“তৃ-তনয়া” পর্ব- ৭৬

0
2532

“তৃ-তনয়া”
পর্ব- ৭৬
(নূর নাফিসা)
.
.
অফিস থেকে ঘরে ফিরতেই নাফিসার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ হলো ইমরানের দিকে! তার এমন দৃষ্টিতে ইমরানের কপালে সূক্ষ্ম ভাজ পড়লো! পরক্ষণে দরজা চাপিয়ে এগিয়ে এসে বললো,
– কি হয়েছে গিন্নি? এতো রেগে আছো কেন?
নাফিসা কোমড়ে হাত রেখে ঝাঝালো কণ্ঠে বললো,
– আপনি আবারও বেল্টের জুতা পড়ে অফিস গেছেন!
ইমরান নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে জ্বিভ কেটে দুইহাতে নাফিসার কান ধরে বললো,
– সরি, ভুল হয়ে গেছে!
নাফিসা রেগে তার হাত সরিয়ে বললো,
– ভুল? প্রত্যেকদিন এসে বলবেন ভুল হয়ে গেছে আর আমি বিশ্বাস করে নিব? ভুল মানুষের একবার হতে পারে কিন্তু বারবার না! ইচ্ছে করে এসব করে আবার মিথ্যে বলতে আসে আমার সাথে!
– গরমের দিন, কেডস শো পড়লে পা জ্বালা করে। বুঝো না?
– আর ধুলাবালিতে যে কাটা জায়গায় ইনফেকশন হয়ে যায় সেটা আপনি বুঝেন না?
– অযথা এতো চিন্তা করো না, কিছু হবে না।
– হ্যাঁ, হবে না। আর যখন হবে তখন বলবে “ভুলে হয়ে গেছে”! আমার কি আমার কিছু আসে যায় নাকি! যার যার সমস্যায় সে ভুগবে। এতো ঠেকা পড়েনি কারো মাথা থেকে পায়ের জুতা পর্যন্ত খেয়াল রাখার! কয়েকদিন জুতা মোজা পড়লে যেনো উনার পা জ্বলে আগুন ধরে যাবে!
নাফিসা রাগে ফুসতে ফুসতে ঘরের অগোছালো টুকটাক জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখলো। ইমরান মুচকি হেসে তাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
– তোমারই তো সব। আচ্ছা, যাও। এরপর থেকে প্রতিদিন পড়ে যাবো।
– সড়ুন! হয়ে গেছে দিন দেখা!
ইমরানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নাফিসা বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। ইমরান এখন মোটামুটি ভাবে সুস্থ। প্রথম এক সপ্তাহের মতো তার বাইরে চলাচল নিষিদ্ধ ছিলো। তারপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। বাকি সবদিক থেকে সুস্থ হলেও পায়ের কাটা চামড়াটা স্থির হয়নি। সেলাই খুলে ফেলা হয়েছে কিন্তু ওষুধ লাগাতে হয় নিয়মিত। সাথে ধুলাবালি হতে সতর্কতা! কেননা ঘাঁ শুকাতে আরও সময় লাগবে। আল্লাহর রহমতে পায়ের ঘাঁ বাদে বাকি সবদিক থেকে সে সুরক্ষিত। এক্সিডেন্টের পর সবদিক থেকেই নাফিসা তার যথেষ্ট খেয়াল রেখেছে। প্রথম এক সপ্তাহের মতো ইমরানকে ধরে ধরে বাথরুম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া, সাবধানে গোসল করানো আর খায়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারটাই একটু বেশি কষ্টকর ছিলো নাফিসার জন্য। এখন সব ঠিক আছে। আর গতদিন গুলোতে তাদের সম্পর্কটাও এগিয়ে গেছে বহুগুণ। এখন আর বিরক্ত বোধ হয়না ইমরানকে। কাছে আসার ভয়ও পায় না। বরং নিজ থেকেই নিকটে অবস্থান করেছে ধীরে ধীরে। একজন স্ত্রী হিসেবে নিজের দায়িত্বটাও বাড়িয়ে নিয়েছে বহুগুণে। সকল বিষয়ে লক্ষ্য রাখা, ভুল হলে বা তার মতের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করলে অল্পতেই রাগারাগি মন্দ লাগে না ইমরানের কাছে। কেননা তাকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে তার মাঝে।
বরাবরের মতো জুতার ঘটনা নিয়ে নাফিসা সারাদিন রেগে থাকলেও দিন শেষে মানিয়ে নিয়েছে ইমরান। কিন্তু সকাল হতেই আবার এক মহা প্রলয়!
