The_team_of_Rainbow’s_lovestory Part:19,20

0
1537

The_team_of_Rainbow’s_lovestory
Part:19,20
Writer: Sabrin Jahan
Part:19

রোদেলা:হুমম

ঐশী:কিন্তু এই বিচ্ছু মহিলার থেকে কথা বের করবি কিভাবে?

রোদেলা:কালকে দেখা তো হবেই তখন দেখব,,এখন চল।

ঐশী আর রোদেলা বাড়ি চলে আসলো
পরের দিন সবাই তৈরি হয়ে নিল
যেহেতু এত মানুষ তাই বাস ভাড়া করতে হয়েছে..
বড়ো রা এক বাস এ আর ছোটরা আলদা
রুবি এসে থেকেই রোদ্দুর রোদ্দুর করেই যাচ্ছে , যা রোদ্দুরের বিরক্ত লাগছে আর ঐদিকে রোদেলা জ্বলছে

রোদেলা: কুত্তি,,আমার জামাই এর সাথে এত কি তোর,,অন্যের জামাই এ নজর দিস লজ্জা লাগে না(মনে মনে)

নওশীন: রোদ ওই কাকলি furniture এর কি করবি?

রোদেলা:গোবরে চুবাব(কথাটা রুবি কে উদ্দেশ্য করে বললো)

প্রিয়া/:মানে?

রোদেলার এতক্ষণে হুশ আসলো

রোদেলা:আব…আগে ওখানে যাই,পড়ে বলবো

জুম:ওকে

সবাই বাস এ উঠলো,,রুবির জন্য রোদ্দুর কে আগে উঠতে হলো,,তারপর রোদেলা উঠতে নিলেই রুবি ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় ,এবং নিজে উঠে পরে

রোদেলা পরে যেতে নিলে ঐশী ধরে

ঐশী:আরে আজব ত

রুবি :sorry (এই বলে রোদ্দুর যেখানে বসছে তার পাশে বসে পড়ে)

রোদ্দুর একবার রুবি আরেক বার রোদেলার দিকে তাকালো
রোদেলা কিছু না বলে সোজা লাস্ট সিটের জানালার পাশে বসে পড়লো,আর সবাই নিজেদের পার্টনার দের সাথেই বসেছে ,,সবাই মজা করলেও রোদেলা চুপচাপ
অভিমান হয়েছে ওর,,কেনো রোদ্দুর কি পারতো না উঠে এসে ওর পাশে বসতে
এদিকে রোদ্দুর উঠতে নিলেই রুবি এই সেই বাহানায় আটকিয়ে দেয়

রোদ্দুর:what the hell রুবি,তুই এমন কেনো করছিস?

রুবি:আরে একদিন বসলে কি হবে?

রোদ্দুর:just shut up(ধমক দিয়ে)

রুবি রোদ্দুরের ধমকে চুপসে গেল
রোদ্দুর উঠে রোদেলার কাছে যেতে লাগলো ,,রোদ্দুর কে আসতে দেখে রোদেলা ওর হাতের purse , পানি যা যা ছিল সব ফাঁকা সিটে রেখে দিল,রোদ্দুর বুঝতে পারলো রোদেলা রাগ করেছে,সে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে জিনিষ গুলো সরিয়ে আরেক সিটে রাখলো

রোদ্দুর:কি হয়েছে?.

রোদেলা:চুপ

রোদ্দুর:কথা বলবে না

রোদেলা:চুপ

রোদ্দুর:আচ্ছা বাবা sorry

রোদেলা:কেনো এখন কেনো sorry বলো,যাও না যাও ওই রুবি টুবির কাছে গিয়ে বসো,,ইহ কি ঢং,এত ওর সাথে চিপকানোর কি আছে হ্যাঁ,,যাও যাও ওর কাছে যাও।

রোদ্দুর:আরে আমি কোথায় চিপকালাম

রোদেলা: ইহ , ঢং দেখলে বাঁচি না মরণ

রোদ্দুর:উফ,বললাম তো sorry

রোদেলা:not acceptable

রোদ্দুর:ওকে,ওই রাজ গিটার দে

রাজ:নে।

রোদেলা আর চোখে রোদ্দুরের দিকে তাকালো ,রোদ্দুর সিটের সাথে হেলান দিয়ে গিটার বাজানো শুরু করলো

