নীল_ক্যানভাস,পর্বঃ১৩(শেষ)
লেখিকা:তানজিল_মীম
“সময় কাটছিল সময়ের মতো….
“দেখতে দেখতে কেটে গেল পুরো ৬ মাস!’এই ছয় মাসে ঘটে গেছে অনেক কিছু পাল্টে গেছে মেঘলা- তানভীর, শুভ্রতা-আয়ুশ আর দিয়া-অনিকের জীবন!’তিনজুটিই আঁটকে গেছে তাদের ভালোবাসার মানুষের মায়ায়!’তিনজুটিই তাদের ভালোবাসার মানুষকে পাগলের মতো ভালোবাসে!’কেউ কাউকে ছাড়া চলতে পারে না,এই ছয় মাসে জানাজানি হয়ে গেছে মেঘলা তানভীর, শুভ্রতা আয়ুশ আর দিয়া অনিকের সম্পর্কের কথা!’শুরুতে সবাই একটু না না করলেও পরক্ষণেই তাঁরা সবটা মেনে নিয়েছে!’তানভীরের বিষয়টা তো আগে থেকেই জানতো মেঘলার ফেমেলি শুরুতে মেঘলার বাবা মা তানভীরের উপর রেগে থাকলেও মেঘলা তাদের সবটা বুঝানোর পর তাঁরাও রাজি হয়ে গেল!’সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তানভীর,আয়ুশ আর অনিক নিজের পায়ে দাঁড়ালেই ওদের বিয়ে দিয়ে দিবে,যেহেতু অনিক আর দিয়ার সেইম এইজ তাই ওদের ক্ষেত্রে রুলস হলো তিনজুটিরই বিয়ে একসাথে দেওয়া হবে কিন্তু বিয়ের পর অনিক আর দিয়া আলাদা থাকবে!’বিয়ে হবে ঠিকই কিন্তু দুজনেই পড়াশোনা করবে বিয়ের পর দিয়া যেমন এখন আছে তেমনই থাকবে মানে দিয়া দিয়ার বাড়িতে আর অনিক অনিকের বাড়িতে শুধু তাদের সম্পর্কটাকে করে দেওয়া হবে হালাল!’তারপর অনিক নিজের পায়ে দাঁড়ালেই দিয়াকে পাঠানো হবে শশুর বাড়ি!’বিষয়টাতে সবাই খুশি,,অনিকের ফেমিলিও মেনে নিয়েছে বিষয়টা!”
“এখন সবই চলছে ঠিকঠাক!’
|| “বিকেল_৫ঃ০০টা… ||
“পরন্ত বিকেলের পরন্ত সময়ে একটা সুনসান আলিসান কাঠের তৈরি তিনতলা কুঁড়েঘরের সামনে তানভীর-মেঘলার চোখ,আয়ুশ শুভ্রতার চোখ আর অনিক দিয়ার চোখ চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে!’হঠাৎই তাঁরা ছেড়ে দেয় তানভীর মেঘলার চোখ,আয়ুশ শুভ্রতার চোখ আর অনিক দিয়ার চোখ!’তারপর তিনজন একসাথে বলে উঠলঃ
—“সারপ্রাইজ!’
“তানভীর,আয়ুশ আর অনিকের কাছ থেকে মেঘলা, শুভ্রতা আর দিয়া ছাড়া পেতেই সামনে তাকালো!’সামনে তাকাতেই চোখ তাদের চড়ুই গাছ’!কারন তারা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানের পুরো জায়গাটাই অসম্ভব সুন্দর!’ছোট্ট একটা কাঁঠের তৈরি তিনতলা বাড়ি এক কথায় বলতে গেলে একটা সুন্দর পিকনিক স্পট যার চারপাশটা ঘিরে ধরে আছে বড় বড় গাছপালা,গাছের পাতায় পুরো বাড়ির ছাউনিটা ভরে গেছে!’বাড়ির চারদিকটাও ভরে আছে গাছের পাতায়!’পর পর তিনটে রুম তৈরি করার হয়েছে, নিচ তলা,দু-তলা আর লাস্ট তিনতলা!’একটা তানভীর মেঘলার জন্য,আরেকটা আয়ুশ শুভ্রতার জন্য আর লাস্ট অনিক দিয়ার জন্য’!!প্রত্যেকটা রুমেই রয়েছে একটা ছোট্ট খাট, খাটের উপর দিকে ছোট্ট একটা জানালা, খাটের পাশে ছোট্ট একটা ছেন্টার টেবিল,টেবিলের উপর সুন্দর ফুলদানি আর ফুলদানির পাশেই রয়েছে আইসক্রিমের কাটি দিয়ে তৈরি লাভ যার ভিতরে ছোট্ট করে লেখা “নীল?ক্যানভাস”!
