The_team_of_Rainbow’s_lovestory Part:17,18

0
1620

The_team_of_Rainbow’s_lovestory
Part:17,18
Writer: Sabrin Jahan
Part:17

রোদেলা:হটাৎ আমাদের প্যারেন্টস এখানে কেন ডাকলো…

নওশীন:কে জানে,,আমি আর আরমান তো কালকে বাড়িতে সব জানিয়ে দিলাম

রোদেলা:বাহ!! তোরাও সেটিং করে ফেললি…

আরমান:আরে না করলে তোমার ঐ দাজ্জাল বইন চাটা মারবো কইছে(গালে হাত দিয়ে)

নওশীন চোখ ছোট ছোট করে তাকালো…বাকি সব হেসে দিলো

অরূপ:আহারে বেচারা রাস্তা

রোদেলা: ওরুইপা তোরে কইছি রাস্তা কইবি না?

অরূপ:?হাজার বার কমু

শ্রেয়া:আচ্ছা থাম প্লিজ ,,চল ভিতরে যাই

সবাই সারা দিয়ে ভিতরে গেলো……
ভিতরে গিয়ে দেখলো পুরো রেস্টুরেন্ট সাজানো
আর তাদের প্যারেন্টস গোল মিটিং এ বসছে?

সেই সাথে অপূর্ব আর অলি

রোদেলা:এই দুইটা এনে কেন

রোদ্দুর:তুমি যেখানে আমিও সেখানে ??

হুট করে নওশীন এর মা আমাদের দিকে তাকিয়ে বললো ঐতো ওরা এসে গেছে

সবাই আমাদের দিকে তাকালো ,,,,
তারপর waiter দের দিকে তাকিয়ে কিছু ইশারা করলো…..
Waiter রা এসে girls দের একটা রুম এ আর boys দের আরেকটা রুম এ নিয়ে গেলো……..

এদিকে ওরা মাথা মুন্ডু ও বুঝতেছে না

কিছুক্ষণ পর মেয়েরা গাউন পরে নিচে নামলো
ছেলেরা আগেই চলে এসেছে

মেয়েদের দেখে ছেলেদের অবস্থা
“Hay mein marjawan”?

সবার ড্রেস কোড same জাস্ট colour আলাদা,,,নওশীন পড়েছে রেড colour গাউন ,জুম পড়েছে পিংক কালারের,ঐশী কলাপাতা কালার,ইমু অফ হোয়াইট,প্রিয়া ইয়েলো ,শ্রেয়া নেভি ব্লু আর রোদেলা গ্রীন কালার

ছেলেরাও ম্যাচিং করে সুট পড়েছে,,চুল গুলো স্পাইক করা ,,ব্ল্যাক জিন্স,ব্ল্যাক টি শার্ট সাথে নিজেদের প্রিয়শীর সাথে ম্যাচিং করা কোর্ট,,,,আর কি লাগে??

রোদেলা:আচ্ছা কি হবে এখানে

শ্রেয়া: দাড়া ,,,(শ্রেয়া একটা ওয়েট্রেস কে ডাক দিল)

ওয়েট্রেস: ম্যাম আজ এখানে আপনাদের এনগেজমেন্ট উপলক্ষে পার্টি হবে

সবার মাথায় আকাশ পড়লো,,আর রোদেলার মাথায় মহাবিশ্ব
কারণ আর সবারটা ঠিক হইলেও
ওর বাড়ির লোক কেমনে জানলো,,,অরূপ রে দেইখা মনে তো হইতাছে না যে অরূপ বলবে

রোদেলা অপূর্ব আর অলি এর দিকে তাকালো?

অলি:আরে রোদ আপু ,,,টেনশন লেনে কা নেহি দেনে কা হে

অপূর্ব:এটা আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সারপ্রাইজ

নাফি: শিহরিত ?

রোদেলা:মানে?