ঘুম ভাঙলে আবছা আলোতে চোখ খুলেই দেখলো অগ্নি দৃষ্টান্ত তাকিয়ে আছে চোখ জোড়া! ইমরান নাফিসার নাক টেনে বললো,
– এভাবে তাকি আছো কেন বুড়ি? সকাল সকাল ঘুম ঘুম চোখে তাকালেই তো ভালো দেখায় বুড়িটাকে!
নাফিসা ইমরানের হাতে এক ঘা মেরে বললো,
– আমার ফোনের এলার্ম বন্ধ করেছেন কেন?
– ওফ্ফ! এতো জোরে কেউ মারে! সকাল সকাল উষ্ণ ছোঁয়াতে কোথায় মিষ্টি বানিয়ে দিবে, তা নয়!
– রাখেন আপনার মিষ্টি! আমার ফোনের এলার্ম বন্ধ করলেন কেন?
– রাত বারোটার এলার্ম দিয়ে রেখেছো কেন? তাইতো বন্ধ করে দিয়েছি!
– আমার প্রয়োজন ছিলো বলেই তো দিয়েছি! আপনাকে মাতব্বরি করতে কে বলছে! আমার সব প্ল্যান নষ্ট করে দিছে!
ইমরানকে সরিয়ে কান্না করতে করতে নাফিসা উঠে লাইট জ্বালিয়ে দিলো। ইমরান বিস্মিত হয়ে বললো,
– বারোটায় তোমার কিসের প্ল্যান!
– আপনার মাথা! কোনো কথা বলবেন না আমার সাথে! ভেবেছিলাম নাহিদা আপুকে সবার আগে আমি বার্থডে উইশ করবো তা আর হলো না!
– বার্থডে উইশ! তা আপু কি তোমার উইশের জন্য রাত জেগে বসে আছে!
– আপনি জানেন, জেগে আছে না ঘুমিয়ে গেছে? আর বসে থাকতে হবে কেন! একটা কল করলেই তো ঘুম ভেঙে যেতো!
– শুধু শুধু ঘুম নষ্ট করার মানে হয়!
– আবারও কথা বলেন আপনি! একটা কথা বললে মাথা ফাটিয়ে দিবো এখন!
– ঘুম ভাঙেনি তোমার। তুমি বরং ফ্রেশ হয়ে ওযু করে এসো।
নাফিসা দরজা খুলে ঠাস করে দরজা চাপিয়ে বেরিয়ে গেলো। নামাজ পড়ে কুরআন পড়ে সে গোমড়ামুখু হয়েই বসে রইলো! ইমরান তাকে এভাবে বসে থাকতে দেখে বললো,
– এ নিয়ে রাগ করে বসে আছো? এখন ফোন করে উইশ করে দাও তাহলেই তো হয়।
– আপনাকে বলেছি আমাকে জ্ঞান দিতে?
