শ্যাম_বরণ_কন্যা,পর্ব-১০,১১

0
1710

শ্যাম_বরণ_কন্যা,পর্ব-১০,১১
নীল মাহমুদ
পর্ব-১০

নীল সাদিয়া কে দেখে নিজের হাতে চিমটি কেটে দেখলো এটা স্বপ্ন না সত্যি
কিন্ত এটা কি সম্ভব,
যাকে আমি নিজের হাতে মাটি দিয়ে আসলাম সে কি করে জীবিত থাকে,

নীল- তুতুতুমি এখানে কি করে সম্ভব,

সাদিয়া- তুমি আমাকে এত ভালবাসো আমি কি সারা না দিয়ে পারি বলো,

নীল- মানে?

সাদিয়া- এত কিছু বুঝতে হবে না তোমার এই যে নাও টাই পড়ে তারাতারি অফিসে যাও লেট হয়ে যাচ্ছে,

নীল- এটা বলো তুমি কেমনে আসলে?.
সাদিয়া- একবার বলছি না অফিসে যাও,কোন কথা বলবা না,তাহলে কিন্ত আমি চলে যাবো আর আসবো না,।।

নীল- না না এমন টি করো না আমি যাচ্ছি অফিসে,

সাদিয়া- গুড বয়,

নীল- কিন্ত তুমি কোথায় থাকবে?

সাদিয়া- কেনো তোমার রুমে।

নীল- যদি মা বা লিমা আসে তাহলে তো
কেলেঙ্কারির হয়ে যাবে।

সাদিয়া- আমি লুকিয়ে থাকবো,তুমি যাও তো এখন লেট হচ্ছে

নীল সাদিয়া কে রেখে ভয়ে ভয়ে বাসা থেকে বের হলো,
সব কিছুই কেমন স্বপ্নের মতো লাগছে,
অফিস গিয়ে আরিফ ভাই কে বললাম ভাই,
মৃত মানুষ কি আবার ফিরে আসে,

আরিফ ভাই আমাকে ধমক দিয়ে বলল,দূর মিয়া কি বলেন মৃত মানুষ কোন দিন কি ফিরে আসে আপনি জানেন না,

নীল- আমিও তো জানি কিন্ত ও আসলো যে,।।

আরিফ- কে আসলো।

নীল- কিছু না,কেউ না,

আরিফ- আপনি না ভাই,কখন যে কি বলেন,

নীল অফিসে কাজ করছে লাঞ্চের সময় মনে হঠাৎ মনে পড়লো,।
সাদিয়ার তাকে তো বাসা রেখে আসছে,
তাই বসের কাছে বলল ইমার্জেন্সি বাসায় যেতে হবে,

বসের কাছে বলে নীল আর এক মুহূর্ত দেরি করলো না,
বাসার দিকে ছুটলো,

বাসায় গিয়ে দরজা নক করলাম,
কিন্ত খোলছে না,
৫ সেকেন্ডে না হলেও আমি ২০ টা চাপ দিয়েছি কলিং বেলে কিন্ত এত সময় লাগছে কেনো মায়ের কি করছে
ভিতরে,
মা দরজা খোলেই, নীল তুই এই সময়
তুই ঠিক আছিস বাবা কোন অসুখ বিসুখ হয়নি তো,

নীল- মা দরজা খোলতে এত সময় লাগে আর আমার কিছু হয়নি এমনি চলে আসছি,

মা- আমি দেড়ি করলাম কই, ড্রইং রুম থেকে আসলাম শুধু,

মাকে আর কিছু না বলে তারাহুরো করে আমার রুমে গিয়ে দরজা লক করে দিলাম,
গিয়ে দেখি রুম ফাঁকা কেউ নেই,
খাটের নিচে দেখলাম নেই,
ভাবলাম আলমারি তে আছে কিন্ত সেখানেও নেই,
হতাশ হয়ে বসে রইলাম বিছানায়,
তাহলে কি সকালে যেটা দেখলাম সেটা
আমার ভাবনা ছিলো না হলে স্বপ্ন ছিলো,
বসে আছি এমন সময় মা দরজায় নক করছে আর ডাকছে,

