“তৃ-তনয়া” পর্ব- ১০৫

0
2211

“তৃ-তনয়া”
পর্ব- ১০৫
(নূর নাফিসা)
.
.
কিছুদিন পর,
অফিস থেকে ইমরান তিনটার দিকে বাসায় এসেছে। নাফিসা তখন ঘুমাচ্ছিলো। দরজায় নক করলে সে দরজা খুলে দিলো। ইমরান মলিন মুখে ঘরে প্রবেশ করলো। নাফিসা জিজ্ঞেস করলো,
– আজ এতো তারাতাড়ি ফিরে এলে যে?
ইমরান কোনো জবাব না দিয়ে জুতা খুলে র‍্যাকের মধ্যে রেখে ঘড়িটা খুলে ড্রেসিং টেবিলের সামনে রাখলো। অত:পর বাথরুমে চলে গেলো! নাফিসা ঘুমঘুম চোখে হ্যাবলার মতো তাকিয়ে ছিলো শুধু! দেয়াল ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলো সময় তিনটা চার মিনিট! এ কোন সময়ে এলো সে! অফিস হাফ টাইম হলে দুইটার আগেই এসে পড়ে, আর ফুল টাইম হলে চারটা-পাঁচটা বেজে যায়! কিছু জিজ্ঞেস করলো তারও জবাব পেল না! হয়েছে টা কি তার!
নাফিসা হাই তুলতে তুলতে বিছানা গুছিয়ে ঘড়িটা জায়গা মতো গুছিয়ে রাখলো। অত:পর আবার হাই তুলতে তুলতে হাতমুখ ধোয়ার জন্য বেরিয়ে এলো রুম থেকে। দেখলো ইমরান হাতমুখ ধুয়ে রুমাল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বড় ঘরের দিকে যাচ্ছে! তোয়ালে রেখে রুমাল দিয়ে মুখ মুছে নিচ্ছে, আবার রুমে এসে চেঞ্জও করলো না সে! ব্যাপারটা নাফিসার কাছে রহস্যজনক লাগছে! সে নিশ্চিত কিছু একটা হয়েছে! কিন্তু কি!
নাফিসা ফ্রেশ হয়ে রুমে এলো। তোয়ালে দিয়ে হাতমুখ মুছে, পানি পান করে, ফোনটা চার্জে দিলো। অত:পর নিজের রুমের দরজা লাগিয়ে নিশাতের রুমে উঁকি দিয়ে দেখলো নিশাত ঘুমাচ্ছে! সে গেইট লাগিয়ে বড় ঘরের দিকে যাচ্ছিলো। হঠাৎই তাদের ঘরের চালায় শব্দ হলো। টিনের চালায় গড়গড় শব্দ করে একটা আম গড়িয়ে পড়ে উঠুনের মাঝামাঝিতে এসে গেছে। নাফিসা হাতে নিয়ে দেখলো পাকা আম। কিন্তু খোসায় রঙ না ধরায় বাইরে থেকে বুঝা যায় না পাকা না কাঁচা। আরও দু সপ্তাহ আগে শিপন লিচু, আম, আর দুইটা কাঁঠাল পাঠিয়ে দিয়েছিলো। আর তাদের গাছের আম সবেমাত্র পাকতে শুরু করেছে। নাফিসা আম নিয়ে জিহানকে ডাকতে ডাকতে ঘরে এলো। গতকাল আবিদা বেগম আয়েশা বেগমের কাছে গেছে। আজ বিকেলে ফিরবেন। এঘরে শুধু বড়মা ও জেরিন আছে। নাফিসার ডাকে সাড়া দিয়ে জিহান ড্রয়িং রুম থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এলো। এদিকে নিজের রুমে থেকে জেরিনও বলছিলো, “জিহান ড্রয়িং রুমে টিভি দেখে।”
নাফিসা টেবিল থেকে ছুরি নিয়ে ড্রয়িংরুমেই এলো। আমটিকে তিন টুকরো করে জিহানের হাতে এক টুকরো দিয়ে ভাবলো ইমরানকে আরেক টুকরো দেওয়া যাক। কিন্তু সে কোথায়! বেরিয়ে গেছে নাকি! জিহানকে জিজ্ঞেস করলো,
– জিহান, চাচ্চু কোথায়?
