নীল_ক্যানভাস,পর্বঃ০৯

0
838

নীল_ক্যানভাস,পর্বঃ০৯
লেখিকা:তানজিল_মীম

“হাবলার মতো তাকিয়ে আছে অনিক দিয়ার দিকে!’যেন দিয়া কি বললো আর দিয়া কি করছে সব তাঁর মাথার উপর দিয়ে গেছে!’অনিক কিছুটা বিস্মিত কন্ঠে বললোঃ

—“এসব কি বলছিস তুই এলইডি বাল্ব..?’

—“তোর এলইডি বাল্বের গুষ্টিকিলাই আগে বল কাল ভার্সিটি কেন আসিস নায়?’…(রেগে)

“অনিক দিয়ার এত রাগ দেখে কিছুটা ঘাবড়ানো ফেস নিয়ে আমতাআমতা করে বললোঃ

—“ইয়ে না মানে কালকে আমার ছোট বোনের জন্মদিন ছিল তাই আর কি ওকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম তাই আর কি ওয়ান সেকেন্ড (একটু ভেবে) তোকে বলবো কেন কালকে আমি ভার্সিটি কেন আসি নি,আর এটা কোনো ধরনের বেয়াদবী শার্টের কলার ছাড় আমার,..

“এদিকে দিয়া এতক্ষণ পর যেন সস্থির নিশ্বাস ফেললো তার মানে কালকের মেয়েটা অনিকের বোন ছিল!’আস্তে আস্তে দিয়ার রাগ নিস্তেজ হতে লাগলো!’দিয়াকে চুপ থাকতে দেখে আবারো বলে উঠল অনিকঃ

—“ওই এলইডি বাল্ব কথা কি কানে যাচ্ছে না কলার ছাড় আমার?’

“সাথে সাথে কলার ছেড়ে দিলো দিয়া!’দিয়া কলার ছাড়তেই অনিক চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ

—“ওই এলইডি বাল্ব এটা কি হচ্ছিল শুনি?’

“অনিকের কথা শুনে দিয়া অনিকের গলা জড়িয়ে ধরে বললঃ

—“তুমি বুঝবে না “ফাটা টেনিস বল”?

“এতটুকু বলে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে চলে যায় দিয়া!’আর অনিক দিয়ার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে বললোঃ

—“এটা কি হলো?’হঠাৎ কি হলো এলইডি বাল্বের সত্যি সত্যি ভূতে ধরলো নাকি?’তবে যাই বলিস অনিক কালকে কিন্তু দিয়াকে তুই খুব মিস করেছিস,দিয়ার সাথে ঝগড়া না করলে সত্যি দিনটা ভালো যায় না তোর?’এতটুকু বলে হাল্কা হেঁসে বেরিয়ে গেল অনিক!’

_________

“পুরো করিডোর ঘুরে ঘুরে নাচতে নাচতে যাচ্ছে দিয়া!’হঠাৎ করে এত খুশি খুশি লাগছে কেন বুঝতে পারছে না দিয়া!’তবে এতটুকু বুঝে গেছে নিজের অজান্তেই সে অনিককে ভালোবেসে ফেলেছে,সত্যি দিয়া তোর ফাটা টেনিস বলটাকে ভালো লাগলো?’

“ভাবতেই হাসি পাচ্ছে দিয়ার!’এমন সময় বুকে দু’হাত বেঁধে তার সামনে এসে দাঁড়ালো মেঘলা আর শুভ্রতা!’দুজনেই দিয়ার কান্ডে হাসতে হাসতে শেষ!’ওদের হাসতে দেখে বলে উঠল দিয়াঃ

—“তোরা হাসছিস কেন?’

“দিয়ার কথা শুনে মেঘলা শুভ্রতা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল দিয়াকেঃ

—“এই প্রশ্নটা তো আমাদের তোকে করা উচিত!’