অলি:আরে আমরাই তোমার এর রোদ্দুর ভাইয়ার কথা তোমার বাবা মা কে বলছি,আর বাকি সবার তো অলরেডী সেট

অপূর্ব:আর আমরা ভাবলাম the team of Rainbow’s এর কাজ যখন এক বিয়েটাও একসাথে হোক,,,

শ্রেয়া:মানে ৭ জুটির বিয়ে একসাথে

অলি: হু

ঐশী:সত্যি!!!!

প্রিয়া:yeee

নওশীন:আমি বিশ্বাস করতে পারছি না

আরমান:চাটা মারো নিজেকে

নওশীন:ওই এক কথা কেন বলো!!

আরমান:আমার এখন ও মনে আছে ওই সেরা তিনটা চাটা

নওশীন ভেঙচি কাটলো ,,,বাকি সবাই হেসে দিল?

ইমু:কীরে তোর কি হইলো(রোদেলা কে)

জুম:আসলেই এমন চুপ হয়ে গেলি কেনো

রোদেলা গিয়ে অলি কে জড়িয়ে ধরলো

সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে

রোদেলা:thank you,thank you so much,, জানিস ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ছিলো আমাদের ৭ ফ্রেন্ড এর একসাথে বিয়ে হবে,,,কিন্তু মা বলত এটা হবে না,,তুই সেটা পূরণ করলি ,,thank you

অলি মুচকি হাসলো,,আর সবাই ও খুশি

যথা রীতি অনুষ্ঠান শুরু হলো

Haan Karde Na Choti Moti Galtiyon Ko Maaf
Itna Sa Bas Ehsaan Karde(আরমান)
Karde Na Choti Moti Galtiyon Ko Maaf
Itna Sa Bas Ehsaan Karde(আরিয়ান)

Tu Jo Hai Naraaz Meri Saansein Na Chale
Maan Ja Tu Jeena Ye Aasan Karde(নাফি)
Tu Khol Mere Dil Ko Aur Le Le Talashi
Koyi Bhi Milega Na Tere Siva(ঈশান)
Tere Siva

Teri Aankhon Mein Dikhta Jo Pyaar Mujhe
Meri Aankhon Mein Bhi Tujhe Dikhta Hai Kya
Teri Aankhon Mein Dikhta Jo Pyaar Mujhe
Meri Aankhon Mein Bhi Tujhe Dikhta Hai Kya(boys group একসাথে)

Bharke Rakhti Hu Jebe Main Dil Ki Apne(প্রিয়া)
Bol Kitna Tu Maange Udhaar(ঐশী)
Bina Byaaj Ke Dungi Tu Maang Toh Sahi(ইমু)
Bol Kitna Tu Maangega Pyaar(নওশীন)

Baitha Hai Gussa Teri Naak Pe Aise(রোদ্দুরের নাকে টোকা দিয়ে রোদেলা বললো)
Dhokha Diya Tujhko Maine Chhod Diya Jaise(অলি)
Marke Bhi Chhodun Na Tu Maanega Kaise(শ্রেয়া)

Nikaal Na Jubaan Se Aise Marne Ki Baat(অরূপ)
Pyaar Aisa Karunga Ki Tu Degi Shabaashi(রোদ্দুর)
Misaal Main Dunga Apne Pyaar Ki Bana(অপূর্ব)

Oh Teri Aankhon Mein Dikhta Jo Pyaar Mujhe
Meri Aankhon Mein Bhi Tujhe Dikhta Hai Kya
Teri Aankhon Mein Dikhta Jo Pyaar Mujhe
Meri Aankhon Mein Bhi Tujhe Dikhta Hai Kya(সবাই একসাথে)

Ishq Ko Odh Le Sab Hadein Tod De
Aaj Dono Milke Ek Naye Rishtey Ko Jod De(রোদ্দুর)
Ishq Ko Odh Le Sab Hadein Tod De
Aaj Dono Milke Ek Naye Rishtey Ko Jod De(অরূপ)

