বজ্জাত বউ,পর্ব ০৫,০৬
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ০৫
পরশ: আমি আফিসে ডুকতে আফিসের সব কর্মচারী গুলো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওদের তাকিয়ে থাকাতে আমার একটু বিরক্তি লাগছে। আমি কিছু না বলে নিজের আফিস রুমে চলে আসলাম। একটু পর আসলাম সাহেব এসে দরজায় নক করতে
আসলাম সাহেব:may I come in sir
পরশ: আসলাম সাহেব আসুন ভেতরে আসুন।
আসলাম সাহেব: স্যার আজ আপনাকে দারুন লাগছে। আফিসে সবাই আপনার দিক থেকে চোখ ফিরাতে পারছিলো না।
পরশ: আজেবাজে কথা বাদ দিয়ে কাজের কথা বলুন
আসলাম সাহেব: সত্যি বলছি স্যার। আপনাকে আজ সালমান খানের মতো লাগছে। স্যার একটা প্রশ্ন করবো?
পরশ: কি প্রশ্ন?
আসলাম সাহেব: স্যার শার্ট টা কি আপনাকে ভাবী দিয়েছে।
পরশ: হ্যা।
আসলাম সাহেব: সত্যি স্যার ভাবীর পছন্দ আছে।
পরশ: আসলাম সাহেব আপনার বলা হয়েছে। যদি হয় তাহলে ফাইলটা নিয়ে কথা বলি।
আসলাম সাহেব: sorry স্যার আসলে আপনাকে এতো সুন্দর লাগছে যে না বলে থাকতে পারছিনা।
পরশ: হয়ছে।
আসলাম সাহেব: জি স্যার।
পরশ: তাহলে কাজ করুন। বলে পরশ ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করতে লাগলো।
এদিকে মিষ্টির হঠ্যৎ করে মাথা ব্যাথা বেশি হতে লাগলো।
মিষ্টি: এতো মাথা ব্যাথা হচ্ছে কেনো। ভাইয়া কে একবার ফোন দিয়ে বলবো। হ্যা ভাইয়া কে ফোন দেই বলে ফোনটা হাতে নিয়ে ফোন করলাম।
আহাদ( মিষ্টির চাচাতো ভাই): হ্যালো মিষ্টি কেমন আছিস।
মিষ্টি: ভাইয়া তুমি এখন কোথায়?
আহাদ: আমি রেডি হচ্ছি মেডিকেলে যাবো।
মিষ্টি: ভাইয়া তুমি একবার আমার শশুড় বাড়িতে আসতে পারবে।
আহাদ: মিষ্টি তুই ঠিক আছিস তো। তোর মাথা ব্যাথা বেরেছে না। তোকে কতো বার বলেছি একবার আমার এখানে এসে টেষ্ট করাতে।
মিষ্টি: ভাইয়া তুমি আগে বলো আসবে কিনা। না আসলে তোমার সাথে কথা বলবো না।
আহাদ: ঠিক আছে আমি আজ সন্ধ্যায় আসছি।
মিষ্টি: thank you ভাইয়া।
আহাদ: পাগলী একটা।
অপর দিকে
দিশা আর দিশার বন্ধবীরা মিলে মেডিকেল কলেজে ক্যাম্পসের বসে আছে।
দিশার বন্ধুরা : কি রে দিশা আজ তোর হিরো আর আমাদের আহাদ স্যার তো দেখায় যাচ্ছে না। আচ্ছা দিশা তুই স্যারকে বলতে পারিস য়ে তুই স্যার কে ভালোবাসিস।
দিশা: তোরা চুপ করবি।
বন্ধুরা : ওই দেখ আহাদ স্যারে গাড়ি গেটে ডুকছে।
দিশা একবার গাড়ির দিকে তাকালো। তারপর বললো তোরা সবগুলো একটা।
বন্ধুরা : আমরা সবগুলো কি বল
দিশা: বেল পড়ে গেছে চল ক্লাস রুমে যাই। তারপর সবাই মিলে ক্লাস রুম গিয়ে ক্লাস করলো। সারা ক্লাসে দিশা শুধু আহাদে দিকে তাকিয়ে আছে। আহাদ সেটা খেয়াল করেছে। ক্লাস শেষ করে সবাই বের হয়ে চলে গেলো। দিশা আর দিশা বন্ধুরা পরে বের হতেই পেছন থেকে আহাদ দিশা কে ডাকলো
