ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি,পর্ব:৬,৭

0
1753

ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি,পর্ব:৬,৭
তাসনিম_জাহান_রিয়া
পর্ব:৬

আরনিয়ার চোখের সামনে আবছা আবছা কিছু দৃশ্য বেসে উঠছে। আরনিয়া দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে তীব্র যন্ত্রনায় তার মাথা ফেটে যাচ্ছে তার। হঠাৎ সেন্সলেস হয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়। কিছু পড়ার শব্দ শুনে স্পর্শক পিছন ফিরে তাকায়। পিছন তাকিয়ে দেখে আরনিয়া ফ্লোরে পড়ে আছে। এটা দেখে স্পর্শকের দুনিয়া থমকে যায়। স্পর্শক হাঁটু গেড়ে ফ্লোরে বসে পড়ে। আরনিয়ার মাথাটা নিজের কোলে তুলে নেয়। গালে হালকা চাপ্পড় দিতে দিতে বল,

আরু,, এই আরু চোখ খুলো। আরু,, আরু

স্পর্শক আরনিয়াকে কোলে তুলে বেডে এনে শুইয়ে দেয়। গ্লাস থেকে পানি নিয়ে চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয়। তবু আরনিয়ার সেন্স আসে না। স্পর্শক ডক্টরকে ফোন দেয়। কিছুক্ষণের মাঝে ডক্টর চলে আসে।

ডক্টর আমার আরু ঠিক হয়ে যাবে তো।

মি. আহম্মেদ আমাকে দেখতে তো দিবেন।

ডক্টর আরনিয়াকে দেখে স্পর্শককে উদ্দেশ্য করে বলে,,

মি. আহম্মেদ চিন্তার কোনো কারণ নেই মিসেস আহম্মেদের সবকিছু নরমাল আছে। অতিরিক্ত স্টেচ না নিতে পেরে উনি সেন্সলেস হয়ে গেছেন। আমি একটা ইনজেকশন দিয়ে গেলাম কয়েক ঘন্টার মাঝে উনার ঙ্গান ফিরে আসবে। আজকে তাহলে আসি মি. আহম্মেদ।

থ্যাংক ইউ ডক্টর।

ডক্টর চলে যায়। স্পর্শক আরনিয়ার হাত ধরে ফ্লোরে বসে পড়ে। ভালো করে খেয়াল করে দেখে আরনিয়ার কপালের কাছে অনেকটা ফুলে গেছে। তখন ফ্লোরে পড়ে যাওয়ায় আরনিয়া কপালে ব্যথা পেয়েছিল। স্পর্শক আরনিয়ার কপালে মলম লাগিয়ে দেয়।

আমার জন্যই সবকিছু হলো। আমার জন্য তুমি ব্যথা পেলে। আমি গান না গাইলে এমন কিছু হতো না। আমিই বা কি করতাম। তুমি জেদ করলে তাই গান গাইতে হলো। না গাইলে তুমি সত্যি সত্যি ঐ এহসান খানের কাছে চলে যেতে। আমি চেয়েও তোমাকে আটকাতে পারতাম না। ঐ বাড়িতে গেলে তোমার লাইফ রিস্ক হয়ে যেতো । কারণ এহসান খান তোমাকে ব্যবহার করে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করতো।

স্পর্শক আরনিয়ার শরীরে কম্বল টেনে দিয়ে চলে যায়। স্পর্শক রুম থেকে বের হয়ে কাউকে একটা ফোন দেয়।

এহসান খানের সমস্ত কালো ব্যবসার ইনফরমেশন আমার চাই আজকের মাঝেই। গট ইট।

ইয়েস স্যার।

__________________

স্পর্শক ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছিলো। তখন উপর থেকে জিনিস ভাঙার শব্দ শুনে দৌড়ে উপরে যায়। শব্দটা আরনিয়ার রুম থেকেই আসছে। স্পর্শক দৌড়ে আরনিয়ার রুমে যায়। আরনিয়া পাগলের মতো বিহেভ করছে, ভাঙচুর করছে। স্পর্শক তাকিয়ে দেখে রুমের অবস্থা করুন। আরনিয়া একবার নিজের মাথার চুল ধরে টানছে তো আরেকবার রুমের জিনিসপত্র ভাঙছে। আরনিয়া নিজের শরীরে নিজেই খামছি দিচ্ছে।

হোয়াট হ্যাপেন আরু?

