নীল ক্যানভাস
পর্বঃ০৫
লেখিকা:তানজিল_মীম
“অন্ধকার রুমে হঠাৎই আয়ুশকে জড়িয়ে ধরে শুভ্রতা!’ভয়ে হাত পা কাঁপছে তাঁর!’এমন একটা বিপদে সে পরবে কোনোদিনও ভাবে নি…
“কিছুক্ষন আগে….
“দরজা বন্ধ থাকায় ওঁরা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না তারওপর আয়ুশ বেশ কয়েকবার কল করছিল তানভীরকে কিন্তু তানভীর ফোন তুলছে না!’এমন সময় হঠাৎই কারেন্ট চলে যাওয়ায় পুরো রুম অন্ধকারে ঢেকে যায়!’অন্ধকার রুমে শুভ্রতার খুব ভয় তাই ভয়ে আয়ুশকে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে নেয় সে!’
“হুট করে শুভ্রতা যে আয়ুশকে জড়িয়ে ধরে এটা একদম কল্পনার বাহিরে ছিল আয়ুশের’!!শুরুতে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললো সেঃ
—“কি হলো তোমার….
“আয়ুশের কথা শুনে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল শুভ্রতাঃ
—“আমার অন্ধকার রুমে খুব ভয় করে…
“শুভ্রতা কাঁপছে!’এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে সে কোনোদিনও পরে নি!’
“শুভ্রতা ভয়ে কাঁপছে এটা আয়ুশ বুঝতে পেরে ওর মাথায় হাত দিয়ে বললোঃ
—“কাম ডাউন চাশমিশ কিচ্ছু হয় নি,আর এত ভয় পাওয়ার কি আছে অন্ধকার রুমে তুমি একা নও তো আমিও আছি,তাই ভয় পেও না….
—“আমরা এখান থেকে কি করে বের হবো…
—“ডোন্ট ওয়ারি আমি তানভীরকে টেক্সট করে দিয়েছি ও নিশ্চয়ই খুব তাড়াতাড়ি আমাদের এখান থেকে বের করবে,
হাল্কা নিশ্বাস ফেললো শুভ্রতা,কিন্তু ভয়ে আয়ুশকে ছাড়লো না!’আয়ুশও আর জোর করে নি কারন সে বুঝে গেছে এ মেয়ে খুবই ভীতু!’
“এরই মাঝে হঠাৎই কারেন্ট চলে আসলো!’শুভ্রতা এতক্ষণ কি করছিল ভাবতেই লজ্জা লাগছে তার,সে তাড়াতাড়ি আয়ুশকে ছেড়ে দিয়ে বললোঃ
—“সরি…
—“ইট’স ওকে চলো চেয়ারে বসি…
“মাথা নাড়ায় শুভ্রতা!’তারপর দুজনেই বসে পরে লাইব্রেরিতে থাকা একটা বেঞ্চের উপর!’আয়ুশ ঘেমে একাকার হয়ে গেছে,এতক্ষণ কারেন্ট না থাকায় আরো ঘেমে গেছে সে’!!শুভ্রতা আয়ুশের দিকে তাকিয়ে বললোঃ
—“আপনি তো অনেক ঘেমে গেছেন এইভাবে থাকলে ঠান্ডা লেগে যাবে তো!’
“এতটুকু বলে তার গলায় থাকা ওড়নাটার অর্ধেক অংশ হাতে নিয়ে আয়ুশের মুখের ঘাম মুছে দিতে লাগলো শুভ্রতা!’
“শুভ্রতার কাজে আয়ুশ অবাক হয়ে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে শুভ্রতার দিকে!’ভালো লাগছে তার এই মেয়েটাকে প্রথম দিন থেকেই একটু অন্যরকম লাগে আয়ুশের কাছে,কেন লাগে তা জানে না আয়ুশ….