তোমার নামের রোদ্দুরে
আমি ডুবেছি সমুদ্দুরে
জানি না যাব কতদুরে এখনও…(রোদেলাকে ইশারা করে)

আমার পোড়া কপালে
আর আমার সন্ধ্যে সকালে
তুমি কেন এলে জানি না এখনও…
ফন্দি আটে মন পালাবার..
বন্দি আছে কাছে সে তোমার(রোদেলা মুচকি হাসলো)

যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও, তোমাকেই চাই
হুঁ.. যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও তোমাকেই চাই

হলো শুরু সাতদিনে
এই খেলাধুলো রাতদিনে
জানি বারণ করার সাধ্যি নেই
আর আমার..
তোমার নামের মন্দিরে
আর তোমার নামের মসজিদে
আমি কথা দিয়ে এসেছি
বারবার..

বিন্দু থেকে সিন্ধু হয়ে যাও
তুমি ইচ্ছেমত আমাকে সাজাও

যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও
তোমাকেই চাই (x2)

মনের গভীরে, ঘুমের শরীরে
তোমাকে নিয়ে ডুবে যাবো
আমার কাছে কারনেরা আছে
নিজেকে আমি খুঁজেই নেবো

যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও
তোমাকেই চাই (x2)
Favourite one
পুরোটা সময় রোদ্দুর রোদেলার দিকে তাকিয়ে ছিল

ঈশান:বাহ kya bat hain..

প্রিয়া:আচ্ছা পৌঁছাতে কতক্ষন লাগবে

জুম:গাধা এটা কক্স বাজার যাচ্ছি ,,ঢাকা টু খুলনা না যে সকালে গেলাম ,,বিকেলে পৌঁছে গেলাম

ঈশান:একে বলে লাভ নেই এর গোবর মাথায় এগুলো ঢুকবে না

প্রিয়া:গোবর মাথা কার ?

ঈশান:কেন তোমার?

প্রিয়া:আপনার বউ এর মাথা গোবর পোড়া..

ঈশান সহ সবাই হু হা করে হেসে দিল
প্রিয়া নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাথায় চাটি মারলো

রোদ্দুর:রাগ কমেছে মেডাম

রোদেলা:আর যদি দেখি

রোদ্দুর: যথা আজ্ঞা মহারানী

রোদেলা: that’s like my মহারাজ

দুইজনই হেসে দিল

নাফি:আচ্ছা এবার একটা খেলা খেলি কারণ এখনও আরো সময় বাকি

নওশীন : কি খেলা?

নাফি:এটা একটা ওয়ার্ড গেম,,হোক সেটা বাংলা,হিন্দি ,ইংলিশ।আমি একটা ওয়ার্ড বলবো তার লাস্ট ওয়ার্ড দিয়ে আরেকটা ওয়ার্ড আরেকজন বলবে ..যেকোনো ওয়ার্ড হতে পারে

রুবি:আমি এসব ফাউল গেম এ নাই।

কেও ওকে পাত্তা দিল না ওকে স্টার্ট

নাফি:নাফি

ঐশী: ফাইল

নওশীন:লায়লা

আরিয়ান:লাবণ্য

ইমু:এই লাবণ্য কে(চোখ রাঙিয়ে)

আরিয়ান:আরে আমি তো just নাম বলছি(ঢোক গিলে)

ইমু:কুত্তা তুই আমারে ধোঁকা দিচ্ছিস(রেগে)

আরিয়ান:বইন বিশ্বাস কর আমি এরে চিনি না ,আমি তো এমনেই কইলাম

ইমু:কে তোর বইন

সবাই ওদের কাণ্ডে হেসে দিল

নাফি:ওকে again,,লাবণ্য

আরমান:নৌকা

ইমু:কাকতাড়ুয়া

আরমান: আভ..আরমান(আরমান আভা বলতে নিয়েছিল কিন্তু ইমুর কথা মনে করে আর নওশীনের চাটার কথা ভেবে নিজের নামটাই বললো)

রাজ: নিশ্বাস

জুম:সন্দেহ

প্রিয়া:হেলো

ঈশান: লেখক

অপূর্ব:কাপা

অরূপ:আপা

সবাই এটাতে হেসে দিল

অলি: পাপ

রোদেলা: পেঁপে

শ্রেয়া:পেয়ার

রোদ্দুর:রোদেলা

সবাই অবাক হয়ে তাকালো,,রোদেলা নিজেও
কিছুক্ষন পর

সবাই: ওহো,,পেয়ার রোদেলা

রোদ্দুর বাকা হাসলো
রোদেলা জানালার বাইরে তাকালো ,,কেনো যেনো ওর লজ্জা লাগছে,,ভাবতেই অবাক লাগছে ওর যে ও লজ্জা পাচ্ছে

রোদ্দুর রোদেলাকে ফিসফিসিয়ে বলল

রোদ্দুর :এত লজ্জা পেয় না,পড়ে টমেটো মনে করে খেয়ে ফেলবো

ব্যাস আর কি লাগে,,রোদেলা আর কথাই বললো না.

