অদ্ভুত_মেয়ে Part – 1.
writer – #Nur_Nafisa
.
সকাল সকাল মায়ের চিৎকার চেচামেচি আর আপুর ধাক্কা-ধাক্কিতে ঘুম ভাঙল। কি আর করার, নামজ, কুরআন শরীফ পড়লাম। (৫ ওয়াক্ত নামাজ ও সকালে কুরআন শরীফ পড়া অভ্যাস এ পরিনত করার চেষ্টা করছি)। তারপর ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করলাম। আবার রুমে এসে দেখি আপু বাথরুম এ শাওয়ার নিচ্ছে। মাথায় আসলো দুষ্টু বুদ্ধি ?
আপুর ফোনে এলার্ম দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। আর শুরু হল রিংটোন, যেটা আপুর কল রিংটোন। ২মি পরপর বেজেই চলেছে,,,,,,,,,,
বাইরে থেকে শুনতে পাচ্ছি আপুর চিৎকার, আহা কি মজা??
সকাল ৮টা বাজে, কলেজের জন্য রেডি হচ্ছি, মা খাবার দিল
আর বললো, ছোট ভাইকে ডেকে নিয়ে আসতে। বাধ্য মেয়ের মতো গেলাম। ছোট ভাইয়ের রুমে উকি দিয়ে দেখলাম সে স্কুল বেগ গোছাচ্ছে।
আমি- সাঈদ, মা তোকে যেতে বলেছে।
সাঈদ- ওকে।
ও চলে গেলো, আর আমি ওর ব্যাগের ভিতর থেকে খাতা নিয়ে তার উপর বড় করে গরু লিখে দিলাম ?
তারপর চলে আসলাম খাবার খেতে। আর কান বন্ধ করে শুনলাম আপুর বকাঝকা এলার্ম দেয়ার জন্য। অতঃপর ৩ ভাই-বোন নাস্তা করে যার যার মতো নিজেদের গন্তব্যে।
কলেজের ভেতর ঢুকেই ক্যন্টিনের সামনে গিয়ে এক মেয়ের পিঠে দিলাম এক থাপ্পড়।
দিনা- ওরে আল্লাহ….. তুই মানুষ হবি কবে?
আমি- আমি তো পৃথিবীতে মানুষ হয়ে ই আসছি।
দিনা- মানুষের কর্ম কি এরকম!!
আমি- দোষ করলে তো শাস্তি পেতে ই হবে।
দিনা- আমি আবার কি করলাম?
আমি- তুই আমার আগে কলেজ আসছোস কেন?
দিনা- এটা কোনো দোষ হল! তুই দেড়িতে আসলে আমি কি করব!
আমি- বেশি কথা বললে জরিমানা দিতে হবে।
দিনা- আমি চুপ।
আমি- অই রাক্ষস কই?
নিসা- তোর পিছনে ?
পিছনে ফিরে দিলাম এক চিমটি,,,,,,,,,
নিসা- আউচ!…. আমি আবার কি করলাম?
আমি- আমার কথা লুকিয়ে শুনছস কে? ৫টাকা বের কর।
নিসা- কি!!!!
আমি- জি… যত মি. দেরি করবি তত টাকা বাড়বে….
নিসা- wait wait এই নে ধর। আসলেই তুই একটা #অদ্ভুত_মেয়ে। ?
আমি- good. চল ক্লাসে
দিনা- হুম চল।
ক্লাসে,,,,,,
১ম ক্লাস মাহিন স্যার এর। আমাদের accounting teacher. দেখতে যথেষ্ট handsome. বয়স ২৭/২৮ হবে। এ বছর ই স্যার কলেজে নতুন জয়েন করেছে।
teacher – good morning everybody.
All- good morning, teacher.
Teacher – কেমন আছো সবাই?
আমি- স্যার, আপনি কি ইংলা শিক্ষক?
teacher – what!!
আমি- আপনি ১ম ইংরেজিতে কথা বলে আবার বাংলা বলা শুরু করেছেন যে? তাই জিজ্ঞেস করলাম ?
teacher – what nonsense! Stand up.
আমি- ওকে। শিক্ষকদের কথা তো অমান্য করতে নেই। বলে দাড়িয়ে গেলাম।
আমাকে দাড়ানো দেখে নিসা হাসছিল, শুরু হয়ে গেল আমার কেরামতি ?
আমি দাড়িয়ে নিসার পায়ে দিলাম এক লাথি।
নিসা- আউচ…..!
স্যার পিছনে তাকিয়ে,
what happen Nisa?
নিসা- স্যার, নাফিসা আমাকে লাথি দিছে।
teacher – what’s wrong with you, Nafisa?
আমি- স্যার আমকে মনে হয় মশা কামড় দিছে, তাই পা নাড়াতে গিয়ে নিসার পায়ে লাথি লেগে গেল।
teacher – ok, sit down.
আমি- ধন্যবাদ স্যার ?।
নিসা- তুই নিজেকে বাচাতে আমাকে টানলি কেন?
আমি- তুই আমার বেস্টু তাই।
দিনা- তাহলে আমি কে?
আমি- ৫টাকা দে বলতাছি তুই কে।
দিনা- না, আমার কাছে টাকা নাই।
আমি- মিথ্যা বলসস কেন? এখন ১০টাকা দে। দিবি নাকি আমি নিব?
দিনা- দাড়া দিচ্ছি ? । নে..
teacher – আজ এই পর্যন্ত ই। আগামী ক্লাসে বাকিটা করে আসবা। নাফিসা, ছুটির পর আমার সাথে দেখা করবা।
আমি- কেন স্যার, এখন দেখেন নি?
teacher – shut up. যা বলছি তা করবা।
আমি- ওকে।
.
[ #অদ্ভুত_মেয়ে গল্পের প্রতিটি part পড়ে কি শিখতে পারলে, তা কিন্তু অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। দেখতে চাই মেয়েটি কেমন শিক্ষক ?। যেখানে, আপনারা readers আর আমি writer & reporter ?]