ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি,পর্ব:১৪,১৫

0
1910

ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি,পর্ব:১৪,১৫
তাসনিম_জাহান_রিয়া
পর্ব:১৪

ভাবি শব্দটা শুনে স্পর্শকের ভ্রু কুচকে আসে। কিছু একটা ভেবে স্পর্শক মাথা চুলকে মুচকি হাসে। সবাই একসাথে স্পর্শকের বার্থডে সেলিব্রেইট করে। সেলিব্রেশন শেষে ঘুমানোর জন্য সবাই নিজের রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। আরনিয়া যেতে নিলে স্পর্শক আরনিয়ার হাত টেনে ধরে। এক টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে। কোমর জড়িয়ে ধরে আরনিয়াকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় স্পর্শক।

আমি আসার পর থেকে তুই আমার সাথে একটা কথাও বলিস নি।

নিশ্চুপ

আমার পিচ্চি বউটা কি আমার উপর খুব বেশি অভিমান করেছে।

মাথা নাড়িয়ে অসম্মতি জানায় যে সে অভিমান করেনি।

তাহলে কথা বলছিস না কেনো?

আরনিয়া নিজেকে স্পর্শকের কাছ থেকে ছাড়িয়ে দুই হাত রেলিং এ রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,

তিনটা বছর আপনার সাথে দেখা হয়নি। কথা হয়েছে তবুও অপরিচিতদের মতো কেমন আছো? এইটুকু জিঙ্গেস করতেন। আমার উত্তর শোনার পর পরই ফোন কেটে দিতেন। আপনি কেমন আছেন? এটা জিঙ্গেস করার সময় পর্যন্ত দিতেন নাহ। হয়তো এটা আমার ভালোর জন্যই করেছেন। এতোদিন কথা না বলার কারণে আপনার সাথে কথা বলতে অস্বস্তি হচ্ছে। হওয়াটা কি স্বাভাবিক নয়। সবাই বলে দূরত্ব নাকি ভালোবাসা বাড়ায়। আমার মতে অনেক সময় দূরত্বের জন্য ভালোবাসা হারিয়ে যায়। একটা মানুষ যখন অপর পাশের ব্যক্তিটার কাছ থেকে অবহেলা পায় তখন অন্য কারো কাছ থেকে একটুখানি গুরুত্ব পেলে তার কাছে চলে যায়।

আরনিয়া এটুকু বলে থামে। স্পর্শক ভাবছে তার আরনিয়া কি অন্য কাউকে ভালোবেসে ফেলেছে। আরনিয়ার ভালো করতে গিয়ে কি আরনিয়াকে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেললো? কারণ সেতো আরনিয়াকে কম ইগনোর করেনি। স্পর্শকের মনে এখন নানা প্রশ্ন উকি দিচ্ছে। তিন বছর আগে সে যে আরনিয়াকে রেখে গিয়েছিল সে কখনো তাকে আপনি করে বলতো না। আরনিয়া একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে আবার বলতে শুরু করে,

আপনার মনে এখন নানা প্রশ্ন উকি দিচ্ছে। এই তিন বছরে আমি কাউকে ভালোবেসে ফেলেছি নাকি। উহু আমি কাউকে ভালোবাসিনি। হয়তো ভালোবেসে ফেলতাম আমার নামের সাথে মিসেস নামক সিলমোহর যদি না লাগিয়ে দিতেন। এই তিনটা বছর প্রত্যেক মুহূর্তে সবাই আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে আমি কারো আমানত। আপনি হয়তো ভাবছেন আমি আপনাকে হুট করে আপনি কেনো ডাকছি? আপনাকে কি বলে সম্বোধন করবো ভেবে পাচ্ছিলাম। হুট করেই মনে হলো ‘আপনি’ সম্বোধনটাই বেস্ট।

স্পর্শক আরনিয়াকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে আরনিয়া চুলের ভাজে আলতো করে হাত ঢুকিয়ে দেয়। আরনিয়ার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয়।

তোমার মুখে আপনি শুনতে ভালো লাগে না। তুমি যখন আমাকে তুমি বলে ডাকো তখন সেই ডাকটা আমার বুকে গিয়ে লাগে। এতদিন তোমাকে যত অবহেলা করেছি সব ভালোবাসা দিয়ে পুষিয়ে দিবো। তোমাকে আমি এতো ভালোবাসবো যে কোনো অভিযোগ করার সুযোগই দিবো না।

আরনিয়া স্পর্শককে জড়িয়ে ধরে। স্পর্শকও দুই হাত দিয়ে আগলে নেয় তার প্রেয়সীকে।

__________________

চলে যায় একটা বছর । আরনিয়া আর স্পর্শক সুখে শান্তিতে সংসার করছে। আরনিয়া ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্পর্শক অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে আর আরনিয়া স্পর্শককে সবকিছু এগিয়ে দিচ্ছে। স্পর্শক আরনিয়াকে কড়া গলায় বলে,

