনে না । আর বিষেশ করে ছোটমার কথা বেশি শোনে যা বলে তাই করে । অারও কিছু সেটা অাপনাকে শুনতে হবে না । ড্রাইবার ড্রাইবারের মতো গাড়ি চালান ।
—হয়াট ।
.
মেয়েটা কি বলছে এসব মাথা হ্যাং করে দিচ্ছে । রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছে । কিছু করতে পারছিনা মেয়ে বলে কথা । ছোট মা মেয়েদের খুব সম্মান দিতে বলেছি সো তাই বেঁচে গেলেন ।
—এই যে বারে অামার দিকে তাকাচ্ছেন সেটা ওই বাড়ির বড় ছেলে পছন্দ করে না । সো অামার দিকে না তাকিয়ে গাড়ি চালান তাহলে বেঁচে জাবেন না হলে ।
—না হলে কি করবে ওই বাড়ির বড় ছেলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করবে তাই তো ।
—হ্যা অার আপনাকে এতে শাস্তি দিতে পারে ।
.
ধ্যাত অার কিছু বললাম না ।
চলে এলাম বাসায় ।
গাড়ির থেকে নেমে বাসার ভেতর চলে যেতে লাগলো ।
ব্যাগটা গাড়ির ভেতর রেখে বাসার ভেতরে চলে যেতে লাগলো । অামি পিছন থেকে বললাম ,
—এই যে ম্যাডাম ।
.
কথাটা শুনে পিছনে ভাব নিয়ে তাকালো । বাবারে এদেখি (গুন্ডী_মেয়ে) । আরে এখন যত রেগে তাকাও না কেনো ভেতরে গেলে মুখটা কালো হয়ে যাবে । কিছুখন অমার দিকে তাকিয়ে থাকলো ।
অামার দিকে এগিয়ে এলো । এমন ভাব নিচ্ছে মনে হচ্ছে উনি আমার বস্ । আর অামি কিছু ভুল করেছি ।
—কি হয়েছে চিল্লানি দিলেন কেনো পিছন থেকে ।
.
কথাটা শুনে মনে হচ্ছে একটা লাগিয়ে দেই গালে তাহলে বুঝবে চিল্লানি দিয়েছি কি না । কিন্তু দিলাম বাঁচিয়ে দিলাম ।
—অামি চিল্লানি দিয়েছি মানে । মাথা ঠিক অাছে অাপনার অামি তো অাস্তে ডাক দিয়েছি ।
—হ্যা অাস্তে ডাক দিয়েছি তাইনা । আর মাথা তো ঠিক জায়গায় অাছে গাড়ের সাথে অাছে ।
—কার পাল্লায় পরলাম রে বাবা ।
—অাপনার জমের পাল্লায় পরেছেন । এতদিন তো বাসার সবাই বুঝতে পারে নি অাপনি কেমন । অামি প্রথমে বুঝতে পেরেছি অাপনি কি রকম ।
—দেখেন বেশি বুঝতেছেন কিন্তু ।
—কি করবেন ।
—ধ্যাত ।
.
চলে যেতে লাগলো ।
—এই যে ম্যাডাম অাপনার ব্যাগটা নিবে কে ।
.
কথাটা শুনে কেমন চোখে তাকালো । মনে হচ্ছে ভুল কিছু বলেছি ।
—কেনো অাপনি নিয়ে অাসেন ভেতরে ।
—মানে অামি অাপনার ব্যাগ নিয়ে ভেতরে যাবো অাপরি কি পাগল হয়ে গেছেন ।
—হ্যা বলতে পারেন অামি পাগল হয়ে গেছি ।
.
বলে চলে যেতে লাগলো বাসার ভেতরে ।
—এই ম্যাডাম অামি পারবোনা ।
.
