নীল ক্যানভাস,পর্বঃ০৪

0
835

নীল ক্যানভাস,পর্বঃ০৪
লেখিকা:তানজিল_মীম

“রেস্টুরেন্টে উদাসীনভাবে বসে আছে তানভীর,কিছু ভালো লাগছে না তাঁর!’কবে যে সে মেঘলার ভুল ধারনাটা দূর করবে বুঝে উঠতে পারছে না তানভীর’!!এমন সময় তানভীরের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল আয়ুশঃ

—“কি হলো তুই কিছু খাচ্ছিস না কেন?’

“আয়ুশের কথা শুনে নিজের ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসলো তানভীর!’তারপর বললোঃ

—“হুম খাচ্ছি তুইও খা…

—“তোর কি হয়েছে বল তো কাল থেকেই দেখছি তুই একটু কেমন কেমন করছিস?’

—“আমার আবার কি হবে?’

—“কিছু তো একটা হয়েছেই কি হয়েছে বল আমায়?’

—“আরে কিছু হয় নি…

—“সত্যি বলছিস…

—“হুম…

—“তাহলে খাচ্ছিস না কেন?’

—“হুম খাচ্ছি তো..

“বলেই খাওয়া শুরু করল তানভীর!’তানভীর খাওয়া শুরু করাতে সবাই খেতে শুরু করল!’আর আড্ডা দিতে লাগলো….

_________

“পরন্ত বিকেলের দখিনা বাতাসের মাঝে খোলা আকাশের নিচে ছাদের উপর আনমনে দাঁড়িয়ে আছে মেঘলা’!!মন খারাপের কারাগারে বন্দী সে,দু’বছর যাবৎ একই জিনিস নিয়ে ডিপ্রেশনে ভুগছে সে,কতভাবে নিজেকে আঘাত করেছে সে তানভীরের দেওয়া যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে কিন্তু তাও কিছুতেই যেন কিছুকিছুই হলো না সেই কোনো না কোনো ভাবে তানভীরকে মনে পরত-ই তার!’এত দিন তাও তানভীরের কাছ থেকে দূরে থেকে কষ্ট পেয়েছে আর এখন কাছে এসে,মেঘলা বুঝতে পারছে না তার এই মুহুর্তে কি করা উচিত…

“হঠাৎই কাঁধে কারো হাতের স্পর্শ পেতে চমকে উঠলো মেঘলা!’মেঘলা পিছন ঘোরার আগেই দিয়া পিছন থেকে মেঘলার গলা জড়িয়ে ধরে বললঃ

—“একা একা কি করছিস এখানে…?’

—“না তেমন কিছু নয় এমনি দাঁড়িয়ে ছিলাম…

—“তোর কি মন খারাপ…

—“মটেও না…

—“মিথ্যে বলছিস আমার সাথে…

—“আরে না,,

—“তাহলে চল ফুচকা খেয়ে আসি…

—“এখন…

—“হুম..

“এতটুকু বলে দিয়া চলে যায় মেঘলাকে নিয়ে’!!বাড়ির গেটের পাশেই বসে ফুচকাওয়ালা,সেখান থেকেই ওঁরা ফুচকা খেলো!’

.

“রাত_৯ঃ০০টা…..

“বিছানায় শুয়ে আছে আয়ুশ!’আজ একটু অদ্ভুত অদ্ভুত লাগছে তার!’কেমন লাগছে আয়ুশ নিজেও জানে না চোখ বন্ধ করলেই বার বার চাশমিশের ফেসটা ভেসে আসছে তার!’আর শুভ্রতা ভয়ার্ত মুখের কথা ভাবতেই হাসি পাচ্ছে আয়ুশের!’এখনও মাথা আসে না আয়ুশের এত ভয় কেন পায় ও…

“কথাগুলো মাথায় রেখেই চোখ বন্ধ করে নিলো আয়ুশ!’

|| “পরেরদিন ভার্সিটিতে…. ||

“খোলা চুল,চোখে চশমা, ব্লাক জিন্স সাথে ওয়াইট টপস আর গলায় ওড়না মুড়িয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে চলছে শুভ্রতা!’বুকের ভিতর দক দক করছে তার সে বুঝে উঠতে পারে না এই ভার্সিটি আসার আগেই কেন এমন লাগে তার!’ভয় নাকি অন্যকিছু বুঝতে পারে না শুভ্রতা!’চোখের চশমাটাকে একবার হাত দিয়ে ঠিক করে বুকের শ্বাস ফেলে এগিয়ে চলছে সে’!!

.

“ক্লাসরুমের লাস্ট বেঞ্চে বসে আছে মেঘলা কিছুই ভালো লাগছে না তার!’ভেবেছিল আজ ভার্সিটি আসবে না সে কিন্তু দিয়ার জন্য আসতে হলো তাকে,,তাকে ক্লাসে রেখে কোথাও একটা গেছে দিয়া!”