নিজেকে পাগল পাগল মনে হচ্ছে। তীব্র যন্ত্রনায় মাথা ফেটে যাচ্ছে। স্পর্শক আমি কী করবো? আমার এমন কেনো হচ্ছে? মনে হচ্ছে আমি মরে গেলে এই তীব্র যন্ত্রনা মুক্তি পেয়ে যাব।

স্পর্শক আরনিয়াকে জড়িয়ে ধরে।

চুপপ করো। এসব কথা একদম বলবে না।

স্পর্শক আমি এই যন্ত্রনা সহ্য করতে পারছি না। আমি এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি চাই।

আরনিয়া স্পর্শকের হাতে খামছে ধরে। আরনিয়ার হাতের নক বড় বড় হওয়ায়। স্পর্শকের হাতে নক ঢুকে যায়। হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে হাতে তীব্র জ্বালা হচ্ছে। কিন্তু স্পর্শক আরনিয়াকে আটকাচ্ছে না। যদি স্পর্শককে আঘাত করে আরনিয়া একটু শান্তি পায়। আরনিয়া স্পর্শককে ছেড়ে দিয়ে আবার পাগলের মতো বিহেভ করতে শুরু করে। স্পর্শক আর আরনিয়ার কষ্ট সহ্য করতে পারছে না। স্পর্শক আরনিয়ার শরীরে একটা ইনজেকশন পুশ করে দেয়। অল্প কিছুক্ষণের মাঝেই আরনিয়া স্পর্শকের বুকে ঢলে পড়ে। স্পর্শক আরনিয়াকে বেডে শুইয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।

স্পর্শক ছাদে দাঁড়িয়ে অন্য মনস্ক হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। বিকেল বেলা হওয়ায় সূর্যের আলোর প্রকোপ নেই তাই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে অসুবিধা হচ্ছে না। সূর্যের আলো থাকলে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে এতক্ষণে চোখ জ্বালা শুরু হয়ে যেতো। স্পর্শক অন্য মনস্ক হয়ে না থাকলে হয়তো খেয়াল করতো কেউ তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বাসার নিচে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে স্পর্শককে দেখে চলেছে তিথি।

( তিথি স্পর্শকের ভার্সিটি ফ্রেন্ড। স্পর্শক ফাস্ট ইয়ারে যখন প্রথম ভর্তি হয় তখন এক্সিডেন্টলি তিথির সাথে দেখা হয়। প্রথম দেখায় স্পর্শককে ভালো লেগে যায় তিথির। ভালো লাগাটা আস্তে আস্তে ভালোবাসায় পরিণত হয়। একদিন তিথি স্পর্শককে প্রপোজ করে। কিন্তু স্পর্শক তিথির প্রপোজেল একসেপ্ট করে না। কারণ স্পর্শক যে শুধুই তার আরনিয়ার। )

প্রায় এক ঘন্টা ধরে তিথি স্পর্শকের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু স্পর্শক একবারের জন্যও তাকায়নি। স্পর্শক তো তিথিকে খেয়ালই করেনি। তিথি খেয়াল করে একটা গুলুমুলু টাইপের বাচ্চা মেয়ে স্পর্শককে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। তিথি বুঝতে পারে এটাই হয়তো স্পর্শকের ভালোবাসা। তিথি ভাবছে এতক্ষণ ধরে সে কত বড় ভুল করছিলি। স্পর্শকের দিকে তাকিয়ে থাকার অধিকার যে তার নেই। স্পর্শক তো অন্য কারো।

মানুষ যা চায় তা সবসময় পায় না। সব ভালোবাসা তো পূর্ণতা পায় না। আর তার ভালোবাসাটা ছিল এক তরফা। স্পর্শক তো তাকে বন্ধু ছাড়া অন্য কিছু ভাবেনি। সে তো স্পর্শক আর আরনিয়ার মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে ঢুকতে চেয়েছিল। এসব ভেবেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে তিথি। আবার নিজের গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হয়।

__________________

স্পর্শক

হুম।

আমার সাথে এমন কেনো হয়?

এখানে আসার আগেও এমন বিহেভ করতে?

মাঝে মাঝে এমন করতাম পাপা একটা ইনজেকশন দেওয়ার পরে সব ঠিক হয়ে যেতো। আমি এমন বিহেভ কেনো করি?

