স্টুডেন্ট_The_One_Vilkain,পর্ব_৫

0
888

স্টুডেন্ট_The_One_Vilkain,পর্ব_৫
লেখক_সুর্য_হুসাইন

আমি উঠে বসে পড়লাম । কফিটা হাতে নিয়ে নিউজ ফেডে চোখ রাখতেই আরাফের নিউজটা নিজের চোখে পড়লো । দেখতে পেলাম আরাফের চোখে আমার সেই কলমটা
রয়েই গেছে । আর আমার মুখে জ্বলন্ত হাসি ফুটছে ।

নিউজটা বিছানার পাশে ছোট্ট টেবিলেই রেখে কফিটা শেষ করে রেডী হয়ে অনুকে সাথে করে নিয়ে ওর স্কুলে দিয়ে চলে এলাম আমার
কলেজে ।

কলেজে আসলে মারুফ আমায় পাকড়াহো করলো,,,,

— এভাবে চেপে ধরলি কেন?
(আমি)

— আমাকে একটা হেল্প করে দিতে হবে তোর,,,
(মারুফ)

— কি হেল্প?
(আমি)

— কলেজের ক্রাস গার্লের কাছে বলতে হবে আমি তাকে ভালোবাসি ।
(মারুফ)

— সরলি তুই! আমি কোন ব্রোকার টোকার হতে পারবো না । তুই গিয়ে অন্য কাউকে বল ।
(আমি)

— প্লিজ দোস্ত এমন করে বলিস না । তুই বললা,,
(মারুফ)

মারুফের এমন আকুতি করায় বললাম,,

— ঠিক আছে,, কিন্তু আমি তাকে চিনি না ।
(আমি)

— ওহহ,, তাই তো,, আচ্ছা চল আমার সাথে ,,
তারপর মারুফ আমাকে লাইব্রেরী রুমের দিকে নিয়ে হাত দিয়ে ইশারা করিয়ে বললো,,

” ওটাই,,,,

মেয়েটিকে দেখার সাথে সাথেই নিজের ভেতরটাও কেমন করে মোচর দিয়ে দিলো ।
এতো সুন্দর একটা মেয়ে যা বলে বুঝানো যাবে না ।

— যা তুই গিয়ে বল তো আমি তাকে ভালোবাসি,,
(মারুফ)

— কিন্তু মেয়েটি তো পড়াশোনা করছে টেবিলে ।
(আমি)

— মেয়েটা সব সময়ই পড়াশোনা নিয়ে থাকে,, ব্রিলিয়ান্ড ছাত্রী আমাদের কলেজের ।
(মারুফ)

— এখন যদি গিয়ে বলি কিছু তো আবার বলবে না?
(আমি)

— তুই এতো ভিতু কেন?
(মারুফ)

— আমি যদি ভিতু হই তাহলে তুইই তো আস্তো ভিতুর ডিম ।
(আমি)

— দেখ, এখন তর্ক করার সময় না । তুই যা তো,,
(মারুফ)

মারুফের কথায় আমি মেয়েরির পড়ার টেবিলের কাছে এসে কাশি দিলাম ।
মেয়েটি পড়া বাদ দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,

— কিছু কি বলবেন?
(মেয়েটি)

— জ্বি,,,, না,,,
(আমি)

— কি জ্বি না । বললে বলতে পারেন /
(মেয়েটি)

— আপনার নাম?
(আমি)

— কিরণ,,
(মেয়েটি)

— সুন্দর নাম তো,,, আমি সূর্য হুসাইন
(আমি)

— আর কিছু বলবেন?
(কিরণ)

–আপনাকে একজন ছেলে ভালোবাসে!!!
(আমি মনে সাহস নিয়ে)

— আচ্ছা ভালো তো,,,,
(কিরণ)

— ভালো,,?
(আমি)

— হ্যা ভালোই তো,, তা সেই ছেলেটি কে শুনতে পারি?
(কিরণ)

— ঐ যে ওখানে দাড়িয়ে আছে সে,,
আমি হাত দিয়ে মারুফের দিকে ইশারা করলাম,, আর মেয়েটা সেদিকে তাকালো । মারুফ একটা মুচকি হাসি দিয়ে শার্টটা ঠিক করলো ।

— আচ্ছা আমি এখন আসি,,
(কিরণ)

— কই যাবেন?
(আমি)

— যে আমাকে ভালোবাসে,, তাকেও তো আমার ভালোবাসা দিতে হবে তাই না ।

বলেই ব্যাগটা গুছিয়ে মারুফের সামনে গেল কিরণ । মারুফ তো মহাখুশি । কিরণ মারুফের সামনে গিয়েই ঠাস ঠাস করে দুইটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো মারুফের দুনো গালে ।

সেটা দেখেই আমার নিজের গালে হাত পড়লো আমার ।

তারপর কিরণ আমার দিকে একবার তাকিয়ে চলে গেল ।

মারুফ ওখানে ঠায় দাড়িয়ে রইলো,,,
আমি ওর কাছে গিয়ে,,

— এটা কি হলো রে মারুফ ,,
(আমি)

— কি আর হবে কিরণ দুইটা থাপ্পড় মারলো,,,
তারপর কিছু সময় চুপ থেকে

— ঐ তুই কি আমায় নিয়ে আজে বাজে কথা বলেছিস,, যে কারণে আমার কাছে এসে থাপ্পড় মারলো ।
(মারুফ)

— হ্যা,, এখন দোষ দে আমার,, আমি শুধু বলেছিলাম তুই ওকে ভালোসিস । জাস্ট এতোটুকুই ।
(আমি)

তখনি ক্লাসের ঘন্টা বেজে উঠলো ।

আমি আর মারুফও ক্লাসে চলে গেলাম ।
কিন্তু আমার বারে বারে কিরণ মেয়েটির চেহারা ভেসে উঠছিলো আমার চোখের সামনে ।

তাই আর চুপ না থাকতে পেরে মারুফকে জিজ্ঞেস করলাম,,,

— কিরণ কোন ইয়ারে পড়ে রে মারুফ?
(আমি)

— কিহহহ,, তুই আমার সেটিং না করিয়ে নিজের সেটিং করাতে গেছিলি?
(মারুফ)

— আরে তা না,,
(আমি)

— তাহলে নাম জানলি কেমনে?
(মারুফ)

— তার থেকেই জেনে নিছি,,,
(আমি)

— তার মানে? সে তোর ভবিষৎ ভাবী!!
(মারুফ)

— কিহ,,কারণ আমার ভাবী…….

চলবে..?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here