ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি,পর্ব:৮,৯
তাসনিম_জাহান_রিয়া
পর্ব:৮
আরনিয়া ওদের কথা শুনে ছাদের দরজার সামনেই থমকে দাঁড়িয়ে যায়। চোখ থেকে টপ টপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। স্পর্শক ওকে ডিবোর্স দিয়ে দিবে। আরনিয়া আর ঐখানে দাঁড়ায় না। দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায়। আরনিয়া বিছানায় উবু হয়ে শুয়ে বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদছে। আরনিয়া কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলছে।
হঠাৎ করেই আরনিয়ার মাথায় যন্ত্রনা শুরু হয়ে যায়। যন্ত্রনা তীব্র থেকে তীব্র হতে থাকে। ডক্টর বলেছিল কান্না কাটি আরনিয়ার ব্রেনের জন্য ক্ষতিকর। আরনিয়া মাথা চেপে ধরে ওঠে বসে ড্রয়ার হাতরে নিজের কাঙ্ক্ষিত ঔষধ পেয়ে যায়। ঐ ঔষধটার সাথে একটা হাই পাওয়ারি ঘুমের ঔষধ খায়। আরনিয়া বেডে শুয়ে পড়ে সাথে সাথে ঘুমের কোলে ঢলে পড়ে।
১২ টার দিকে স্পর্শক রুমে আসে। এসে দেখে আরনিয়া এলোমেলো ভাবে বেডে শুয়ে আছে। স্পর্শক আরনিয়ার কাছে যায়। আরনিয়ার চোখের কোণে পানি চিকচিক করছে। স্পর্শক নিজের মনে মনে চিন্তা করে।
আরনিয়া কান্না করছিলো? কিন্তু কেনো? আমার কোনো ব্যবহারে আরনিয়া কষ্ট পেয়েছে? কিন্তু আরনিয়াকে তো আমি বকাবকি করি নাই।
স্পর্শক ভালো করে খেয়াল করে দেখে বেড সাইডের টেবিলের ড্রয়ার খোলা। সে এগিয়ে গিয়ে ড্রয়ারে হাত দিয়ে দেখে ঔষধের পাতা খালি। স্পর্শক বুঝতে পারে আরনিয়ার আবার মাথা যন্ত্রনা করছিলো। স্পর্শক আরনিয়াকে ভালো ভাবে শুইয়ে দিয়ে গায়ে কম্বল টেনে দেয়। আরনিয়ার কপালে একটা গভীর চুমু খায়।
তারপর কতগুলো ফাইল আর ল্যাপটপ নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। যাওয়ার আগে রুমের লাইটটা অফ করে যায়। রুমে বসে কাজ করলে যদি আরনিয়ার ঘুমের ডিস্টার্ভ হয় তাই ড্রয়িংরুমে চলে যায় স্পর্শক।
__________________
খুব সকালে ঘুম ভেঙে যায় আরনিয়ার। পাশে হাত দিয়ে দেখে স্পর্শক নাই। আরনিয়া বেড থেকে নেমে এলোমেলো পায়ে ড্রয়িংরুমে যায়। ড্রয়িংরুমের সোফায় জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছে স্পর্শক। এটা দেখে আরনিয়ার দু চোখ ভরে আসছে।
আমার সাথে এক রুমে থাকবে না বলে এখানে এসে শুয়েছো। একদিনেই আমি তোমার এতটা পর হয়ে গেলাম। আমাকে আর আগের মতো ভালোবাসো না। ওহ তুমি তো আমাকে কখনো ভালোইবাসো নি। আমাকে সুস্থ করার জন্য আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করেছো। তুমি তো জানোই না আমাকে সুস্থ করতে এসে তুমি আমাকে আরো অসুস্থ করে দিয়ো। আমি তো তুমি নামক অসুখে আক্রান্ত হয়ে গেছি।
আরনিয়া কথাগুলো মনে মনে বলে রুম থেকে একটা কম্বল এনে স্পর্শকের গায়ে জড়িয়ে দেয়। স্পর্শকের কপালে কিস করতে গিয়েও থেমে যায় আরনিয়া। দৌড়ে ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ারের নিচে বসে পড়ে আরনিয়া। ফুফিয়ে কেঁদে ওঠে আরনিয়া।
কেনো স্পর্শক কেনো আমার অনুভূতি নিয়ে খেললে? আমি তো তোমার কাছে ভালোবাসার দাবি নিয়ে যায় নি তুমি এসেছিলে। ফিরিয়ে দিলেও বার বার ভালোবাসার দাবি নিয়ে আসতে। বেশ তো ছিলাম একা কেনো আমার জীবনে এলে। আমাকে কেনো ভালোবাসা নামক অনুভূতির সাথে পরিচয় করালে।