“শুভ্রতা আর মেঘলার কথা শুনে ভ্রু-কুচকে তাকালো দিয়া ওদের দিকে!’তারপর বললোঃ

—“মানে..

—“মানে তো তুই বলবি ব্যাপার কি হঠাৎ লাফাচ্ছিস কেন?’ (মেঘলা)

—“কই লাফাচ্ছি না তো আমি তো শুধু ক্লাসে যাচ্ছি..

“দিয়ার কথা শুনে শুভ্রতা আর মেঘলা গিয়ে ঝাপটে গলা জড়িয়ে ধরল দিয়ার!’আচমকা ওদের এমন কাজে চমকে উঠলো দিয়া!’শুভ্রতা আর মেঘলা দিয়ার গলা ঝাপটে জড়িয়ে ধরে বললোঃ

—“মনু এখনও কি খাই সুজি তাই একটু হলেও বুঝি…

“ওদের কথা শুনে ঘাবড়ে যায় দিয়া আমতাআমতা করে বলে সেঃ

—“তোরা কি বোঝার কথা বলছিস বলতো?

—“ওটাই যেটা তুই বলতে চাইছিস না…(মেঘলা)

—“কি সব উল্টো পাল্টা বকছিস বল তো…

—“এতক্ষণ কোথা থেকে আসা হচ্ছে শুনি..(শুভ্রতা)

—“ইয়ে না মানে কোথায় আবার একটু ওয়াশরুমে গিয়ে ছিলাম…

—“ওয়াশরুম তো ওদিকে তাহলে এদিকে থেকে কেন আসছিস..(মেঘলা)

—“আমি বলছি আমাদের দিয়া আফায় অনিক ভাইয়ার সাথে ফাকা রুমে কলার চেপে ধরে রাগারাগি করছিল…(শুভ্রতা)

“শুভ্রতার কথা শুনে কাশতে শুরু করল দিয়া!’তারপর বললোঃ

—“তুই জানলি কেমনে?’

—“কিভাবে জেনেছি তুই যখন অনিককে টেনে নিয়ে গেছিস আমি দেখেছি দূর থেকে.. তারপর বাকি মেঘলার শুনে সব ক্লিয়ার…

—“মেঘলা কি বলেছে…

—“ওই যে কাল রেস্টুরেন্টে বসে জ্বেলাসি ফিল করার ব্যাপারটা…

“ওহ সিট তার মানে মেঘলা কালকে সবটা দেখেছিল..(মনে মনে)!!দিয়াকে চুপ থাকতে দেখে বললোঃ

—“এসব কি শুনছি আমি দিয়া,তুই অনিকের সাথে ছিঃ ছিঃ..(মেঘলা)

—“আরে তোরা যা ভাবছিস তা কিছু নয়..

“দিয়ার কথা শুনে মেঘলা শুভ্রতা কোমড়ে হাত দিয়ে দিয়ার দু’কানের পাশে দুজন দাঁড়িয়ে একসাথে বলে উঠলঃ

—“তাহলে কি শুনি?

—“না মানে হয়েছে কি…

—“কি হয়েছে (দুজন একসাথে চেঁচিয়ে)

“শেষমেশ শুভ্রতা আর মেঘলার জোরাজোরিতে বলে উঠল দিয়াঃ

—“হুম তোরা যা ভাবছিস তাই…

“দিয়ার কথা শুনে শুভ্রতা আর মেঘলা দুজনেই হাসি দিয়ে বলে উঠলঃ

—“ওহ তার মানে আমাদের দিয়া বেবি সত্যি সত্যি অনিক বাবুর প্রেমে পড়ে গেছে…

“উওরে মাথায় নাড়ায় দিয়া!’

“সাথে সাথে হেঁসে উঠলো শুভ্রতা আর মেঘলা!’