সবাই ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল
ভোরে এসে পৌঁছালো বাস

সবাই ক্লান্ত ,,তাই রিসোর্ট এ পৌঁছে যে যার রুম এ চলে গেলো?

সেই দিন সবার রেস্ট নিতেই কাটলো
পরের দিন সকালে
সকাল সকাল উঠেই দর্শন মিলল মিস কাকলি furniture এর

কাকলি: তো তোমার নাম কি যেনো?

রোদেলা: বাহ বউয়ের নাম ই জানে না(মনে মনে) রোদেলা

কাকলি: ইস ,, আদি যুগের নাম,,কেমন ধারা নাম এ, হ্যাঁ,,আমাদের রোদ্দুর এর নাম কত সুন্দর সেখানে এই নাম মানায়

রোদেলা হাত মুষ্টি করে সব শুনছে,,কিন্তু কিছু বলছে না,,নেহাত রোদ্দুরের ফুপু নাহলে আস্ত রাখতো না

রোদ্দুর: কে বললো নাম টা আদি যুগের

কাকলি রোদ্দুর। কে দেখে চুপসে গেলো

রোদ্দুর:ফুপি রোদ্দুরের তাপ আসে সূর্য থেকে ,,,আর সূর্য তখনই তাপ দেয় যখন সেটা রোদেলা দুপুর হয়,,রোদেলা দুপুর ছাড়া সূর্যের তাপ এই রোদ্দুর অচল,,তাই মানান সই ই তো,,আর এত সুন্দর নাম। কে তুমি কিভাবে এরকম টা বলতে পারো

কাকলি:বাহ,বিয়ে না হতেই বউ পাগল হয়ে গেলি

রোদ্দুর:এখানে বউ পাগলের বিষয় না,ভুল করেছো শুধরে দিলাম

কাকলি কিছু না বলে রাগে ফুসতে ফুসতে চলে গেলো
রোদ্দুর:মনোব্রত করেছো?

রোদেলা:মানে?

রোদ্দুর:আগে কেও ভুল কথা বললেই শুধরে দিতে এখন চুপ চাপ শুনছিলে কেনো?

রোদেলা:তোমার ফুপি হয় তো

রোদ্দুর:তাতে কি ,,অন্যায় যেই করুক না কেনো নায্য পাওনা তাকে দিবেই,,

রোদেলা:হুমম

রোদ্দুর: যাও ফ্রেশ হয়ে নেও হুমম..

ওদিকে কাকলি

কাকলি:আমাকে অপমান,,রোদ্দুর কাজটা ঠিক করিস নাই

তখনই পিছন থেকে জুম বলে উঠলো একদম আন্টি
কাকলি:তুমি এখানে..

জুম:আরে আন্টি তখন ওরা দুইজন আপনাকে কিভাবে অপমান করলো দেখলাম তো

কাকলি:তো?

জুম:আপনি না একদম ঠিক বলেছেন ,,রোদেলার মত মেয়ের সাথে রোদ্দুরের যায় না

কাকলি: ও না তোমার বন্ধু

জুম:আরে কিসের বন্ধু,, ও তো আমাদের উপর শুধু হুকুম ই ঝারে,,বিরক্ত লাগে ,,রোদ্দুরের সাথে শুধু রুবি কেই মানায়

কাকলির জুম কে বেশ পছন্দ হলো

কাকলি:একদম,, যত্তসব আউল ফাউল মেয়েকে জোগাড় করেছে,,আচ্ছা আমি যাই দেখি আমার মেয়েটা কোথায়?

