স্টুডেন্ট_The_One_Villein,পর্ব_৬,৭

0
1198

স্টুডেন্ট_The_One_Villein,পর্ব_৬,৭
লেখক_সুর্য_হুসাইন
পর্ব_৬

— কিহহহ,, তুই আমার সেটিং না করিয়ে নিজের সেটিং করাতে গেছিলি?
(মারুফ)

— আরে তা না,,
(আমি)

— তাহলে নাম জানলি কেমনে?
(মারুফ)

— তার থেকেই জেনে নিছি,,,
(আমি)

— তার মানে? সে তোর ভবিষৎ ভাবী!!
(মারুফ)

— কিহ,,কারণ আমার ভাবী .?
(আমি)

— অবশ্যই,,
(মারুফ)

— সে কি তোকে ভালোবাসে বলছে,,,
(আমি)

— বলেনি,, তবে বলবে,,
(মারুফ)

— হ,,থাপ্পড় তো খাইলি,, যেদিন বলবে ভালোবাসি,, সেদিন না হয় আমি বলবো ।
(আমি)

এভাবেই কথা বলে কলেজের ক্লাস শেষে অনুকে সাথে করে বাসায় নিয়ে আসি ।

এভাবেই কয়েকটা দিন পার হয়ে গেল ।
একদিন রাফিকে ফোন করে বলে দিলাম,, মিলি নামের একটা মেয়েকে কিডন্যাপ করে ওর বাবার থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করতে । আমার কথা মতো রাফিরা তাই করে,,
মিলির বাবা আরমান খানকে টাকার কথা জানাতেই,, আরমান খান বলে,,

— হিজরার দল তোরা আমার থেকে একটা টাকাও পাবি না । আমার মেয়ের সঙ্গে যা করবি কর । শুধু শুধু ধমকি দিয়ে লাভ নাই ।
(আরমান খান)

সাথে সাথেই কল কেটে দিয়ে রাফি চলে গেল সূর্যের কাছে । আমি তখন চেয়ারে বসে ছিলাম নিজের লেপ্টোপেই কিছু কলেজ কাজে ।

— কি হয়েছে? তোর মুখ এমন কেন?
(আমি)

— ভাই, আরমানের বাচ্চা আমাদের হিজরা বলছে,, আর সে আমাদের এমাউন্টের টাকা দিতে অশ্বিকার করেছে । এখন কি করতে পারি
বলেন ।
(রাফি)

— ওহ, এই ব্যাপার! পার্সেল পাঠিয়ে দে তাহলে,
(আমি)

— ভাই বুঝছি,, আপনি কি বলতে চাচ্ছেন ।
(রাফি)

তারপর রাফি গিয়ে যেখানে মিলিকে বেধে রেখেছিল সেখানে গেল ।
ধোয়া ভর্তি রুমের ভিতরে মিলিকে বেধে রেখেছিল সেখানেই ।
মিলির সামনে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়লাে রাফি ।

— তোর ড্যাট তো আমাদের পাওয়ানা দিচ্ছে না ।
বল এখন কি করবো?
(রাফি)

— শোন তোদের পাওয়া তো দূরের কথা,,,, আমি মরে গেলেও তার কিচ্ছুটা হবে না ।
(মিলি)

— ওহহ আচ্ছা,, তাহলে তাই হোক,,,
(রাফি)

রাফির লোকেরা বাইরে ছিলো । রাফির ডাকে কয়েকজন ছেলে পুলে রুমের ভিতরে এলো ।

— কি করতে হবে বলেন ভাই!
(তাদের মধ্যে থেকে একজন)

— বেশি কিছু না,,, শুধু একটা আঙুল পার্সেল হিসেবে পাঠিয়ে দে এই মেয়ের বাপের কাছে ।
(রাফি)

রাফির কথা মতো ছেলে পুলে মিলির হাতের আঙুল কাটার জন্য হাত ধরতেই মিলি বলে উঠলো,

— প্লিজ এমনটা করবেন না । আপনাদের পাওয়া দিবে আমার ড্যাট।
(মিলি)

— এখন আর লাভ নেই । আগে পার্সেল তারপর বাকি সব ।
(রাফি মিলির দিকে ঘুরে)