আহাদ: দিশা তুমি থাকো আর বাকিরা আসতে পারো।
দিশার বন্ধুরা আমারা আসি দিশা ( দিশাকে ধাক্কা দিয়ে বললো)
আহাদ: দিশা তুমি আমার একটা help করবে।
দিশা: কি help স্যার।
আহাদ: আসলে আমার মেয়েদের gifts সম্পকে ধরনা নেই। তুমি একটাgifts কিনতে সাহায্য করবে।
দিশা: স্যার কি কোনো মেয়েকে পছন্দ করে ( মনে মনে) কেমন মেয়ে স্যার।( মন খারাপ করে বললো)
আহাদ: একটু চনচল। তবে দেখতে অনেক সুন্দর।
দিশা: ঠিক আছে চলুন।
আহাদ: হ্যা চলো।
তারপর আহাদ আর দিশা মিলে একটা শপিং মলে গেলো।
আহাদ: দিশা তুমি ওদিক টা দেখো আমি কিছু চকলেট কিনে আনি।
দিশা: চকলেট কেনো স্যার।
আহাদ: কারন আমার ছোটো বোনটা চকলেট খুব পছন্দ।
দিশা: ছোটো বোন মানে।
আহাদ: ও তোমাকে তো বলা হয়নি আসলে আমি আজ আমার ছোটো বোনের শশুড় বাড়ির তে যাবো তাই ওর জন্য কি gifts কিনবো বুঝতে পারছিলাম এর জন্য তোমারকে আর কি
দিশা:ছোটা বোন আগে বলবেন তো আমি মনে করেছিলাম আপনার girl
আহাদ: কি
দিশা: কিছু না স্যার আপনি চকলেট কিনে আনুন আমি ততো সময় শাড় দেখতে থাকি।
আহাদ: ঠিক আছে বলে চলে গেলো।
একটু পর
আহাদ: পছন্দ হয়েছে।
দিশা: এই দুটো পছন্দ হয়েছে কোনটা যে সিলেট করবো বুঝতে
আহাদ: আপনি বরং দুটো শাড়ি দুটা প্যাকেট করে দিন।
দোকানদার: ok স্যার
দিশা: দুটা শাড়ি দুটা প্যাকেট কেনো স্যার।
দোকানদার: এই নিন স্যার আমার শাড়ি।
আহাদ : thank you
দোকানদার: ধন্যবাদ।
আহাদ: দিশা এটা ধরো।
দিশা: ok স্যার
আহাদ: এখন যাওয়া যাক বলে দুজনে গাড়িতে উঠে বসলো। আহাদ গাড়ি চালাতে লাগলো।
দিশা: স্যার এখানে রাখুন
আহাদ: এখনে( গাড়ি থামিয়ে)
দিশা: আসলে স্যার আমি এখানেই নামবো।( বলে গাড়ি থেকে নেবে পড়লো)
আহাদ: দিশা
দিশা: কিছু বলবেন স্যার
আহাদ: এটা তোমার জন্য ( একটা শাড়ির প্যাকেট দিয়ে)
দিশা: কিন্তু
আহাদ: কোনো কিন্তু না তোমাকে নিতে হবে
দিশা: ঠিক আছে ( প্যাকেটটা হাতে নিয়ে)
তারপর দিশা বাড়ি এসে নিজের রুমে গিয়ে শাড়ির প্যাকেট টা খুলে শাড়িটা আয়নার সামনে নিয়ে গিয়ে দেখছিলো।
মিষ্টি: কি দিয়েছে আমার ননদাই( দরজায় সামনে দাড়িয়ে)
দিশা: ভাবি তুমি
মিষ্টি: হু আমি কে দিয়েছে।
দিশা: স্যার দিয়েছে।
মিষ্টি: তাহলে তো শাড়িটা পড়তেই হবে
দিশা: ভাবি তুমি ও না
মিষ্টি: আ( মাথা ধরে)
দিশা: ভাবি কি হয়েছে।
মিষ্টি: কিছু না তুমি শাড়িটা পড়ো আমি আসছি বলে মিষ্টি চলে গেলো।
সন্ধ্যায় বাড়ির কলিং বেল বাজতেই দিশা দরজায় খুলতে আবাক
দিশা: স্যার আপনে