ইমরান দু’দিকে মাথা নেড়ে চুপ করেই রইলো। তিন-চারদিন হলো জেরিন বাবার বাড়ি গেছে। নাফিসা বড়ঘরে এসে চুপচাপ কাজ করে যায় ঠিকই। না কথা বলে ওই জেরিনের সাথে আর না কথা বলে আবিদা বেগমের সাথে! আবিদা বেগম কিছু বললে সে চুপচাপ কাজ করে দেয়। এতে আর কারো সাথেই কোনো কথা কাটাকাটি হয় না। কথায় কথা বাড়ে! আইডিয়াটা ছিলো বড়মায়ের। নাফিসা তা-ই অনুসরণ করে যাচ্ছে। বড়মার কথা অনুযায়ী সে মিলিয়ে নিলো আসলেই আবিদা বেগম চুপচাপ স্বভাবের। কিন্তু মাঝে মাঝে বোনের প্রেতাত্মা এসে তার মাঝে ভর করে!
নাস্তা করার সময় হয়ে এলে ইমরান বড়ঘরে এলো। এতোক্ষণ স্বাভাবিক হয়ে থাকলেও এখন মুখটা লুচির মতো ফুলিয়ে রেখেছে নাফিসা! চুপচাপ সে একে একে খাবারের প্লেট ও বাটি এনে রাখছে। তার কাজে জেদ স্পষ্ট! ইমরান নিচু স্বরে বললো,
– এভাবে রাগ করে থাকলে তো আর আমার কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। বছরে একবার বার্থডে আসে আর তুমি উইশটা করছো না! দিন ফুরিয়ে গেলে আফসোস তোমার আর ক্ষতি নাহিদা আপুর!
নাফিসা কোনো জবাব দিলো না। ইমরান আবার বললো,
– বসো, একসাথে খাই?
– হুহ!
নাফিসা ভেঙচি কেটে চলে গেলো! আজ তো আর জেরিন নেই তাই সে অন্যান্য কাজেই ব্যস্ত থেকে ইমরান থেকে দূরে থাকতে পরিকল্পনা করলো। কিন্তু এরই মাঝে ইমরানের ডাক পড়ে গেলো! মা, বড়মার সামনে কি আর তার ডাক উপেক্ষা করে থাকা যাবে! সে এটাও নিশ্চিত, সবটা জেনেই এমন করেছে স্টুপিড লোকটা!
নাফিসা বাধ্য হয়ে এখানে এলো।
– কি?
– বসো এখানে।
– কেন? আজ তো আর সে নেই!
– কথা কম। যা বলছি তা করো।
নাফিসা সোফায় বসতে গেলে ইমরান বললো,
– সোফায় না, আমার কাছে বসো।
নাফিসা সেখানেই বসে রইলো। ইমরান ভাত মাখতে মাখতে বললো,
– বাবা কিন্তু বলেছিলো, আমার কথা অমান্য করলে যাতে বাবাকে বলি। আমি তো আমার বউ নিয়ে কারো কাছে নালিশ জানাতে চাই না। কেননা, আমার বউ এমনিতেই আমাকে মানে।
– হইছে, এতো পাম মারতে হবে না। ডেকেছেন কেন সেটা বলুন, আমার আরও কাজ আছে।
বলতে বলতে নাফিসা ইমরানের কাছে এসে বসলো। ইমরান মুচকি হেসে তার মুখের সামনে এক লোকমা খাবার তুলে ধরলো। নাফিসা মুখ সরিয়ে নিলো! ইমরান বললো,
– নাও, নতুবা এখন আমি খাবো না।
– এতো ঢং দেখাচ্ছেন কেন!
– তুমি নিবে নাকি আমি খাবার রেখে উঠে যাবো?
নাফিসা চেহারায় বিরক্তিকর ভাব এনে খাবার মুখে নিয়ে বললো,
– আমি এখন আর খাবো না।
– আরেকবার।
দ্বিতীয়বার দেওয়ার সময় নিশাত রুমে চলে এলো! ইমরানকে খায়িয়ে দিতে দেখে জ্বিভে কামড় দিয়ে হাসতে হাসতে আবার বেরিয়ে গেলো! খাওয়া শেষে যখন নাফিসা সব গুছিয়ে রাখছিলো তখনও নিশাত মিটিমিটি হাসছে! নাফিসা ব্রু কুচকে বললো,
– এতো হাসির কি আছে! তোমাকে কেউ খায়িয়ে দেয় নি কখনো? বিয়ের পর দেখো, তোমার হাসব্যান্ড খায়িয়ে দেয় কিনা! আর তখন আমিও দেখবো খাও না ফেলে দাও!