– বড় দাদুর সাতে।
নাফিসা বড়মার রুমের দরজার সামনে এসে থেমে গেছে! বড়মার কোলে মাথা রেখে ইমরান কান্না করছে আর কিছু বলছে! তার কথাবার্তা শুনে নাফিসা বুঝে গেলো ইমরান যে বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছিলো তাতে টিকেনি! আর এজন্যই ইমরান কান্না করছে আর বড়মা মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছেন! নাফিসারও মনটা খারাপ হয়ে গেলো! সে আম নিয়ে আবার ড্রয়িং রুমে এসে পড়লো। ছেলেদের কান্না মোটেও ভালো লাগে না নাফিসার! কিন্তু কান্না করবেই না কেন! কম কষ্টে কি আর কাঁদছে সে! এতোগুলো দিন পড়াশোনা করলো, দিন নেই, রাত নেই বই নিয়ে বসে থাকতো! তার রেজাল্ট কি এমন হওয়ার কথা ছিলো! ভাবতে ভাবতে নাফিসার চোখেই পানি এসে গেছে! কার্টুন দেখে জিহান হেসে খাটে লাফাতে লাগলে নাফিসার ভাবনায় ছেদ ঘটলো। সে চোখ মুছে এক টুকরো আম খেয়ে আরেক টুকরো জিহানকেই খায়িয়ে দিলো। অত:পর কিচেনে এলো। ইমরানের জন্য খাবার দিবে কি দিবে না তা ভেবে কিচেনেই কিছুক্ষণ ঘুরঘুর করলো। এই মুড নিয়ে সে এখন খাবে না ভেবে আর খাবার নিলো না প্লেটে। রাতের রান্নার ব্যবস্থা করতে লাগলো সে। জেরিন রান্নার ধারে না এলেও বাড়িঘর ঝাড়ু দিয়ে, আসবাবপত্র মুছে পরিষ্কার রাখে। এ অবস্থায় ঘর মুছতে দেয় না তাকে। ওইঘরের কাজ তো নাফিসাই করে সব, তাই নিশাতই মুছে দেয় এইঘর।
আসরের আযান দিলে বড় মা নামাজ পড়ে বেরিয়ে এসেছে রুম থেকে। নাফিসাকে রান্না করতে দেখে বললো,
– ওমা! রাধুনি সবজি কেটে রান্না বসিয়েও দিছে দেখছি!
নাফিসা ঠোঁটের এক কোনে হাসি ফুটিয়ে বললো,
– নামাজ পড়েছেন?
– হ্যাঁ। যা তুই গিয়ে নামাজ পড়। নিশাত মনে হয় ঘুম থেকে উঠেনি। ডেকে দিস।
– ছোট সাহেব নামাজে গেছে?
– হুম। ছোট সাহেবের মনটা খুব খারাপ। আল্লাহ ছেলেটার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন।
– দুপুরে খেয়েছে কিছু?
– বাসায় ফিরে তোর সাথে দেখা হয়নি?