আহাদ: বাহ্ মেয়েটাকে শাড়িটা বেশ সুন্দর লাগছে ( দিশার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো))
দিশা: স্যার
আহাদ: sorry তুমি এখানে
দিশা: স্যার এটা আমার বাড়ি
মিষ্টি: ভাইয়া ( সিড়ি দিয়ে নামতে)
আহাদ: মিষ্টি
মিষ্টি: ভাইয়া ( আহাদকে জরিয়ে ধরে)
আহাদ: আমার বোনটাকে ভালো করে দেখি
মিষ্টি: ভাইয়া তুমি আগে বসোতো নিলুফা চা মিষ্টি নিয়ে আয়। ভাইয়া এটা আমার শাশুড়ি মা, এটা আমার ননদিনী
আহাদ: দিশা তাইতো
মিষ্টি: তুমি চিনলে কি করে
দিশা: ভাবি স্যার
মিষ্টি: স্যার দিশা
আহাদ: এ সব বাদ দে আগে বল পরশ কোথায়।
মিষ্টি: কোথায় আবার আফিসে
।মামনি: ভালো আছো বাবা।
আহাদ: হ্যা অ্যান্টি আপনি ভালো আছেন তো।
মামনি: আল্লাহ রহমতে ভালো আছি। বাবা তুমি আজ না খেয়ে যাবে না কিন্তু। আর মিষ্টি তুই কথা বল আমরা খাবার তেরি করি দিশা আয়।
মিষ্টি: ঠিক আছে মামনি।
আহাদ: তুই ঠিক আছিসতো বোন।
মিষ্টি: চারদিকে তাকিয়ে ভাইয়া আমার মাথা ব্যাথা বেশি হচ্ছে। যখন তখন ব্যাথা করছে।
আহাদ: কি বলছিস। তুই পরশকে বলেছিস
মিষ্টি: না ভাইয়া।
আহাদ: তুই বরং কাল একবার আমার হাসপাতালে আয়।
মিষ্টি: ঠিক আছে ভাইয়া
দিশা: ভাবি খাবার রেডি স্যারকে নিয়ে এসো।
মিষ্টি: ভাইয়া তুমি বিয়ে করবে না।
আহাদ: কেনো।
মিষ্টি: না আমার কাছে একটা ভালো পাএ আছে তো তাই।( দিশার দিকে তাকিয়ে বললো)
আহাদ: কে
দিশা: ভাবি চলো স্যার আসুন
বলতে আবার কলিং বেল বেজে উঠলো।
মিষ্টি: এসে গেছে।
দিশা: আমি দরজায় খুলে দিচ্ছি। বলে দিশা দরজায় খুলে দিলো।
আহাদ: hi আমি ডাক্তার আহাদ রহমান ( হাত এগিয়ে দিয়ে বললো)
পরশ: আমি আরফিন ইসলাম পরশ। আসলে আপনাকে তো চিনলাম না।
আহাদ: দুটো পরিচয় আছে কোনটা দেবো সেটা বলো।
পরশ: ঠিক বুঝলাম না।
আহাদ: আসলে আমি মিষ্টির চাচাতো ভাই। আমি তোমাদের বিয়ে সময় ছিলাম না তাই চিনতে পারো নি। আর একটা হলো আমি দিশার স্যার।
পরশ: sorry আসলে আমি
আহাদ : প্রথম না চিনলে এই রকম হয়। আগে বলো আমার বোনটা তোমাকে কেমন জ্বালাই।
পরশ: বলে শেষ করা যাবে না।
আম্মু: তোমরা শুধু কথা বলবে এদিকে যে খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলো।
পরশ: ভাইয়া আপনি বসুন আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।
পরশ ফ্রেস হয়ে আসার সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে গল্প করতে লাগলো।
আহাদ: অনেক রাত হয়েগেছে আজ আমি আসি বলে আহাদ ওঠে দাড়ালো। তারপর সবাই কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো।
আহাদ চলে যাওয়া পর পরশ নিজের রুমে এসে বই পড়ছিলো। পরশের সামনে মিষ্টি এসে দাড়াতে পরশ বললো……..
