স্টুডেন্ট_The_One_Villain,পর্ব_৩
লেখক_সুর্য_হুসাইন
গাড়িতে করে আমার লোকজন যেখানে আরাফকে রেখেছিলো সেখানে চলে এলাম । গাড়িটা সাইড করে দোকানের মতো একটা রুমে চলে গেলাম ।
দেখতে পেলাম রাফি বসে আছে,, আমাকে দেখতে পেয়ে রাফি উঠে দাড়িয়ে আমাকে সাথে করে নিয়ে গেল আরাফের কাছে,,,
আরাফের কাছে আসতেই,, আরাফ বললো,,
— তার মানে তুই আমাকে কিডন্যাপ করেছিস?
তোর কত বড় ইসপরদা
(আরাফ)
— হ্যা আমিই তো কিডন্যাপ করেছি,, আর চারপাশে সব লোকজন আমারই ।
(আমি)
আমার কথায় আরাফ চারদিকে একবার তাকালো ।
— তুই জানিস না আমার বেগ রাউন্ড সম্পর্কে?
আমার ছোট ভাই তোকে এবং তোর ছেলেপুলেকে কুত্তার মতো জবাই করবে ।
(আরাফ)
এর মধ্যে আমি ওর সামনের চেয়ারে বসে পড়লাম ।
— তোর ভাই কেন ? তোর চৌদ্দগুষ্টি জানতে পারবে না আমি তোকে মেরেছি । আর কুত্তার মতো আমি নই,, তোকে মারবো এখন আমি ।
(আমি)
— কি তুই আমাকে মারবি !!
(আরাফ)
আমি এখন আমার হাতের কনুয়ের কাপড়টা সড়িয়ে ফেললাম ।
এটা দেখে আরাফ ভয়ে ভয়ে বলতে শুরু করলো,,,
— তুই সেই টেরোরিস্ট যে কি না ভিলেন,,,,?
(আরাফ)
— হ্যা আমিই ভিলেন ।
তোর কতো বড় সাহস হয় আমার কলিজার ছোট ভাইকে কিডন্যাপ করার ধমকি দিস!!
(আমি)
— প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দে! আমি তোর ভাই কেন আমি আর কারো ভাই বোনকে কিডন্যাপ করার ধমকি দিবো না ।
(আরাফ)
— তুই যখন জেনেই গেছিস আমার পরিচয়,, তাহলে তোর বেঁচে থাকার কোন অধিকার নাই,,
(আমি)
— আমাকে মেরে ফেললেও একদিন সবাই জানবে তুইই ভিলেন ।
(আরাফ)
— সেটা নাহয় পরে দেখে নিবো আগে তোর মুখটা বন্ধ করার ব্যবস্থা করছি,,
বলেই নিজের শার্টের পকেট থেকে পেইনটা বেইর করে সোজা আরাফের চোখের কালো মনির ভিতরে ঢুকিয়ে দিলাম ।
সাথে সাথে মনিটা ফেটে রক্ত গড়গড় করে বের হতে লাগলো । আরাফের পুরো শরীরটা ছটফট করতে লাগলো চেয়ারের উপর ।
রুমের ভিতরে থাকা লোকজনও এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখে সবাই এক হাত পিছিয়ে গেল । রাফিও পিছিয়ে গেল । কিছু সময় পর চোখ বেয়ে পুরো শরীরে রক্তের বন্যা বয়ে গেল । আমার শার্টেও দু এক ফোটা লেগে গেল ।
তারও একটু পর আরাফের দেহ থেকে প্রাণ উড়ে গেল ।
আমি শুধুই তাকিয়ে আছি আরাফের দিকে ।
— ভাই আরাফ শেষ হয়ে গেছে ।
(রাফি)
— হ্যা,, এবার তোরা এখান থেকে চলে যা !!
(আমি)
— আর লাশের কি হবে?
(রাফি)
— যেতে বলছি,, সো চলে যা সবাই । আর হ্যা আমাকে কয়েকদিন কোন ফোন বা যোগাযোগের চেষ্টা করবি না ।
(আমি)
— ঠিক আছে ভাই,,
তারপর রাফি ও সেখানে থাকা লোকগুলো চলে গেল ।
সবাই চলে গেলে আমি আর বসে না থেকে আমিও রওয়ানা দিলাম চলে যাবার জন্য ।
বাইরের গাড়িতে উঠে আগে নিজের শার্টটা পাল্টিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে এলাম আংকেলের বাসার কাছে ।
আংকেলের বাসা থেকে একটু দূর পার্কিং করে পিছনের সিট থেকে শার্টটা নিয়ে ডাস্টবিনের ফেলে দিলাম ।
পাশের দোকান থেকে অনুর জন্য কিছু আসক্রিম ও চকলেট নিয়ে আলকেলের বাসায় চলে এলাম,,
বাসার বাইরে এসে কলিং বেল বাজালাম,,
ভিতর থেকে আংকেল উত্তর দিলো,,
— কে? ওখানে?
(আংকেল)
— আমি সূর্য আংকেল ।
(আমি)
আংকেল দরজা খুলে দিয়ে বললেন,,
— শুনো বাবা এতো রাত করে বাসার বাইরে থাকাটা ঠিক না ।
(আংকেল)
আংকেলের কথায় আমি নিজের হাতের ঘড়ির দিকে তাকালাম ।
রাত ১০ বাজে ।
— সরি আংকেল,, আর হবে না,,,
(আমি)
— ঠিক আছে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো,, তোমার জন্য অনুও কিছু খায়নি ,,,, সকলেই একসাথে খাবো ।
(আংকেল)
— অনু কই আংকেল?
(আমি)
— তোমার রুমেই আছে ,,
আমি রুমে গিয়েই টাশকি খেয়ে পড়ি,,
আমার রুমে এ আমি কাকে দেখছি,,,,
অনু ও তার সাথে আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড টয়া ।
কিন্তু এখানে কি তার ।
এগুলো ভাবতে ভাবতেই টয়া আর অনু আমাকে দেখে ফেললো । টয়ার দিক তাকাতেই টয়ার মুখে দেখতে পেলাম একটা কালো ছায়ার মতো হয়ে গেছে ।
অনু এসে আমার হাত ধরে টয়ার কাছে নিয়ে গেল,,, এবং বলতে লাগলো,,
— ভাইয়া,,, এ হলো আমার পাশের বাসার ভাবী,,,,,,,
ভাবী ডাকাতেই আমার মনের ভিতরে ব্যাথা হতে লাগলো ।
আর তখনিই টয়া তার হাত…….
চলবে..?