– হয়েছে, কিন্তু কথা বলার মুডে ছিলো না।
– খায়নি কিছু। খেতে বললাম, বললো এখন খেতে ইচ্ছে করছে না। রাতে খাবে।
– আমি নামাজ পড়ে আসি।
– যা।
নাফিসা চলে এলো। নিশাতকে ডেকে তুলে দিলো। আর ওযু করে রুমে এসে দেখলো ইমরান চোখ বন্ধ রেখে শুয়ে আছে। মসজিদ থেকে মাত্রই এসেছে বোধহয়। জানে তার মনটা ভালো নেই তাই নাফিসা কোনো কথা বললো না। চুপচাপ নামাজ পড়ে নিলো। অত:পর দরজা চাপিয়ে বড় ঘরে চলে এলো। বড়মার সাথে রান্নাবান্না শেষ করলো। আরমান বাসায় এসে কল করেছিলো আবিদা বেগমকে আনতে যাবে কি-না। আয়েশা বেগম বললো, আরও দুদিন রেখে দিবে। আয়াতও বললো এখন আসতে দিবে না। অন্যদিকে আবিদা বেগম বললেন কাল এসে পড়বে। তাই আজ আর গেলো না আরমান। ইমরানের ব্যাপার জেনে সে ইমরানের কথা জিজ্ঞেস করলো নাফিসার কাছে। নাফিসা জানালো সে ঘুমাচ্ছে। তাই আর আরমান এলো না দেখা করতে।
মাগরিবের আজান পড়তে শুরু করেছে। নাফিসা রুমে এসে দেখলো ইমরান এখনো ঘুমাচ্ছে। বিষন্নতা ছেয়ে যাওয়া ঘুমন্ত মুখখানা দেখে সে তার পাশে বসে চুলের ফাঁকে আঙুল দিয়ে চিরুনী করলো এবং কপালে একটা পরশ দিলো। অত:পর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ডাকলো। ইমরান চোখ মেলে তাকাতেই সে বললো,
– মাগরিবের আজান পড়ছে তো। ওঠো..
ইমরান উঠে বসে ঘুম কাটাতে সমস্ত মুখমন্ডলে হাত বুলিয়ে কয়েকবার পলক ফেললো। নাফিসা বললো,
– সকালে খেয়ে গেছো, সারাদিনে আর খাওয়ার খবর নেই। ক্ষুধা লাগেনি?
– নাহ।
বিছানা ছেড়ে নামতে নামতে কথাটা বললো। নাফিসার দিকে না তাকানোর কারণে নাফিসা কিছুটা রেগে গেলো! যার ফলে আর ইমরানের বিছানা ছেড়ে নামা সম্ভব হলো না। কেননা তার আগেই নাফিসা এক হাতে তার শার্ট আঁকড়ে ধরে বললো,
– আমার সাথে এমন করছো কেন?
কিছু না বুঝতে পেরে ইমরান ব্রু কুচকে তার দিকে অবুঝের মতো তাকিয়ে রইলো! নাফিসা আবার বললো,
– আমার এতে কি দোষ? আমি তোমার বিসিএস পরীক্ষা নিয়েছি? আর আমি ইচ্ছে করে তোমাকে ফেইল করিয়ে দিয়েছি? আমাকে এমন ইগনোর করছো কেন?
ইমরান কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললো,
– কি আশ্চর্য! আমি তোমাকে কখন ইগনোর করলাম!
– ইগনোর করোনি? বাসায় ফিরেছো পরেও কিছু জিজ্ঞেস করলাম অথচ জবাব পেলাম না! এখনও কিছু জিজ্ঞেস করলাম যেন আমার দিকে তোমার তাকাতেই মানা! কেন? আমার কি দোষ এতে?