Tu Bole Na Mujhe Kuch Aur Main Sunti Rahun
Aise Pyaar Karte Karte Duniya Ko Chhod Du(রোদেলা)

Oh Teri Aankhon Mein Dikhta Jo Pyaar Mujhe
Meri Aankhon Mein Bhi Tujhe Dikhta Hai Kya
Teri Aankhon Mein Dikhta Jo Pyaar Mujhe
Meri Aankhon Mein Bhi Tujhe Dikhta Hai Kya(সবাই একসাথে)

Favourite one?

সবাই কথা বলায় মগ্ন তখনই কেও পিছন থেকে ডাকলো
রোদ্দুর

রোদ্দুর আর রোদেলা দুইজনই তাকালো
পিছনে একটি মেয়ে ,,,মেয়েটা রোদ্দুরের দিকে এসে ওকে জড়িয়ে ধরতে যাবে তখনই রোদ্দুর রোদেলার হাত টেনে রোদেলাকে মাঝখানে নিয়ে আসলো,,এতে মেয়েটা থেমে গেলো

মেয়েটা:এটা কি হলো?

রোদ্দুর :এইযে এটা আমার বউ ওকে ধরো,,আমাকে। না,,আর তোকে বলেছি আমি এসব জড়িয়ে ধরা পছন্দ না ,,

মেয়েটা ক্ষুব্ধ হয়ে রোদেলার দিকে তাকালো,,রোদেলা তখন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ওকে পর্যবেক্ষণ করতে ব্যাস্ত

রোদ্দুর: ও রুবি ,,আমার ফুফাতো বোন

রোদেলা:ওহ ,,Hi I am Rodela

রুবি:Rubi

রুবি আর কিছু বলল না ,,,চলে গেলো,, রোদেলার মেয়েটাকে কেমন জানি লাগলো ,,তখনই এক মধ্যবয়সী মহিলা সামনে এলো

কাকলি : তা রহিমা এই বুঝি তোর ছেলের বউ?

রহিমা: হ্যাঁ আপা
আপা সম্মোধনে রোদেলা বুঝতে পারলো এটা রোদ্দুরের ফুপি আর ঐ টা তার মেয়ে
রোদেলা সালাম দিল…
কিন্তু মহিলার মুখ দেখে মনে হচ্ছে তার পছন্দ হয় নি

কাকলি:আরে রহিমা এমন ৬ ফিটের ছেলের সাথে এই ৫ ফিটের মেয়েকে মানা বে কি করে

রহিমা:কে বললো মানাবে না ,,দেখো আপা কি perfect জুটি

কাকলি:না,,আবার দেখ আমাদের রোদ্দুর কত ফর্সা আর এ,,,আমার মেয়েরে দেখ কত স্টাইলিশ,আবার লম্বাও,,

রোদেলা এতক্ষণ ভ্রু কুচকে সব শুনছিল
মানে ৫ ফিট কে খাটো বললে ৪ ফিট কে কি বলবে
আবার ফর্সা রে বলে আরো ফর্সা হতে ,, হ্যাঁ ওর গায়ের রং রোদ্দুরের মত না তাই বলে এভাবে বলবে,,মহিলার last এর কথা শুনে রোদেলা এটা বুঝতে পারছে উনি উনার মেয়েকে রোদ্দুরের বউ করতে চান তাই খুঁত ধরছে

রোদ্দুর:ফুপি,,একটা কথা বলি,,মেয়েদের হাইট ছেলেদের কাধ বরাবর হলে perfect,,
আর গায়ের রং?? আমি ওর রূপ উজ্জ্বলতা দেখে ওকে বিয়ে করতে চাই না,,আর ওকে কোন অংশে তোমার কালো মনে হয় যত্তসব

