আমার আকাশ,Part:9,10

0
1111

আমার আকাশ,Part:9,10
Ayusha Akter Usha
Part:9

পরেরদিন সকাল বেলাই বেরিয়ে পরলাম ওই বাড়ি থেকে।আরস ভাইয়া আমায় বাড়ি পৌছে দিয়ে গেল।এরপর থেকেই আমি আমার পড়াশোনায় মন দিলাম।মনে হয় অন্য কোনদিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় আমার নেই।ধীরে ধীরে সময় কাটতে।আমি ইন্টার ফাইনাল এক্সাম শেষ করে ভার্সিটি ভর্তি হলাম।এতদিনে আকাশের সাথে মাঝে মাঝেই দেখা হতো।কিন্তু আমি সবসময় উনাকে এড়িয়ে যেতাম।উনিও কোনো কথা বলতেন না।এই ভাবেই সময় যেতে লাগল।একদিন আমি ভার্সিটি থেকে ফিরছি এমন সময় আচমকাই কেউ একজন এসে আমার সামনে বাইক থামালো।আচমকা বাইক থামায় আমি কিছুটা চমকে যাই।পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে দেখি আমার সামনে আকাশ বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।তাঁকে দেখে আমার রক্ত মাথায় চড়ল।এইভাবে চমকে দেওয়ার মানে কি।
-ঊষা বাইকে উঠে এসো।
-কেন আমি আপনার বাইকে উঠবো কেন।
-তোমার সাথে কিছু কথা আছে আমার প্লিজ ঊষা একটু সময় দাও আমার নিজেকে এক্সপ্লেন করার।
-দেখুন আমি এসব বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।আপনি আসতে পারেন।
-ঊষা তোমার সাথে আমার একটা ইম্পোর্টেন্ট কথা ছিল।প্লিজ কিছু সময় দাও আমায়।
-যা বলার এখানেই বলেন।আপনাকে দেওয়ার মতো কোনো সময় আমার নেই।
-ঊষা প্লিজ।
-আমি বললাম তো যা বলার এখানেই বলুন।
-ওকে ফাইন।শোনো আমি আজই চলে যাচ্ছি।তুমি নিশ্চয়ই জানো যে আমি আর্মির জন্য ট্রাই করছিলাম।আমি চান্স পেয়ে গেছি।আজ রাতের ট্রেনে আমি চলে যাচ্ছি আর্মি ট্রেনিংয়ের জন্য।ভেবেছিলাম আজকের দিনটা তোমার সাথে টাইম স্পেন্ড করব।তোমার সাথে কাটাবো তোমার অভিমান ভাঙবো।কিন্তু তুমি আছো তোমার জেদ নিয়ে।থাকো তুমি সেই জেদ নিয়ে।অল দ্যা বেস্ট ফর ইওর জেদ বাই।
বলেই উনি এমন ভাবে বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে গেলেন যেন ওই বাইক টা আমি।পারলে আমাকেই ওইভাবে স্টার্ট দিত।উনি চলে গেলেন।ওনার যাওয়া দেখে আমার বুকটা দুমরে মুচরে গেল।আগে তো তবু দুদিন একদিন দেখা হচ্ছিল এখন তাও হবে না।কিন্তু আমার তো এসে খুশি হওয়ার কথা।তাহলে আমি খুশি হতে পারছি না।মনে হচ্ছে কেউ বুকের মাঝে খুব জোরে হাতুড়ি পিটছে।চোখ ছলছল করে উঠল।কেন তা আমি নিজেও জানি না।নিজেকে সামলে আমি চললাম বাড়ির দিকে।সময় যেতে লাগল।দিনের পর সপ্তাহ সপ্তাহের পর মাস।মাসের পর মাস কাটতে লাগল।আমি পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরলাম।কিন্তু এর মাঝেও উনার একাকিত্ব টা আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।উনার একাকিত্বের অনুভব টাই আমাকে বুঝিয়েছে আমি উনাকে ভালোবাসি।হ্যা আমিও উনার প্রতি দূর্বল হয়ে পরেছি।উনার স্মৃতি আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।এরই মাঝে খবর পেলাম উনি ট্রেনিং থেকে ফিরে এসেছেন।