সিঁড়ি দিয়ে একদম নামবে না। একা একা ওয়াশরুমে যাবে না মা অথবা মিষ্টি মা কাউকে ডাক দিবে। টাইমলি খাবার খাবে। ঠিক মতো খাবার না খেলে আমি বাড়ি ফিরে তোমার ক্লাস নিবো। আমি আসছি সাবধানে থাকবে।

স্পর্শক যাওয়ার আগে আরনিয়ার কপালে একটা চুমু এঁকে দেয়। আরনিয়া আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলে। স্পর্শক অফিসে চলে যায়।

সিঁড়ি দিয়ে একদম নামবে না। একা একা ওয়াশরুমে যাবে না মা অথবা মিষ্টি মা কাউকে ডাক দিবে। টাইমলি খাবার খাবে। ঠিক মতো খাবার না খেলে আমি বাড়ি ফিরে তোমার ক্লাস নিবো। আমি আসছি সাবধানে থাকবে।

আরনিয়া স্পর্শকের কথাগুলো রিপিট করে একটা ভেংচি কাটে।

আমার সাথে কড়া গলায় কথা বলে। নেহাত তোকে ভয় পাই তাই তোর সামনে কিছু বলতে পারি না। আমার বয়েই গেছে তোর কথা শুনতে। হুহ। বেটা অসভ্য।

__________________

স্পর্শক কোম্পানির পুরোনো ফাইল চেক করে দেখে এহসান খান কোম্পানির টাকা নিজের একাউন্টে টান্সফার করে। স্পর্শকের ফোন বেজে ওঠে। স্পর্শক ফোনটা রিসিভ করে।

হ্যালো স্যার

হুম বলো

স্যার এহসান খান আপনাদের কোম্পানির খবর টাকার বিনিময়ে বাইরে লিক করে। আপনাদের কোম্পানিতে তৈরি করা প্রজেক্ট অন্য কোম্পানিতে বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও অনেক বাজে কাজের সাথে জড়িত। বাকি ইনফরমেশন রাতের মাঝে পেয়ে যাবেন।

থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ সো মাচ।

মাই প্লেইজার স্যার।

বাই।

স্পর্শক তার বাবার কাছে যায় এবং সবকিছু খোলে বলে। স্পর্শক আর তার বাবা এহসান খানকে অপমান করে অফিস থেকে বের করে দেয়। এহসান খান যাওয়ার আগে শুধু বলে যায়।

এই অপমানের বদলা আমি নিবোই।

__________________

স্পর্শক বাড়ি ফিরে পলা আহম্মেদকে তার ভাইয়ের কুকর্মের কথা সব বলে। সবকিছু শোনে পলা আহম্মেদ স্তব্ধ হয়ে যায়। তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না এতবছর ধরে তার ভাই তার সাথে প্রতারণা করে আসছে। স্পর্শকের ফোন বেজে ওঠে স্পর্শক ফোনটা রিসিভ করে।

হ্যালো স্যার এহসান খান অনেক অন্যায় করেছে। ১৮ বছর আগে নিজের বাবাকে মারার প্লেন করেছিলেন। কিন্তু কোনো একটা কারণে নিজের প্লেনে সফল হতে পারেননি। কয়েক বছর আগে নিজের হাতে নিজের ভাইকে খুন করেছেন। আর এসব তিনি করেছেন সম্পত্তির জন্য।

সবকিছু শোনে স্পর্শক স্তব্ধ হয়ে যায়। হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়। পলা আহম্মেদ স্পর্শককে জিঙ্গেস করে কী হয়ছে? স্পর্শক সব বলে। সব শুনে পলা আহম্মেদ হাউ মাউ করে কেঁদে দেয়।

চলবে……..

#ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি
#পর্ব:১৫
#তাসনিম_জাহান_রিয়া

সবকিছু শোনে স্পর্শক স্তব্ধ হয়ে যায়। হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়। পলা আহম্মেদ স্পর্শককে জিঙ্গেস করে কী হয়ছে? স্পর্শক সব বলে। সব শুনে পলা আহম্মেদ হাউ মাউ করে কেঁদে দেয়। তিনি ভাবতে পারছেন না উনার ভাই একজন খুনি। তিনি এখন বুঝতে পারছেন এতদিন তিনি দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পুষেছেন।

মিষ্টি মা তুমি এভাবে কেঁদো না। তোমার কান্নার শব্দ শুনলে আরু এখানে চলে আসবে। আর এসব কিছু আরু জানতে পারলে কিছুতেই মেনে নিতে পারবে না। ও ভেঙে পরবে।