রোদ্দুর রোদেলা কে নিয়ে চলে গেলো,,,,

সবাই আবার আড্ডায় ব্যাস্ত

রহিমা এক দৃষ্টিতে শ্রেয়ার দিকে তাকিয়ে আছে
তখন করিম বললো কি হয়েছে

রহিমা:শ্রেয়াকে আমার ইরার মত লাগছে

করিম:হতে পারে ,,মানুষে মানুষে মিল তো থাকেই,,

রহিমা:কিন্তু এত মিল,,এত মিল তো ইরা আর…(ওকে থামিয়ে)

করিম:দেখো যে নেই তাকে নিয়ে কথা বলোনা

রহিমা: হ্যাঁ এক মেয়েকে কারা মেরে দিল,,আর আরেক মেয়েকে তো হারিয়েই ফেললাম সেই কবে

করিম:তুমি এখানে কান্না করো না প্লিজ

রহিমা চলে গেলেন ,,করিম হতাশার নিশ্বাস ফেলে শ্রেয়ার দিকে এক পলক তাকিয়ে চলে গেলেন

আর তাদের পুরা কথাই শুনলো রোদেলা

রোদেলা:কিছু তো আছে যা অজানা,,,বের করতে হবে ,,শ্রেয়ার রহস্য,,এত মিল মানুষে মানুষে থাকে। না,,আর মামনির দুই মেয়ে কিভাবে,,,জানতে হবে,,কিন্তু রোদ্দুর কে জানানো যাবে না(মনে মনে)

নতুন রহস্য উদ্ঘটন ,,,,,কিভাবে হবে,,এসব চিন্তায় মগ্ন থাকলো রোদেলা
.
.

চলবে….

#The_team_of_Rainbow’s_lovestory

Writer: Sabrin Jahan

Part:18

শ্রেয়া:ইয়ার আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আমাদের ৭ জনের বিয়ে একসাথে

অরূপ:তোমার বিশ্বাস কবে হয়েছিল,,,সব কিছুই তো স্বপ্নই ভাব

রোদেলা আর অরূপ ফিক করে হেসে দিল,,,কারণ ওদের মনে আছে শ্রেয়া আর অরূপের সেইদিনের বিশ্বাসের কাহিনী?

অরূপ:তোরা হাসিস কেনো?

রোদেলা:nothing ?

কালকের অনুষ্ঠানের পর আজকে সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছিল ,,তখনই তাদের এই কথা

শ্রেয়া:huh ,, এমন কাজ করলে বিশ্বাস হবে কেমনে যেটা কোনোদিন ভাবি নাই

ঐশী:কিন্তু seriously আমাদের একসাথে বিয়ে ভাবা যায়

প্রিয়া:ওয়ে বাল্লে বাল্লে,,,,কি মজা

জুম: এত্তোগুলো বিয়ে একসাথে হবে কই?

ইমু:কেনো কমিউনিটি সেন্টার এর কি অভাব পড়ছে

নওশীন: ঐ রোদ কি ভাবছিস?

রোদেলা ভাবনায় ছিল শ্রেয়া আর ইরাকে নিয়ে তখনই নওশীনের কথায় ধেণ ভাঙ্গে,,,

রোদেলা: আব কিছু না..

রোদ্দুর:কালকে থেকে দেখছি কিছু একটা নিয়ে গভীর চিন্তা করছো,,কি হয়েছে,,

রোদেলা একবার ভাবলো সবাইকে বলবে,,কিন্তু পরক্ষণে ভাবলো না,,,আগে নিজে sure হতে হবে

রোদেলা:ভাবছিলাম

আরিয়ান:কি

রোদেলা:আমরা rainbow team..

আরমান: হুমম

রোদেলা: প্রত্যেকে ৭ জন,৭ জন মিলে ১৪ জন

নাফি:হুমম

রোদেলা:আবার আমরা এক ওপরের সাথে হয়েছি ৭ জুটি

ঈশান: হ্যাঁ,,এখন এতে কি ভাবছো

রোদেলা :আরে তো হয়ে গেলো না

রাজ:কি?