কাকলি চলে গেলো

জুম:শালী বজ্জাত মহিলা আমার বান্ধবীর সম্পর্কে এডি বলিস তোরে উগান্ডায় পাঠামু

তখনই বের হয়ে আসলো নওশীন,প্রিয়া

প্রিয়া:relax,,এর ব্যাবস্থা এমনেই হবে

নওশীন:তার আগে এর সাথে ভাব করতে হবে,,,নাহলে সত্য কেমনে বের করবো

জুম:হুমম

বিকেলে সবাই বের হলো সমুদ্র দেখতে ,,রিসোর্ট সমুদ্রের কাছাকাছি হওয়ায় জলদি সেখানে পৌঁছে গেলো

রোদেলা:মহিলার মুখ থেকে কথা বের করবো কিভাবে

জুম:সেটাই তো

নওশীন:কিছুই বুঝছি না

ঐশী :আচ্ছা উনাকে যদি সরাসরি জিজ্ঞেস করি

প্রিয়া:এতে ধরা পড়ার chance আছে

শ্রেয়া :তোরা কি ফুসুর ফুসুর করিস

ওরা একসাথে উত্তর দিলো

সবাই:কিছু না

শ্রেয়ার খটকা লাগলো..
.
.
.
চলবে….

#The_team_of_Rainbow’s_lovestory

Writer: Sabrin Jahan

Part:20

কেটে গেলো আরো একটা দিন ,,এর মধ্যে জুম কাকলির সাথে ভালো বন্ধুত্ব করে নিয়েছে….

রোদেলা বাগানে হাঁটছিলো তখনই কিছুর সাথে পা বেজে পরে যেতে নেয়,,কিন্তু নিজেকে সামলে ফেলে।

কাকলি:কেমন মেয়ে যে ঠিক করলো ঠিক মত হাট তেই পারে না ..

রুবি:আসলে কি বলো তো মম্, এরা মানে এদের মত আনস্মার্ট মেয়েরা এরকম জায়গায় বিয়ে করার কোনো ability রাখে না

রোদেলা:For your kind information, আমাকে আনস্মার্ট বলছো কোন হিসেবে,,তোমার মত অর্ধেক দেহ দেখিয়ে ঘুরে বেড়ানো কে যদি স্মার্ট বলা হয় ,তো sorry আমি স্মার্ট হতে চাইনা। আমি তোমার মত মানে তোমাদের মত মেয়ে যারা দেহ দেখিয়ে পুরুষদের আকৃষ্ট করাকে স্মার্টনেস বলে তাদের মত হতে চাই না(শান্ত গলায় বলল)

রুবি:তুমি….

রোদেলা:আর মেয়েকে ভালো শিক্ষা দিতে পারেন না,হাজার হোক ওর বড় ভাইয়ের হবু বউ আমি,ভাবি বলে ডাকতে বলুন,আর মেয়ের এই অসভ্যতামি দূর করুন

কাকলি:তোমার সাহস তো কম না,তুমি আমার শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোল,আর বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানো না?

রোদেলা: সেম প্রশ্ন আপনার মেয়েকে,হিসেবে সম্পর্ক আর বয়স দুই দিক থেকেই আমি বড়ো, তো, বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সেই জ্ঞান টা ওকে দিবেন,
এই বলে রোদেলা চলে যায়

রুবি:মম ওকে কিছু বললে না,

কাকলি:বলার সুযোগ দিল কই

রুবি: disgusting

বলে রুবি চলে যায়

কাকলী ও রাগে ফুসতে ফুসতে চলে গেলো

কাকলি নিজের রুম এ বসে আছে
এমন সময় জুম এলো

জুম: কি ব্যাপার আন্টি এতরাগ যে

কাকলি:আর বলো না ওই মেয়ে আজকে অপমান করেছে
পরে সব বললো

জুম:আসলেই একটু বেশি বেশি

কাকলি:ওর তো যোগ্যতা নেই এই বাড়ির বউ হওয়ার

জুম: হ্যাঁ রুবি কত ভালো,,রোদ্দুর ভাই কে কত ভালবাসে,,আপনিও তো ভালোবাসেন

কাকলি একেই রেগে আছে , কথায় বলে না রাগ মানুষকে ধ্বংস করে তাই হলো,রাগের বশে বলা শুরু করলো

কাকলি:ভালোবাসি না ছাই,আমার শুধু সম্পত্তি চাই,এই সম্পত্তির জন্য কি না করলাম,এখন তীরে এসে তরী ডুবে গেলে কেমন লাগে?

জুম:মানে ?