আমি দরজা খোলে বললাম, কি
হয়েছে ডাকছো কেনো মা,

মা- এত তারাহুরো করে রুমে আসলি যে অফিসে কিছু হয়ছে নাকি,
বলবি তো সেটা,

নীল- না মা আমার কিছু হয়নি,

তারপর মা আমার কপালে বুকে হাত দিয়ে দেখলো জ্বর আসছে কিনা,

-মা বললাম আমার কিছু হয়নি,

– তাহলে অফিস থেকে আসলি কেনো,

-ও অফিস থেকে আসা আমার ভুল হয়েছে তাহলে এখনি যাচ্ছি আবার ৫টার সময় আসবো,

– দূর বোকা ছেলে আমি কি তাই বলেছি,
নীল মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো,
মা নীলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,

মা তখন জিজ্ঞেস করলো কি নিয়ে চিন্তায় আছিস আমাকে বল
নীল- আমি টেনশনে আছি কে বলল,

মা- তোর মাথায় যখন টেনশন চাপে তখন তুই,,,,,,?

মা কে থামিয়ে দিয়ে বললাম, এমনি মায়ের কোলে কি ছেলে মাথা রাখতে পারে না,

মা- আচ্ছা আচ্ছা তোর বলতে হবে না,
চল খাবি,

নীল- লিমা কলেজ থেকে ফিরছে,

মা- হুম মাত্র আসলো চল,

নীল- আর বাবা কই,

মা- কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছে আসবে না রাত হবে,

নীল- আচ্ছা যাও আমি চেন্স করে আসছি,

আমি যখন বাসায় থাকি তখন লুঙি পড়েই থাকি,
তাই লুঙি পড়ে খাবারের টেবিলে গেলাম,
গিয়ে দেখি লিমার পাসে একটা মেয়ে বসে আছে,

লিমা আমাকে দেখে উঠে এসে হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গিয়ে বলল,
ভাইয়া তুই এমন কেন, আমার একটা ফ্রেন্ড আসছে আর তুই এরকম কামলার মতো বের হলি,

আমি- আমি তো এমনি, আমি আবার কি করলাম,আর তুই কামলা বলিস কাকে,তোর ফ্রেন্ড আসছে তাই আমার কি?

লিমা- তুই এরকম থাকলে লজ্জায় আমার মাথা কাটা যায়,এখনি আমার
ফ্রেন্ড ফিসফিস করে বলল,
তোদের বাড়ির কাজের লোক আর তোরা এক সাথে বসে খাস,

আমি- আমাকে কাজের লোক ঐ পিচ্ছি বলছে দাঁড়া আমার বাড়ি এসে আমাকে বলে কাজের লোক,

লিমা- এই দাঁড়া কাজের লোক কে কাজের লোক বলবে না তো কি বলবে,

নীল- আমার বাড়িতে যেমনে ইচ্ছে তেমনে থাকবো তাতে তোর কি,।।

লিমা- বাড়িটা আমারো, তোর একার না,

নীল- যা আমি যা ইচ্ছে তাই করব,

লিমা- ভাইয়া যদি উল্টো পাল্টা কিছু করিস তোর খবর আছে বলে দিলাম,

আমি মনে মনে ভাবলাম কিছু করব না মানে আমাকে কাজের লোক বলা হচ্ছে,।
টেবিলে গিয়ে আম্মা গো পান্তা ভাত নাই,
আমারে কাঁচা মরিচ আর একটা পিঁয়াজ দেন,

মা- কি বলছিস,

আমি- দেন গো মা দেন,গরিবের পেটে এইরকম মাছ মাংস হজম হইবো না,।।

লিমা রাগে ফুলছে,আর ওর ফ্রেন্ড টা চশমার নিচ দিয়ে তাকিয়ে আছে,

মা ব্যাপার টা বুঝতে পেরে মুচকি হেসে
আমাকে হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গেলো,
তারপর বলল, এই বান্দর ছেলে বোন কে ছোট না করলে হয় না,
তুই রুমে যা আমি খাবার দিচ্ছি বের হবি না একদম,।