রোদেলা:#The_team_of_Rainbow’s_love_story ❤️

রোদ্দুর:হুমম হয়ে তো গেলই

অলি:অনেক সুন্দর,,,আর এই টিম of Rainbow’s এর ই বিয়েও একসাথে

অপূর্ব:আমারটা যে কবে হবে..

অলি আর চোখে তাকালো,,কিন্তু কিছু বললো না..

অরূপ:আচ্ছা আজকের মত চলি ,, রোদ চল

রোদেলা:না আমি রোদ্দুরের সাথে যাবো

অরূপ:কেন?

রোদেলা:মামনির সাথে দরকার আছে

অরূপ:ওহ ওকে

রোদেলা: অপূর্ব অলি কে পৌঁছে দিস,,আর বাকিদের বলা লাগবে না,,কারণ ওদের সেটিং আছে?

প্রিয়া:মরিস না কেন?

রোদ্দুর: ও মরলে আমি বিধবা হয়ে যামু,,,by the way বিধবার male version কি??

সবাই এক সাথে হেসে দিল,,,,,তারপর যে কর উদ্দেশ্যে রওনা হলো

গাড়ি চলছে আপন মনে ,,,হালকা হালকা হাওয়া ছুয়ে যাচ্ছে অলি কে ,,পাশেই ড্রাইভ করছে অপূর্ব

অপূর্ব:হটাৎ এত চুপচাপ

অলি দীর্ঘশ্বাস ফেলল,,,,

অলি:আপনার কি মনে হয় আমি বাচ্চা??

অপূর্ব: মানে?

অলি:মানে টা এই কে আপনি আমাকে care করেন,আমার সাথে আসার জন্য বাহানা খুঁজেন,,আমাকে ডিস্টার্ব এর নাম করে হাসাতে চান এসব আমি বুঝি না

অপূর্ব কিছু বললো না ,,সামনে তাকিয়ে ড্রাইভ করতে লাগলো

অলি:দেখুন অপূর্ব আপনার আর আমার যায় না,,

অপূর্ব:কারণ,,

অলি:আপনি আমার অতীত জানেন না

অপূর্ব:জানতে চাই ও না

অলি:জানলে এসব সম্পর্কে ভাবতেন না

অপূর্ব:বললাম তো চাই না জানতে

অলি এবার রেগে গেলো ,,রেগে গিয়ে বললো..

অলি:কেনো চান না,,জানতে হবে আপনাকে,,,জানতে হবে যে যাকে আপনি ভালোবাসেন সে একজন used package,,, ব্যাবহার হয়ে গেছে তার,,,সে একজন ব্যাবহার কৃত জিনিষ

তখনই অপূর্ব ব্রেক করলো ,,,,,তারপর রক্ত চক্ষু নিয়ে অলির দিকে তাকালো,, অলি কিছুটা ভয় পেলো,,,, অপূর্ব অলির গাল চেপে ধরলো

অপূর্ব:বললাম না তোকে ,,,আমি শুনতে চাই না,, জানতে চাই না,,,তাহলে কেনো বলছিস

এদিকে এত জোরে চেপে ধরায় অলির লাগছে ,,কোনো মত বলে উঠলো

অলি:আমার লাগছে…..

অপূর্ব ছেড়ে দিল ওকে
তারপর জোড়ে জোড়ে স্বাস নিতে লাগলো রাগ কন্ট্রোলের জন্য….