উনার সিলেক্সন ও হয়ে গেছে।সত্যিই মনের মাঝে একটা শীতল হাওয়া বয়ে গেল।উনাকে দেখার ইচ্ছে প্রবল হলো।পরের দিন কলেজ করে উনার গ্রামে চলে গেলাম উনাকে দেখতে।উনাদের বাড়িতে যেতে হলো না কারন রাস্তা দিয়েই উনাকে দেখা যাচ্ছে।আকাশ দের বাড়িটা অনেক বড় হওয়ায় ওনাদের ছাদ রাস্তা দিয়েই দেখা যায়।আমিও রাস্তাতেই দাড়ালাম।কারন ছাদে ওনাকে দেখা যাচ্ছে।উনি একটা চেয়ারে গীটার হাতে বসে আছেন।দূর থেকেই দেখছি উনাকে।কি সুন্দর লাগছে উনাকে।চুল আর্মি ছাট দেওয়া।নীল রঙের গেঞ্জি আর গ্যাবাডিংয়ের প্যান্টে সত্যিই উনাকে খুব সুন্দর লাগছে।এর আগে কখনোই আমি উনার দিকে এমন ভাবে দেখিনি।তাই হয়তো ওনার সৌন্দর্য টা আমি বুঝতে পারিনি।এজন্যই বুঝতে পারিনি এতো মেয়ে ওনার প্রতি ক্রাশিত কেন।আজ উনাকে দূর থেকে দেখে আমি নিজেই ক্রাশ খেলাম।কিন্তু আমি এখন উনাকে কি করে বলি যে আমি উনাকে ভালোবাসি।এখন যদি বলি ভালোবাসি তাহলে হয়তো উনি ভাববেন উনি জব পেয়েছেন তাই আমি উনাকে এখন ভালোবাসি।আমি কোনো অপবাদ নিতে চাই না ।তাই আমি ওখান থেকে চলে এলাম।ওনাদের গ্রাম থেকে এসে সোজা বাড়িতে ঢুকি।আজ মনটা খুব ফুরফুরে লাগছে।ভাইয়ার সাথেও জমিয়ে ঝগড়া করেছি।পরেরদিন আর ভার্সিটি যাইনি।বাড়িযে বসেই নোট করতে লাগলাম।বাড়িতেও কেউ নেই।সবাই সবার কাজে বেরিয়েছে।আমি আমার ঘরে বসে বসে টিভি দেখছি আর নোট করছি এমন সময় মনে হলো কেউ আমার পাশে এসে দাড়ালো।চোখ তুলে তাকাতেই আমি অবাক।আমার পাশে আকাশ দাঁড়িয়ে আছে।তাকে দেখেই আমি উঠে দাড়ালাম।
-আপনি এখানে??
-তুমি জানো আমি ট্রেনিং শেষ করে বাড়ি ফিরেছি তবু ও আমাকে একবার দেখতে যাওনি কেন?
-আআমার ইচ্ছে হয়নি সেজন্য যাইনি।আপনি এখন আসুন।আমার কাজ আছে।
কথাটা বলে উনার কাছ থেকে সরে আসতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না।তার আগেই উনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।
-ঊষা কেন বার বার আমার থেকে দূরে যাও।তুমি বঝো না আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।আগে তবুও লুকিয়ে হলেও প্রতিদিন তোমাকে দেখতাম কিন্তু ওখানে গিয়ে একবারের জন্য ও তোমাকে দেখতে পাইনি।আর নাই তোমার সাথে কোনো কথা হয়েছে।তুমি জানো আমি তোমাকে কতটা মিস করেছি।ওখান থেকে আসার জন্য আমার মনটা ছটফট করছিল।তবু ও আমি ওখানে সব কষ্ট সহ্য করে সব টেস্টে উর্ত্তীর্ণ হয়েছি।কেন জানো।কারন যদি আমি চাকরী পাই তাহলে আমি তোমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে পারবো শুধু তাই ভেবে।কিন্তু তুমি এখন পর্যন্ত আমাকে এড়িয়ে চলছ কেন ঊষা।আমি কি তোমার যোগ্য নই।
আমি নিজেকে উনার থেকে ছাড়াতে চাইছি কিন্তু পারছিনা।এমন সময় দরজার দিকে চোখ যেতেই আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরল।এখন কি হবে।কি করব আমি।আমার বুক ধকধক করা শুরু করল।কারন দরজা দাঁড়িয়ে আছে স্বয়ং…..
to be continue….