তারপর রাফির দলের ছেলে মিলির হাত টেবিলের উপর রেখে আঙুল কেটে নিলো ।
আর মিলি হাও মাও হয়ে কান্নায় ডুবে গেল ।
যেন এক প্রকার মরণ যন্ত্রনা । যা কথায় কাউকে বুঝানো যাবে না ।

রাফির লোকেরা রাফির কথা মতো কাজ করলো।
মিলির আঙুল কেটে পাঠিয়ে দিলো আরমান খানের অফিসে পার্সেল হিসেবে । ছোট্ট একটা বক্সে ।

আরমান খান পার্সেলটা খুলতেই ছিটকে পড়লে চেয়ার থেকে ফ্লোরে ।
আর তখনই রাফির কল এলো । আরমান খান উঠে টেবিলে রাখা রিসিভ করলো হস্তনস্ত হয়ে ।

— আরে ভয় পাইছিস মনে হচ্ছে । ভয় পেলেও কিছু করার নাই । আমরা তো হিজরা ।
(রাফি)

— না ভাই আমি হিজরা,, আপনারা নন,,,, কত টাকা লাগবে এবং টাকাগুলো কোথায় দিতে হবে?
(আরমান খান ভয়ে ভয়ে)

— কত টাকা আর কোথায় টাকা দিতে হবে সেটা মেসেজ করে পাঠিয়ে দিচ্ছি ।
(রাফি)

রাফি ফোনটা কেটে দিয়ে আমার কাছে ফোন করলো

— কাজ হয়ছে ভাই,,, কত এমাউন্ট চাইবো, আগের মতোই নাকি?
(রাফি)

— আগেরবার ছিল বাইশ লাখ,, এবার চা পঞ্চাশ লাখ ।
আর ঠিকানা তোকে এসএমএস করে পাঠিয়ে দিছি দেখ ।
তারপর রাফি ফোনটা কেটে এসএমএসটা কপি করে আরমান খানের নিকট পাঠিয়ে দিলো, আর তখন ওপর পাশ থেকে আরমান খান মেসেজ করলো ।

— ঠিক আছে,,

আরমান খান রাফির দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখলো সেখানে কেউ নেই……….

চলবে..?.

#স্টুডেন্ট_The_One_Villain
#লেখক_সুর্য_হুসাইন
#পর্ব_৭

— কাজ হয়ছে ভাই,,, কত এমাউন্ট চাইবো, আগের মতোই নাকি?
(রাফি)

— আগেরবার ছিল বাইশ লাখ,, এবার চা পঞ্চাশ লাখ ।
আর ঠিকানা তোকে এসএমএস করে পাঠিয়ে দিছি দেখ ।
তারপর রাফি ফোনটা কেটে এসএমএসটা কপি করে আরমান খানের নিকট পাঠিয়ে দিলো, আর তখন ওপর পাশ থেকে আরমান খান মেসেজ করলো ।

— ঠিক আছে,,

আরমান খান রাফির দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখলো সেখানে কেউ নেই । তাই আরমান খান আবার সেই রাফির নাম্বারে কল দিলো৷।

রাফি রিসিভ করে বললো,,

— টাকাগুলো সেখানেই রেখে দাও,,,
(রাফি)

— কিন্তু আমার মেয়ে মিলি?
(আরমান খান)

— টাকাগুলো পেলে অবশ্যই ছেড়ে দিবো তাকে ।
(রাফি)

— ঠিক আছে,, আমি টাকাগুলো রেখে চলে
যাচ্ছি ।
(আরমান খান)
আরমান খান তার কথা মতো তাই করলো । টাকার ব্যাগটা সেখানে রেখে দিয়ে চলে গেল ।
আরমান খান চলে গেলে রাফি গিয়ে যেখানে টাকা রাখার কথা সেখানে গেল ।

কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হলো টাকার ব্যাগের জায়গায় একটা কাগজে লেখা আছে S.T.V

রাফি রেগে গিয়ে আবারও আরমানকে ফোন করে বলে,,

— ঐ তোর,মেয়েকে তো এখন আর বাচাতেই পারবি না ।
(রাফি)

— কেন স্যার কি করছি,, যে কারণে এমন কথা বলছেন,, আমি তো আপনাদের ডিমান্ড অনুযায়ী টাকা আমি নিজেই রেখে এসেছি
(আরমান খান)

— টাকা নয়,, একটা,কাগজে S.T.V
লিখে আইছোস তুই!!
(রাফি)