.

“ক্লাসের সামনে এসে….
মেঘলাকে বসে থাকতে দেখে শুভ্রতা দৌড়ে চলে যায় ওর কাছে তারপর বলেঃ

—“কি করছিস এখানে…

—“তেমন কিছু নয়…

“শুভ্রতা মুচকি হেঁসে ব্যাগ নিয়ে বসে পরে মেঘলার পাশে তারপর টুকিটাকি গল্প জুড়ে দেয় মেঘলার সাথে…

“মেঘলাও শুভ্রতার সাথে হ্যাঁ না বলে কথা বলতে থাকে!’

__________________

“হাতে পেঁয়ারা বানানি নিয়ে দিয়া হেঁটে যাচ্ছে মেঘলার কাছে’!!এমন সময় ওর সামনে এসে হাজির অনিক’!!দিয়ার সামনে এসে একটা দাঁত কেলানি হাসি দিয়ে বলে উঠল সেঃ

—“এলইডি বাল্ব কোথায় যাচ্ছিস…

“অনিকের কথা শোনার সাথে সাথে দিয়া বলে উঠলঃ

—“দিলি তো দিলি সক্কাল সক্কাল মুডটা নষ্ট করে দিলি…

—“যাহ বাবা আমি আবার কি করলাম..

—“কি করলি মানে সক্কাল সক্কাল তোর মুখ টা দেখালি না জানি আজকের দিনটা কেমন কাটে আমার…

—“আমার মুখ দেখলে তোর দিন ভালো যায় না…

—“যায় কোথায়? এই দেখ কালকের কথাই বলি ভার্সিটির সামনে কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম কাল রাতে পায়ের ব্যাথায় ঘুমই আসছিল না…

—“ও মা গো তাই নাকি…

—“এত অবাক হওয়ার কি আছে…

—“অবাক হবো না আমার তো সেইম অবস্থা,, সারারাত ঘুমাইতেই পারি নি…

—“আর কইস না পিন্সিপাল স্যারডা খালি খালি শাস্তি দিল সব তোর দোষ…

—“আমার দোষ মানে তোর দোষ…

—“আমার দোষ কোথায় কাল যদি তুই মাথায় বালি না দিতি তাহলে এসব কিছুই হতো না….

—“আর তুই যদি সেদিন আমার বলটা দিতি তাহলেও হতো না…

—“তুই আমায় গায় বল না মারলেও কিছু হতো না…

—“বল আমি মারছি নাকি বলতো ওই মুন্না মারছিল…

—“মুন্না মারুক আর ভুন্না মারুক মারছে তো…

—“তুই আর ভালো হবি না ”এলইডি বাল্ব”…

—“আর তুইও ঠিক হবি না “ফাটা টেনিস বল”…

“একসাথে দুজন ঝগড়া করতে করতে এগোচ্ছে ক্লাস রুমের দিকে’!!হঠাৎই অনিক বলে উঠলঃ

—“ছিঃ ছিঃ সকাল সকাল এগুলো কি খাস…

—“কি খাই মানি, তুই জানোস এই খাবার কতোটা ডেলিসিয়াছ…

—“ডেলিসিয়াছ না ছাই…

—“অনিকের বাচ্চা আমার খাওন নিয়া একদম উল্টা-পাল্টা কবি না…

—“কইলে কি করবি দিয়ার বাচ্চা…

—“আমি এখনি বিয়া করি নাই সো মুখ সামলে কথা বল…

—“হ আর আমি তো একসাথে চারপাঁচটা বিয়া কইরা বইসা আছি…

—“ধুর তোর সাথে কথা বলাই বৃথা…

—“ওহ,তুই এতক্ষণ আমার সাথে কথা বলতেছিলি আমি তো ভাবছি ঝগড়া করতে আছো…

—“সকাল সকাল মাথা খারাপ করিস না যা তো…

—“আমি যামু ক্যা তুই যা…

—??

—??

“এদিকে এরা দুজন বক বক করতে দুতলার জায়গায় ছাঁদে চলে গেছে’!!যা দেখে দুজনেই অবাক হয়ে বললো দিয়াঃ

—“হায় রে ছাঁদে চলে আসছি তো…

—“এই সব কিছু তোর জন্য হইছে অকর্মের ঢেঁকি কোথাকার…

—“কি আমি অকর্মের ঢেঁকি!’আমি অকর্মের ঢেঁকি হলে তুই কুমড়ো পটাস…

—“তোর জামাই ওইটা…

—“তাইলে আমারে যেটা বলছো সেটাও তোর বউ…

—“হুর..