মা এবং বড়মায়ের সামনে এভাবে বলায় নিশাত নিজেই লজ্জা পেয়ে গেছে! সে দাতে দাত চেপে আর কারো দিকে না তাকিয়ে সোজা বড়মার রুমে চলে গেলো! এদিকে আবিদা বেগম নাফিসার দিকে তাকিয়েছিলো একবার, বড়মাও তাকিয়ে মিটিমিটি হেসে নিজের কাজ করছে। কিন্তু নাফিসার মাঝে লজ্জার রেশটুকুও দেখা গেলো না। কেননা তার কাছে বিষয়টা অতি সাধারণ। বিয়ের আগে প্রায়ই মায়ের হাতে ভাত খেতো। মাঝে মাঝে বোন ও বাবার হাতেও। আর বিয়ের পর ইমরানকে খায়িয়ে দিতে হয়েছে! আবার ইমরানের হাতে খেতেও হয়েছে।
খাওয়া শেষে ইমরান মা ও বড়মার কাছে বিদায় নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আবার নাফিসাকে ডেকে গেলো। হাতের কাজ রেখেই নাফিসা চলে এলো তাদের ঘরে। বিরক্তিকর মনোভাব নিয়েই বললো,
– ডেকেছেন কেন?
– কাজে বের হবো এখনো কি এমন লুচির মতো গাল ফুলিয়ে রাখবে?
– হুহ্, সবসময় মেজাজ খারাপ করে দিয়ে আবার ঢং দেখাতে আসছে!
– হু, ঢং ই। এবার হাসো একটু, দেখি?
নাফিসা তার ফোন নিয়ে সাইড বাটনে চেপে ইমরানের সামনে ধরলে ইমরান বললো,
– আমার ছবিই আমি দেখবো?
নাফিসা দেখলো সত্যিই ইমরানের ছবি! সে লক খুলে আবার হোম স্ক্রিনে সেট করা নিজের হাসিমাখা মুখের ছবিটা দেখালো। ইমরান মুচকি হেসে ফোনটা রেখে নাফিসার ঠোঁটের দুই কোনা টেনে বললো,
– কৃত্রিম ছবিতে নয়, আমি বাস্তব ছবিতে দেখতে চাই।
নাফিসা তার হাত সরিয়ে দিয়ে বললো,
– আমি জোকার নই যে অযথা দাত কেলিয়ে থাকবো!
– আচ্ছা, যাও। হাসতে হবে না। তবে একটা কিসিমিসি কি পাবো?
নাফিসা এবার লজ্জা পেয়ে বললো,
– যাহ! নির্লজ্জ ব্যাটা!
– পাবো না?
– কিশমিশ চাইলে দিতে পারি।
– না, আমার কিসিমিসি লাগবে।
ইমরান একটু এগিয়ে আসতেই নাফিসা তাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেলো! ইমরান মোজা জুতা পড়ে দরজা লাগিয়ে বেরিয়ে এসে দেখলো নাফিসা বড় ঘরের গেইটের সামনে দাড়িয়ে মুখ চেপে হাসছে। তার দুষ্টুমিতে ইমরানও ঠোঁটের কোনায় হাসি ফুটিয়ে চলে গেলো।
নাস্তা করে নিশাতের সাথে একটু গল্পগুজব করে নাফিসা নাহিদাকে কল করে বার্থডে উইশ করলো। পরক্ষণে সময় কাটাতে অনলাইনে প্রবেশ করলো। ইমরানকে এক্টিভ দেখে তার মাথায় দুষ্টুমি চাপলো। সে তার ফেইক আইডি দিয়ে ইমরানকে মেসেজ রিকুয়েষ্ট দিলো “হাই…”। টাইমলাইনে ঘুরাঘুরি করতে করতে দু’মিনিট পরেই দেখতে পেল রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্টেড এবং ইমরানের রিপ্লাই, “হ্যালো?”