পলা আহম্মেদ নিজেকে সামলে বলে,

স্পর্শক তুমি আরুর কাছে যাও।

কিন্তু মিষ্টি মা।

আমি ঠিক আছি। তুমি আরুর কাছে যাও। আমি এখন একলা থাকতে চাই। আর হ্যা আরুকে তুমি কিছু বলো না। কারণ আরু এহসান ভাইকে খুব ভালোবাসে। আরু এটা মানতে পারবে না। এখন তুমি প্লিজ যাও।

আচ্ছা।

স্পর্শক নিজের রুমে আসে। রুমে এসে স্পর্শক হতভম্ব হয়ে যায়। রুমের জিনিসপত্র সব উলট পালট। কাবাডের সব কাপড় নিচে পড়ে আছে। বেডে ওপরে চিপসের প্যাকেট, চকলেটের প্যাকেট খালি পড়ে আছে। আরনিয়ার পড়নে একটা কালো শাড়ি। বেডের মাঝখানে এলোমেলো ভাবে শুয়ে আছে আরনিয়া। তার পাশেই পড়ে আছে আধ খাওয়া চকলেট। চকলেট চকলেট খেতে খেতেই আরনিয়া ঘুমিয়ে পড়ছে। স্পর্শক নিঃশব্দে হাসে।

স্পর্শক সম্পূর্ণ রুমের পরিষ্কার করে জিনিস ঘুছিয়ে রাখে। আরনিয়াকে বেডে ঠিক ভাবে শুইয়ে দিয়ে শাড়িটা ঠিক করে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় স্পর্শক। ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে আরনিয়া বেডের মাঝখানে বসে আছে মন খারাপ করে। স্পর্শক এগিয়ে গিয়ে আরনিয়ার গালে হাত দিয়ে বলে,

আমার আরু বেবিটার কী হয়ছে?

মন খারাপ।

কেনো?

পাপাকে এতোদিনের জন্য কেনো বিদেশ যেতে হলো। যাবে তো ঠিক আছে আমার সাথে একবার দেখা করলো না।

এর জন্য মন খারাপ করে থেকো না। কাকাই খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে। ইউ নো না এই সময় মন খারাপ করে থাকা ঠিক না।

আমাকে কেমন লাগছে দেখতে?

আরনিয়া বেড থেকে নেমে স্পর্শকের সামনে দাঁড়িয়ে কথাটা বলে।

তোমাকে কিউট গুলোমুলো বেবি লাগছে।

আগে শাড়ি পড়লে তুমি বলতে হট লাগছে আর আজকে। ( মন খারাপ করে )

আগে তো তোমার পেট ফুলা ছিল না। আমাদের বেবি আসার পড়ে তোমার পেট ফুলে গেছে, আগের থেকে অনেক বেশি সুন্দর হয়ে গেছো। গুলোমুলো হয়ে গেছে। তোমার মাঝে একটা কিউট কিউট ভাব চলে আসছে।

তার মানে আমাকে আগে কিউট লাগতো না?

লাগতো কিন্তু এখন একটু বেশিই কিউট লাগে। ( পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কথাটা বলে স্পর্শক। )

আগের থেকে অনেক বেশি মোটা হয়ে গেছি। তার মানে আমার ওজন অনেকটা বেড়ে গেছে তুমি এখন আর কথাই কথাই আমাকে কোলে তুলে নিতে পারবে না। হি হি হি

স্পর্শক আরনিয়াকে কোলে তুলে নেয়।

তোমার কী আমাকে এতোটাই দুর্বল মনে হয় যে নিজের বউ আর বাচ্চাকে একসাথে কোলে নিতে পারবো না। তোমার মতো তিনটা আরনিয়াকে একসাথে কোলে নিতে পারবো।

__________________

এভাবে কেটে গেলো ১৫ টা দিন। এই ১৫ টা দিন স্পর্শক এক সেকেন্ডের জন্য আরনিয়ার পাশ থেকে নড়েনি। আজকে বাধ্য হয়েই তাকে অফিসে যেতে হলো। কারণ আজকে নিলয় আহম্মেদ অসুস্থ আর আজকে অফিসে একটা ইমপর্টেন্ট মিটিং ছিল। যদি এটেন্ট না করে তাদের অনেক লস হয়ে যাবে তাই বাধ্য হয়েই স্পর্শক অফিস গেলো।

সকাল ১০ টা

আরনিয়া সোফায় বসে আচার খাচ্ছে আর টিভি দেখছে। তখনি কলিংবেল বেজে ওঠে ।আরনিয়া ভাবে স্পর্শক এসেছে। কারণ স্পর্শক যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিল যত দ্রুত সম্ভব মিটিং শেষ করে চলে আসবে। দরজা খুলতেই দেখে এহসান খান দাঁড়িয়ে আছে। এতোদিন পরে নিজের পাপাকে দেখে খুশিতে গদগদ হয়ে জড়িয়ে ধরে।

পাপা তুমি কেমন আছো? জানো তোমাকে কত মি……..