“এইভাবে দু-তিন ঘন্টা কেটে যায়,সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই এখন টেনশন হচ্ছে আয়ুশের!’সে বুঝতে পারছে না তানভীরের এত সময় লাগছে কেন?”চারদিকে থমথমে পরিবেশ পুরো ভার্সিটিতে শুধুমাএ আয়ুশ আর শুভ্রতাই আছে এটা ভাবতেই শুভ্রতার ভয়ে শরীর কাঁপছে!’ভুতের ভিষন ভয় শুভ্রতার,তারওপর লাইব্রেরির ভিতর আছে,শুভ্রতা একটু একটু করে চারপাশে তাকাতে তাকাতে আয়ুশের দিকে এগোচ্ছে ভয় হচ্ছে তার ভিষন ভয়,,
“এদিকে আয়ুশ শুভ্রতার কাহিনি বুঝতে পেরে ওর কানের পাশের চুলগুলোকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিল,আচমকা এমনটা হওয়াতে শুভ্রতা ভয় পেয়ে আয়ুশের হাত জড়িয়ে ধরে বলেঃ
—“ওমা ভুত…
“শুভ্রতার কাজে আয়ুশ উচ্চস্বরে হেঁসে দেয়!’আয়ুশকে হাসতে দেখে বলে উঠল শুভ্রতাঃ
—“আপনি হাসছেন আর আমার ভয় হচ্ছে…
—“হাসবো না তো কি করবো তোমার মতো এত ভীতু মেয়ে আমি আজ পর্যন্ত দেখি নি…
—“একদম ভীতু বললেন না আমি খুব সাহসী…
—“তা তো দেখতেই পাচ্ছি…
“এমন সময় লাইব্রেরির ভিতর থেকে একটা বই পরার শব্দ আসলো সাথে সাথে শুভ্রতা ঝাপটে জড়িয়ে ধরল আয়ুশকে!’আয়ুশও প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষনেই একটা ইঁদুরকে দৌড়াতে দেখে সস্থির নিশ্বাস ফেললো সে!’এরপর তাকালো আয়ুশ শুভ্রতার দিকে!’আয়ুশের হাতটাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে খিচে চোখ বন্ধ করে আছে শুভ্রতা,চোখে মুখে স্পর্শ ভয়ে ছাপ,কপালের পাশে লেপ্টে আছে শুভ্রতার ছোট ছোট কিছু চুল,
এই মুহুর্তে আয়ুশের কাছে বেশ লাগছে শুভ্রতাকে!’আয়ুশ শুভ্রতার দিকে তাকিয়ে আনমনে মুচকি হাসলো তারপর শুভ্রতার দিকে হাল্কা ঝুঁকে কানে কানে বললো ওরঃ
—“কেউ একজন বলেছিল সে নাকি খুব সাহসী,এটা তবে সাহসীকতার নমুনা “মিস চাশমিশ”…
“আয়ুশের কথা শুনে লজ্জায় নড়েচড়ে উঠলো শুভ্রতা!’তারপর বললোঃ
—“আসলে আমার না…
—“হয়েছে আর কিছু বলতে হবে না…
“রাত প্রায় আটটা বেজে গেছে কিন্তু এখনও কারো খবর নেই!’রুমের মধ্যে পায়চারি করছে আয়ুশ,সে বুঝতে পারছে না তানভীর কি এখনও মেসেজটা দেখে নি,,ফোনটাও তুলছে না…একরাশ বিরক্ত নিয়ে হাঁটছে সে!’
“আর শুভ্রতা লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে আছে কারন এই পরিস্থিতির জন্য শুধুমাএ সেই দাই!’না জানি আম্মু আব্বু কতোটা চিন্তা করছে,ফোনটাও সাথে করে আনে নি সে যে ফোন করে কারো হেল্প নিবে এটা হচ্ছে না শুভ্রতার!’নিজের ওপর খুব রাগ হচ্ছে শুভ্রতার!’
____________
“নিজের রুমে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে তানভীর!’সেই ভার্সিটি থেকে ফিরে মন খারাপ করে ঘুমিয়ে পড়ে সে!’হঠাৎই ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙল তানভীরের!’মাথাটা ভাড় হয়ে গেছে তার,আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে বসলো সে’!!ফোনটা বাজতে বাজতে আবারো কেটে গেল!’তানভীর আস্তে আস্তে চলে তার রুমের সোফার কাছে কারন ফোনটা ওখানেই রেখেছিল সে!’
“মোবাইল উঠাতেই তানভীরের চোখ বড় বড় হয়ে গেল!’ আয়ুশ ৫০বার কল করেছে আর ২০টা মেসেজ!’তানভীর তাড়াতাড়ি আয়ুশের করা মেসেজটা চেক করলো সাথে সাথে চমকে উঠলো সে’!!বেশি কিছু না ভেবে যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় বেরিয়ে গেল সে!’
.
.
“পাশাপাশি মাথা রেখে দুদিকে শুয়ে আছে শুভ্রতা আর আয়ুশ!’তারা ভেবেই নিয়েছে আজ রাতে তাদের ভার্সিটির লাইব্রেরিতেই কাটাতে হবে!’হঠাৎই আয়ুশ বলে উঠলঃ
—“তারপর বলো তোমার বাড়িতে কে কে আছে?’
—“হুম আমি, বাবা মা আর আপনার?’
—“আমারও সেইম সেইম…
—“ওহ,,
—“হুম,আচ্ছা তুমি এটা বলো প্রথম যখন তোমায় তোমার নাম জিজ্ঞেস করছিলাম তখন কাঁপছিলে কেন?