(চলবে)
বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ০৬
মিষ্টি পরশের সামনে এসে দাড়াতেই পরশ বললো
পরশ: এই রকম সঙের মতো সামনে এসে দাড়ালে কেনো। দেখছো একটা কাজ করছি।
মিষ্টি: আমার ঘর আমি যেখানে খুশি সেখানে দাড়াবো। তাতে আপনার কি। আর দুনিয়া সব কাজ যেনো ওনি একাই করে হুহ্।
পরশ: আচ্ছা কি করো কোনো কাজ তো করো না। সারাদিন শুধু মাথায় দুনিয়ার যতো খাবাপ বুদ্ধি আছে তা ঘুরপাক করে। আর পড়াশুনা বলবো না তিন বার ইংরেজীতে ফেল করে বসে আছে।
মিষ্টি: এই শুনুন পড়াশুনা নিয়ে কোনো কথা বলবেন না কিন্তু। আর ফেল করেছি বেশ করেছি এতো পড়ে কে খাবে। যতোসব পড়াশুনা। আর আমার বিয়ে হয়ে এখন পড়াশুনা করে কোনো লাভ নেই।
পরশ: তোমার সাথে ফালতু কথা বলায় কেনো ইচ্ছে নেই সামনে থেকে সরে যাও।
মিষ্টি: কি এমন রাজ কাজ করছেন। মনে হচ্ছে এই কাজ করলে ওনাকে নোবেল পুষ্কার দেবে। বলে বিছানাতে শুয়ে
পড়লো।
পরশ: এই মেয়েটা কবে যেনো আমাকে পাগলা গারোতে পাঠানো। এতো কথা বলে।
রাত ১২ টা
মিষ্টি: এই গেখরা সাপটা কি ঘুমিয়ে পড়েছে। একটু দেখিতো। না ঘুমিয়ে পড়েছে ( নাকে হাত দিয়ে) মিষ্টি এখন তোর কাজ কর । কোথায় রাখলো ফাইলটা। ওতো ফাইল.। এসব কি একেছে যতো সব আজেবাজে নকশা। এর থেকে আমি ভালো করে আকতে পারি। পেন্সিলটা পেয়েছি এবার দেখ আমি কি সুন্দর করে আকি। তারপর মিষ্টি ফাইলটা নিয়ে আকতে লাগলো। আকা শেষ করে বিছানা তে এসে পরশের দিক তাকিয়ে বললো
মিষ্টি: একে একটু আকি। বলে মারকার দিয়ে পরশের মুখ আকলো। এবার সকালে দারুন মজা হবে। এখন ঘুমিয়ে পড়ি।
পরেদিন সকালে পরশ ঘুম থেকে উঠে আয়নার সামনে দাড়াতেই পরশের মাথায় যেনো রাগ উঠে গেলো।
পরশ: মিষ্টি( চিৎকার করে)
মিষ্টি: আমি এখানে
পরশ: কি করেছো এটা।
মিষ্টি: বাঘ একেছি। ( মুচকি হেসে)
পরশ: কেনো করেছো।
মিষ্টি: আসলে আপনাকে রাতে বাঘের মতো লাগছিলো তাই একেছি।
পরশ: তোমাকে আমি পরে দেখে নেবো। বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো। তারপর সবাই বেক ফাস্ট করে পরশ আফিসে আর দিশা কলেজে চলে গেলো।
মিষ্টি: মামনি আমি একটু বের হবো।
মামনি: কোথায় যাবি।
মিষ্টি: একটু কাজ আছে আমি আসি মামনি। বলে বাড়ির থেকে বের হয়ে সারাসরি হাসপাতালে গিয়ে আহাদকে ফোন করলো।
মিষ্টি: হ্যালো ভাইয়া আমি এসেগেছি।
আহাদ: তুই দাড়া আমি আসছি।
মিষ্টি: ঠিক আছে।
একটু পর আহাদ এসে বললো
আহাদ: মিষ্টি চল সব ব্যস্থায় হয়ে গেছে তুই শুধু আজ টেষ্ট করাবি কাল রিপোট দেবো।
মিষ্টি: চলো। তারপর মিষ্টি টেষ্ট করিয়ে বাড়ি ফিরে আসলো।
সন্ধ্যায় পরশ বাড়ি ফিরতে পরশের আম্মু বললো