“এক কথায় বলতে গেলে এই পুরো বাড়িটাই হচ্ছে তানভীর – মেঘলা,আয়ুশ – শুভ্রতা,আর অনিক – দিয়ার তৈরি ভালোবাসার “নীল ক্যানভাস”!!যার প্রতিটা ছন্দে রয়েছে ভালোবাসার গন্ধ!’
“টেবিলের পাশ দিয়ে রয়েছে দরজা!’তারপর আর একটা ছোট্ট জানালা পাশেই আছে একটা রেডিও,প্রত্যেকটা ভবনেই রয়েছে তিনদিকে তিনটে করে দরজা একটা তানভীর মেঘলার জন্য,একটা আয়ুশ শুভ্রতার জন্য আর একটা অনিক দিয়ার জন্য!’বাড়ির চারদিকেই রয়েছে রং বে রংয়ের পাখি,সাথে পাখির কিচিরমিচির শব্দ!’গাছের পাতার মুগ্ধ করা বাতাস,বাতাসের তীব্রতা এতটাই যে গাছের পাতা ছিটকে চলে আসছে ভিতরে,গাছের আড়ালে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট কাঠবিড়ালি যেন মনোমুগ্ধ করা এক পরিবেশ!’চোখ যেন সরতেই চাইছে না তাদের!’মেঘলা,শুভ্রতা আর দিয়ার তো চোখই সরছে না জায়গাটা দেখে!’শহরের থেকে একদমই বাহিরে জায়গাটা,একদম নিরিবিলি আর সুনসান!’এখানে নেই কোনো ঝামেলা,না আছে কোনো কোলাহল যেটা আছে সেটা হলো ধবধবে সাদা আকাশের নিচে বিভিন্ন গাছ পালার ভিড়ে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর, যার চারদিকটাই যেন মুগ্ধ করা,গাছের পাতা,গাছের ডালে থাকা পাখিরা সাথে কাঠবিড়ালিদের ঘিরে!’জায়গাটা এতটাই সুন্দর যে দেখলেই মনের অর্ধেক ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে!’
—“কেমন লাগলো তোমাদের জায়গাটা..(তানভীর)
“তানভীরের কথা শুনে তিনজনই মুগ্ধতার সঙ্গে বলে উঠলঃ
—“জাস্ট অসাধারণ!’
“ওদের কথা শুনে মুচকি হাসলো তানভীর,আয়ুশ আর অনিক!’এই পুরো বাড়িটাই ওরা তিনজন মিলে তৈরি করেছে প্লাস সাজিয়েছে!’তিন জুটিই একসাথে ঢুকে পরলো ভিতরে,তেমন কিছু নেই কিন্তু তারপরও অসম্ভব সুন্দর ভিতরটা!’বাড়ির ভিতরেও বয়ে আসছে বাহিরের গাছের পাতার শীতল বাতাস!’পুরো বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখলো তিনজন!’উপরের তিনদিকেই রয়েছে তিনটে বেলকনি,যার একটা মেঘলা তানভীরের,আরেকটা আয়ুশ শুভ্রতার আর লাস্ট অনিক দিয়ার!’ছয়টা বেলকনি জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ফুলের গাছ,,
”তিনজনই খুব খুশি এত সুন্দর একটা জায়গায় আসতে পেরে!’
“জানালার ছোট্ট পর্দা ভেদ করে আসছে সুর্য্যিমামার নিজস্ব আলো,যার কারনে আরো বেশি সুন্দর লাগছে!’
“নিচতলায় রয়েছে চারটে দরজা একটা বাড়ির ভিতরে ঢোকার জন্য আর বাকিগুলো দরজার সামনে বসার জন্য!’