তুমি বলেছিলে না কয়েক বছর আগে তোমার একটা এক্সিডেন্ট হয়েছিল। ঐ এক্সিডেন্টের প্রভাবে এমন হয়। চিন্তা করো না আস্তে আস্তে সহ ঠিক হয়ে যাবে।

হুম।

ড্রাগসের কথাটা স্পর্শক আরনিয়ার কাছ থেকে লুকিয়ে যায়। স্পর্শক জানে আরনিয়াকে যদি বলে তার পাপা তাকে নিয়মিত ড্রাগস দিতো। তাহলে সে স্পর্শকের কথা বিশ্বাস করবে না। কারণ আরনিয়া নিজের থেকেও বেশি তার পাপাকে বিশ্বাস করে।

চলবে……..

#ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি
#পর্ব:৭
#তাসনিম_জাহান_রিয়া

ড্রাগসের কথাটা স্পর্শক আরনিয়ার কাছ থেকে লুকিয়ে যায়। স্পর্শক জানে আরনিয়াকে যদি বলে তার পাপা তাকে নিয়মিত ড্রাগস দিতো। তাহলে সে স্পর্শকের কথা বিশ্বাস করবে না। কারণ আরনিয়া নিজের থেকেও বেশি তার পাপাকে বিশ্বাস করে।

আচ্ছা আরু তুমি যদি কখনো জানতে পারো আমি তোমার কাছ থেকে কিছু লুকাচ্ছি বা তোমার কাছ থেকে কিছু গোপন করেছি তাহলে তুমি কী আমাকে ভুল বুঝে দূরে সরে যাবে?

উহু এই জীবনে আর আমি তোমাকে ছাড়ছি না। তুমি দূরে ঠেলে দিলেও আমি যাব না। তুমি যদি আমার কাছ থেকে গোপন করে থাকো তাহলেও আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো না। তুমি যদি আমাদের ভালোর জন্য গোপন করে থাকো তাহলে ক্ষমা করে দিবো। আর যদি অন্য কোনো কারণে গোপন করে থাকো তাহলে তোমাকে শাস্তি পেতে হবে। তুমি যদি কোনো দিন আমি ব্যতীত অন্য কোনো নারীর সংস্পর্শে আসো তাহলে সেদিনই হবে আমার জীবনের শেষ দিন।

স্পর্শক আরনিয়ার মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে।

আমি কেনো অন্য কোনো মেয়ের কাছে যাবো? আমি তো জানি আমার একটা পাগলি আছে যে আমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে।

হুহ আমি জানি আমার এই তুমিটা আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। আমার যেটা পছন্দ নয় সেটা সে কখনো করবে না।

সন্ধা হয়ে গেছে নিচে চলো।

দুজন নিচে নেমে আসে।

__________________

স্পর্শক ড্রয়িংরুমে সোফায় বসে ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছে। আরনিয়া স্পর্শকের কাধে মাথা রেখে মুভি দেখছে। হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠাই দুজনের মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। দরজার ওপাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিটির ওপর দুজনই চরম বিরক্ত। দুজনেরই ইচ্ছে করছে উস্টা দিয়ে ঐ ব্যক্তিটিকে উগান্ডা পাঠিয়ে দিতে। দুজন দুজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে এই মুহূর্তে কেউ নিজের অবস্থান থেকে উঠতে চায়ছে না। ঐদিকে কলিংবেলের শব্দ তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। ঐ পাশের ব্যক্তিটা যেনো এক মিনিট অপেক্ষা করতে পারছে। আরনিয়া স্পর্শককে উদ্দেশ্য করে বলে,,

কে এসেছে বলো তো?

আমি কী করে জানবো?

তোমার বাসা তুমি জানবে না তো পাশের বাসার সখিনা জানবে।

এই সখিনাটা আবার কে? আরে ম্যাম আমাদের বাসার আশেপাশে কোনো বাসা নেই তাই কোনো সখিনা ফখিনা থাকার চান্স নাই।

এতো লেকচার না দিয়ে দরজাটা খুলে দেখো কে এসেছে?

আমি পারবো না তুমি যাও।

আমিও পারবো না।

স্পর্শক করুন ভাবে বলে,,

প্লিজ জানেমান তুমি যাও না। যদি ঐ পাশের ব্যক্তিটা কোনো মেয়ে হয় তাহলে দেখবা আমাকে ফট করে জড়িয়ে ধরবে। তুমি কী চাও আমাকে অন্য কেউ জড়িয়ে ধরুক?

একদমই না।

স্পর্শকের প্লেন কাজে দিয়েছে আরনিয়া উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেয়। আরনিয়া দরজা খুলে দেখতে পায় একটা মাত্রাতিরিক্ত ফর্সা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটার মাঝে কোনো খুত নেই যে কেউ প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যাবে। এই মুহূর্তে আরনিয়াও মেয়েটাকে দেখে একটা বড় সড় ক্রাশ খায়ছে। পর মুহূর্তে এটা ভেবেই তার ভ্রু কুচকে আসে এই মেয়েটা এখানে কি করছে?

