বুকের ভিতর রাখবো তোকে?,Part: 01

0
3571

বুকের ভিতর রাখবো তোকে?,Part: 01
Writer: Doraemon (Ayesha)

-ঠাসসসসসসসসসস। তোর সাহস কি করে হয় হিজাব ছাড়া রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর। তোর বুকে তো ওড়নাটাও নেই। ছেলেদের শরীর দেখাতে তোর খুব ভালো লাগে। তাই না?
–আ আ আপনি আমার সাথে এমন করে কথা বলতে পারেন না। আমি আমার মন মতোই চলব। আমার যা ইচ্ছে তাই করব। আপনি বাঁধা দেওয়ার কে?
–ঠাসসসসসস। আমি তোর কে! কেন রে তুই জানস না আমি তোর কে! একমাস পর তুই আমার বউ হবি আর তুই জানস না আমি তোর কে হই? বাসায় চল তোকে আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি আমি তোর কে হই।
–আমি আপনার সাথে যাবো না।
–তুই যাবি তোর ঘাড় যাবে।
বলেই চুলের মুঠি ধরে কলেজের সবার সামনে থেকে টানতে টানতে অরণ্য পাখিকে নিয়ে যাচ্ছে। সবাই হা করে ওদের দুজনকে দেখছে।
–আমার চুলে ব্যথা লাগছে। আমায় ছাড়ুন প্লিজ।
— কেন রে গায়ে ওড়না দেওয়ার সময় তোর মনে ছিল না? তাহলে তো আর আমাকে এতো কস্ট করতে হতো না।
পাখি কান্না করছে। আকুতি মিনতি করছে। কিন্তুু অরণ্যের কানে তা কিছুই পৌছাচ্ছে না৷
এবার বলছি অরণ্য এবং পাখির পরিচয় হয় কিভাবে।



পাখি গরীব ঘরের অতি সাধারণ একটা মেয়ে। মা- বাবা আর ছোট বোনটাকে নিয়ে পাখি বস্তির এক ছোট ঘরে বসবাস করে। অনেক কস্ট করে নিজের করা টিউশনি দিয়ে টেনেটুনে কলেজে পড়াশোনা করে পাখি।
কয়েকমাস আগে পাখির কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে কলেজ নির্মাতাসহ দেশের বড় ব্যবসায়ী ও তার একমাত্র ছেলে সেখানে আমন্ত্রিত করানো হয়। কলেজ নির্মাতার ছেলে আর কেউ নয় সেই অরণ্য। সেদিন সবাই অরণ্য ও তার বাবাকে ফুল দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। সব মেয়েদের একমাত্র দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল একমাত্র অরণ্য৷ সব মেয়েদের একমাত্র ক্রাশ ছিল অরণ্য। মঞ্চে অরণ্য তার বাবা ও অন্যান্য অতিথিরা আসন গ্রহণ করে। অরণ্য লম্বায় ছয় ফুট, গায়ের রং ধবধবে সাদা। এবং অরণ্য অনুষ্ঠানে পরেছিল সাদা শার্ট এবং সাথে নীল রংয়ের কোট এবং কালো পেন্ট সাথে চোখে কালো চশমা। সব মেয়েরা অরণ্যের ছবি তুলতে ব্যস্ত আর অপরদিকে পাখি মাঠের চেয়ারে বসে মোবাইলে গেমস খেলতে ব্যস্ত। অরণ্য সবাইকেই ভালো করে লক্ষ্য করছিল কিন্তুু হঠাৎ অরণ্যের চোখ পাখির উপর পড়ে।
–সব মেয়েরা আমাকে নিয়ে ব্যস্ত আর এই মেয়েটা মোবাইল টিপতে ব্যস্ত।What the hell!এই মেয়েটা কি আমাকে চোখে দেখতে পারছে না! নাকি চোখ থাকতেও অন্ধ।
অরণ্যের রাগে মাথার রগ ফুলে উঠেছে। একে একে সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। রাত বাজে তখন বারোটা। পাখির ভীষণ ভয় লাগছে কি করে একা বাড়িতে যাবে৷ তার সব বন্ধুরা তাকে না জানিয়েই চলে যায়৷ অরণ্য ও তার বাবা বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য রওনা হয়। এমন সময় অরণ্য তার বাবাকে বলে উঠল
–বাবা তুমি বাড়িতে যাও। আমি একটু পরে আসছি৷
–মানে কি? তুই এত রাতে এই কলেজে কি করবি?
–বাবা আমার কিছু বিশেষ কাজ আছে। আমি কাজটা সম্পন্ন করেই আসছি
–ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবি নাহলে তোর মা দুশ্চিন্তা করবে। আমি তাহলে গেলাম।
–হ্যা বাবা তুমি যাও।
ঐদিকে পাখি ভয়ে কলেজ থেকে বের হয়ে রাস্তায় একা একা হাঁটছে। হঠাৎ করে পাখির মনে হলো তার পেছন পেছন কেউ হাঁটছে। তাই পাখি পেছনে তাকিয়েই অবাক।

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here