“নিচতলার তিনদিকে তিন দরজর সামনে থাকা সিঁড়ি উপর বসে আছে মেঘলা তানভীর,,আয়ুশ শুভ্রতা আর দিয়া অনিক!’বাড়ির চারদিকেই দিকেই রয়েছে দরজার কাছ থেকে কিছুটা দূরে একটা করে বড় গাছ,প্রত্যেকটা দরজার কিনারা দিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ,উপরের বেলকনিতেও আছে,তাই তো পুরো বাড়ির চারপাশ দিয়েই ম ম করছে ফুলের গন্ধ!’
__
“হাতের বাম দিকের দরজা সামনে সিঁড়ি উপর পাশাপাশি বসে রয়েছে দিয়া আর অনিক!’
“অনিক দিয়ার হাত ধরে বললঃ
—“কেমন লেগেছে জায়গাটা তোর…
“অনিকের কথা শুনে দিয়া অনিকের হাত নিজের কাছে এনে বললোঃ
—“অপূর্ব!”
“মুচকি হাসে অনিক!’দিয়া কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠলঃ
—“আচ্ছা বাড়িটার একটা নাম দেওয়া লাগে তো…
—“নাম তো আছে পাগলী….
“অনিকের কথা শুনে দিয়া অবাক হয়ে বললোঃ
—“কি…
—“নীল?ক্যানভাস”
—“বাড়িটাও যেমন সুন্দর নামটা তার থেকেও বেশি সুন্দর!’
“খুশি হয়ে যায় অনিক!’তারপর পাশপাশি বসে প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাঁরা!’
_____
“হাতের ডান দিকের দরজার সামনে সিঁড়ি উপর পাশাপাশি বসে আছে শুভ্রতা আর আয়ুশ!’শুভ্রতা প্রচন্ড খুশি!’খুশি হয়ে শুভ্রতা আয়ুশের হাতের ভিতর নিজের পাঁচ আঙুল দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে বললঃ
—“আমার লাইফে আসার জন্য এওতো গুলো ধন্যবাদ,আমাকে এতো ভালোবাসার জন্য এওতোগুলো ধন্যবাদ,আমার ফেমিলিকে ম্যানেজ করার জন্য ধন্যবাদ,আমাকে নতুন নতুন মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ সাথে এতো সুন্দর একটা জায়গা উপহার দেওয়ার জন্য আরো হাজার হাজার ধন্যবাদ মাই লাভ!’
“আয়ুশ শুভ্রতার কথা শুনে শুভ্রতার হাত তার বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে বললোঃ
—“বুঝলাম চাশমিশ খুব খুশি আজ,কিন্তু এতোগুলো খুশি দেওয়ার জন্য শুধু ধন্যবাদ,,
“আয়ুশের কথার মিনিং বুঝতে না পেরে বলে উঠল শুভ্রতাঃ
—“মানে…
—“মানে এটাই তোমায় এতকিছু দিলাম আর তুমি শুধু ধন্যবাদ দিলে…
“শুভ্রতা অবাক হয়ে বললোঃ
—“তাহলে বলো তোমার কি চাই, তুমি যা চাইবে আমি তাই দিবো…
“শুভ্রতার কথা শুনে আয়ুশ হেঁসে বলে উঠলঃ
—“ভেবে বলছো…
—“হুম…
“আয়ুশ তার ঠোঁটে কামড় দিয়ে বললোঃ
—“আমার কিস চাই…
“আয়ুশের কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে যায় শুভ্রতার!’হাত কচলাতে শুরু করল সে!’শুভ্রতার কান্ড দেখে আয়ুশ আবারো বলে উঠলঃ
—“তুমি কিন্তু বলেছিলে যা চাইবো তাই দিবে…
“নিজের জালে নিজেই ফেঁসে গেছে শুভ্রতা!’কিছুটা মিন মিন কন্ঠে বললো সেঃ
—“ঠিক আছে….