—“ফুর…

—“এলইডি বাল্ব কোথাকার?’

—“ফাটা টেনিস বল…?

“এই বলে আবারো ঝগড়া করতে করতে নিচে নামলো দুজন!”

“তারপর দুজন দু’দিক মুখ করে ঢুকে পরলো ক্লাসের মধ্যে’!!

.
.
.

“ক্লাসশেষে ভার্সিটির করিডোরে হাঁটছে মেঘলা আর দিয়া!’আজকের মতো ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরবি তাঁরা!’এমন সময় মেঘলার সামনে এসে ওর মুখোমুখি দাঁড়ালো তানভীর,,তানভীরকে দেখেই বুক কেঁপে উঠল মেঘলার!’কোনোকিছু না বলেই মেঘলা এড়িয়ে যেতে নেয় তানভীরের পাশ দিয়ে!’মেঘলাকে যেতে দেখে বলে উঠল তানভীরঃ

—“মেঘলা আমার তোমার সাথে কথা আছে…

—“কিন্তু আমার আপনার সাথে কোনো কথা নেই!’

—“প্লিজ মেঘলা আমার কথাটা তো একবার শোনো,,

—“আমি আপনার মুখ থেকে কিছু শুনতে চাই না…

—“এমন করছো কেন?’

“তানভীরের কথা শুনে মেঘলা কিছুটা অবাক হয়ে বললোঃ

—“এমন করছি মানে,আপনি যানেন না বুঝি,আমি তো একটা জিনিসই বুঝছি না আপনি বার বার আমার সামনে কেনো আসছেন তার চেয়ে বড় কথা আপনার গার্লফ্রেন্ড দেখলেই বা কি বলবে,অপরিচিত মেয়ে মানুষের সাথে বেশি কথা বলতে নেই জানেন না….

—“মেঘলা….

“উওরে আর কিছু বললো না মেঘলা দিয়ার হাত ধরে হন হন করে হেঁটে গেল সে!’দিয়ার মাথায় কিছুই ঢুকলো না সবচেয়ে অবাক হচ্ছে সে তানভীর ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড আছে?’তার চেয়েও বেশি অবাক করার বিষয় তানভীর মেঘলা একে অপরকে আগে থেকেই চেনে নাকি?’আর চিনে থাকলেও মেঘলা রুডলি ব্যবহার করলো কেন?প্রশ্নগুলো মাথায় এসে আঁটকে যাচ্ছে দিয়ার,,অতিরিক্ত না ভেবে দিয়া এগিয়ে গেল মেঘলা সাথে!’দিয়া মেঘলার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ!’ কিছু বলতে যাবে তার আগেই মেঘলা বলে উঠলঃ

—“প্লিজ এখন কিছু জিজ্ঞেস করিস না…

‘ব্যস’ মেঘলার এতটুকু কথা শুনেই আর কিছু বলতে পারলো না দিয়া!’

“কিন্তু দিয়া এতটুকু বুঝে গেছে তানভীর আর মেঘলার মাঝে গভীর কোনো জটিলতা আছে!”

“মেঘলা হনহন করে দিয়াকে নিয়ে রিকশা করে বাড়ি চলে গেল!’

“আর তানভীর দুতলার উপর থেকে মেঘলাকে যেতে দেখে দীর্ঘ শ্বাস ফেললো’!!সে বুঝতে পারছে না মেঘলাকে কি করে সে সবটা বলবে?’কম তো হলো না ও নিজেও কষ্ট পাচ্ছে আর আমায়ও কষ্ট দিচ্ছে….

“এসব ভাবতে ভাবতে তানভীরও বাইকে করে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে গেল!’

______

“লাইব্রেরীতে একটা বই খুঁজছে শুভ্রতা!’সবাই চলে গেছে প্রায় শুভ্রতাও যাবে একটা বই নিয়ে,সাহিত্যের ওপর তার খুব ইন্টারেস্ট তাই একটা সুন্দর সাহিত্যের বই খুঁজছে সে সেটা পেলেই চলে যাবে শুভ্রতা,ঘড়ির কাঁটায় পাঁচটা বাজে ক্লাসশেষে একটু গল্পের বই পরতে নিয়েছিল শুভ্রতা!’আর গল্পের বই পরতে পরতে কখন যে এতটা লেট হয়ে গেল বুঝতেই পারে নি সে!’ভার্সিটির প্রায় ফাঁকা, তাড়াতাড়ি বইটা নিয়ে বেরিয়ে যাবে সে!’

“অন্যদিকে….