বলেই রাফি,ফোনটা,কেটে সূর্যকে ফোন করে সমস্ত ঘটনাটা জানায় ।

— হয়তো অন্য কেউ আমাদের চোরের উপরে বাটপারি করেছে,,?
(সূর্য)

— হতে পারে ভাই,, কারণ আরমান খান তো মিথ্যা কথা বলার পাবলিক না । তা এখন কি করবো ভাই?
(রাফি)

— মিলি মেয়েটাকে ছেড়ে দে,,,
(আমি)

— আমি তো এখন অনেক দূরে,, যদি আপনি গিয়ে মুক্ত করে দিতেন ভাই,,
(রাফি)

— ঠিক আছে,, কোথায় রেখেছিস ঠিকানা দে ।
(আমি)

তারপর রাফি আমায় মিলিকে বেঁধে রাখার ঠিকানাটা দিলো মেসেজ করে ।

সেই ঠিকানার বাসায় গিয়ে । ভিতরে ঢুকার আগে মাক্স ও শার্টের হাতা গোছানো থেকে ছেড়ে দিলাম ,, ভিতরে গিয়ে দেখি একটা অন্ধকার রুমের ভিতরে মিলিকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে । এবং রুম ভর্তি একরকম ধোঁয়া বইছে ।

আর হাতের আংগুল কাটার জায়গাটা থেকে রক্ত বের হচ্ছে ।
আমার খুব রাগ হচ্ছিল,, টাকার জন্যই এতো কিছু করলাম । কিন্তু মিললো না এক কানা,কুড়ি,,

আমাকে দেখতে পেয়ে মিলি বলতে লাগলো,,

— কে তুমি?
(মিলি)

— আমি যেই হোক না কেন? এখানে সেসব বলে সময় নষ্ট করার মতো সময় আমার হাতে নেই ।
হাতের দরি,, পায়ের দরি খুলে নিজের কোলে করে রাস্তায় নিয়ে এলাম । এবল একটা টেক্সিকে ডেকে মিলিকে উঠিয়ে ওর ঠিকানা দিয়ে আমি
মিলিকে রেখে চলে গেলাম আংকেলের বাসায় ।

রাফি ওদিকে ওর সীম পাল্টিয়ে নেয়,,
ও আমায় আগেই বলেছিলো যে S.T.V
এর কথা ।

তাই আংকেলের বাসায় এসে নিজের রুমে বসে বসে সেটাই নিয়েই ভাবছিলাম ।

তখনি একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসলো ।
আমিও রিসিভ করলাম ,,,।

— তোর নাম নিছি বলে কিছু মনে করিস না ।
(মেয়েলি কন্ঠে)

— আমার নাম মানে ?
(আমি)

— মানেটা হলো এই যে,, তোর নাম দি ভিলেন,,
আর আমার নাম হচ্ছে,

S = স্টুডেন্ট
T = দি
V = ভিলেন

আর তোর টাকাগুলো আমিই নিয়ে নিছি ।
(S.T.V মেয়েটি)

— নিয়ে নে?
আমি যেদিন তোকে পাবো তোর দেখা পাবো সেই দিনই তোর লাস্ট দিন হবে ।
(আমি)

— আগে তো খুজে বের কর,, তারপরে দেখা যাবে কে কি করে,,
(বলেই ফোনটা কেটে দিলো)

ফোনটা,কেটে গেলে মাথার ভিতরে হাজার প্রশ্ন নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি ।

পরের দিন কলেজে যেতেই মিলিকে দেখতে পেলাম । মিলিকে আর আগের মতো দেখাচ্ছে না । বরং সুন্দর মতো কলেজের ড্রেস এবং চুপচাপ বসে আছে দূরের বেঞ্চে ।

আমি সেই দৃশ্যটার দিকে সাইলেন্ট অবস্থায় তাকিয়ে আছি,, আর ঠিক সেই মুহূর্তে মারুফ এসে আমার কাধে হাত রেখে বললো,,,

— তৌফিক ভাই তোকে ডাকছেন ।
(মারুফ)

— তৌফিক আবার কে?
(আমি)

— তৌফিক হচ্ছে আমাদের কলেজের বড় ভাই ,,
আর সে নাকি তোকে চিনে…………….

চলবে..?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here