আমিও হেসে আমার রুমে গেলাম,
গিয়ে দেখি সাদিয়া বিছানায় বসে আছে,
আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
তোমরা ভাই বোন পাড়োও বটে তোমার বোন টা কিন্ত কিউট আছে,

নীল- তুমি? (অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)

সাদিয়া- এই ভাবে তাকিয়ে আছো কেনো,

নীল- তুমি এতক্ষন কই ছিলা,আমি যখন অফিস থেকে এসে খোঁজলাম,

সাদিয়া- আমি বাথরুমে ছিলাম,

ওহ হে আমি তো আর বাথরুমে যাইনি
খুঁজেও দেখিনি,

নীল- বাথরুমে কেন গিয়ে ছিলা।

সাদিয়া- বাথরুম মানুষ কেনো যায় জানো না বলতে হবে।

নীল- সরি, আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলো তো,

সাদিয়া- হুম কি?

নীল তখন বলল,মৃত মানুষ কেমনে আবার ফিরে আসে, মানে তুমি কেমনে আসলে, তোমাকে আমি নিজের হাতে মাটি দিয়ে আসছি,

সাদিয়া তখন বলল,

(চলবে)

#শ্যাম_বরণ_কন্যা
পর্ব-১১
,
নীল বলল,মৃত মানুষ কেমনে আবার ফিরে আসে, মানে তুমি কেমনে আসলে, তোমাকে আমি নিজের হাতে মাটি দিয়ে আসছি,

সাদিয়া তখন বলল,
জানতে চাও আমি কি করে আসলাম,
সাদিয়া হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
আমার হাত টা ধরে দেখো তো,
নীল সাদিয়ার হাত টা ধরতে গেলো কিন্ত পারলো না,
নীলের হাত টা সাদিয়ার হাতের ভিতর দিয়ে বের হয়ে গেলো,।
কিন্ত ধরতে পারলো না,।
সাদিয়া তখন বলল
আমি হচ্ছি তোমার কল্পনা,
আমি তোমার ভাবনা কল্পনা থেকে এসেছি,
তুমি শুধু আমাকে দেখতে পাবে আর কেউ পারবে না,

নীল তখন বলল তুমি যাই হও,আমি তোমাকে সব সময় পাশে চাই সাদিয়া,

সাদিয়া- না, কোন একটা সময় আমি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবো,

নীল- না সাদিয়া তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না,।।

সাদিয়া- আমি তো তোমার কল্পনা মাত্র, একটা সময় আমি ভ্যানিস হয়ে যাবো ,

নীল- না সাদিয়া তুমি কোথাও যাবে না,।

এমন সময় দরজায় ঠকঠক,
সাদিয়া বলল তুমি চিৎকার করছো তাই তোমার মা আসছে এখন কি বলবে।

নীল- কেনো তোমার কথা বলবো,।।

সাদিয়া- আরে গাধা আমার কথা বললে তোমাকে আজই পাবনা পাঠাবে,

নীল- তোমার কথা বললে কি হবে,

সাদিয়া – আরে তুমি ছাড়া আমাকে কেউ আর দেখতে পারবে না বুঝো না কেনো,

নীল- ওহ হে তাই তো মনেই ছিলো না,,

নীল দরজা খোলে দিলো, মা এসেই জিজ্ঞেস করলো কার সাথে চিৎকার চেচামেচি করছিলি,।
এখন নীল কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না,।।

সাদিয়া বলল,মা কে বলো ফোনে কথা বলছিলে,

নীল আবার সাদিয়া কে বলল,তুমি কথা বলো না মা শুনে ফেলবে,,।।??