আমার আকাশ
Ayusha Akter Usha
“”10″”
-মাআআ।।।।
আমার মুখে মা কথাটা শুনে আকাশ আমাকে ছেড়ে দরজার দিকে তাকালো।দরজায় মা তাকিয়ে আছে।মাকে দেখে আকাশ অবাক হয়ে গেল।
-আআন্টি আসলে।
-সাট আপ আকাশ।আমি এখন কিছু শুনতে চাইছি না।তুমি বাড়ি যাও।
-আন্টি প্লিজ একবার আমার কথাটা তো শুনুন।
-আমি বলছি বাড়ি যাও তুমি।
-আন্টি এখানে ঊষার কোনো দোষ নেই।
-আকাশ আমি বলেছি আমি এই মূহুর্তে কিছু শুনতে চাইছি।বেরিয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে।
ময়ের কড়া গলা শুনে আকাশ একবার আমার দিকে অপরাধী দৃষ্টিতে তাকালো।তারপর আবার মাকে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল।কারন এখন মাকে কিছু বোঝালে তার উল্টোটাই সে বুঝবে তাই আর কিছু না বলেই উনি বেরিয়ে গেলেন।
আমার বুক ধুকপুক ধুকপুক করছে কারন এই বিষয় টা আমাদের বাড়ির সবাই জেনে গেছে।বাবা আকাশদের বাড়িতে গিয়ে বলেছে তারা যেন নিজের ছেলেকে সামলে রাখে।এই কথাটা শুনে তাঁরাও চেতে যায় এক কথায় দুই কথায় তর্কাতর্কি লেগে যায়।ঝগড়ার এক পর্যায়ে এসে তারা আমাকে ক্যারেক্টারলেস পর্যন্ত বলে।আমি নিরব দর্শকের মতো সব সহ্য করে যাচ্ছি।এই ঝগড়ার একটা বড় ঝড় আমার উপর দিয়ে যায়।সহ্য করতে হয় প্রচন্ড আঘাত।বাবা মা কখনোই ভাবেনি যে আমি এমন কিছু করতে পারবো।তাই হয়তো এই আঘাত টা একটু বেশিই গভীর ছিল।দুই পরিবারের সম্পর্ক ভাঙলো।আর একটা নতুন সম্পর্কের সূচনা হওয়ার আগেই সমাপ্ত হয়ে গেল।বাবার রাগ করে আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পরে লাগলেন।আমি কোনো মতে বাবার হাতে পায়ে ধরে অনেক কান্না কাটি করে বাবার কাছে ভিক্ষে চাইলাম যেন তারা আমাকে আর কয়েকটা বছর পড়া লেখার সুযোগ দেয়।নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়।প্রথমে বাবা না মানলেও পরে রাজী হন।কিন্তু তবুও আমি বাবা মা কাছে এক কলঙ্কিত মেয়ে হয়েই রয়ে গেলাম।যেআ মেয়ের ঘরে দিন দাহারে একটা ছেলে ঢোকে।পাড়া প্রতিবেশি ও এ নিয়ে কানাঘুষা করে।মুখের ওপর কিছু না বললেও পিঠপিছে অনেক অপবাদ ই আমাকে দেয় তারা।এই সময়ে আমার পাশে ছায়া হয়ে থেকে ছিল আমার ভাই।সত্যিই আমি তাঁকে বুঝি না।একটা সময় ছিল যখন আমাকে খোটা দিতে দিতে তার সময় যেত।আর সেই আমাকে আগলে রেখেছে।বাবা মা ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হলেও সে কখনোই তার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হতে দেয় নি আমায়।তার কিছুদিন পরেই আকাশ আর্মি ক্যাম্পে জয়েন করে এইভাবেই কাটতে লাগল আমাদের দিন গুলো।অনেক বাধা পেরিয়ে পড়াশোনা শেষ করলাম।একটা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ছুটে বেরিয়েছি চারিদিক।কিন্তু বলে না স্বপ্ন দেখা যতটা সহজ সেটা পূরণ করা তার থেকেও অনেক বেশি কঠিন।তাই অনেক চেষ্টার পরে কোনো ব্যাংকে জব পেলাম না।তাই হাল ছেড়ে দিয়ে শহরের এক স্কুলে Mathematics এর টিচার হিসেবে জয়েন হলাম।এরই মাঝে অনেকবার আকাশের সাথে আমার দেখা হয়েছে।আমি তাঁকে বারবার এড়িয়ে গেছি।কারন এই বিষয়ে যেই ঝামেলায় আমি একবার পরেছে তা আমি বার বার চাই না।আর এতো বছর পর হয়তো উনি আমায় ভুলেই গেছেন।আমাকে ভুলে হয়তো অন্য কাউকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন।কিন্তু ওনার প্রতি আমার অনুভুতি গুলো যে আবেগ নয় সেটা আমি খুব ভালো করে ই বুঝেছি।তাই তো এতো বছরেও আমি উনাকে ভুলতে পারলাম না।আর কোনোদিন ভুলতে পারবো ও না।