অলি শুধু ওকে দেখছে

অপূর্ব: তোমার কি মনে হয় রোদ আমাকে কিছু বলবে না
অলি অবাক চোখে তাকালো

অপূর্ব: হ্যাঁ রোদ সব বলেছে আমায়,,,আর সব জেনেই তোমাকে ভালোবেসেছি ,,ভালোবাসা কি জানো তুমি??ভালোবাসা দেহের নয় মনের,,,
আমি তোমাকে ভালোবাসি ,,তোমার দেহকে নয়,,,আর নিজেকে ছোট করে কেনো বলছো,,,তুমি তো কোনো দোষ করো নি ,,শুধু ভালোবেসেছিলে,,, বিশ্বাস করেছিলে,,কিন্তু সে ধোঁকা দিয়েছে তাহলে তুমি কেনো নিজেকে দোষারোপ করছো

অলি ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো

অপূর্ব:এখন বলতে পারো তোমাকে দয়া দেখাচ্ছি, কিন্তু তোমার অতীত জানার আগেই তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম ,,,আর অতীত জানার পরও তোমায় ভালবাসি,,,,অনেক বেশি ভালোবাসি

অলি কিছু না বলে অপূর্ব কে জড়িয়ে ধরলো ,,এই কয় দিনে অপূর্ব কে ভালবেসে ফেলেছে ,,,কিন্তু ওর করা কর্ম যদি জানতে পারে তাহলে অপূর্ব ওকে আর ভালোবাসবে না এই ভেবে গুমরে মরছিল,,,

অলি:আমিও তো বাসি

অপূর্ব:কি?

অলি:ভালো

অপূর্ব হালকা হাসলো

ঐদিকে

রোদেলা রোদ্দুর বাড়িতে ঢুকলো

রহিমা:আরে মামনি তুই

রোদেলা:কেমন আছো মামনি?

রহিমা:ভালো,,কিন্তু হটাৎ..

রোদেলা:ওই একটু আড্ডা দিতে আসলাম তোমার সাথে

পিছন থেকে করিম বলে উঠলো
করিম:শুধু মামনির সাথে আড্ডা দিলে হবে ,,এই বাবাই কে কে দেখবে

রোদেলা:তোমার সাথেও দিবো তো,,তুমি ছাড়া চলবে…..

রোদ্দুর:এই মেয়েরে পাইলে তোমরা আমারে ভুলে যাও।

রহিমা আর করিম একসাথে: যা ভাগ

রোদ্দুর মুখ গোমড়া করে রাখলো ,,,বিয়ের পর যে তাকে কেও পাত্তা দিবে না সেটা এখন ই বোঝা যাচ্ছে

?????????
রহিমা আর রোদেলা কথা বলছে,,করিম আর রোদ্দুর কিছু কাজে বাইরে গেছে

রোদেলা:আচ্ছা মামনি তোমার কয় মেয়ে?

রহিমা মুখ মলিন করে বললো

রহিমা:দুই মেয়ে

রোদেলা:ইরার কথা তো জানি কিন্তু আরেক মেয়ের কথা তো কখনো শুনি নি

রহিমা:ইরা আর নীরা মানে আমার আরেক মেয়ে,,দুইজন টুইন,,ওদের চেহারায় পুরো পুরি মিল না থাকলেও অনেকটা মিল আছে,,দূর থেকে ওদের যমজ ই মনে হবে,,

রোদেলা: ও এখন কোথায়?

রহিমা: সেও না ফিরার দেশে চলে গেছে

রোদেলা:কিন্তু কিভাবে?

রহিমা: ছোটবেলায় ওদের যখন ৪ বছর বয়স রোদ্দুর তখন ১০ বছরের,,,রোদ্দুরের হটাৎ মাথায় সমস্যা হয় ,,,তখন বিভিন্ন ডক্টর এর কাছে গিয়েও কোনো সমাধান পাই নি,,অবশেষে সিদ্ধান্ত হলো কানাডা যাবো,,কিন্তু দুই মেয়েকে কিভাবে সামলাবো,,তাই নীরা কে ওর ফুপি কাকলির কাছে রেখে গেলাম,,,ওখানে গিয়ে রোদ্দুরের চিকিৎসা করালাম,,ডক্টর অপারেশন করেছে,,,আর এও বলেছে ওখানে যেনো আঘাত না পায় তাহলে ও মারাও যেতে পারে,,,দেশে আসার একদিন আগে জানতে পারি ড্রাইভার নীরাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিল কিন্তু গাড়িটা accident করে আর খাদে পরে যায় ,,,তাদের কারো লাশ পাওয়া যায় নি,,,কারণ গাড়িতে আগুন লেগে গেছিলো আর ওদের ধারনা বডি পুড়ে গেছে

রোদেলা:পড়ে তদন্ত হয় নি..