ইমরান বিরক্তি নিয়ে তার হাতটা ঝাড়ি দিয়ে ছুটিয়ে নামতে নামতে বললো,
– তোমার চেহারা দেখে দেখে আমাকে কথা বলতে হবে? সবসময় এমন ঢং ভালো লাগে না।
নাফিসার ভেজা চোখ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইমরানের যাওয়ার দিকে! দৃষ্টি যে খুব ব্যাথা প্রকাশ করছে তা কি লোকটা পেছনে ফিরে একবার দেখবে না! নাহ! দেখলোই না! চলে গেলো দৃষ্টির আড়ালে! নাফিসা চোখের ধার মুছে মনে মনে নিজের ভালোবাসার প্রতি নিন্দা প্রকাশ করলো,
“এজন্যই কাউকে বেশি ভালোবাসতে নেই! বেশি ভালোবাসলে না পারা যায় কোনো কারণে তার অবহেলা সহ্য করতে আর না পারা যায় তাকে কিছু বলতে! ভালোবাসা যত গভীর হয়, তত অভিমান বৃদ্ধি পায়! আর কারো মাঝে বিন্দু পরিমাণ ধৈর্যের অভাব থাকলে ক্ষুদ্র কারণ বা বিনা কারণেই মহাপ্রলয়ের সৃষ্টি হয়ে ধ্বংসলীলা বয়ে যায়! লোকে যা বলে ঠিকই বলে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না! ভালোবাসাটাও ভালো না! অতিরিক্ত ভালোবাসা অতিরিক্তই কাঁদিয়ে যায়! সব কিছুতে স্বল্পতা ই ভালো!”
বেশ কয়েকবার নিরবে চোখ মুছে গেলো নাফিসা। সে চাইছে না এক ফোঁটাও পানি গড়িয়ে পড়ুক! তবুও ভেতরটা কেমন যেন চেপে আছে আর চোখে অশ্রুধারা বইছে! ইমরান মসজিদে গেলে সে ওযু করে নামাজ আদায় করে নিলো। পরক্ষণে আবার ইমরান ঘরে এলে সে বড় ঘরে ড্রয়িং রুমে এসে টিভি অন করে বসলো। কার্টুন চলছে। সে কিছুক্ষণ একের পর এক চ্যানেল পাল্টালো। ভালো লাগছে না কিছু। তাই পরে আবার কার্টুনের চ্যানেলে দিয়েই সে চলে এলো নিশাতের রুমে। ইউটিউবে কিছুক্ষণ হিজাব স্টাইল দেখলো, কিছুক্ষণ শোপিচ তৈরি দেখলো আবার কিছুক্ষণ রান্নাবান্না দেখলো। নিশাত আশিকের সাথে কিছুক্ষণ চ্যাট করে পরে আবার বাংলা নাটক দেখছে। ইমরান এসে দরজা ঠেলে একবার উঁকি দিয়েছিলো। নাফিসা সেদিকে তাকায়নি। ইমরান নিশাতকে ডেকে বললো সে গেইটে তালা লাগিয়ে মসজিদে যাচ্ছে। তারা যেন নামাজ পড়ে নেয় এ ঘরে। সে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর উভয়েই নামাজ পড়ে নিলো। নাফিসা এবার টিংকারবেল কার্টুন দেখছে। ইমরান তাদের খাওয়ার জন্য ডাকলো। নিশাত বেরিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু নাফিসাকে বের হতে না দেখে ইমরান আবার এলো। সামান্য বিরক্তির সাথেই বললো,
– কথা কানে যায়নি? সবাই বড় ঘরে চলে যাচ্ছি আর তুমি একা একা থাকবে এখানে?
নাফিসা এবার রেগেমেগে বেরিয়ে এলো। কারো জন্য আর অপেক্ষা না করে একাই বড় ঘরে চলে এসেছে। খেয়েছে একসাথেই, কিন্তু নাফিসা একটা কথাও বলেনি। কাজকর্ম চলেছে তার নিরবে। খাওয়া শেষ হতেই নিশাতকে ডাকলো ওই ঘরে যাওয়ার জন্য। নিশাত এবং সে চলে এলো আর ইমরানের সাথে আরমান কিছুক্ষণ কথা বললো। ইমরানের মন খারাপ, সেই বিষয়েই। ইমরান রুমে এসে দেখলো নাফিসা মশারী টানিয়ে শুয়ে আছে। সে-ও নিজের মতো এসে শুয়ে পড়লো। দুজন দ্বিমুখী হয়ে দু প্রান্তে আর মাঝখানে ফাঁকা!
