ভালোবাসি_যে_তোকে,পর্ব :১০
লেখিকা মিমি
মেঘ তুই আমার হাত ধরেছিস।(সারা)
হে ধরেছি (মেঘ)
এই মেয়েটা আমাকে এত কিছুু বলল। তুই এই মেয়েটা কে কিছু না বলে তুই আমার হাত ধরেছিস।(সারা)
প্রিয়া তো কোনো ভুল করে নাই। যা করছে ঠিকিতো করছে।তুই মেহমান মেহমান হিসেবে থাকবি। তা না করে বাড়ির মালিক সাজতে যাস কেনো।আর তুই কোন সাহসে প্রিয়ার গায়ে হাত উঠাতে যাস।(মেঘ)
মেঘ তুই আমাকে এই মেয়ের জন্য অপমান করছিস(সারা)
আমি তোকে অপমান করছি না।মনে করে দিচ্ছি। এই বাড়িটা প্রিয়ার বাবার। আর প্রিয়া হলো প্রিয়ার বাবার আদুরের এক মাএ মেয়ে।এবং পরিবারেও আদুরের মেয়ে।এই পযন্ত প্রিয়াকে কেউ থাপ্পড় থাক দূরের কথা।একটা ধমকও দেয় না।কারন প্রিয়া প্রিয়ার বাবা আদরের মেয়ে।তার ভয়ে তার মেয়ে ভুল করলেও কেউ কিছু বলে না।আর তোর কপাল ভালো প্রিয়ার বাবা এখানে নেই।যুদি এখানে থাকতো তাহলে তোকে মেরে কবর দিয়ে দিত। (মেঘ)
আম্মু সারার সামনে দাড়িয়ে বলল..
মেঘ একদম ঠিক বলছে তুমি এই বাড়িতে আসার পর থেকে আমার মেয়েকে অপমান করে চলেছো।কিন্তু কিছু বলি নাই মেহমান বলে।আর আজকে তুমি আমার মেয়ের গায়ে হাত উঠাতে ছেয়েছো।তাই আর না এই মুহুতে বাসা থেকে কে বের হয়ে যাও।(আম্মু)
আন্টি সরি। এবারে মত মাফ করে দিন।প্লিজ আন্টি আমি বুঝতে পারি নাই।(সারা)
দেখো আমি এত কিছু জানি না।আর এমনি তে প্রিয়া বাবা একবার যুদি জানতে পারে। তাহলে তোমার কি অবস্তা করবে সেটা এক মাএ আল্লাহ জানে।তাই প্রিয়া বাবা বাসায় আসার আগে চলে যাও।(আম্মু)
কিন্তু আন্টি..(সারা)
সারাকে থামিয়ে আম্মু কে বললাম…
থাক আম্মু থাকতে চাইছে থাক না।এমনিতে তো আর দুই দিন আছে অনুষ্টানের।অনুষ্টান শেষ হলেতো চলে যাবে।থাকতে চাইছে থাকতে দাও।(প্রিয়া)
আচ্ছা তুই যেহেতু বলছিস তাহলে থাক।কিন্তু এর পর আবার ঝামেলা করলে কিন্তু আমি তোর কথা শুনবো না বলে দিলাম।(আম্মু)
আর ঝামেলা করবে না।তুমি যাওতো কাজ কর।(প্রিয়া)
হে আন্টি আমি আর ঝামেলা করবো না।আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। (সারা)
আম্মু কোনো কিছু না বলে চলে যায়।আর আমিও আমার রুমে চলে যাই।…
বাহ প্রিয়া তুমি তো দেখি নিজের পায়ে নিজে আঘাত করলা।তোর কি মনে হয় আমি এমনি এমনি এখানে থাকবো এত অপমানের পরেও।বোকা মেয়ে আজকে তোর জন্য আমাকে যে এত অপমান হতে হয়েছে তার জন্য কি আমি তোকে এমনি এমনি ছেড়ে দিবো নাকি।এই দুই দিনে দেখ আমি তোর কি অবস্থা করি।আমি আজকের অপমানের জন্য তো প্রতিশোধ নিবো।সারা মনে মনে বলল(সারা)
|
|
|
|
রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। আর মনে মনে বলতে লাগলাম।আহ আজ আমার অনেক শান্তি লাগছে ওই শাচ্চুন্নিটা কে থাপ্পড় দেওয়ায়।আমাকে অপমান করা তাইনা। আর সব থেকে বেশি খুশি লাগছে মেঘ ভাইয়া আমার হয়ে সারা শাচ্চুন্নিটা কে অপমান করেছে।না এই আনন্দে একটু নাচার দরকার।যেই বলা সেই কাজ।
তো কিস মেরা ফোটো..