ধ্যাত বলে লাভ নেই সব অাল্লাহ তা’আলা কপালে লিখেছেন ।
অার ছোটমার উপর খুব রাগ উঠছে । কেনো এই পাগলকে অানতে অামাকে পাঠালো ।
কি অার করা গাড়ি থেকে ব্যাগটা নামিয়ে বাসার ভেতর চলে গেলাম । মেয়েটা দরজার কাছে দাড়িয়ে অাছে । মনে হচ্ছে দেই ব্যাগটা মাথার উপর ছেঁড়ে দেই । রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছে ।
মেয়েটি অাগে বাসার ভেতর চলে গেলো । তার পিছনে পিছনে অামি চলে গেলাম ।
মামনি আর ছোটমা দেখি ডয়িং রুমে বসে অাছে ।
অামাদের এরকম দেখে সবাই জানি কেমন চোখে তাকিয়ে অাছে । সবাই এইটা উপলব্ধি করছে যে অামি কিনা নিজের ব্যাগটা নিজে নিতে চাই না । সে অামি অাজ অন্য জনের ব্যাগ টানছি ।
মামনি একটা হাসি দিলো । তারপর হাত দিয়ে মুখের হাসিটা থামালো । কারণ অামার চোখে যে বারুদের মতো হয়ে অাছে শুধু মেয়েটা দেখছেনা তাছাড়া সবাই দেখছে । সে তো তাদের দিকে তাকিয়ে অাছে ।
ছোটমা হাসছে কিন্তু মামনির মতো না । মিষ্টি মিষ্টি হাসছে অামাকে দেখে ।
অারও রাগ উঠছে মনে হচ্ছে অার সহ্য করতে পারছিনা ।
মামনি কিছু বলতে যাবে । তখন মামনিকে চোখ টিপ দিলাম । মামনি সেটা বুঝতে পারলো । ছোটমা তখন একটু বেশি হাসছে । ভাগ্য ভালো খুশি নাই ।
মামনি তখন বললো ,
—কেমন অাছো তারিন ?
.
বাহ্ নামটা তো সুন্দর তার সাথে সুন্দরী আছে । কিন্তু একটু সুন্দরী মানে সবার মতো ভালো সুন্দরী না তাদের মাঝে পরে মানে সুন্দরী বললে চলে অাবার কালো তাও না । মানে একটু সুন্দরী ।
—জ্বী অান্টি ভালো । অাপনারা ?
—এই তো অাল্লাহুর রহমতে ভালো অাছি অামরা ।
—তা রহিম চাচা কোথায় ?
—অাছে তার রুমে ।
—তা বাসার সবাই কোথায় ?
.
মামনি অামার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো ,
—এখানে অাছে ।
—এখানে মানে অান্টি ।
.
তখন ছোটমা হেসে বলে উঠলো ,
—সবাই রুমে অাছে ।
.
কি জেনো মনে করে অামার দিকে তাকালো । তারপর কি জেনো ভেবে বললো ,
—ওহ্ স্যরি ড্রাইবার ভাইয়া । অামার মনে নেই অাপনি ব্যাগটা নিয়ে দাড়িয়ে অাছেন । স্যরি অামার সত্যি মনে নেই ।
.
মামনি অার ছোটমার দিকে তাকাতে অারও বেশি রাগ উঠছে । এমন করে হাসার কি হলো ।
—ঠিক অাছে বলেন রুম কোথায় অামি রেখে দিয়ে অাসি ।
—না ভাই সমস্যা নাই অাপনি এখানে রেখে যান । অামি রুমে নিয়ে যাবো ।
.
ব্যাগটা রেখে চলে যেতে লাগলাম । তার অাগে মামনি বলতে যাবে তখন চোখের ইশারায় না করলাম বলতে ।
একটু খানি চলে এসেছি তখন পিছন থেকে মেয়েটি ডাক দিলো ,
—এই যে ড্রাইবার ভাইয়া ।
.
অামি দাড়িয়ে গেলাম । কি অাবার হলো যে দাড়াতে বললো । তখন অাবার বললো ,
—একটু এদিকে অাসেন ।
.
অামি চলে গেলাম তার কাছে ।
দুজন তো হেসে যাচ্ছে তখন থেকে । অবশ্য যদি মামনি তখন বলে দিতো অামি এ বাড়ির ছেলে তখন এই অ্যাকটিন করতে হতো না । কিন্তু অামি এই অ্যাকটিন করছি দেখি সে কি করে ।
—ভাইয়া মানে অাপনাকে তো বলেছিলাম ব্যাগটা নিয়ে জান তাহলে ১০ টাকা দিবো । অাল্লাহ তা’আলা বলেছে শ্রমিক দের পারিশ্রমিক ঘাম শুকানোর অাগে দিয়ে দাও । কিন্তু মনে ছিলো না তাই তার জন্য স্যরি । এই নিন ২০ টাকা । চা পান খেয়ে নিবেন ।
.