কাকলি:এই সম্পত্তির জন্য আমি রোদ্দুর, ইরা , নীরা তিনজনকে মারতে চেয়েছিলাম

জুম:কিভাবে?

কাকলি:রোদ্দুরের মাথায় তখন প্রবলেম ছিলো আর ডক্টর বলেছিল বাঁচবে না ,তাই ওকে অত importance দেই নাই,তাই প্রথম টার্গেট নীরা হলো,ওদের গাড়ি আমি ট্রাক এর সাহায্যে খাদে ফেলে দেই,কিন্তু খাদ গভীর না হওয়ায় গাড়ি ব্লাস্ট হয় নি,তাই নিজে শুট করে গাড়ি ব্লাস্ট করি।

জুম:কিন্তু ইরা কে তো রেপ করা হয়েছিল!

কাকলি:সেটাও আমার প্ল্যান,আমি জাহিদকে উসকিয়েছি ইরার সাথে এমনটা করার জন্য,জাহিদ আমার ননদের ছেলে,ওর কাজ কাম আমার জানা আছে তাই তো…

আর কিছু বলার আগে সজোরে কাকলির গালে থাপ্পড় পড়লো
সামনে তাকিয়ে দেখে রক্তিম চোখে তার ভাই দাড়িয়ে আছে
ওর এতক্ষণে খেয়াল হলো ও কি বলেছে,

কাকলি:ভাই

করিম:চুপ,ওই নোংরা মুখে ভাই বলবি না আমাকে

রোদেলা:আপনি কি মানুষ?

উক্তিটি শুনে কাকলি দরজার দিকে তাকালো,সবাই দাড়িয়ে আছে । হ্যাঁ প্রত্যেকে সব শুনেছে

শ্রেয়া:এটা তো কোনো মানুষের কাজ না!!

ঐশী:আর একজন মেয়ে কি করে আপনি…

রহিমা:কেনো করলে এমন আপা?

করিম:কেনো আবার সম্পত্তির জন্য..আরে তুই যদি একবার বলতি আমি তোকে সব দিয়ে দিতাম

কাকলি মাথা নিচু করে রইলো

রোদেলা: আচ্ছা নীরা আর ইরার জায়গায় যদি রুবি থাকতো তাহলে

কাকলি বুক ধক করে উঠল, আসলেই তো যদি রুবি থাকতো তাহলে । নিজের উপর এখন ঘৃনা হচ্ছে,কি করে পারল

কাকলি:ভাই আমাকে মাফ করে দেও , আমি অন্ধ হয়ে গেছিলাম

রহিমা:মাফ করলে আমার মেয়েরা ফিরে আসবে

রোদ্দুর:এই মহিলাকে আমি

রোদ্দুর তেড়ে যেতে নইলে অরূপ আটকায়

অপূর্ব:অফিসার একে নিয়ে যান.

কাকলি বিস্ময় নিয়ে তাকালো
সামনে পুলিশ,তারা এতক্ষণ পুরো বয়ান শুনেছে..

কাকলি অনেক মিনতি করলো ,কিন্তু অন্যায়ের সাজা যে পেতে হবে,রুবি এতক্ষণ নিরব দর্শক ছিল । তারপর ও ওর ঘরে চলে যায়..

রহিমা:আমার কোন অন্যায়ের সাজা আমার মেয়েদের দিল আল্লাহ
এরকম আরো বিলাপ করে যাচ্ছে ,রোদেলা তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো

রোদেলা: ও মামনি কাদঁছো কেনো?তুমি না বলো আমি তোমার আরেক মেয়ে,তাহলে!

রহিমা রোদেলাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো,

রোদেলা:ইরাকে তো বাঁচাতে পারে নি কেও ,কিন্তু নীরা কে বাঁচিয়েছে কেও

সবাই বিস্ময় নিয়ে তাকালো
কিন্তু শ্রেয়ার বাবা মা স্বাভাবিক কারণ রোদেলা তাদের সব বলেছে.

রোদ্দুর:মানে .