“শুভ্রতার কথা শুনে চরম অবাক আয়ুশ সে ভাবতেই পারে নি শুভ্রতা রাজি হয়ে যাবে!’কিছুটা হতভম্ব হয়ে বললো সেঃ
—“সত্যি…
“মাথায় নাড়ায় শুভ্রতা!’তারপর আয়ুশ একবার তার বাম গালে হাতের ইশারায় চুমু দিতে বলে শুভ্রতাও চোখ বন্ধ করে দিয়ে দেয়!’তারপর ডান গালে দিতে বলে সেক্ষেত্রে দিয়ে দেয় শুভ্রতা!’এইবার আয়ুশ তার ঠোঁটের আঙুল দিতেই শুভ্রতা পুরো চমকে উঠলো এখন কি করবে সে!’শুভ্রতাকে চুপ থাকতে দেখে আয়ুশ বলে উঠলঃ
—“কি হলো…
“হঠাৎই শুভ্রতার মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো!’হাল্কা হেঁসে বললো সেঃ
—“আগে চোখ বন্ধ করো…
—“চোখ বন্ধ করবো কেন…
—“চোখ বন্ধ না করলে আমি দিবো না…
“শেষমেশ বাধ্য হয়ে আয়ুশ তার চোখ বন্ধ করে নিলো!’একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে শুভ্রতা আয়ুশের দিকে!’আয়ুশ একবার চোখ খুলতেই শুভ্রতা বলে উঠলঃ
—“চিটিং করলে দিবো না কিন্তু…
“আয়ুশ শুভ্রতার কথা শুনে ঠোঁটে কামড় দিয়ে বললোঃ
—“সরি…
“শুভ্রতা আয়ুশের খুব কাছে গিয়ে ওর চোখ চেপে ধরে ঠোঁটের কাছে দু আঙুল গিয়েও একটা হাসি দিয়ে আয়ুশের কানে হাল্কা জোরে একটা কামড় দিয়ে বললোঃ
—“এত তাড়া কিসের মশাই বাকিটা বিয়ের পর…
“এদিকে আয়ুশ শুভ্রতার কাজে আর কথা শুনে পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল!’সে ভাবতেই পারে নি শুভ্রতা এইরকম কিছু করবে!’আয়ুশ চোখ খুলে শুভ্রতার হাত ধরে দিল টান সাথে সাথে শুভ্রতা এসে পরলো আয়ুশের কোলে!’আয়ুশ শুভ্রতাকে চেপে ধরে ওর কানের পাশে মুখ নিয়ে বললোঃ
—“ওরে পেটে পেটে এত বুদ্ধি…
“আয়ুশের কথা শুনে হাসলো শুভ্রতা!’তারপর আয়ুশের নাকটা টান দিয়ে ওর গলা জড়িয়ে ধরে বললোঃ
—“একটু বুদ্ধি রাখতে হয় মশাই…
—“ঠিক আছে বিয়েটা হোক তারপর দেখাবো…
“বিয়ের কথা শুনতেই লজ্জায় লাল হয়ে যায় শুভ্রতা!’আয়ুশ শুভ্রতার নাক টেনে দিয়ে বললোঃ
—“লজ্জা পেলে তো তোমার দারুণ লাগে চাশমিশ…
“মুচকি হাসে দুজনেই!’
_________
“তানভীরের কাঁধে মাথা দিয়ে প্রকৃতি দেখছে মেঘলা!’আর তানভীর মেঘলার হাত ধরে আছে!’চারপাশের ঠান্ডা বাতাসে মেঘলার মাথার চুল উড়ে এসে পড়ছে তানভীরের গায়ে’!!চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে বিষয়টাকে তানভীর’!!এমন সময় মেঘলা বলে উঠলঃ
—“আজীবন এইভাবে ভালোবাসবে কিন্তু…
“মেঘলার কথা শুনে তানভীর বলে উঠলঃ
—“হুম!’
—“আচ্ছা একটা কথা বলি..
—“হুম বলো…
—“আমায় এত ভালোবাসো কেনো…
“মেঘলার কথা শুনে তানভীর নীরবভাবেই বলে উঠলঃ
—“ভালোবাসার কোনো কারন হয় না মেঘুপরী,কখন কিভাবে কার ওপর কার ভালোবাসা আসবে সেটা সেই ব্যক্তিও জানে না!’আমি তোমায় কোনো কারন ছাড়াই ভালোবাসি,কেনো বাসি জানি না শুধু জানি তোমায় খুব ভালোবাসি আমি আর আজীবন বেসে যাবো…
“তানভীরের কথায় মুচকি হাসলো মেঘলা তারপর তানভীরের কাঁধ থেকে উঠে ওর কপালে চুমু একে বললোঃ
—“আমিও তোমায় খুব ভালোবাসি…
“তানভীর মেঘলার কাজে খুশি হয়ে মেঘলার দু’হাত শক্ত করে চেপে ধরে বললোঃ
—“আমি জানি…
—“কখনো ছেড়ে যাবে না তো…
—“কখনো না….
