স্টুডেন্ট The One Villain,পর্ব_২
লেখক_সুর্য_হুসাইন
The villain
এর মধ্যেই পকেটে থাকা মোবাইলটা সাউন্ড করে বেজে উঠলো ।
আমি রিসিভ করতেই,,,,,
— ভাই আরাফ তো আমাদের হাতে এখন । কি করবো সেটা বলেন ভাই ।
(রাফি)
— আরাফকে বেধে রাখ ! আমি সন্ধার দিকে চলে আসবো সেখানে ।
তারপর ওর সাথে আমার লাস্ট বুঝাপড়া হবে । ওর,কতো বড় সাহস যে আমার বারণ করা সত্বেও আমার কলিজা ভাই আলভীকে কিডন্যাপ করতে চেয়েছিলো ।
(আমি)
–ঠিক আছে ভাই ।
(রাফি)
তারপর ফোনটা কেটে আংকেলের কথা,মতো খেতে যাই ।
খাওয়ার সময় আংকেল বললেন,,
— তোমার আব্বুর কি অবস্থা?
(আংকেল)
— হুম আংকেল আব্বা ভালোই আছে ।
(আমি)
— কয়েকদিন আগে শুনছিলাম যে,, তোমার আব্বুর কিডনীর সমস্যা হয়েছিলো?
(আংকেল)
— জ্বী আংকেল একদমই,,,
(আমি)
— তা অপারেশন করিয়েছো?
(আংকেল)
— জ্বী,,,,,
(আমি)
— ভালো করেছো,, আর ছোট ভাই আলভীর পড়াশোনা কতদূর?
(আংকেল)
— ও আমাদের বাসার কাছেই স্কুলে ভর্তি হয়েছে৷ এবার সেভেনে ।
(আমি)
— তাহলে তো এখন ভালোই তো কাটছে তোমাদের দিনকাল?
(আংকেল)
— এক্কেবারে ।
(আমি)
এর মধ্যেই চুপি চুপি একটা মেয়ে এসে আংকেলের পিছনের কাধটা জড়িয়ে ধরলো ।
আর আংকেল বলতে লাগলো,,,
— এটা নিশ্চয়ই অনু
(আংকেল)
— উহু,, অন্য কেউ!
(মেয়েটি মুচকী হাসতে হাসতে)
— এটাই অনু ৷
(আংকেল)
— হুমমম।
(এবার মেয়েটি বললো)
তারপর মেয়েটি আংকেলের কোলে উঠে
বসলো । আংকেল খাওয়ার টেবিলেই তখন বসে ছিলো । ছোট মানুষের কাজই তো কারো কোল খোজা ।
এই মেয়েটিরও একই অভ্যাস ।
আমি খাওয়া বাদ দিয়ে তাদের তামাশা দেখছি,, অনু মেয়েটি আংকেলকে খেতেই দিচ্ছে না ।
আমাকে হঠাৎ করে খেয়াল করলো ছোট্ট মেয়েটি,,
— উনি কে নানু?
(অনু সেই ছোট্ট মেয়েটি)
বয়স কত হবে ৮ বছর হবে । শহরে এটাকেই ছোট হিসেবে গন্য করে ।
আর মেয়েটির মুখে নানু ডাকায় বুঝতে সুবিধা হলো মেয়েটির সাথে আংকেলের সম্পর্ক ।
কিন্তু একটা জিনিস মাথায় কাজ এক্কেবারেই করলো না । সেটি হলো মেয়েটির বাবা মা তাদের একজনের কাউকেই দেখতে পেলাম না ।
— এ হলো তোমার ভাইয়া,,
(আংকেল)
— আচ্ছা নানু,, আমার যে একটা বড় ভাই আছে তুমি আগে কখনো তো কখনো বলোনি,,,
(ছোট্ট মেয়ে অনু)
— সে তো বাসায় ছিলো না । তাই বলিনি ।
(আংকেল)
— কোথায় ছিলো ভাইয়া?