রোদেলা লম্বা শ্বাস নিয়ে শ্রেয়ার বাবা মার দিকে তাকালো ,তারা ইশারায় রোদেলাকে আশ্বস্থ করলো বলে দেওয়ার জন্য

রোদেলা সবাইকে সব টা খুলে বললো,,শ্রেয়া অনেক বড় শক পেয়েছে,যাদের এতদিন নিজের মা বাবা ভেবেছে তারা তার আপন মা বাবা না,
ওদিকে রহিমা পলক হিন ভাবে শ্রেয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,এখন বুঝতে পারছে কেনো ইরার সাথে শ্রেয়ার এত

শ্রেয়ার বাবা:এখন আপনাদের মেয়েকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম,আমাদের দায়িত্ব শেষ

শ্রেয়া অশ্রুশিক্ত নয়নে তাকালো
তাদের চোখেও জল

রহিমা: উহু শ্রেয়া আপনাদের ই মেয়ে হয়ে থাকবে

শ্রেয়ার মা:এসব কি বলছেন

রহিমা: হ্যাঁ হয়তো ও আমার রক্ত , কিন্তু ওকে এক নতুন জীবন দিয়েছেন আপনারা ,তাই থাকুক আপনার মেয়ে হয়ে

শ্রেয়ার মায়ের চোখে খুশির জল এসে গেলো

রহিমা:শ্রেয়া মা ,,শুধু একবার আমায় মা বলবি রে,কত বছর নিজের মেয়েদের মুখে মা শুনি না,ওদের আদর করি না(শ্রেয়াকে উদ্দেশ্য করে)

শ্রেয়া কিছু না বলে মা বলে জড়িয়ে ধরলো,রোদ্দুর এখনও স্তব্ধ,নিজের বোনকে এভাবে পাবে কখনও ভাবে

রোদেলা:নিজের বোনকে ধরবে না একবার

রোদ্দুর রোদেলার দিকে তাকালো, রোদ্দুরের চোখে জল কিন্তু সেটা খুশির ,রোদেলা তৃপ্তির হাসি দিল,এটাই তো চেয়েছিল,রোদ্দুরের খুশি

রোদ্দুর:ভাইয়ার কাছে আসবি না,

শ্রেয়া রোদ্দুরের দিকে তাকালো
ভাবতেই অবাক লাগে তার একটা ভাইও আছে,ছোট বেলায় বোঝ জ্ঞানের পর একটা বড় ভাই চেয়েছিল,,কিন্তু ওর যে ভাই আছে সেটা ও জানে না
শ্রেয়া রোদ্দুর কেও ভাই বলে জড়িয়ে ধরলো

সবাই খুশি
এক পরিবারের মিলন দেখ
????????

রাতে রোদেলার ঘুম আসছে না দেখে ছাদে চলে গেলো গিয়ে দেখলো রোদ্দুর এক কোনায় দাড়িয়ে আকাশের পানে তাকিয়ে আছে
রোদেলা :তুমি এখানে

রোদ্দুর :যেই কারণে তুমি

রোদেলা:মানে

রোদ্দুর :ঘুম আসছিলো না

রোদেলা:ওহ

রোদ্দুর : ধন্যবাদ

রোদেলা:কেনো

রোদ্দুর:এত সুন্দর একটা দিন দেওয়ার জন্য, আমার বোনকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য

রোদেলা হাসলো

তারপর কিছুক্ষণ থেকে ওরা চলে গেলো,,
আজ রং খেলা
সব মেয়েরা সকাল থেকে গায়েব,,
ছেলেরা সাদা পাঞ্জাবি – পাজামা পরেছে
ওরা ভাবছে এরা গেলো কই ,,ওরা একসাথে বেলকনির নিচে দাড়িয়ে আলোচনা করছিল
তখনই উপর থেকে কে যেনো বললো ফেলো

ওরা উপরে তাকাতে না তাকাতেই এক ঘাঁটি রং এসে ওদের মাথায় পড়লো ,,ওপরে তাকিয়ে দেখে গার্লস গ্রুপ অট্ট হাসিতে ফেটে পড়ছে

অরূপ:তোমাদের তো…

শ্রেয়া:ভাগ সবাই
দিল রাম দৌড় ,,ছেলেরা আর কি ভুত যখন হয়েছে এখন এভাবেই থাকতে হবে ,,কেনো না পড়ে আরো রং মাখবে

গার্লস গ্রুপ নিচে নেমে এলো

রোদ্দুর:কাজটা ঠিক করো নি

অরূপ:বজ্জাত মাইয়া আমি জানি এটা তোর প্ল্যান(রোদেলাকে)

রোদেলা: ওরে আমি শোনা ভাই বুঝে গেছে

অপূর্ব :তোরে তো

রোদেলা:?(ভেনগিয়ে)

