অদ্ভুত_মেয়ে Part – 18 (last part)
writer – #Nur_Nafisa
[কেউ সঠিক উত্তর দিতে পারেনি , তাই লাস্ট পার্ট দিয়ে দিলাম। আমার কোনো দোষ নেই 🙂 ]
.
.
ঘরটা অনেক সুন্দর, সবাই ঘুরেফিরে দেখলাম, ইমরান ভাইয়ার ফোন নিয়ে কয়েকটা ছবি ও তুললাম। তারপর হোটেলে ফিরে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে আমরা ভাই-বোন ও দিনা, নিসা একসাথে বসে এই ২দিনে তোলা ছবি গুলো দেখছি। আসলে ই ইমরান ভাইয়া অনেক ভালো ফটোগ্রাফার। ছবি তোলার স্টাইল গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
পরদিন,,,,,,
আজ আমরা ঢাকায় ফিরব। নাস্তা করে সবাই রেডি হয়ে বাসে উঠে পড়ছে।
ইমা- নাফিসা, হলো তোর? নাকি এখানে ই থাকবি?
আমি- ব্যবস্থা করে দিয়ে যাও, থেকে যাই ??
ইমা- এখন সময় নেই, আবার আসলে ব্যবস্থা করে দিয়ে যাবো। হাহাহা ? চল এবার।
আমি- হুম চলো।
সিড়ি দিয়ে নিচে নামছি, দেখলাম স্যার, ম্যাম রা নিচে দাঁড়িয়ে আছে। আর ছাত্র ছাত্রীরা সবাই বাসে উঠে পড়েছে। হঠাৎ দেখলাম ওই ছেলেটা বাহির থেকে ভিতরে আসছে কলা খেতে খেতে। খোসাটা সিড়ির সামনে ই ফেলে দিলো ডাস্টবিন এ না ফেলে। মেজাজ আমার প্রচুর খারাপ হলো। আমি এতক্ষণে নিচে নেমে এসেছি।
ছেলে – আরে চলে যাচ্ছেন নাকি?
আমি- না, এই মাত্র আসলাম।
ছেলে – হাহাহা…..খুব মজা করতে পারেন আপনি। আপনারা নাকি ঢাকা থেকে এসেছেন। আমরা ও ঢাকা থেকে এসেছি। হয়তো আবার দেখা হবে আমাদের। ?
আমি- আল্লাহ না করুক। ?
ছেলে – ওকে দেখা যাবে, তা বান্দর পেয়েছেন?
আমি- গাছে বান্দর পাই নি, তবে মাটিতে পেয়েছি। ?
ছেলে – তাই নাকি! কোথায়?
আমি- আশেপাশে খুঁজে দেখুন পেয়ে যাবেন।
ছেলে – পাচ্ছি না।
আমি- খুজতে থাকুন।
ছেলে – হাহাহা, ওকে bye.?
তারপর ছেলেটি সিড়ি দিয়ে উঠা শুরু করল, আমি এতক্ষণে কলার খোসাটা লাথি দিয়ে সিড়ির কাছে এগিয়ে দিলাম।
এতক্ষণে ছেলেটি ২/৩ সিড়ি উঠে পড়েছে…
আমি- হ্যালো ভাইয়া,
ছেলে – পিছনে তাকিয়ে, আমাকে বলছেন?
আমি- জ্বি, ১ টা কথা বলার ছিল।
ছেলে – ওকে, বলে আবার নিচে আসতেই কলার খোসায় পা দিয়ে, ধপাসসসসস!
আউচ!!!!!
আশেপাশের সবাই হা হয়ে আছে, আমি, রেহান, নিসা, দিনা, ইমরান ভাইয়া সহ হাসতে হাসতে প্রায় লুটিয়ে পড়ছি, হাহাহোহো ?????
মাহিন স্যার গিয়ে ছেলেটি কে টেনে তুললেন।
মাহিন – নাফিসা, বুঝতে বাকি নেই এটা তুমি করেছো। কিন্তু কোনো করলে?
ছেলে – হঠাৎ এমন কেন করলেন? আমি তো আপনার কথায় ই নিচে আসছিলাম!
আমি- আরে সেটা বলার জন্য ই তো নিচে ডাকলাম। কলার খোসা ফেলার জন্য ডাস্টবিন আছে, এখানে ফেললেন কেন?
ছেলে – এটা তো নিচে থাকতে ই বলতে পারতেন।
আমি- হুম পারতাম, কিন্তু আপনার এই কাজের জন্য যে কারো কোমড় ভেঙে যেতে পারতো সেটা বুঝানোর জন্য ই এই পদ্ধতি বেছে নিলাম।
ছেলে – সরি, আসলে বুজতে পারি নি।
আমি- এরপর থেকে বুঝতে পারবেন, তাছাড়া বান্দরটা খুঁজে পেয়েছেন তো! ?? এখন খোসা উঠান।
ছেলে – হুম।
মাহিন – নাফিসা, অনেক বড় শিক্ষা দিয়েছো, এবার চল।?
আমি- হুম, bye না, আল্লাহ হাফেজ। ?
ছেলে – ?হুম, আল্লাহ হাফেজ।
তারপর সবাই বাসে উঠে পড়লাম।
রেহান আমাদের সাথে ই আসলো, আর ইমরান ভাইয়া ও সাঈদ ছেলেদের বাসে চলে গেলো। আজ আর কেউ নাচানাচি করি নি। সবাই সিটে বসে কেও গান, কেউ জোক্স এসব নিয়ে ই হাসাহাসি করছি। খুব ই ভালো ও মজা করে কাটালাম এই ২টা দিন।
আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে মজার সময় গুলো মনে করছি আর প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভব করছি।
এভাবেই খুনসুটি, মজা করা, মান-অভিমান, ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে কাটছে #অদ্ভুত_মেয়ের দিনগুলো। আল্লাহ হাফেজ ?।
.
.
#অদ্ভুত_মেয়ে গল্প পড়ে অনেকেই বলবেন গল্পের শেষটা ভালো হয়নি / গল্প এখানেই শেষ করা উচিত হয়নি।
তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো আপনারা হয়তো ভুলে গেছেন গল্পের নামটা ই #অদ্ভুত_মেয়ে তাই এর শেষটাও অদ্ভুতভাবেই করা হলো 🙂 (Nur Nafisa)