আরনিয়া হো হো করে কেঁদে দেয়। ডুব দেয় অতীতে প্রথম যেদিন স্পর্শকের সাথে দেখা হয়েছিল।
আরনিয়া প্রথম দিন কলেজে যাচ্ছে। তার বাসা থেকে কলেজ যেতে সময় লাগে ৩০ মিনিট তার কাছে সময়ও ছিল ৩০ মিনিট। তাই সে তাড়াতাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে। সে কোন ভাবেই প্রথম দিন লেইট করতে চায় না। রাস্তায় তার গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আরনিয়া গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়ায় রিকশার জন্য। কিন্তু কোনো রিকসার নাম গন্ধও নেই।
তাই আরনিয়া সিদ্ধান্ত নেয় সে় হেঁটেই কলেজে যাবে। এখান থেকে কলেজ বেশি দূরে না। হেঁটে গেলে ৮ মিনিট সময় লাগে। আনমনে হাঁটতে হাঁটতে কখন যে সে ফুটপাত থেকে রাস্তায় চলে এসেছে সেদিকে তার কোনো খেয়াল নেই। হঠাৎ করে একটা গাড়ি এসে তাকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। গাড়িটা আস্তে আসায় এতো বেশি ব্যথা পায়নি। হাতে পায়ে সামন্য ছিলে গেছে আর পা মচকে গেছে।
আরনিয়া পায়ে হাত দিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে। তখনি গাড়ি থেকে নেমে আসে একজন সুদর্শন পুরুষ। উচ্চতা ৬ ফুটের উপরে, গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা, ডার্ক রেড ঠোঁট, চোখের মনিগুলো কুচকুচে কালো ( একটু বেশিই কালো ), নাকের ডগায় একটা কালো কুচকুচে তিল। তিলটা যেনো ছেলেটার সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আরনিয়া ব্যথা ভুলে ছেলেটার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। ছেলেটার ফর্মাল লোক দেখে আরনিয়া ক্রাশ খায়। ছেলেটি এসে আরনিয়ার সামনে হাঁটু মুড়ে বসে।
মিস আপনি কি ব্যথা পেয়েছেন?
ব্যথার কথা শুনতেই আরনিয়ার মনে পড়ে সে এক্সিডেন্ট করছে আর ব্যথাও পেয়েছে। ছেলেটাকে দেখে তার সব অনুভূতি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার আরনিয়া চিৎকার করে কান্না শুরু করে দেয়।
এ্যা এ্যা এ্যা
আরনিয়া এভাবে কেঁদে দেবে ছেলেটা আশা করেনি। এতবড় মেয়ে যে এভাবে চিৎকার করে কাঁদবে সেটা তার কল্পনারও বাইরে ছিল।
আপনি কি খুব বেশি ব্যথা পেয়েছেন?
আপনি আমার পা ভেঙে দিয়েছেন। এ্যা এ্যা আমি এখন হাঁটবো কী করে? এ্যা এ্যা
ছেলেটি বুঝতে পারে আরনিয়ার পা মচকে গেছে। আরনিয়ার পা থেকে জুতা খুলে পা ধরে টান দেয় আরনিয়া ব্যথায় চিৎকার করে ছেলেটার কাধ খামছে ধরে। ছেলেটি খেয়াল করে দেখে আরনিয়ার হাতও ছিলে গেছে তাই সে আরনিয়াকে কোলে তুলে নেয়।
আরনিয়া হতভম্ব হয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে। পড়ে যাওয়ার ভয়ে গলা জড়িয়ে ধরে। আরনিয়াকে গাড়িতে বসিয়ে ফাস্ট এইড বক্স এনে ছিলে যাওয়া জায়গাটা সেভলন দিয়ে পরিষ্কার করে আলতো হাতে ব্যান্ডেজ করে দেয়। আরনিয়া শুধু অবাকই হচ্ছে অপরিচিত ছেলেটার কেয়ার দেখে। যেখানে ছেলেটার তাকে ঝারি মারার দরকার সেখানে ছেলেটা তার কেয়ার করছে। আরনিয়াকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ছেলেটি ঠোঁট কামড়ে আলতো হেসে বলে,
এভাবে তাকিয়ে থাকলে প্রেমের পড়ার চান্স ১০০%।
চলবে……..
#ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি
#পর্ব:৯
#তাসনিম_জাহান_রিয়া
আরনিয়া হতভম্ব হয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে। পড়ে যাওয়ার ভয়ে গলা জড়িয়ে ধরে। আরনিয়াকে গাড়িতে বসিয়ে ফাস্ট এইড বক্স এনে ছিলে যাওয়া জায়গাটা সেভলন দিয়ে পরিষ্কার করে আলতো হাতে ব্যান্ডেজ করে দেয়। আরনিয়া শুধু অবাকই হচ্ছে অপরিচিত ছেলেটার কেয়ার দেখে। যেখানে ছেলেটার তাকে ঝারি মারার দরকার সেখানে ছেলেটা তার কেয়ার করছে। আরনিয়াকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ছেলেটি ঠোঁট কামড়ে আলতো হেসে বলে,
এভাবে তাকিয়ে থাকলে প্রেমের পড়ার চান্স ১০০%।
আপনি কোন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট যে আপনার প্রেমে পড়তে যাবো? আমি স্পর্শিয়া আহম্মেদ আরনিয়া কারো প্রেমে পড়ি না সবাই আমার প্রেমে পড়ে।
আপনি বুঝি উগান্ডার প্রেসিডেন্টের বউ?
একদম কথা প্যাচানোর চেষ্টা করবেন না। এটা আমি একদমই পছন্দ করি না। বাই দা রাস্তা আপনি কে বলোনতো?
তুমি আমাকে চিনো না?
আপনি কি কোনো সেলিব্রেটি যে আপনাকে চিনতে হবে?
আরনিয়ার কথা শুনে ছেলেটি মুচকি হেসে আরনিয়ার দিকে ঝুঁকে কানে কানে বলে,
আমি সব মেয়েদের কল্পনার রাজকুমার আদনান আহম্মেদ স্পর্শক।
স্পর্শকের নাম শুনে আরনিয়ার চোখ বড় বড় হয়ে যায়। সে ভাবতেই পারছে না স্পর্শকের মতো একজন লোক তার এতো কেয়ার করছে। আরনিয়া চোখ বড় বড় করে স্পর্শকের দিকে তাকায়।
আপনি সত্যি বলছেন আপনি আদনান আহম্মেদ স্পর্শক? ( অবাক হয়ে)
এতো অবাক হবার কী আছে?
আপনি জানেন আপনাকে না দেখে শুধু মাত্র আপনার কথা শুনেই আমি আপনার ওপর ক্রাশিত। ( মুখ ফসকে)
আরনিয়া কথাটা বলে দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে। আরনিয়ার কথা শুনে স্পর্শক মুচকি হাসে। স্পর্শক হাত দিয়ে চুলগুলো নড়াচড়া করতে বলে,
দেখলেন তো আমি কোন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট।
হুহ।
আপনার ঠিকানা বলেন আপনাকে বাসায় ড্রপ করে দিয়ে আসি।
খান ভিলা।
টুকটাক কথা বলতে বলতে স্পর্শকের গাড়ি এসে থামে খান ভিলার সামনে। আরনিয়া কিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছিলো। স্পর্শক আরনিয়ার হাত ধরে টেনে আবার সিটে বসিয়ে দেয়।
আপনার মতো অকৃতজ্ঞ আমি জীবনে দেখি নাই।
আপনার কোন দিক দিয়ে আমাকে অকৃতজ্ঞ মনে হচ্ছে?
সব দিক দিয়ে। আপনার জন্য আমি এতকিছু করলাম আর আপনি আমাকে সামান্য ধন্যবাদটুকুও জানালেন না।
আমি আপনাকে কিছু করতে বলেছিলাম? আপনি নিজের ইচ্ছেয় করছেন। তাই মন থেকে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা আসছে না। ইউ নো না মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো কিছু করতে নেই।
হুম। ধন্যবাদ না দিলেন এটলিস্ট নাম্বারটা তো দিয়ে যান।
কেনো?
আপনি আমার গাড়ির সামনে এক্সিডেন্ট করলেন ফোন দিয়ে আপনার খোঁজ খবর নেওয়া তো আমার কর্তব্য। তাই না?