মা- কে কি শুনে ফেলবে কি বলছিস,।।।
সাদিয়া বড় বড় করে তাকালো নীলের দিকে,
নীল ভয়ে বলল,

নীল- মা কিছু না ইয়ে মানে আমি ফোনে কথা বলছিলাম,

মা- ও আচ্ছা কিন্ত এতে আমতা আমতা করার কি আছে,

নীল- ঐ ই এমনি আর কি,

মা- কার সাথে কথা বলছিলি,

নীল- অফিসের কলিগের সাথে,,কাজ বুঝাচ্ছিলাম,

মা- আচ্ছা কথা বল,আমি যাই তাহলে,

মা দরজা পর্যন্ত যেতেই,আমি সাদিয়া কে বললাম আর একটু হলেই ধরা
পড়ে যেতাম,

মা আবার পিছন ঘুরে কি বললি,

আমি ফোন টা কানে নিয়ে, মা ফোনে কথা বলছি তো,

মা চলে যেতেই দরজা বন্ধ করে দিলাম,।

সাদিয়া বলল,তুমি না আসলেই আস্ত একটা গাধা,

নীল- আচ্ছা বাদ দেও আমি গাধা ভালো,

সাদিয়া-আচ্ছা নীল তুমি বিয়ে করবে না,

নীল- প্রশ্নই আসে না,আমি বিয়ে করবো না,তোমাকে নিয়েই অভাবে সারাজীবন কাটিয়ে দিবো,

সাদিয়া- পাগলামি কথাবার্তা বলো কেনো,আমি তো বাতাস মাত্র , তুমি কি জানো নীল?

নীল- কি?

সাদিয়া- থাক পড়ে বলবো,।
নীল- না এখন বলো,
সাদিয়া- পড়ে বলবো সময় হলে।

নীল এখন আর রুম থেকে বের হয় না,
অফিস থেকে রুমে ঢুকে আর বের হয় না, খাওয়ার সময় ছাড়া রুমে কাউ কে যেতেও দেয় না,।।

আজ কালা এলাকার মানুষ নীল কে পাগল বলা শুরু করছে কারন নীল একাই একাই কথা বলে,

নীল রাতে খেতে বসছে,
নীলের মা বলল,
খাওয়া শেষ করে আমার ঘরে যাবি তোর বাবা কথা বলবে,

নীল- কি কথা মা।

মা- সেটা গেলেই শুনতে পাবি,।।

নীল খেয়ে বাবার রুমে যায় নীলের দেড়ি দেখে সাদিয়া(অদৃশ্য) নীলের বাবার রুমে যায়,

নীল যেতেই বাবা বলল,নীল এলাকার মানুষ কি সব বলছে তুই নাকি একা একা কথা বলিস কি হয়েছে তোর আমাদের বলতো,

সাদিয়া (অদৃশ্য) বাবার পাশে বসে আছে,
এমন সময় মা এসে সাদিয়ার উপর বসে পড়ে আর বলে উঠে মা সাদিয়া আছে ওখানে বসো না,

বাবা- নীল এখানে কে আছে কি হয়েছে,

নীলের মুখ ফসকা কথা শুনে সাদিয়া(অদৃশ্য) নীলের উপর রাগ দেখিয়ে চলে গেলো,

নীল আবার বলে উঠলো, আমার উপর কেনো রাগ দেখাচ্ছো,আমি কি করছি,

মা- বাবা নীল তুই ঐদিকে তাকিয়ে কার সাথে কথা বলছিস,

(নীল ছাড়া সাদিয়া কে কেউ দেখতে পায় না)

নীল- না মানে ইয়ে কারো সাথে না,

নীলের বাবা মায়ের বুঝতে বাকি রইলো না,
নীল কোন মেন্টালি সমস্যায় ভোগছে,

তাই নীলের বাবা বলল,নীল বাবা তুই রুমে যা,

নীল চলে গেলো আর দরজা বন্ধ করে দিলো,

সাদিয়া গাল ফুলিয়ে বসে আছে রেগে,

নীল- তুমি এমন রাগ দেখিয়ে চলে আসলা কেনো

সাদিয়া- তোমাকে কতবার বলল নীল
আমাকে কেউ দেখতে পায় না,শুধু তুমি দেখতে পাও,যখন তুমি আমার সাথে
কথা মানুষের সামনে তখন সবাই ভাবে
তুমি একা কথা বলছো,মানে আমাকে কে তো কেউ দেখে না,তাই তোমাকে পাগল বলে,,,