কারোই ভালো লাগছে এমন রেগে থাকতে! ইমরান ভাবছে, ” তখন এমনটা না বললেই পারতো। তার মন খারাপ কিন্তু নাফিসার তো কোনো দোষ নেই! সে কেন তার মন খারাপের কারণ সাফার করবে! কিন্তু তারই বা কি করার ছিলো! মেজাজ ভালো ছিলো না তাই হয়ে গেছে এমনটা! নাহ, মানিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।”
আর এদিকে নাফিসা ভাবছে, “সে তো জানতো তার মন খারাপ। মেজাজ ভালো ছিলো না তাই হয়তো এমনটা করেছে। কোনো প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হলে কার মন খারাপ না হয়! এতো প্রচেষ্টার বিপরীতে উদ্দেশ্য অর্জন না হলে সবারই কষ্ট হয়। এমন সময় এতো অভিমান করা ঠিক হবে না। যদিও তখন খুব কষ্ট লেগেছিলো। কিন্তু এখন ছোটখাটো বিষয় নিয়ে রেগে থাকলে চলবে না। বরং একজন জীবনসঙ্গী হিসেবে তার পাশে থাকাটা প্রয়োজন। তার ব্যথিত মনটাকে একটু শক্ত করার প্রচেষ্টা করতে হবে। অভিমান ভেঙে তার মন ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।”
ভেবে ভেবে দুজনেই একইসাথে পাশ ফিরলো। ইমরানের দৃষ্টি দেখে নাফিসা হয়তো বুঝে গেছে তার অভিমান ভাঙাতে আসছে! তখন নিজের অজান্তেই অভিমানটা আবার বেড়ে গেলো! তাই আবার অন্যপাশ ফিরে যাচ্ছিলো! ইমরান হাত বাড়িয়ে তাকে কাছে টেনে বললো,
– এতো মান কেন তোর! জানিস না আমার মনটা ভালো নেই? বুঝতে পারছিস না একটুও?
– কি বুঝবো? বলেছো আমার কাছে? আমাকে জানতেও দিবে না আবার অন্যত্র জেনে আমি তোমার মন ভালো করার চেষ্টা করবো সেই সুযোগও দিবে না! পেয়েছোটা কি? আমি দায়ী ছিলাম তোমার মন খারাপ হওয়ার জন্য? যা কারণে আমাকে এতো মেজাজ দেখাও!
নাফিসার কথায় অভিমান স্পষ্ট! অতি অভিমানে চোখ ভেজা হয়ে গেছে ও কথার সাথে সাথে ঠোঁটও কাপছে তার! ইমরান কপালে ঠোঁট ছুয়ে দিয়ে বললো,
– সরি।
এবার নাফিসা অভিমানহীন বললো,
– যা হওয়ার হয়ে গেছে। তা নিয়ে এখন শুধু শুধু মন খারাপ করার কি আছে! দ্বিতীয়বার ভেবো না পরাজয়কে। নতুন প্রচেষ্টায় উন্মোচিত হও।
– কোনো প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হলে কি ব্যাথা লাগে না? সেই ব্যাথাটা কি সহজেই বিলীন হয়ে যায়?
নাফিসা মাথা দু’দিকে নাড়লো। ইমরান তার চোখের ধার মুছে দিয়ে বললো,
– মুখে বলা যতটা সহজ তা বাস্তবায়ন করাটা ততটা সহজ না৷ সময় লাগবে আমারও।
নাফিসা উঠে লাইট অফ করে আবার ইমরানের সাথে জড়ো হয়ে বললো,
– আল্লাহ তোমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন। এভাবে ব্যথিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করো। ধৈর্য ব্যক্তির মহৎ গুণ। সব যন্ত্রণা গুলো ছুড়ে ফেলে ঘুমাও চুপচাপ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here