নাফিসা খুশি হয়ে টেক্সট করলো,
– কেমন আছো, জান?
– প্রচন্ড গরমে একটুও ভালো নেই, জান!?
এমন রিপ্লাইয়ে নাফিসার প্রচুর রাগ উঠে গেলো! এই ব্যাটা তো দেখছে লুচুও বটে! চেনা নেই , জানা নেই কি অসভ্যতার সাথে রিপ্লাই দিলো! সে রাগ কন্ট্রোল করে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো,
– কেন জান? এসি নেই তোমার অফিসে??
– অফিসে আছে, কিন্তু আমার আশেপাশে নেই!?
– ওফ্ফ! সো সেড! তা তুমি আমাকে চিনতে পেরেছো তো?
– কি বলো! তোমাকে চিনবো না!?
– বলোতো কে আমি?
– কেন, আমার সে তুমি? ☺
– সে কে?
– তুমি??
– না, মানে “আমার সে” যে বললে, সেই “সে” টা ই বা কে?
– সে ই তো আমার সে!?
– ওফ্ফ! বড্ড কথা প্যাচাও তুমি!
– প্যাচগুলো তোমার কাছেই তো শেখা!?
– বলো না, আমার নামটা কি? দেখি তুমি চিনতে পেরেছো কিনা?
– তোমার নাম তো প্রোফাইলেই দেওয়া! দেখে নিলেই পারো!
– না, তোমার ডাকা সেই নামটা বলো।
– মাই হার্টবিট।❤
– ইশ! দুষ্ট একটা! বিয়ে করে বউকে পেয়ে তো ইদানীং আমাকে ভুলেই যাও!
– কি যে বলো! বিয়ের আগে যেমন তেমন, বিয়ের পর তো তোমাকে মুহুর্তের জন্যও ভুলতে পারি না!
ইমরানের প্রত্যুত্তরে এদিকে নাফিসার উক্তি, “লুইচ্চা ব্যাটা, তুই বাড়ি ফিরে আয় আগে। বউ কি জিনিস হারে হারে টের পাবি!” মেজাজ তার প্রচন্ড খারাপ থাকলেও টেক্সট করলো,
– ওহ্, তাই বুঝি?
– হুম। গোসল করেছো?
– নাহ, গো! ভেবেছিলাম তোমার সাথেই গোসল করবো। কিন্তু কি ভাগ্য আমার, দেখো! তোমার সাথে তো দেখা ই হয় না কতদিন হলো!
– আহারে, ঘন্টা-মিনিট গুলো তোমার এতোটা লম্বা সময় হয়ে কাটে! সকালেও না কিসিমিসি চেয়ে এলাম! তখন পালিয়ে গিয়ে কিন্তু একটু ভুল করে ফেলেছো। ইনশাআল্লাহ, বাড়ি ফিরে দ্বিগুণ শোধ তুলবো। গোসল করো গিয়ে, লেট করলে ঠান্ডা লাগবে।
নাফিসার চোখের আকৃতি দ্বিগুণ হয়ে গেছে! এতো সহজে ধরা পড়ে গেলো কিভাবে! এটা সম্ভব হতে পারে না! না! না! নাফিসার এখন খুব খুব কান্না করতে ইচ্ছে করছে! ইমরান তাকে সুযোগ দিলো না কেন একটু যাচাই করার! কিন্তু ইমরানের কথায় যেন তার কান্নাও পালিয়ে গেছে! ইচ্ছে তো করছে এখন চোখে কমলালেবুর খোসা চিপে তারপর কান্না করুক!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here