“পুরো ভার্সিটির জুড়ে তানভীরকে খুঁজছে আয়ুশ!’জরুরি কাজে একটু ভার্সিটির বাহিরে গিয়েছিল সে অবশ্য তানভীরকে বলেছিল সে যতক্ষণে না আসবে ততক্ষণে তানভীর যাতে না যায়!’তাই বলে এতটা লেট হবে বুঝতে পারে নি আয়ুশ!’আয়ুশ জানে না তানভীর আছে কি নেই তারপরও একবার পুরো ভার্সিটির চক্কর না দিলে শান্তি মিলবে না তার!’লাইব্রেরির পাশ দিয়েই হেঁটে যাচ্ছিল আয়ুশ…

“হঠাৎই লাইব্রেরি থেকে কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়ে সেদিকে পা বাড়ালো সে!’

.
.

“একটা বই নামাতে গিয়ে অনেকগুলো বই নিচে পড়ে গেল শুভ্রতার!’একে বলে দেরির ওপর আরো দেরি,একবার ভেবেছিল আজকে বই না নিয়েই বাড়ি ফিরবে সে কিন্তু হঠাৎই একটা বইয়ের দিকে চোখ যায় তার আর সেটা বের করতে গিয়েই বিপদে পরতে হলো তাকে,একপ্রকার নিরাশ হয়ে নিচে বসে বইগুলো উঠাতে লাগলো সে’!!হঠাৎই কারো পায়ের শব্দ পেয়ে চমকে উঠলো শুভ্রতা!’

—“তুমি এই সময় এখানে কি করছো…

“কিছুটা অবাক হয়ে কথাটা বলে উঠল আয়ুশ শুভ্রতাকে!’ছেলের কন্ঠশুনে ভয়ে আঁতকে উঠল শুভ্রতা!’বুকের হার্টবিট কয়েকশত বেড়ে যায় তার!’শুভ্রতা বইগুলো নিচে রেখেই পিছন ঘুরে তাকায় সামনেই আয়ুশকে দেখে কিছুটা ঘাবড়ানো ফেস নিয়ে হাত কচলাতে কচলাতে বলে উঠল সেঃ

—“আসলে একটা বই খুজতে ছিলাম, তাই আরকি…

—“তাই আরকি বই বের করতে গিয়ে এতগুলো বই ফেলে দিলে…(কিছুটা রেগে)

“আয়ুশকে কথা শুনে মাথা নিচু করে ফেলে শুভ্রতা তারপর বলেঃ

—“আমি বুঝতে পারি নি…

—“ঠিক আছে আর বলতে হবে না এখন তাড়াতাড়ি বইগুলো উঠাও এতগুলো একলা পারবে না, তুমি ওদিক থেকে উঠাও আর আমি এদিক থেকে উঠাচ্ছি,তাড়াতাড়ি করো কিছুক্ষনের মধ্যেই ভার্সিটির গেট বন্ধ করে দিবে সাথে লাইব্রেরিও…

“আয়ুশের কথা শুনে শুভ্রতাও মাথা নাড়িয়ে কিছু না বলে তাড়াতাড়ি বই উঠাতে ব্যস্ত হয়ে পরলো!’

“পাক্কা ২০ মিনিট লাগলো ওদের সব বইগুলো গুছিয়ে বুকশেলফে রাখতে,,’!!আয়ুশ আগে থেকেই ক্লান্ত ছিল এখন আরো ক্লান্ত লাগছে নিজেকে!’তারপরও নিজের ক্লান্তকে উপেক্ষা করে বলে উঠল সে শুভ্রতাকেঃ

—“ঠিক আছে সব হয়ে গেছে এখন তাড়াতাড়ি বাড়ি যাও….

“উওরে মাথা নাড়ায় শুভ্রতা!’হাল্কা খুশি হয়ে মৃদু কন্ঠে বলে সেঃ

—“ধন্যবাদ ভাইয়া…

“উওরে হাল্কা হাসলো আয়ুশ!’তারপর বললো সেঃ

—“ঠিক আছে চলো এখন…

“তারপর শুভ্রতা আয়ুশ দুজনে একসাথে চললো গেটের সামনে!’লাইব্রেরির দরজার সামনে পর্যন্ত আসতেই চমকে উঠলো দুজন কারন দরজাটা আটকানো,,সাথে সাথে দুজনেই চমকে উঠলো,,আয়ুশ দরজা ধরে টান দিতেই বুঝে গেল দরজা সামনে থেকে আটকানো,সাথে সাথে দুজনই ঘাবড়ে গেল,আয়ুশ বলে উঠলঃ

—“ওহ নো,রামু চাচা দরজা বন্ধ করে চলে গেছে…

“আয়ুশের কথা শুনে শুভ্রতা ভয়ে ঘাবড়ে গিয়ে বললোঃ

—“এখন কি করে বের হবো আমরা…

_____

“এদিকে রামু চাচা ভার্সিটির সব ক্লাসরুম বন্ধ করে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে গেল….

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here