রহিমা:হয়েছে কিন্তু পাওয়া যায় নি,,

এই বলে রহিমা চোখের পানি মুছলেন

রোদেলা:কেঁদো না প্লীজ,,

রহিমা:হুমম কিছু খাবি

রোদেলা: মাফিন

রহিমা:পাগলী একটা

বিকেলে রোদ্দুর রোদেলাকে বাড়ি পৌঁছে দিল
আর ৯ দিন পর ওদের বিয়ে
পরশু ওরা কমিউনিটি সেন্টার এ যাবে,প্রথম দিনে রেস্ট নিবে আর বাকি তিনদিনে আশেপাশে ঘুরবে যেহেতু কক্স বাজার রিসোর্ট,, তারপর বাকি চারদিনে হবে
১)রং খেলা
২) মেহেন্দি ও সংগীত
৩)গায়ে হলুদ
৪)বিয়ে
আর এর পরের দিন back করবে
,এই বিয়ের আগেই রোদেলাকে যা করার করতে হবে…
রাত ১২ টা রোদেলা কিছুতেই ঘুমাতে পারছে না,, নীরা যদি মারা যায় তাহলে শ্রেয়ার সাথে ইরার এত মিল কেনো
ও কিছু না ভেবে একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খুললো শ্রেয়াকে বাদ দিয়ে ,,কারণ এখন ওকে এসব জানানো যাবে না,, ও একটা গ্রুপ কল করলো
প্রথম কল এ কেও ধরলো না,,
দ্বিতীয় কল এ ধরলো
ইমু:উফ ওই চুন্নি এত রাতে কল দিচ্ছিস কেনো?

জুম:আমার সাধের ঘুম গেলো

প্রিয়া:মাইয়া আমাদের ঘুমাতেও দিবি না

নওশীন:ওই কথা বলিস না কেন

ঐশী:দেখ আমাদের ফোন দিয়ে নিজেই ঘুমিয়ে পড়ছে

রোদেলার এদের মাথার চুল ছিঁড়তে মন চাচ্ছে একে তো ওকে বলার সুযোগ দিচ্ছে না,,আবার কি না বলছে

রোদেলা:আরেকটা কথা বললে সব গুলাকে উগান্ডায় পাঠাবো ,,,নিজেরা যে ফোন আলাপ করছো জানি না ভাবছো

সবাই এবার চুপ করে গেলো,,কারণ রোদেলা সত্যি বলেছে

রোদেলা: শোন ব্যাপারটা শ্রেয়ার

নওশীন:কেনো ওর কি হয়েছে

রোদেলা ওদের সব বললো

ঐশী :এটা তো ভাবার বিষয়…

প্রিয়া:এখন কি করবো

রোদেলা: কাল আমি আর ঐশী একসাথে শ্রেয়ার বাড়ি যাবো ,,আর প্রিয়া তুই আর নওশীন আর ইমু শ্রেয়াকে নিয়ে ঘুরবি

জুম:কিন্তু ওদের ওখানে গিয়ে কি করবি?