শ্রেয়া:এবার little ছা dance হোক

রোদ্দুর:অবশ্যই ,,দেখি কে ভালো পারো

রোদেলা:মিস্টার আবার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছো

রোদ্দুর: অবশ্যই মেডাম,

রোদেলা:হারবে কিন্তু

রোদ্দুর:তোমার জন্য হারতেও রাজি

রোদেলা মুচকি হাসলো

নাফি:চলো

ঐশী :আমি নাই এসবে

নাফি : ভয় পেলে

ঐশী :আমি কাওকে ভয় পাই না

অপূর্ব:আরে মেয়েরা এমনেই ভীতু

অলি:মোটেও না

নওশীন:আসলে জামাইরা হারবে এটা তাদের বউ রা কি দেখতে পারে

আরমান:তাই নাকি?

জুম:একদম

রাজ:তাহলে হয়ে যাক,

ইমু: রেডী

আরিয়ান:ওকে

মিউজিক বাজলো
Itna maza, kyun aa raha hai
Tune hawa mein bhaang milaya
Itna maza, kyun aa raha hai
Tune hawa mein bhaang milaya
Dugna nasha, kyun ho raha hai
Aankhon se meetha tune khilaya
Ho teri malmal ki kurti gulabi ho gayi
Manchali chaal kaise nawaabi ho gayi, toh?
Balam pichkari jo tune mujhe maari
Toh seedhi saadi chhori sharaabi ho gayi
Haa Jeans pahen ke jo tune maara thumka
Toh lattoo padosan ki bhabhi ho gayi
Balam pichkari jo tune mujhe maari
Toh seedhi saadi chhori sharaabi ho gayi
Haa Jeans pahen ke jo tune maara thumka
Toh lattoo padosan ki bhabhi ho gayi

Teri kalaai hai, haathon mein aayi hai
Maine maroda toh lagti malaai hai
Mehenga padega ye chaska malaai ka
Upvaas karne mein teri bhalaai hai
Ho bindiya teri mehtaabi ho gayi
Dil ke armaanon mein behisaabi ho gayi
Balam pichkari jo tune mujhe maari
Toh seedhi saadi chhori sharaabi ho gayi
Haa Jeans pahen ke jo tune maara thumka
Toh lattoo padosan ki bhabhi ho gayi
Balam pichkari jo tune mujhe maari
Toh seedhi saadi chhori sharaabi ho gayi
Haa Jeans pahen ke jo tune maara thumka
Toh lattoo padosan ki bhabhi ho gayi
Kyun ‘no-vacancy’ ki, hothon pe gaali hai
Jabki tere dil ka kamra toh khaali hai(kamra toh khaali hai…)
Mujhko pata hai re
Kya chahata hai tu
Boli bhajan teri
Neeyat Qawwali hai
Zulmi ye haazir-jawaabi ho gayi
Tu toh har taale ki aaj chaabi ho gayi, toh?
Balam pichkari jo tune mujhe maari
Toh seedhi saadi chhori sharaabi ho gayi
Haa, Jeans pahen ke jo tune maara thumka
Toh lattoo padosan ki bhabhi ho gayi
Balam pichkari jo tune mujhe maari
Toh seedhi saadi chhori sharaabi ho gayi
Haa Jeans pahen ke jo tune maara thumka
Toh lattoo padosan ki bhabhi ho gayi
Haan, bole re zamana kharabi ho gayi (x2)

ছেলেরা এই ফাঁকে এক ড্রাম রং এনে মেয়েদের উপর ফেলে দিল

রোদেলা:এটা cheating

রোদ্দুর:উহু

শ্রেয়া: এ ,,আমার সাধের ড্রেস

অরূপ:আমারও সাধের পাঞ্জাবি ছিল

নওশীন:তোমায় আমি ..

আরমান:পারো তো খালি চাটা মারতে

আরিয়ান: হী হি

ইমু:তোর দাত ভেঙ্গে দিবো

জুম:হারামী

রাজ: তোমারই

নাফি: it’s call revenge

ঐশী:ঘোড়ার ডিম

প্রিয়া:অসভ্য গুলা

ঈশান : আমাদের দেওয়ার আগে মনে ছিল না

অলি:আম্মু

অপূর্ব :এক্কেবারে ঠিক হইছে

গার্লস গ্রুপ গাল ফুলালো
আর বয়েস গ্রুপ অট্ট হাসিতে ফাটল
.
.
চলবে ..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here