স্টুডেন্ট_The_One_Villain,পর্ব_১২_অন্তীম

0
1946

স্টুডেন্ট_The_One_Villain,পর্ব_১২_অন্তীম
লেখক_সুর্য_হুসাইন

— আমাকে এভাবে ধরে আনার কারণ কি আপনার শুনি?
আমি আপনার কিইই বা ক্ষতি করেছি ।
আমি তো আপনাকে চিনিই না!! কে আপনি?
(আমি)

আমার এগুলো কথায় চেয়ারটা পিছন দিকে ঘুরালো সেই লোকটি ।
আর আমি তো হতভম্ব । কারণ এটা আমার কলেজের বন্ধু মারুফ ।

— মারুফ তুই আমাকে? তুই আমাকে এভাবে বেধে এনেছিস কেন?
আমি তোর কিইই বা ক্ষতি করছি?
(আমি)

— চুপ শালা! তুই আমার ভাই আরাফকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছিস! তুই আমার ভাইকে যেমন করে তোর লোকজনের সামনে অস্বভাবিক ভাবে মেরেছিস! ঠিক সেই ভাবেই তোরে মারমু!
(মারুফ)

— কি যা তা বলছিস! আমি তোর ভাইকে কেনই বা,মারতে যাবো! আমি তো কোন কেডার বা খুনি না “!
(আমি)

— চুপ! তোর মিথ্যে কথা সব জানি! তুই তো আমার ভাইকে লাস্ট ইচ্ছেটাও জানতে চাসনি? আমি তোর মতো এতো পাষাণ না । বল তোর শেষ ইচ্ছে কি?
(মারুফ)

— তোর ভাইকে যে আমিই মারছি তার প্রমাণ কি?
এটা জানাই আমার শেষ ইচ্ছে!
(আমি)

— শুধু এটাই?
(মারুফ)

— হ্যা শুধু এটাই,,,,
(আমি)

তারপর মারুফ কয়েকজনকে ভিতরে আসতে বললো,,,
কয়েকজন ভিতরে এলে, মারুফ রাসেল নামক একজনকে ডেকে বললো,,

— রাসেল ওর কলেজের শার্টটা খুলে ফেল তো!
(মারুফ)

— জ্বী বস!!!
(রাসেল)

মারুফের কথায় রাসেল এসে আমার শার্টা তার চাকু দিয়ে আমার শার্টে একটু ছুয়ে দিলো ।
আর তাতেই আমার শার্টটা নুয়ে পড়লো মাটিতে ।
আর আমার বডিটা দেখতে পারলো সবাই । হাতের কনুর উপরেই লেখটাও সবার নজরে পড়লো ।

মারুফ আমার কাছে এসে এক হাটু গেড়ে বসে বললো,,

— প্রমাণ দেখতে চাইছিলি না !! এই তোর প্রমাণ, ,, The villain লেখাটি।
এবার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ!!
(মারুফ)

আমি মারুফের কথায় ভয় না পেয়ে হা হা হা করে হেসে উঠি,,,

— কি রে মৃত্যুর আগে কি পাগল টাগল হয়ে গেলি নাকি রে?
(মারুফ)

— তুই মারবি আমাকে? শুনেই হাসি পাচ্ছে ।
(আমি হা হা হা)

— ও এই ব্যাপার! তাহলে ঠিক আছে হেসে নে আগে তারপর নাহয় মারবো!
(মারুফ)

— রাখ তোর মারা মারি ,, তোকে অনেক সময় দিয়ে ফেলছি,, আর সময় নষ্ট করবো না!
(আমি)

— মানে?
(মারুফ)

— মানেটা,হলো এই যে,,,
বয়েজ,
বলার সাথে সাথেই রুমের ভিতরের লোকগুলো মারুফের দেহ বরাবর ছুরি ধরলো । আর রাসেল তো মারুফের ঠিক গলা বরাবর ছুরি নিয়ে লাগিয়ে দিলো ।

— লাস্ট পরযন্ত তোরা আমার লোক হয়েও বেইমানি করলি?
(মারুফ তার লোকদের দিকে তাকিয়ে)

— শুনেক,, আমরা তোর লোক হয়েছি শুধুই সূর্য ভায়ের আদেশেই,,
তিনি আমাদের আসল বস।
আর তুই তো শুধু তার হাতে খেলনা!
(রাসেল নামক ছেলেটি)

— দেখ এটা কিন্তু ঠিক করছিস না সূর্য!
(মারুফ)

লোকজনের মধ্যে থেকে একজন এসে আমার হাতের বাধনটা খুলে দিলো ।

— ঠিক আর বেঠিক সেটা আমি তেমন একটা ভাবি না।
তোদের দু’ভাইকে খোঁজার জন্য আমি এই শহরে আসছি,, তোর ভাইকে তো আগেই খুজে পাইছি,, কিন্তু তোকে কোনভাবেই খুজে উঠতে পারছিলাম না ।
আমার ছেলেপুলে গুলো যদি না বলতো তুই ভদ্র ছেলে হয়ে কলেজে পড়িস,,
তাই তোকে খুজতে আমিও কলেজে ভর্তি হই । আর তোর বন্ধুও হয়ে যাই । আর কিরণের বাবু আমার হয়ে কাজ করে ।। তোকে পাবার জন্যই এতোগুলো সাজানো নাটক তৈরি করতে হয়েছে ।
পুলিশ টুলিশ আমার বা হাতে থাকে সব সময় ।