ইমু:আর বলবি ই বা কি

রোদেলা:অনেক কিছু জানতে হবে ওর বাবা মা য়ের কাছ থেকে ,,তোদের যা বলেছি তাই কর

নওশীন:হুমম

রোদেলা:আর এই ব্যাপারে যেনো কেও না জানে

সবাই :ওকে

কল কেটে দিলো সবাই
পরের দিন প্ল্যান মাফিক শ্রেয়াকে নিয়ে ওরা চললো আর রোদেলা, ঐশী শ্রেয়ার বাড়িতে আসলো

রোদেলা: আংকেল, আন্টি,,আপনাদের থেকে কিছু জানার আছে

শ্রেয়ার মা:বলো

ঐশী:শ্রেয়া কি আপনাদের নিজের মেয়ে?

মুহুর্তে দুইজনের মুখ চুপসে গেল,,

শ্রেয়ার বাবা: রোদ মামনি এসব কি,,শ্রেয়া তো আমাদের নিজেদের মেয়ে

রোদেলা:আংকেল প্লীজ এটা শ্রেয়ার প্রশ্ন,, মিথ্যা বলবেন না

শ্রেয়ার মা:শ্রেয়া আমাদের ই মেয়ে রোদেলা,,

ঐশী:তাহলে এটা কি,,কয়েকটা কাগজ সামনে দিল

রোদেলা:এখানে স্পষ্ট লিখা আছে আপনি কখনো মা হতে পারবেন না,তাহলে শ্রেয়া আসলো কিভাবে

শ্রেয়ার বাবা:তুমি আমাদের হেরেশ করছো

রোদেলা: আংকেল এটা শুধু একটা প্রশ্ন নয়,,,হাজার হাজার আবেগ আছে,,এক নিরীহ বাবা মায়ের কান্না আছে,,,প্লিজ সত্যিটা বলুন

শ্রেয়ার মা: হ্যাঁ শ্রেয়া আমার নিজের মেয়ে না

শ্রেয়ার বাবা:আমি প্রায় অফিস এর কাজে বাইরে যাই ,, সে বার ও গেছিলাম,,তখন আমি দেখি একটা মেয়ে রাস্তায় পরে আছে ,,সারা শরীরে রক্ত ,,আমি আসে পাশে তাকিয়ে দেখলাম একটা গাড়ি পরে আছে ,,ওখানে যাবো তখনই দেখি একটা মহিলা গান দিয়ে গাড়ীর পেট্রোল পাম্প এ শুট করলো আর গাড়ীটা তে আগুন ধরে গেলো,,এতে বোঝা গেলো যে ওরা মারতে চেয়েছে এদের তাই তখন শ্রেয়াকে নিয়ে আসি,,,আর নিজের পরিচয়ে বড়ো করি ,,যেহেতু ও কখনও মা হতে পারবেনা তাই আমরা শ্রেয়াকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসি,,,

ঐশী:আপনি police কে কেনো জানালেন না?

শ্রেয়ার মা:এখনকার পুলিশ রাও যে টাকার কাছে নত

রোদেলা:মহিলার চেহারা দেখেছিলেন?

শ্রেয়ার বাবা: হ্যাঁ

রোদেলার মাথায় কিছু আসতেই ,,

রোদেলা:দেখুন তো ইনি কিনা(একটা ছবি দেখিয়ে)

শ্রেয়ার বাবা : হ্যাঁ কিন্তু..

রোদেলা:শ্রেয়ার আসল পরিচয় এবার আমরা বের করবো

শ্রেয়ার মা:কিন্তু কেনো?

রোদেলা:ওর নিজের মা যে মেয়ে হারানোর কষ্টে আছে

ঐশী আর রোদেলা বেরিয়ে গেলো,,সাথে নওশীন,প্রিয়া আর ইমু কে টেক্সট করে দিলো কাজ শেষ,,,
ঐশী :তুই তখন কার ছবি দেখালি

রোদেলা এনগেজ মেন্ট এর একটা ছবির ব্যাক্তিকে জুম করে দেখালো

ঐশী অবাক হয়ে বললো

ঐশী: দামে কম মানে ভালো,,কাকলি ফার্নিচার
.
.
চলবে …..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here