“শুভ্রতা কিছু কিছু বলবে এর আগেই তানভীর রামু চাচাকে নিয়ে এসে লাইব্রেরির দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো!’তানভীরকে দেখে শুভ্রতা আয়ুশ দুজনেই শোয়া থেকে উঠে বসলো’!!তানভীর আয়ুশের সামনে এসে বললোঃ
—“তুই ঠিক আছিস তো…?’
—“হুম ঠিক আছে এত সময় লাগলো তোর?’
—“সরি দোস্ত ঘুমিয়ে ছিলাম তাই বুঝতে পারি নি…
—“ঠিক আছে চল তাড়াতাড়ি চাশমিশকেও বাড়ি পৌঁছে দিতে হবে….
—“হুম চল তাড়াতাড়ি…
“তারপর শুভ্রতা আয়ুশ তানভীর আর রামু চাচা চারজনই একসাথে চললো!’আয়ুশ রামু চাচাকে বলে উঠলঃ
—“রামু চাচা তুমি একটু দেখে দরজাটা বন্ধ করবে না…
—“আমি বুঝবার পারি নাই,যে তোমরা ভিতরে ছিলা ..
—“ঠিক আছে কোনো ব্যাপার না কিন্তু এর পর থেকে লাইব্রেরি বন্ধ করার আগে দেখে নিও..
—“আইচ্ছা…
“শুভ্রতা আর এদের মাঝখানে কিছু বলে নি চুপচাপ ওদের সাথে হেঁটে গেল সে!’
_________________
“রাত দশটা বেজে ২০ মিনিট”
“তানভীর আর আয়ুশের বাইক এসে থামলো শুভ্রতার বাড়ির সামনে!’শুভ্রতা আয়ুশ তানভীর দুজনকেই থ্যাংক ইউ বলে চলে গেল বাড়ির ভিতরে!’
“শুভ্রতার যাওয়ার পানে কতক্ষণ তাকিয়ে রইল আয়ুশ!’এক মুহূর্তের জন্য হলেও তার মনে হলো
“আজ রাতটা একসাথে থাকলে মন্দ হতো না”…
“আয়ুশের ভাবনার মাঝখানে বলে উঠল তানভীরঃ
—“কি হলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস বাড়ি যাবি না নাকি…
“তানভীরের কথা শুনে আয়ুশ তার ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসলো!’তারপর বললোঃ
—“হুম হ্যাঁ এই তো যাচ্ছি…
“তারপর তানভীর আর আয়ুশ দুজনেই নিজেদের বাইকে করে চলে গেল!’
“গেটের আড়াল থেকে শুভ্রতা দাঁড়িয়ে ছিলো তখনও কিছু একটা ভেবে হাল্কা হাসলো সে!’তারপর জোরে জোরে শ্বাস ফেলে চললো ভিতরে….
“বাড়ির ঢুকতেই হাজারটা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় শুভ্রতাকে,কিন্তু কিছু একটা মিথ্যে বলে মেনেজ করে নেয় সে!’
______________
“পরের দিন ভার্সিটিতে….
“মাঠের গাছতলায় একলা বসে আছে মেঘলা!’
শুভ্রতা আর দিয়া গেছে ঝালমুড়ি আনতে তাকেও বলে ছিল কিন্তু সে রাজি হয় নি তাই তাকে রেখেই চলে গেছে তাঁরা!”
“এমন সময় তানভীর এসে বসলো মেঘলার পাশে!’তারপর নীরবে বললো সেঃ
—“তুমি এতটা অভিমানী কেন মেঘুপরী?’
“আচমকা তানভীরের কন্ঠ শুনে চমকে উঠলো মেঘলা!”তানভীর দিকে এক পলক তাকিয়ে বললো সেঃ
—“আপনি?’
—“হ্যাঁ আমি,এত করে বলছি আমার তোমার সাথে কথা আছে একটি বার তো শুনতে পারো কথাটা…
—“আমি আপনার কোনো কথা শুনতে চাই না!’
—“প্লিজ মেঘুপরী আমার কথাটা তো শোনো…
“তানভীরের কথা শুনে মেঘলা চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ
—“বলছি না আমি আপনার কোনো কথা শুনবো না,এমন কেন করেন বারবার আড়াল থেকে কষ্ট দিয়ে হচ্ছিল না যে এখন বার সামনে এসে টর্চার করছেন,কি ভেবেছেন কি নিজেকে আপনি!’ভালোবাসি বলে মাথা কিনে নিয়েছেন নাকি?’আপনার তো গার্লফ্রেন্ড আছে,তার কাছে যান না বার বার আমার কাছে কেন আসেন?নাকি একটা দিয়ে হচ্ছিল না?
“কাল থেকেই ডিসটার্ব ছিলো মেঘলা!’তাই আজ তানভীরের ওপর যত রাগ ছিল সব বের করলো সে!’