_______________

“পরপর দুটো ক্লাস করে ভার্সিটির পিছনে বড় মাঠের মাঝখানে দুটো গাছের নিচে বসে আছে শুভ্রতা, মেঘলা আর দিয়া!’হঠাৎই শুভ্রতা বলে উঠলঃ

—“আচ্ছা আমায় একটা কথা বল অনিক তোকে এলইডি বাল্ব কেন ডাকে আর তোরা সবসময় ঝগড়াই বা করিস কেন?’

—“হুম বল না আমিও শুনবো..(মেঘলা)

“দিয়া ওদের দুজনেই জোরাজোরিতে বলে উঠলঃ

—“ঠিক আছে বলছি…

“দিয়ার কথা শুনে অতি আগ্রহে তাকিয়ে রইল শুভ্রতা আর মেঘলা দিয়ার দিকে!”দিয়া ওদের দুজনের দিকে’ তাকিয়ে হাল্কা হেঁসে বলতে শুরু করলঃ

“সেদিন ছিল…….

“ভার্সিটির প্রথম দিন দিয়ার!’খুব একটা ভার্সিটি লেট করে না সে,কিন্তু সেদিন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল তার!’তারওপর সকালে নাস্তা করে আসে নি,দিয়ার আবার একটা প্রবলেম আছে ক্ষুধা পেলে তার মাথার ঠিক থাকে না একটু রাগ রাগ ভাব থাকে চোখে মুখে, সেদিনও ছিল!’একই নতুন ভার্সিটি, নতুন ক্লাস, নতুন মানুষ সবকিছুই নতুন ছিল তার!’কিছুটা অস্থিরতা নিয়ে হতভম্ব হয়ে ভার্সিটির ভিতর ঢুকতে নিচ্ছিল সে এমন সময় হুট করেই একটা ছেলের সাথে ধাক্কা লেগে গেল তার,তালসামলাতে না পেরে ঠাস করে পড়ে যায় নিচে,কোমড়ে ব্যাথা পায় সে!’একই ভার্সিটি লেট, ক্ষুধার জ্বালায় মাথায় রাগ তারওপর নিচে পড়ে গিয়ে কোমড়ে ব্যাথা পেয়েছে এতে আরো চটে যায় সে দিয়া তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়িয়ে বলে উঠলঃ

—“এই যে মিস্টার কানা নাকি,চোখে দেখেন না চোখ কি বাড়িতে রেখে এসেছেন,হনুমান কোথাকার…

—“সরি আসলে আমি বুঝতে পা…

—“তা পারবেন কিভাবে চোখ তো মনে হয় গার্লফ্রেন্ডের বেনিটি ব্যাগে রেখে এসেছেন,বান্দর ছেলে কোথাকার?’

—“এই যে মিস এলইডি বাল্ব এতো অকারণে জ্বলছেন কেন সরি বললাম তো…

—“আপনার সরি আপনার ওই প্যান্টের পকেটে রাখুন,আমার কোমড়টা মনে হয় গেল রে,শালা শয়তান কোথাকার,আর কি বললেন আপনি এলইডি বাল্ব,সেই এলইডি বাল্ব আপনার চোখের মনিতে লাগিয়ে রাখুন ভালো দেখতে পাবেন…

—“ইউ কিন্তু বেশি করছো..(আঙুল দেখিয়ে)

—“ওই মিস্টার আঙুল কাকে দেখাচ্ছেন,,,

—“এই ঝগড়ুটে কোথা থেকে আসলো রে….

“অনিকের কথা শুনে দিয়া রাগী লুক নিয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে বললোঃ

—“ওই মিস্টার সাহস তো কম না আমায় ঝগড়ুটে বলছেন আপনার বউ ঝগড়ুটে…

“দিয়ার কথায় বিরক্ত হয়ে চলে যায় অনিক!’অনিকের ইনগোর দেখে বলে উঠল দিয়াঃ

—“ওই যাচ্ছেন কোথায়,, ঠিক আছে আর একবার দেখা হোক তারপর আমিও দেখিয়ে দিবো এই দিয়া কি জিনিস হুহ….