এহসান খান আরনিয়ার কথাটা শেষ করতে দেয় না তার আগেই ধাক্কা দিয়ে আরনিয়াকে নিজের থেকে সরিয়ে দেয়। ধাক্কাটা জুরে হওয়ায় আরনিয়ার মাথা দেয়ালে লাগে। কপাল কেটে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়তে থাকে। আরনিয়ার মাথা ঝিম মেরে আসছে। স্পর্শকের বাবা চিৎকার করে বলে,

এটা তুমি কি করলে এহসান?

আরনিয়ার মা আরনিয়ার কাছে আসতে চাইলে এহসান খান তাকে ধাক্কা দিয়ে সোফায় ফেলে দেয়।

এই তোরা ভিতরে আয়।

এহসান খানের ডাক শুনে প্রায় সাথে সাথেই ৫ জন লোক আসে। দেখতে একদম গুন্ডা গুন্ডা টাইপ। তারা ভিতরে প্রবেশ করেই আরনিয়ার মার, স্পর্শকের বাবা-মার হাত পা বেধে ফেলে। এহসান খান একটা নাইফ হাতে নিয়ে স্পর্শকের বাবার ঠোঁট স্লাইড করতে করতে বলে,

এই মুখ দিয়ে তুই অপমান করেছিলি না আমাকে? এই মুখই যদি তোর কাছে না থাকে তাহলে অপমান করবি কি করে?

আরনিয়ার মা চিৎকার করে বলছে,

আরু মা তুই এখান থেকে চলে যা। নাহলে এই লোকটা তোকে মেরে ফেলবে। তুই স্পর্শকের কাছে চলে যা। স্পর্শক তোর কোনো ক্ষতি হতে দিবে না।

এহসান খান স্পর্শকের বাবার মুখে এসিড ছুড়ে মারে। গলা কাটা মুরগির মতো ছটফট করতে থাকে নিলয় আহম্মেদ। আরনিয়া এগিয়ে আসতে নিলে স্পর্শকের মা চিৎকার করে বলে,

আরু তুই এখান থেকে চলে যা। তোর সন্তানের দিব্বি।

আরনিয়া অশ্রু সিক্ত নয়নে তিনজনের দিকে একবার তাকিয়ে দৌড়ে দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসে। নিলয় আহম্মেদ যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে অঙ্গান হয়ে যায়। এহসান খান এতক্ষণ খেয়াল করেনি যে আরনিয়া এখান থেকে চলে গেছে। উনি যখনি বুঝতে পারলেন আরনিয়া এখানে নেই তখনি একজন ডেকে বলে,

রনি দেখতো মেয়েটা কই গেলো। এই অবস্থায় বেশি দূর যেতে পারবে না।

এহসান খান বলার সাথে সাথেই দুটো লোক বেরিয়ে গেলো আরনিয়াকে খোঁজতে। এহসান খান স্পর্শকের বাবার কাছ থেকে সম্পত্তির দলিলে টিপ সই নিতে গেলে তাচ্ছিল্য সরে স্পর্শকের মা বলে,

যত যাই করো কোনো প্রোপাটি তুমি পাবে না। কারণ নিলয়ের নামে কোনো প্রোপাটি নাই।

এহসান খান বেশ রেগে যায় এতবছর ধরে এই প্রোপাটির জন্য এতো অভিনয় করলো এখন বলে সেই প্রোপাটি পাবে না। এহসান খান রেগে পর পর ছয়টা গুলি করে শেষ করে দেয় তিনটি মানুষের জিবন।

__________________

আরনিয়া আর দৌড়াতে পারছে না তার পেটে তীব্র যন্ত্রনা হচ্ছে। আরনিয়া পিছনে তাকিয়ে দেখে ছেলে দুটো তার কাছেই চলে এসেছে। আরনিয়া পিছনের বিপদকে খেয়াল করতে গিয়ে সামনের বিপদই খেয়াল করেনি। একটা গাড়ি এসে আরনিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় রাস্তার পাশে। আরনিয়ার মাথা গিয়ে পড়ে পাথরের ওপর।

বর্তমানে

স্পর্শকের বুকে মাথা রেখে ফুফিয়ে কাঁদছে আরনিয়া।

স্পর্শক আমাদের সন্তান।

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here