এদিকে বাবা আমার জন্য ঘর দেখা শুরু করে দিয়েছে।বারবার আমাকে দেখতে এসে সবাই ঘুরে যাচ্ছে।কারো আমার গায়ের রঙ পছন্দ হয় না তো আবার কারো যৌতুক নিয়ে মন ভরে না।প্রত্যেকটা ঘর এসে ঘুরে চলে যায়।এতে আমার কোনো মাথা ব্যথা না থাকলেও বাবা মাকে দেখেই খারাপ লাগে।একটা মেয়ে যখন ঘরে থাকে তখন হয়তো অনেক চিন্তাই বাবা মা কে করতে হয়।তাঁদের সান্তনা দেওয়ার ভাষা তখন থাকে।এইভাবেই দিন কাটতে লাগল।একদিন আমি স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছি।এমন সময় আমার সামনে এসে একটা গাড়ি দাড়িয়ে পরল।গাড়ি আমার সামনে দাঁড়িয়ে পড়ায় আমি খুব অবাক হলাম।কিন্তু আমাকে অবাক হওয়ার সময় টুকু না দিয়ে ভেতর থেকে কয়েকটা মাস্ক পরা লোক বেরিয়ে এসে আমাকে গাড়িতে তুলল।আমার হাত চোখ মুখ বেঁধে দিল।আমি নিজেকে ছাড়ানোর অব্যর্থ চেষ্টা করছি।গাড়ি চলতে লাগল।আমি কিছুই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।এক অজানা ভয় মনের মধ্যে বাসা বাধছে।কেউ আমাকে কেন এইভাবে কিডনেপ করবে কি হচ্ছে আমার সাথে।এমন সময় গাড়ি থামলো।তারা আমাকে নিয়ে গ্ড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করল।আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।তারা হাটতে হাঁটতে এক সময় থেমে গেল।আমাকে সেখানে রেখেই তারা কোথায় চলে গেল।কিছুক্ষণ পর কেউ একজন আমার হাতের বাঁধন খোলা শুরু করল।হাত খোলা পেয়েই আমি সাথে সাথে চোখের আর মুখের কাপড় খুলে ফেললাম।চারিদিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম আমি একটা ঘরের মধ্যে রয়েছি।তারপর সামনে তাকাতেই যাকে দেখলাম তাতে সত্যিই আমার অবাক হওয়ার মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গেল।
-আপনিইই।।।।
-হ্যা আমি।।।
তীক্ষ কণ্ঠে বলে উঠলেন আকাশ।
-আমাকে এইভাবে এখানে আনার মানে কি।
-এইভাবে আনার অনেক কারন আছে।তোমার সাথে ভালোভাবে দু মিনিট কথা বলতে চাইলে তুমি সবসময় আমার থেকে দূরে যাও।তাই আজ এইভাবে তোমাকে আমার কাছে এনেছি।
-এইসব অসভ্যতামো যে একমাত্র আপনিই করতে পারেন তা আমার অনেক আগেই ভাবা উচিৎ ছিল।
-হ্যাঁ আমি অসভ্যতামো করেছি।কিন্ত তা আমি শুধু তোমার সাথে দু দন্ড ভালো ভাবে কথা বলার জন্য
-কি এমন কথা বলতে চান যার জন্য আমাকে তুলে আনতে হলো।
-শুনলাম তোমার জন্য নাকি তোমার বাবা ঘর দেখছে।
-হ্যা দেখছে।আর দেখা শেষ ও হয়ে গেছে।আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।শুনেছেন আপনি আর কিছু বলার আছে আপনার।এবার আমাকে যেতে দিন দয়া করে।
বলেই চলে আসতে নিলে উনি আমার হাত ধরে ওনার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়।
-সবসময় তোমার যাওয়ার এতো তাড়া থাকে কেন ঊষা।আমি তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটা আর কতবার বলব।আমি কি তোমার যোগ্য নই আমাকে ভালোবাসতে তোমার প্রোবলেম কোথায়।কেন আমাকে বিয়ে করা যাবে না।
-শুনুন আপনাকে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।দয়া করে আপনি আমার থেকে দূরে থাকুন।এতে আপনার আর আমার দুজনেরই পরিবারের জন্য ভালো।
-ওতো ভালো মন্দ আমি বুঝি না।আমি তোমাকে চাই।শুধু তোমাকে চাই একবার শুধু তুমি রাজী হয়ে যাও ঊষা শুধু একবার মুখ ফুটে বল ভালোবাসো…..
-আর যদি না বলি।
এবার উনি আমার কথা শুনে রেগে গিয়ে আমার দুই বাহু চেপে ধরে বললেন
-তুমি না বললে আমি খুব ভালো করে জানি তোমাকে কি করে বলাতে হয়।

to be continue….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here