(অনু)
— সেটা তো আমি জানি না । তুমি তাকেই জিজ্ঞেস করো ।
(অনু)
— ভাইয়া তুমি এতোদিন কোথায় ছিলে,, জানো আমাদের বান্ধবীদের স্কুলে এসে ভাইয়া আপু নিয়ে আসে ,, কত সময় তো বাবা মা নিয়ে আসে ।
আর আমাকে শুধু নানু নিয়ে আসে,, তাও কয়েকদিন পর পর ।
(ছোট মেয়ে অনু)
(আহারে মেয়েটির কি কষ্টই না)
— ওহ,, আজ থেকে আমি তোমায় দিয়ে এবং নিয়ে আসবো কেমন ।
(আমি)
অনু আংকেলের কোল থেকে নেমে আমার কাছে এসে বললো,,
— একটু মাথা নিচু করো তো ভাইয়া,,
(অনু)
— কেন?
(আমি)
— আহা করোই না ।
(অনু)
তারপর আমি মাথা নিচু করতেই অনু একটা চুমু খেল আমার কপালে । এবং বললো,,
— তুমি অনেক ভালো ।
(অনু)
তারপর দৌড়ে চলে গেল একটা রুমের দিকে ।
আমি খেয়াল করলাম আংকেল অনুর দিকেই তাকিয়ে আছেন ।
— আংকেল অনুর মা বাবা নেই নাকি?
(আমি)
আংকেল আমার কথা শুনে আমার দিকেই তাকালো এবং বলতে লাগলো,,
— আছে,,, কিন্তু তারা নিজেরা আলাদা হয়ে জীবন যাপন করছে ।
(আংকেল)
— মানে,, একটু খুলসা করে বললে বুঝতাম আরকি ।
(আমি)
— তারা দু’জন দু’জনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো । বিয়ের হওয়ায় ভালোই কাটছিলো তাদের দিনকাল । আমার মেয়ের বাচ্চা অনু হওয়ায় । অনুর আব্বু তার সাথে বাজে ব্যবহার করে । তার নাকি ছেলে লাগবে ,, মেয়ে নয় ।
আমার মেয়ে তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তালাক নিয়ে নেয় । এবং অনুকে রেখে অন্য আরেকটা বিয়ে করে নেয় । তারপর থেকেই অনু আমার কাছেই আছে । আজ অবদি কখনো একবারের জন্যও আসেনি তার মা নিজের মেয়ে অনুকে দেখতে । তার মতামত অনু হওয়ায় নাকি তার জীবনের সুখ হারিয়ে গেছে ।
(আংকেল)
— ওহহহ,,,,
(আমি)
— আচ্ছা এবার কেয়ে নাও তো বাবা,,
(আংকেল)
মনটা খারাপ হওয়ায় বেশি খেতেও পারলাম না ।
খাওয়া দাওয়া শেষ হলে স্বাভাবিক মানুষের মতোই নিজেও শার্ট পেন্ট পরে বের হলাম আরাফ নামক শত্রুটাকে শেষ করতে ।
হাটতে হাটতে আমার নিজের গাড়িতে উঠে পড়লাম ।
আংকেলের বাসা থেকে একটু দূরেই আমার নিজের গাড়িটা পার্কিং করে রেখেছিলাম৷। যাতে করে আংকেল বা পরিচয় কেউ টের না পায় আমি কোন সাধারণ মানুষ নয় ৷
গাড়িতে করে আমার লোকজন যেখানে আরাফকে রেখেছিলো সেখানে চলে এলাম । গাড়িটা সাইড করে দোকানের মতো একটা রুমে চলে গেলাম ।
দেখতে পেলাম রাফি বসে আছে,, আমাকে দেখতে পেয়ে রাফি উঠে দাড়িয়ে আমাকে সাথে করে নিয়ে গেল আরাফের কাছে,,,
আরাফের কাছে আসতেই,, আরাফ………
চলবে..?.
গল্পের ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।
আমার খুব মাথা ব্যাথা । টাইপিং করতেওও পারছিলাম না এমন অবস্থা । তারপরও আল্লাহর রহমতে গল্প দিলাম । দুয়া করবেন আমার জন্য সবাই ।