আরনিয়া কিছু না বলে ফোন নাম্বার দিয়ে চলে যায়। আরনিয়ার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে স্পর্শক মুচকি হেসে নিজের গন্তব্যে পাড়ি জমায়। স্পর্শক আর আরনিয়ার মাঝে মাঝে ফোনে টুকটাক কথা হতো। কেটে কিছু দিন। আস্তে আস্তে তাদের সম্পর্কের গভীরতা বাড়তে থাকে। সদ্য প্রেমে পড়া প্রেমিক প্রেমিকাদের মতো সারা রাত জেগে ফোনলাপ। ঘুরাঘুরি করা সব মিলিয়ে তাদের দিন ভালোই কাটতে থাকে। কিন্তু কেউ কাউকে নিজের অনুভূতির কথা বলে না। একদিন স্পর্শক আরনিয়াকে প্রোপোজ করে। সেদিন আরনিয়া ভীষণ অবাক হয়। কারণ সে কল্পনাও করেনি যে স্পর্শকের মতো কেউ তাকে প্রোপোজ করতে পারে। প্রথম সে স্পর্শককে ফিরিয়ে দেয়। পরে স্পর্শকের পাগলামির কাছে হার মেনে স্পর্শকের ভালোবাসা গ্রহণ করতে হয়। স্পর্শক আর আরনিয়ার ভালোবাসার দিনগুলো ভালোই কাটতে থাকে। এভাবে কেটে যায় কয়েকটা বছর। হঠাৎ করেই এহসান খান আরনিয়ার বিয়ে ঠিক করে।
__________________
আরনিয়া অতীত থেকে বের হয়ে শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়। কিন্তু রুমের কোথাও স্পর্শককে দেখতে পায় না। আরনিয়া আর কিছু না ভেবে টাওয়ালটা বেলকনিতে মেলে দেয়। রুমে এসে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে রুম থেকে বের হয়ে ড্রয়িংরুমে যায়। কিন্তু স্পর্শককে দেখতে পায় না। পা বাড়ায় অনুর রুমের উদ্দেশ্যে। এখন তো দিনের বেশির ভাগ সময়ই স্পর্শক অনুর রুমে থাকে। আরনিয়াকে আর কষ্ট করে অনুর রুমে যেতে হয় না তার আগেই অনুর সাথে তার দেখা হয়ে যায়।
অনু আপু স্পর্শক কোথায়?
কিছুক্ষণ আগেই তো স্পর্শক তাড়াহুড়া করে কোথাও বেরিয়ে গেলো। যাওয়ার আগে শুধু বলে গেছে তোমাকে বলতে স্পর্শকের আসতে দেরি হবে।
ওহ। ( মন খারাপ করে )
অনু ফোন স্ক্রল করতে করতে চলে যায়। আরনিয়া রুমে চলে আসে। স্পর্শকের এতোটা চেইন্জ আরনিয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। স্পর্শক কখনোও তাকে না বলে কোথাও যেতো না। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায় কিন্তু স্পর্শক একবারের জন্যও তাকে ফোন দেয়নি। আরনিয়া ছাতক পাখির মতে অপেক্ষা করছিলো স্পর্শকের ফোনের জন্য। কিন্তু স্পর্শক ফোন দেয়নি। অপেক্ষা করতে করতে আরনিয়া ঘুমিয়ে পড়ে।
__________________
আরনিয়ার ঘুম ভাঙে বিকেলে। ফোন চেক করে দেখে স্পর্শক ফোন দেয়নি। আরনিয়া মাথায় সাদা উড়না জড়িয়ে মন খারাপ করে ছাদে চলে যায়। ছাদে আরনিয়ার হাতে লাগানো একটা বেলিফুল গাছ আছে। বিয়ের আগে স্পর্শকের সাথে আরনিয়া মাঝে মাঝেই এই বাড়িতে আসতো। আরনিয়া বেলিফুল ছোঁয়ে ছোঁয়ে দেখছে আর স্পর্শকের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ভাবছে। প্রত্যেকটা মুহূর্ত ছিল মধুর। সন্ধ্যার দিকে আরনিয়া ছাদ থেকে নিচে নেমে আসে।
অনুর রুম ক্রস করে যখন নিজের রুমে যাচ্ছিলো তখন অনু আর স্পর্শকের কথা শুনতে পায়। আধখোলা দরজাটা সম্পূর্ণ খোলে ফেলে। দরজা খোলে আরনিয়া স্তব্ধ হয়ে যায়। স্পর্শক অনুকে কিস করছে। দরজা খোলার আওয়াজে স্পর্শক আর অনু দুজনই দরজার দিকে তাকায়।
আরনিয়া চোখে পানি টলমল করছে। স্পর্শক কিছু বলতে যাবে তার আগেই আরনিয়া কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে রুম থেকে চলে যায়। স্পর্শক ও আরনিয়ার পিছনে যায়। স্পর্শক বাইরে বের হওয়ার আগেই আরনিয়া গেইট দিয়ে বাড়ির বাইরে চলে যায়। আরনিয়া দৌড়াতে দৌড়াতে রাস্তায় চলে আসে পিছন থেকে একটা ট্রাক এসে আরনিয়াকে ধাক্কা মারে। আরনিয়া ছিটকে গিয়ে স্পর্শকের পায়ের কাছে পড়ে।
চলবে……..