নীল- তো আমি কি করবো বলো তুমি,।

সাদিয়া – তোমাকে কি বললবো,তোমার বাবা মায়ের সামনে তুমি মাত্র পাগল প্রমাণিত হলে,

নীল- দূর এই সব কি বলো, আমার বাবা মা কেনো আমাকে পাগল ভাববে,

সাদিয়া- কারন সুস্থ মানুষ একা একা কথা বলে না তাই,

নীল- দেখো সাদিয়া তোমার জন্য যদি আমাকে মানুষ বলে তো আমি পাগল হতে রাজি আছি,

সাদিয়া- পাগলামি করো আমি আগেও বলছি হঠাৎ কোন দিন হাওয়ায় বিলীন হয়ে যাবো কারো উপস্থিতিতে,

২দিন পর,,,

সকাল বেলা অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে,
এমন সময় মা এসে বলল,
নীল আজ অফিস থেকে তারাতাড়ি ফিরবি,

নীল- কেনো মা,

মা- তোর পছন্দের সেই মেয়ে কে দেখতে যাবো,

নীল- আমার আবার কোন পছন্দের
মেয়ে,

মা- ঐ যে উম্মে মাইসা সেই মেয়েটা,।।

নীল- মা ওটা এমনি বলেছিলাম,আমি বিয়ে করবো না মা,প্লিজ এই বিষয় নিয়ে আর আমার সাথে কথা বলো না,

এক কথা দুই কথায় মায়ের সাথে ঝগড়া লাগে নীলের,
ঝগড়া করে অফিস যায় নীল,

অফিস গিয়ে কাজ করে লাঞ্চ পর্যন্ত আবার লাঞ্চ করে অফিসে কাজ করছে এমন সময় (অদৃশ্য) সাদিয়া হাজির নীলের অফিসে,

নীল দেখেই আরে তুমি আমার অফিসে,

পাস থেকে তার কলিগ আরিফ সাহেব তাকিয়ে আছে নীলের দিকে,
কারন আরিফ সাহেবের নজরে নীল একা একা কথা বলছে,
সাদিয়া বুঝতে পেরে নীল কে বলল,
নীল তোমার কলিগ তাকিয়ে আছে তোমার দিকে চুপ করে থাকো, আমি যা বলি তা শুনো কিন্ত কোন উত্তর দিবে না।

সাদিয়া- তুমি এখন বাসায় যাবে আর তোমার মা আর বোন কে নিয়ে মেয়ে দেখতে যাবে,

নীল- তুমি বলছো এই কথা,

সাদিয়া- চুপ নীল তোমার কলিগ দেখছে,

নীল তখন একটু রেগে আরিফ সাহেব কে ধমক দিয়ে বললেন আরে ভাই একটা প্রাইভেট কথা বলছি এরকম হা করে তাকিয়ে শুনছেন কেনো,

কিন্ত আরিফ সাহেব লজ্জা না পেয়ে উল্টো জিজ্ঞেস করলো, নীল ভাই আপনি কার সাথে কথা বলছেন,।এত দিন শুনতাম আজ নিজ চোখে দেখলাম আপনি একা একা কথা বলেন,

সাদিয়া- উনার এবং আমার সাথে একটা কথা বলবে না,
আমি যা বলছি তাই করো না হলে আমি সত্যি চলে যাবো আর আসবো না,।

নীল আবার বলতে লাগলো এটা কেমন কথা তুমি আর আসবে না,,

আরিফ ভাই তাকিয়েই আছে আর সাদিয়া বলল না গেলে আমি আর আসবো না আর দেখতে পারবে না।
সাদিয়া বুঝতে পারলো তার উপস্থিতিতে নীলের খারাপ হচ্ছে,
সাদিয়ার বিলীন হওয়ার সময় হয়ে আসছে,

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here