আর একটা কথা সব সময় মনে রাখবি,,
চায় সেটা মরার পড়েও হোক,,
আমি কে,,
আমি ভিলেন,,,,

সব কথা বলেই রাডেলের হাত থেকে চাকুটা নিয়ে মারুফের গলা বরাবর একটা আঘাত করলাম ।

আমার আঘাত করার সাথে সাথেই মারুফের মাথাটা ফ্লোরের মাটিতে পড়ে গেল ।
আর সাথে সাথেই ঝর্ণার মতো রক্ত গলগল করে বের হতে লাগলো ।

আর এর পরেই রাফি এসে হাজির হলো । মারুফের এমন অবস্থা দেখে রাফির ভেতরটাও মচর দিয়ে উঠলো
রাফি আমাকে দেখে বললো,,,

— ভাই আপনি ঠিক আছেন তো!
(রাফি)

— হুম ভাই আমি ঠিক আছি,,, কিন্তু তুই তো আর ঠিক থাকবি না?
(আমি)

— ভাই,, আপনি আমাকে ভাই বলছেন কেন? আবার কি আবোল তাবোল বলছেন?
(রাফি)

— রাফি এদিকে এগিয়ে আয় তো একটু!
আমার ডাকে রাফি আনার কাছে চলে এলো ।
আমি ছুড়িটা বাম হাতে নিয়ে পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে একটা ভিডিও ইস্টার্ন করলাম ।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ,,
যেদিন রাফি কিরণের আব্বু আরমান খানের থেকে টাকা নেওয়ার কথা,,, সেদিন আরমান খান টাকাটা এনে ঠিক জায়গাটায় রেখে দেন,,, এবং সেই টাকাটা S.T.V নামক একজন নিয়ে যায়,, আর সেই স্টুডেন্ট The villain আর কেউ না,, ভিডিওটিতে রাফিকে দেখায়,,,

ভিডিওটা দেখতে দেখতেই রাফির শরীর ঘেমে যায় ।
আমি ভিডিওটা বন্ধ করে রাফির দিকে তাকাই,,
রাফি ভয়ে,
আমার পা টা ধরে মাফ চাইতে লাগলো,,

— ভাইয়া আমার ভুল হয়ে গেছে,, এবারের মতো মাফ করে দেন!! আর এমনটা হবে না ।
(রাফি)

— আচ্ছা মাফ করে দিলাম৷,

বলেই বাম হাতে থাকা ছুড়িটা দিয়েই একটা ফ্যাস দিলাম মারুফের থেকেও জোরে ,, রাফির মাথাটা দরজাটার কাছে গিয়ে পড়লো ।

এসব দেখে সবাই একহাত পিছিয়ে যায় ।
আমি সবার উদ্দেশ্যে বলি,,

— তোরাও শোন!! টাকা লাগলে বলবি,,, তারপরও বেইমানি করতে গেলে রাফির মতেই একই অবস্থা হবে সবারই,,
(আমি)

আমার একথায় সবাই মাথাটা নিচু করে নিলো ।
তারপর চুড়িটা ফেলে দিয়ে নিচে পড়ে থাকা শার্টটা তুলে নিয়ে পড়ে চলে এলাম আংকেলের বাসায় ।

বাসায় এসে দেখি আব্বু ও আলভী চলে
এসেছে ।

— তোকে নাকি কারা তুলে নিয়ে গেছিলো?
(আব্বু বসা থেকে দাড়িয়ে)

— আব্বু ওরা৷ গুন্ডা মাস্তান ছিলো,, অন্য একজনকে ভেবে আমাকে তুলে নিয়ে গেছিলো,, পরে কনফার্ম হয়ে আমাকে বাসা অবদি রেখে গিয়েছে ।
(আমি একটু স্বাভাবিক হয়ে)

— যা তাহলে রুমে গিয়ে নিজের শার্টটা বদলে নে!
(আব্বু)

তারপর আমি রুমে গিয়ে নিজের শার্টটা বদলে নিই,,,
এভাবেই চলতে থাকলো দিনকাল ।
একা মেয়েটির সাথেও একটা বন্ধুর মতো সম্পর্ক হয়ে গেল ।

অনেক ভালোই কাটলো এই কয়েক বছর,, হ্যাপি,,, অনেক সবাই ।
কয়েক বছরে পড়াশোনাও শেষ করে নিই,,
আজকে একটা ইন্টারভিউ আছে টিচার্সদের,,,
আমার আব্বুর চাওয়া আমি যেন টিচার্স হই।

আব্বু বলেছে আমার জব হলে তিনি আলভীকে নিয়ে চলে আসবেন শহরে ।

তাই তার চাওয়া হিসেবে আমি আজকে ইন্টারভিউ দিতে কলেজের পিন্সিপালের রুমে ঢুকবো তখনিই একটা মেসেজ এলো ।

আমি একটু দাড়িয়ে,, পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে মেসেনজারে ঢুকতেই দেখতে পাই,,

“তুই কি ভাবছিস,, আমি
তোর জীবন থেকে চলে গেছি,,
সেটা ভাবলে তুই ভুল ভাবছিস!!

আমি কে তুই এই কয়বছরেও জানতে পারলি না,,
তাহলে শোন,, আমি S.T.O.V
যার একত্রে,
স্টুডেন্ট_The_One_Villain

“সমাপ্ত”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here