মামনির আর ছোটমার দিকে তাকালাম । মুখে হাসি আর অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে অাছে । বুঝতে চাচ্ছে কি করবো টাকা নিবো কি নিবো না ।
কিন্তু এই অ্যাকটিন এর জন্য টাকাটা নিতে হবে ।
—অারে ও দিকে তাকিয়ে অাছেন কেনো । তারা কিচ্ছু বলবেনা টাকাটা নিন….
.
টাকাটা নিলাম হাতে । চকচক করছে টাকা । মনে হচ্ছে খুব যন্ত্র করে রেখেছিলো । মামনি অার ছোটমা একটু অবাক হচ্ছে । কিন্তু মামনি বেশি বোঝা যাচ্ছে কিন্তু ছোটমা সেরকম না । সে হয়তো বুঝতে পারছে । অামি পরে তার উপর কি রিঅ্যাকশন করি । সেটা বুঝে হয়তো এরকম বেশি অবাক হচ্ছে না ছোটমা । কারণ ছোটমা অামাকে ভালো করে চেনেন ।
—অারে তাদের দিকে তাকিয়ে অাছেন কেনো । অাপনি তো ইচ্ছে করে টাকা নিচ্ছেন না বরং আমি নিজে ইচ্ছে করে দিচ্ছি তাই কিছু বলবে না ।
.
তারপর মামনি অার ছোটমার দিকে বললো ,
—অান্টি অাসলে ড্রাইবারের কোনো দোষ নাই অামি ইচ্ছে করে টাকাটা দিচ্ছি তাই কিছু বলবেন না ।
—আচ্ছা ঠিক অাছে কিছু বলবোনা ।
—ভাইয়া এখন জান অার কোনো সমস্যা নাই ।
.
অামি চলে যেতে লাগলাম । তখন কে জেনো ভাইয়া বলে ডাক দিলো ।
—ভাইয়া ।
.
ও খুশি ডাকছে । মনে হচ্ছে কেবল সব শেষ করে দিবে ।
.
অামি দাড়িয়ে পরলাম । খুশিকে চোখ টিপ দিলাম, চোখের ইশারায় ভাইয়া বলতে না করছি কিন্তু কে বুঝবে এই ইশারার কথা ।
—ভাইয়া তুই এভাবে চোখ দিয়ে কি বলছিস । অামি তো কিছু বুঝতে পারছিনা ।
.
মেয়েটি অবাক হয়ে গেলো । আমার দিকে তাকালো আবার খুশির দিকে তাকালো ।
বাঁশ খেলাম এবার । কাকে কি বলতে লাগলাম ।
—মামনি ভাইয়া এরকম করছে কেনো । ভাইয়ার কিছু হয়েছে নাকি ।
—না মানে খুশি……
—অান্টি এইটা অাপনার ছেলে মানে নাসির ভাইয়া ।
.
তখন মেয়েটা খুশির কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো । একবার অামার দিকে তাকায় আবার খুশি ও মামনিদের দিকে ।
—অান্টি অামি অসলে বুঝতে পারিনি ।
—কেনো কি হয়েছে ।
—বিছুনা ।
—অাপনি রহিম অাঙ্কেলের ভাতিজি না ?
—হ্যা ।
.
এখন বোঝো অামি কে অার কি করবে সেই ডিসিশন নাও বেবি ।
অামাকে কিছু বলতে যাবে তখন চলে এলাম রুমের দিকে ।
.
তারপর সিঁড়ি দিয়ে উঠতে কি জেনো বলছিলো কিন্তু শুনতে পেলাম না ।
রুমে চলে এলাম ।
রুমে এসে ফ্রেশ হতে ওয়াশ রুমে চলে গেলাম । বিকেল থেকে যেরকম বকবক শুনে ও বলে যাচ্ছি এতে খুব খারাপ লাগছে ।
.