এতক্ষণ লাগে দরজা খুলতে? ( ধমকের সুরে)

মেয়েটা এভাবে কথা বলায় আরনিয়া রেগে যায়। এখন পর্যন্ত কেউ তার সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলেনি আর এই মেয়ে তাকে ধমক দিচ্ছে। আরনিয়া রেগে কিছু বলতে যাবে তার আগেই মেয়েটি তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এটা দেখে আরনিয়া আরো রেগে যায়। মেয়েটি স্পর্শকের কাছে যায়। আরনিয়া স্পর্শক আর মেয়েটির ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। মেয়েটি স্পর্শককে জড়িয়ে ধরতে গেলে ফট করে স্পর্শক সরে যায়। কারণ তার মাখায় একটা কথাই ঘুরছে। তুমি যদি কোনো দিন আমি ব্যতীত অন্য কোনো নারীর সংস্পর্শে আসো তাহলে সেদিনই হবে আমার জীবনের শেষ দিন।

আমি এসেছি তা দেখে তুই খুশি হসনি?

তুই আমার বাসায় আমার কাছে এসেছিস আর আমি খুশি হয়নি এমন কোনোদিন হয়েছে অনু?

অনু নামটি শুনে আরনিয়া বুঝতে পারে এটা স্পর্শকের ফুফাতো বোন। স্পর্শক তাকে একদিন বলেছিল এই পৃথিবীতে তার তিন জন
ব্যক্তিই আপন আছে। তার ফুফু, ফুফাতো বোন অনু আর আর সে মানে আরনিয়া।

তাহলে এভাবে সরে গেলি কেন?

তুই তো জানিস আমার এসব ভালো লাগে না। বাই দা ওয়ে তুই কিন্তু আগের থেকে অনেক বেশি সুন্দর হয়ে গেছিস।

স্পর্শকের শেষের কথাটা শুনে আরনিয়া ভীষণ ক্ষেপে যায়। অনু একটু লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিতে বলে,,

যা কি যে বলিস।

আয় তোর সাথে একজনের পরিচয় করিয়ে দেই।

স্পর্শক আরনিয়ার কাছে গিয়ে আরনিয়া কোমর জড়িয়ে ধরে বলে,,

মিট মাই ওয়াইফ মিসেস স্পর্শিয়া আহম্মেদ আরনিয়া।

এটাই তোর আরু যাকে তুই ছো….

স্পর্শক অনুর দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকায় যা দেখে অনু ভয়ে চুপসে যায়।

আর আরু ও হচ্ছে আমার ফুফাতো বোন অরুনিমা রহমান অনু।

কেমন আছেন আপু?

আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তা তুমি কেমন আছো।

আলহামদুলিল্লাহ ভালো।

তোমাকে দেখে তো মনে হচ্ছে না যে তুমি ভালো আছো।

কেনো আপু?

গাড়ের কাছে লাভ বাইটটা দেখিয়ে বলে,,

স্পর্শক তো তোমার অবস্থা একদিনেই ত্যানা ত্যানা বানিয়ে দিছে।

কথাটা বলেই অনু মিটিমিটি হাসতে থাকে। আরনিয়া লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে। স্পর্শক মাথা চুলকিয়ে মুচকি হাসে।

__________________

অনু আর স্পর্শক ছাদে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।

খুব তাড়াতাড়ি ডিবোর্সের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আর তাড়াতাড়ি ডিবোর্সও হয়ে যাবে।আমি চাই যত দ্রুত সম্ভব ডিবোর্সটা হয়ে যাক। এভাবে তো আর জীবন চলে না। আরনিয়া সুস্থ হয়ে যাবার পর পরই আমি ডিবোর্সের ব্যবস্থা করবো।

হঠাৎই অনু স্পর্শকের হাত চেপে ধরে বলে,

ওকি ডিবোর্স দিবে? আমি এমন লুকোচুরি খেলা আর খেলতে পারছি না।

দিবে না কেনো? যদি দিতে না চায় আমি জোর করে হলেও ডিবোর্স করিয়ে ছাড়বো।

আরনিয়া ওদের কথা শুনে ছাদের দরজার সামনেই থমকে দাঁড়িয়ে যায়। চোখ থেকে টপ টপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। স্পর্শক ওকে ডিবোর্স দিয়ে দিবে।

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here