আম্মু: কি রে আজ এতো তারাতারি আসলি।
পরশ: কাল একটা গুরুত্বপূন আফিসে কাজ আছে বলে আজ তারাতারি চলে আসলাম। বলে পরশ নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে ফাইলটা হাতে নিয়ে ফাইলটা খুলতেই মিষ্টিকে ডাকতে লাগলো
পরশ: মিষ্টি মিষ্টি ( ডাকতে ডাকতে নিচে চলে আসলো)
আম্মু: মিষ্টিকে ডাকছিস কেনো।
পরশ: আগে বলো মিষ্টি কোথায়।
মিষ্টি: এই তো আমি সোয়ামী বলতেই ঠাস করে একটা থাপ্পার বসিয়ে দেয় পরশ। থাপ্পর খেয়ে মিষ্টি নিচে পড়ে যাই।
আম্মু: পরশ তুই ওর গায়ে হাত তুললি।
পরশ: হ্যা তুললাম। যানো তোমার গুনোধর বউমা কি করেছে। এই দেখো এই ফাইলটা । ( ফাইল দেখিয়ে বললো) কাল এই ফাইলটা আমাকে আফিসে জমা দিতে হবে। এই ফাইলটা আমি আজ কয়দিন ধরে করছি। কাল যদি ফাইলটা না দিতে পারি তাহলে আফিসে অনেক লোকসান হয়ে যাবো আর আমাকে আপমানিত হতে হবে। তাতে এর কি আমি আপমানিত হলো তো ও খুশি হয়। এই মেয়ে টা যেদিন থেকে আমার লাইফে এসেছে সেই দিন আমার লাইফটা নষ্ট করে দিয়েছে। কাল ১০ টা মধ্যে আমি কি করবো জানি না বলে পরশ বাড়ির থেকে বের হয়ে গেলো।
মামনি: ওঠ মা ওঠ। আজ তুই কাজটা ঠিক করিস নি মা ঠিক করিস নি। বলে মামনি চলে গেলো।
মিষ্টি মেজেতে বসে অঝোরে কাঁদতে লাগলো।
দিশা: ভাবি ওঠো। ইশ তোমার মুখ ফুলে গেছে বরফ দিতে হবে দাড়াও আমি বরফ নিয়ে আসি।
মিষ্টি: না দিশা বরফ লাগবে না তুমি শুধু একটা পেন্সিল এনে দাওব।
দিশা: কি করবে তুমি।
মিষ্টি: আনতে বলছি নিয়ে আসো।
দিশা: আনছি বলে ঘর থেকে একটা পেন্সিল এনে দিলো। মিষ্টি পেন্সিল টা নিয়ে সরাসরি ছাদে চলে গেলো। ছাদে গিয়ে সারারাত ধরে ফাইলটা কমপ্লেট করলো। ফাইলটা করার পর মিষ্টির মাথায় ব্যাথা দিগুন বেরে গেলো।
মিষ্টি: আমার এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো ( মাথা হাত দিয়ে ধরে) আমি ঠিক থাকতে পারছিনা কেনো। আঃ আমি সয্য করতে পারছিনা। আম্মু তুমি কোথায় আমি পারছিনা। অসয্য জ্বালা। আঃ ওষুধ কোথায় ওষুধ আঃ আঃ হ আম্মু হে আল্লাহ তুমি আমাকে শক্তি দাও আমি ওনার আপমান হতে দিতে পারি না বলতে ফজরে আযান পড়তে লাগলো। হে আল্লাহ আঃ আঃ আমাকে পাড়তে হবে। মিষ্টি তুই হারতে পারিস না তোকে ফাইলটা করতেই আফিসে দিয়ে আসতে হবে। আঃ আঃ মাথায় হাত দিয়ে টেবিলে পর শুয়ে পড়লো।
সকাল ৮ টা
পরশ রেডি হয়ে নিচে নামতে আম্মু বললো
আম্মু: বেক ফাস্ট করবি না।
পরশ:না করবো না।
আম্মু: কাল রাতে সেই গিলি আর ফিরলি শেষ রাতে সারা রাত খাওয়া নেই এখন তো কিছু খা।
দিশা: আম্মু তুমি ভাবিকে দেখেছো।
আম্মু: কেনো ওর ঘরে নেই।