“এদিকে….
“বার বার মেঘলার এই অপমান সহ্য হচ্ছে না তানভীরের!’এবারের কথাটা তো একদমই সহ্য হয়নি তানভীরের!’নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে না পেরে ঠাস করে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিল তানভীর মেঘলার গালে!’ঘটনাটা হুট করে হয়ে যাওয়াতে মেঘলা পুরো স্তব্ধ হয়ে গেল,সে ভাবতে পারি তানভীর তাকে মারবে,ছলছল চোখে তাকিয়ে রইল মেঘলা তানভীরের দিকে…
“তানভীর রেগেমেগে মেঘলার বাহু চেপে ধরল!’তানভীরের এমন কাজে আরো চমকে গেল মেঘলা!’সে কিছু বলবে তার আগেই তানভীর রাগী কন্ঠে বলে উঠলঃ
—“কি ভাবো কি তুমি নিজেকে,বার বার তোমার কাছে আসছি বলে যা ইচ্ছে তাই বলবে,আরে তুমি একবার আমার কথাটা শুনতে পারো,আমি কি বলতে চাই সেটা শুনতে পারো,সব সময় চোখের দেখা সত্য হয় না,সহজ বিষয়টা মাথায় আসে কেন তোমার?আর কি কখন থেকে গার্লফ্রেন্ড আছে গার্লফ্রেন্ড আছে করে যাচ্ছো?এত দেমাক কেন তোমায়,তুমি আমায় ভালোবাসো আমি তোমায় বাসি না নাকি?’একটা জিনিস মনে রাখবে মেঘলা অনেক সময় চোখের দেখার মাঝেও অনেক বড় সত্যি লুকিয়ে থাকে…
“এতটুকু বলে তানভীর রেগে চলে যায়!’আজ খুব রেগে গেছে তানভীর!’রাগ তার সপ্তম আকাশে উঠে গেছে!’
“এদিকে মেঘলা তানভীর কি বললো কিছুই বুঝতে পারলো না,চোখ বেয়ে পানি পরছে তার,সে উঠে যেতে নিবে এরই মাঝে শুভ্রতা আর দিয়া হাজির!’তারা সবটাই দেখেছে আবার শুনেছে!’দিয়া ক্ষিপ্ত মেজাজ নিয়ে এসে বললো মেঘলাকেঃ
—“এসব কি মেঘু…
—“কিছুই না…
—“একদম কথা ঘুরাবি না আমরা সবটা শুনেছি,আর দেখেছি বার বার তানভীর ভাইয়াকে অপমান কেন করিস তুই আর তার চেয়েও বড় কথা তোর আর তানভীর ভাইয়ার সম্পর্কটা কি?আজকে তোকে সব প্রশ্নের উওর দিতে হবে মেঘু?’…
—“আমি কোনো প্রশ্নের উওর দিতে পারবো না…
—“উওর তো তোকে দিতেই হবে..
“এদিকে পিছনে শুভ্রতা দাঁড়িয়ে আছে ঠায় হয়ে,এই তানভীরই সেই তানভীর বুঝতে পারে নি শুভ্রতা!’প্রথম যেদিন আয়ুশের মুখে তানভীর নামটা শুনেছিল তখনই কেমন একটু লেগেছিল শুভ্রতার তারপর কাল রাতে যখন আয়ুশ বলে তানভীরের তখনও অন্যরকম লেগেছে কিন্তু এই তানভীর সেই তানভীর হবে ভাবতে পারে নি শুভ্রতা!’অবশ্য জানবে কি করে সে তো কখনো তানভীরকে দেখে নি শুধু নাম শুনেছিল….
—“কি হলো মেঘু বল আমায় তোর আর তানভীর ভাইয়ার সম্পর্ক কি…(দিয়া)
“এবারের কথা শুনে মেঘলা আর সহ্য করতে না পেরে দিয়াকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়…
“মেঘলাকে কাঁদতে দেখে দিয়া অবাক হয়ে বললোঃ
—“আরে তুই কাঁদছিস কেন?
“উওরে কিছু বলে না মেঘলা কেঁদে ভেঙে পরে সে!’
“কিছুক্ষন পর….
“একটা বড় গাছের নিচে বসে আছে মেঘলা, শুভ্রতা আর দিয়া!’ব্যাগের ভিতর থেকে পানির বোতলটা বের করে দেয় সে মেঘলার দিকে!’মেঘলাও বোতলটা হাতে নিয়ে অর্ধেক পানি খায়!’
“মেঘলার পানি খাওয়া শেষ হতেই দিয়া বলে উঠলঃ
—“এখন তাহলে বল সবটা…
“মেঘলা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলতে শুরু করল তার আর তানভীরের প্রথম সাক্ষাতের কথা!’
চলবে……