“এমন সময় পরিষ্কার আকাশটা কালো মেঘে ঢেকে গেল,বলতে না বলতেই আকাশ বেয়ে ঝুমঝুম করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল!’বৃষ্টিতে যেন প্রকৃতি আরো বেশি বিচলিত আর সৌন্দর্যতায় রূপ নিলো!’মুগ্ধ নয়নে মেঘলা তানভীর দেখছে প্রকৃতি!’হঠাৎই তানভীর বললোঃ
—“তুমি বসো আমি এক্ষুনি আসছি…
—“কোথায় যাও…
—“এই তো আসছি..
“এতটুকু বলে তানভীর সিঁড়ি কাছ থেকে উঠে চলে যায় ভিতরে!’
“নীরবে তাকিয়ে আছে মেঘলা সামনে,,গাছের পাতা বেয়ে পরছে বৃষ্টির পানি!’বৃষ্টির একেক ফোঁটা যেন রয়েছে একেক মুগ্ধতা!’
“এরই মাঝে মেঘলার কানে বাজছে একটা গান…
……….
–“ওও কেন বারে বারে থাকো দূরে সরে…
তুমি হীনা বল বাঁচি কি করে!’
— “ওও কেন বারে বারে থাকো দূরে সরে…
তুমি হীনা বল বাঁচি কি করে!’
হৃদয়ে যত প্রেম দিয়েছি তোমায়…
–“কেন যে বোঝো না আমায়!’
“এই মন সারাক্ষণ শুধু তোমার ভালোবাসা পেতে চায়!’
— “এই মন সারাক্ষণ শুধু তোমার ভালোবাসা পেতে চায়!’?
…….
“এরই ভিতর হাজির তানভীর’!!রেডিও তে গান ছেড়ে এসেছে সে!’মেঘলা বিষয়টা বুঝতে পেরে বললোঃ
—“পারফেক্ট!”
“তানভীর খুশি হয়ে এসে মেঘলা কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পরলো!’মেঘলাও খুশি হয়ে ওর মাথায় বিলি কাটতে লাগলো….
.
“আরেক দিকে….
শুভ্রতাকে কোলে নিয়ে বৃষ্টিকে উপভোগ করছে আয়ুশ,যেন ভালোবাসার মায়ায় আঁটকে গেছে তাঁরা!’সাথে ভালোবাসার গানও ভেসে আসছে তাদের কানে যেন এক মন মাতাল করা মুহূর্তে…..
.
“আর অবশেষে…..
অনিকের কাঁধে মাথা দিয়ে বৃষ্টির প্রেমাছন্নটাকে উপভোগ করছে দিয়া!’অনিক নীরবেই দিয়ার হাত চেপে ধরে ভালোলাগার মুগ্ধতা ফিল করছে,সাথে গানের ছন্দে ছন্দে ঠোঁট মিলাচ্ছে সে,আর দিয়া নীবরে তা শুনছে,,
.
“ঝুম ঝুম বৃষ্টি পরছে, বাহিরে গাছের পাতার ছন্দে বয়ে আসছে ভালোবাসার মুগ্ধতা!’উপরে মেঘের ডাক,ম ম করা সারা বাড়ির জুড়ে ফুলের গন্ধ,সাথে পাখিদের কলরব আর মন মাতাল করা শীতল মেশানো ঠান্ডা বাতাস যেন এক অদ্ভুত ভালো-লাগা!”আর এই ভালোলাগার মুহূর্তগুলো দিয়েই শুরু হবে তানভীর মেঘলা,আয়ুশ শুভ্রতা আর দিয়া অনিকের নতুন পথ চলা,?
– “শুরু হবে নতুন ছন্দের এক নতুন “নীল ক্যানভাস”?
.
.
— সমাপ্ত….?