তোর বাপে চালায় অটো..
তোর মা চালায় হুন্ডা…
তোর চৌদ্দগোষটি গুন্ডা..
জোরে জোরে গান গাইছি আর আবল তাবল নাচছি..।নাচতে নাচতে হঠাৎ কিছু একটার সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যাই।
ওমাগো.. এখানে খাম্বা আসলো কোথা থেকে গো…আমার কোমার টা শেষ গো…সবাই কিছু কি আমার কোমার টা দেখে নাকি গো.. যে এই বারও কোমরে ব্যাথা দিলো গো..(প্রিয়া)
এই চুপ গরুর মত চিৎকার করছিস কেন।আমর আমাকে কি বললি আমি খাম্বা।আমাকে তোর কোন দিক দিয়ে খাম্বা মনে হলো।(মেঘ)
কাউ কথা শুনে মাথা টা তোলে উপরে দিকে তাকালাম।এই কি এটা তো মেঘ ভাইয়া। আর আমি ওনাকে খাম্বা বলছি।ওমাগো ওনা চোখ মুখ একবারে লাল হয়ে আছে।আমার মনে হয়ে আমি আজকে শেষ।কেন যে নাচতে গেছিলাম।মনে মনে বলছি।আমাকে চুপ থাকতে দেখে ভাইয়া আরো রেগে যান।…
কিরে কথা কানে যায় না।নাকি কানে শুনিস না।ফাজিল।(মেঘ)
না মানে.. আসলে আমি তোমাকে বলি নাই খাম্বা। (প্রিয়া)
তাহলে কাকে বলেছিস এখানে তো আমি আর তুই ছাড়া আর কাউকে দেখতে পারছি না।(মেঘ)
আরে আমিতো তোমাকে বলি নাই।আমিতো আমাকে বলেছি।আসলে আমার মাথায় না একটু সমস্যা আছে আরকি কখন কি বলি নিজেই জানি না।আমি তোমাকে বলি নাই বিশ্বাস করো।(প্রিয়া)
তাহলে তুই বিশ্বাস করলি তোর মাথায় সমস্যা আছে..(মেঘ)
এমা এতো আসলে একটা বিলাই।আমার কথায় আমাকে ফাঁসিয়ে দিলো..মনে মনে বললাম..
না মানে হইছে কি..(প্রিয়া)
কি হইছে কি.. বল(মেঘ)
জানি না।কি হইছে..(প্রিয়া)
ও আচ্ছা তাই নাকি..(মেঘ)
ভা.. ভাইয়া..এভাবে কাছে আসছিস কে.কেনো..(প্রিয়া)
কেনো আছে আসলে ভয় পাশ নাকি।(মেঘ)
ভ.ভ.ভয় পাবো কেনো। আমিতো এসনি বলছি কা.কাছে আসছিস কেনো এই ভাবে(প্রিয়া)
মেঘ ভাইয়া আমার কাছে এসে আমার কোমর জরিয়ে ধরে।সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।মেঘ ভাই আস্তে আস্তে ওনার মুখ আমার কানের কাছে এনে ফিসফিস করে বললেন।
সত্যি ভয় পাচ্ছিস না আমাকে।আর তোর এত সাহস কবে থেকে হলো রে..(মেঘ)
ছাড়েন আমাকে প্লিজ.. (প্রিয়া)
যুদি না ছাড়ি তাহলে..(মেঘ)
আমি চিৎকার করবো ছাড়েন প্লিজ (প্রিয়া)
আচ্ছা তাহলে চিৎকার কর আমিও একটু শুনি(মেঘ)
আম..(প্রিয়া)
আর চিৎকার করতে পারলাম না।মেঘ ভাইয়া আমার ঠোট জোরা দখল করে নিলো।কি আজব লোক রে বাবা।যখন সুযোগ পায় তখনি হামলা করে।ভালোবাসে না। আবার আছে আসে লুচু একটা…
চলবে…
[ভূল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।]