“বলেই রাগ করতে করতে চলে যায় দিয়া!’এর পর থেকেই যতবারই দিয়া আর অনিকের দেখা হয় ঝগড়া ছাড়া আর কিছু হয় না,ক্লাসমেট হওয়ায় ঝগড়াটা একটু বেশি হয় তাই তো ঝগড়ার বেগরা আপনি থেকে সোজা তুই তে চলে গেছে…..

.

“দিয়ার মুখে ওর আর অনিকের কান্ডের কথা শুনে হাসতে হাসতে শেষ শুভ্রতা আর মেঘলা!’ওদের হাসি দেখে বললো দিয়াঃ

—“তোরা হাসছিস আর আমার রাগ হচ্ছিল,জানিস কোমড়ে কি আকার ব্যাথা পেয়েছি…

—“তবে যাই বলোস দোষ কিন্তু তোরই ছিল…(শুভ্রতা)

—“আমার দোষ কোথায় ছিল সব দোষ ওই ”ফাটা টেনিস বলের”…

—“হুম কিন্তু এখন মহারানী আপনি যে এই ফাটা টেনিস বলকেই ভালোবেসে ফেলেছেন এখন কি করবেন শুনি..?'(মেঘলা)

—“কি আর করবো বিয়ে করেও ঝগড়া করবো…

“দিয়ার এবারের কথা শুনে আরো উচ্চ স্বরে হেঁসে দিল শুভ্রতা আর মেঘলা!”

.
.

“অন্যদিকে আরেকজন গাছের আড়াল থেকে সবটা শুনে নিজেও হাসতে হাসতে শেষ!’আনমনেই বলে উঠল সেঃ

—“ঠিক আছে দেখা যাক কি হয় মিস “এলইডি বাল্ব”…..

“বলেই হাসতে হাসতে চলে যায় সে’…

!!

“আচমকা ফোনটা বেজে উঠতেই হাল্কা কেঁপে উঠল মেঘলা উপরে তানভীরের নাম দেখে খুশি মনে ফোনটা তুললো সে’!!ফোনটা তুলতেই অপর পাশে হতভম্ব কন্ঠে বলে উঠল তানভীরঃ

—“মেঘলা…

“সাথে সাথে কলিজা কেঁপে উঠল মেঘলার!’ঘাবড়ে গিয়ে বলে উঠল সেঃ

—“কি হয়েছে তোমার…

—“মেঘলা তাড়াতাড়ি তিনতলা আসো..

“বলেই ফোনটা কেটে দেয় তানভীর!’মেঘলা ঘাবড়ে গিয়ে আর কিছু না বলে দৌড়ে চলে যায় ওখান থেকে….

.

“তিনতলার সব রুম গুলোতে তন্নতন্ন করে খুঁজছে মেঘলা তানভীরকে কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না সে তানভীরকে, ঘাবড়ে যায় মেঘলা!’ভয়ে হাত পা কাঁপছে তার কি হলো তানভীরের…

“হঠাৎই একটা রুমের দিকে চোখ যায় মেঘলার ক্লাস রুমের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে তানভীর!’মেঘলা দৌড়ে গিয়ে ঝাপটে জড়িয়ে ধরল তাকে!’তারপর কান্না ভেজা কন্ঠে বলে উঠল সেঃ

—“কি হয়েছে তোমার,তুমি জানো আমি কতটা ভয় পেয়ে গেছি…

“মেঘলার ঘাবড়ানো ফেস দেখে তানভীর হাল্কা হেঁসে বললোঃ

—“কিছু হয় নি আমার…

—“সত্যি বলছো তুমি…

—“হুম তাহলে যে….