অতঃপর
রাতের খাবার খাচ্ছি সবাই মিলে । মেয়েটা অামার সামনে বসেছে ।
সবাই মানে রহিম চাচা আর কাজের মেয়েটা অামাদের সাথে খায় না । ছোটমা প্রায় বলতো সবাই এক সাথে খেতে কিন্তু তারা দুজন বলে সমস্যা নাই অাপনারা খেয়ে উঠেন । অামরা পরে খেয়ে নিবো ।
মামনি অার ছোটমা এটা পছন্দ করে না । তারাও তো মানুষ একসাথে খেতে বসলে কি হবে । কিন্তু রহিম চাচা অার কাজের মেয়েটি খায় না ।
তারা অামাদেরকে খুব সম্মান ও শ্রদ্ধা করে তাই হয়তো এক সাথে খায় না ।
সবাই খেতে লাগলাম । অবশ্য মেয়েটা মানে তারিন খেতে চাই নি বরং মামনি আর ছোটমার জরাজরিতে এক সাথে বসে খেতে লাগছে ।
অামি খাবার খাচ্ছি অার তারিনের দিকে তাকিয়ে আছি । দেখি সে আমার দিকে তাকায় কিনা । কিন্তু তারিন প্লেটের দিকে মানে খাবের দিকে দৃষ্টিপাত করে খাচ্ছে । ভয়ে ভয়ে খাবার খাচ্ছে । জয়তো ভাবতেছে কাল মানে প্রতিদিন কি হবে । অামি এতো বারে বলার পরও ড্রাইবার বলে যাচ্ছিলো । একবারও তাকাচ্ছে না অামার দিকে ।
কিছুখন পর ছোটমা বলে উঠলো ,
—নাদিম ।
—জ্বী ছোটমা ।
—তুমি আজকে অামার পাশের রুমে ঘুমাবে ।
—কেনো ছোটমা ।
—অাজকে তারিন তোমার রুমে শুয়ে থাকবে ।
.
কথাটা শুনে তারিন অমার দিকে তাকালো ।
—ঠিক অাছে ছোটমা ।
—অান্টি সমস্যা নাই অামি চাচার রুমে ফ্লোরে ঘুমিয়ে থাকবো ।
—অারে তুমি পাগল নাকি ফ্লোরে শুয়ে থাকবে কেনো ।
—অামি অামাদের বাড়িতে কতো ফ্লোরে শুয়ে থেকেছি ।
.
তখন রহিম চাচা বলে উঠলো ,
—সমস্যা নাই তারিন অামার রুমে শুয়ে থাকবে ।
.
তখন ছোটমা বলে উঠলো ,
—তুমি ড্রাইবারের রুমে শুয়ে থাকবে । রহিম তুমি তোমার রুমে থাকবে ।
—না মানে অান্টি ।
—অারে ভয় পাচ্ছো কেনো । নাদিম তোমাকে কিচ্ছু বলবেনা ।
—না মানে ।
—অারে সমস্যা নেই নাদিম কিছু বলবেনা । কাল তোমার রুম রহিম দেখিয়ে দিবে কাল থেকে সেখানে থাকবে । আজ নাদিমের রুমে থাকো ।
—না মানে ।
—অারে না মনে বলছো কেনো । সমস্যা নেই নাদিম কিচ্ছু বলবেনা । ভয়ের কোনো কারণ নেই ।
.
তখন তারিন অার একবার অামার দিকে তাকালো । অামি সাভাবিক ভাবে তাকালাম ।
কেমন ভয়ে মুখটা কেমন করে রেখেছে ।
.
খেয়ে রুমে চলে এলাম ।
কিছুখন পর ল্যাপটপ নিয়ে রুম থেকে বের হলাম ।
ছোটমার পাশের রুমে যাওয়ার সময় । ছোটমার রুমে উুঁকি দিলাম । দেখি তারিন অার ছোটমা গল্প করছে ।
অামি আর কিছু বললাম না । ছোটমা দেখে বুঝতে পেরে বলে উঠলো ,
—কিছু বলবে ।
—না ছোটমা । গুড নাইট ।
—গুড নাইট ।
.
চলে এলাম রুমে ।
অফিসের কাজ করতে লাগলাম ।
কিছুখন অফিসের কাজ করে শুয়ে পরলাম ।
অনেক খারাপ লাগছে । বিকেল থেকে শুধু বকবক করে যাচ্ছি । ভালো লাগছেনা খুব ক্লান্ত লাগছে ।
ভাবতে লাগলাম তারিন এতো কথা বলতে পারে কেউ বুঝতে পারবেনা ।
সব কিছু ভাবনা বাধ দিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম ।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here