—“আরে ওটা তোমায় তাড়াতাড়ি আসার জন্য বলেছিলাম…

—“তুমি বললে তো আমি এমনি তাড়াতাড়ি চলে আসতাম তুমি জানো আমি কতটা ভয় পেয়ে গেছিলাম…

—“এত ভয় পাওয়ার কি আছে,,

—“ভয় পাওয়ার কি আছে মানে তুমি যেভাবে মেঘলা বললে সাথে সাথেই আমার কলিজার পানি শুকিয়ে গেল…

—“আরে আমি তো মজা করছিলাম…

“তানভীরের এবারের কথা শুনে মেঘলা তানভীরকে ছেড়ে দিয়ে রাগী কন্ঠে বললোঃ

—“এটা কি ধরনের মজা তানভীর,,এই ধরনের মজা আর একবার করলে আমি তোমার সাথে থাকবো না বলেই চলে যেতে নেয় মেঘলা সাথে সাথে মেঘলার হাত ধরে টান দেয় তানভীর মেঘলা এসে পড়ে তানভীরের বুকের কাছে,তানভীর মেঘলাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ

—“উম!’একবার ছেড়ে চলে যাওয়ার সাহস দেখিয়েছো আমি কিছু বলে নি কিন্তু নেক্সট টাইম সেই সাহস দেখালে তোমার একদিন কি আমার একদিন, একদম খুন করে ফেলবো তোমায়…

—“তাহলে তুমি মজা কেন করলে…

—“আমি মজা করলেই তুমি ছেড়ে চলে যাবে,প্লিজ মেঘুপরী আর ছেড়ে যেও না একবার সয়ে নিয়েছি আর একবার হলে কিন্তু সইতে পারবো না…

“মেঘলা হাল্কা হেঁসে বললোঃ

—“আর ছেড়ে যাবো না,তোমায় ছেড়ে গিয়ে আমিও তো কষ্ট পেয়েছি…

—“নিজের দোষে কষ্ট পেয়েছো মেঘুপরী আর সাথে আমায়ও কষ্ট দিয়েছো…

—“ভুলে যাও না সবটা…

“জোরে নিশ্বাস ফেললো তানভীর!’তারপর খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরল তানভীর মেঘলাকে,মেঘলাও ধরলো,নেমে আসলো তাদের মাঝে কুটকুট নীরবতা,কারো মুখে কোনো কথা নেই!’…

_________________________________________

______________________

“লাইব্রেরিতে ঢুকতে গিয়ে নিজের পায়ের সাথে বেজে ধাপ করে পড়ে যেতে নেয় শুভ্রতা!’

.
.

“এমন সময় কিছু বই নিয়ে বাহিরে বের হতে নেয় আয়ুশ!”তারপর আর কি যা হওয়ার তাই হলো শুভ্রতা গিয়ে পড়লো সোজা আয়ুশের উপর!’

“অতিরিক্ত বই নেওয়ার কারনে আয়ুশ দেখতে পায় নি কিছুই আচমকা কেউ এসে পরাতে সে কিছু বুঝতে না পেরে পড়ে যায় নিচে আর শুভ্রতা তার ওপরে!’আর বইগুলো সব এলেমেলো ভাবে পড়তে লাগলো চারদিকে!’আচমকা একটা বই শুভ্রতার মাথায় এসে পরায় সে বারি খায় আয়ুশের মাথায়,,ব্যাথায় কুঁকড়ে বলে উঠল সেঃ

—“আউচ…

“এতক্ষণ আয়ুশ চোখ বন্ধ করে ছিল যেন এতক্ষণ কি হলো সবই তার মাথার উপর দিয়ে গেল!’হঠাৎই “আউচ” শব্দটা শুনতেই চোখ খুলে তাকালো সে’!!উপরের শুভ্রতাকে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে বললো সেঃ

—“মিস চাশমিশ,তুমি….

“চাশমিশ” নামটা শুনতেই চমকে উঠলো শুভ্রতা!’চোখ তো অনেক আগেই বন্ধ করে রেখেছে সে,এখন তো চোখ খুলবেই না মনে হয়….

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here