দিশা: না আম্মু আমি ভাইয়া ঘর আমার ঘর এমন কি ছাদে দেখেছি কোথায় নেই।
আম্মু: সে কি মেয়েটা কোথায় গেলো।
দিশা: আম্মু কাল রাতে ভাবি ছাদে গিয়েছিলো এখন তো ছাদে নেই।
পরশ: এই মেয়েটা তো রাতে ঘরে দেখি নাই কোথায় গেলো ( মনে মনে)
আম্মু: বাড়িতে তো যাইনি। তুই ফোন করে দেখেছিস।
দিশা: আম্মু আমি ফোন করেছি কিন্তু ভাবির ফোনতো বন্ধ বলছে।
পরশ: আম্মু আমি আসি বলে পরশ গাড়ি নিয়ে আফিসে চলে আসলো। আফিসে এসে নিজের রুমে চোয়ার পর হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলো।
আসলাম সাহেব: may I come sir
পরশ: আসুন
আসলাম সাহেব : স্যার আপনাকে ডেকেছে।
পরশ: আপনি যান আমি আসছি।
আসলাম সাহেব: ঠিক আছে স্যার বলে পরশের রুম বের হয়ে আসলো।
পরশ: কি বলবো স্যার যে আমি ফাইলটা করতে পারি নাই। না আর পারছিনা এই মেয়ে আমার জীবনটা হেল করে দিলো। না যাই যা হওয়ার তাই হবে বলে পরশ স্যারের রুমে সামনে এসে বললো
পরশ:may I come in sir
স্যার: এসো
পরশ: আসলে স্যার আমি ফাইল
স্যার: আরে পরশ তুমি তো যা করেছো তাতে আমাদের কোম্পানী অনেক লাভবান হবে। বিশেষ করে তিন নাম্বর চিএটা ডানদিক টা ডিজাইন টা দারুন হয়েছে। আরে পরশ আমারা ডিলটা পেয়ে গেছি।
পরশ: ফাইলটা তো মিষ্টি নষ্ট করেছিলো আর আমিও করে নি তাহলে ফাইল আসলো কোথায় থেকে। ( মনে মনে) স্যার ফাইল টা দেখি। আর স্যার ফাইলটা তো আমি আপনাকে দেইনি তাহলে দিলো কে
স্যার: আসলাম সাহেব। ওনি বললেন তোমার আসতে দেরি হবে তাই তুমি পাঠিয়ে দিয়েছো।
পরশ: আসলাম সাহেব। স্যার আমি আসছি বলে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম সাহেব কে নিজের রুমে ডাকলো।
আসলাম সাহেব: কিছু বলবেন স্যার।
পরশ: ফাইলটা কে দিয়েছে আপনাকে।
আসলাম সাহেব: আসলে স্যার
পরশ: সত্যি কথা বলুন
আসলাম সাহেব: স্যার আপনার wife .
পরশ: what কি বলছেন আপনি
আসলাম সাহেব: আজ সকালে আপনার wife মানে ভাবি আমাকে ফোন করে রাস্তা মোড়ে আসতে বলে। আর ফাইলটা দিয়ে আমাকে বলতে বারুন করেছে যে ফাইলটা ভাবি দিয়েছে। তবে স্যার ভাবিকে দেখে মনে হলো খুব অসুস্থ সারারাত ঘুমাই নি। স্যার আপনি বড় লাকি এ রকম wife কয়জন পায়। আর একটা কথা স্যার ভাবি দেখো এটুকু বুঝেছি ভাবি আপনাকে খুব ভালোবাসে। আমার একটা কথা রাখবেন স্যার
পরশ: কি কথা
আসলাম সাহেব: আপনি ভাবিকে কোনো কষ্ট দিয়েন না। কারন এ রকম মেয়ে লাখে একটা হয়। আমি আসি স্যার বলে আসলাম সাহেব চলে আসলেন।
পরশ: মিষ্টি করেছি। ও এতো সুন্দর ডিজাইন করেছে। আর আমি ওকে না আজ আমি মিষ্টির কাছে ক্ষমা চাইবো।
এদিকে মিষ্টি সরাসরি মেডিকেল কলেজে এসে আহাদের। আফিস রুমের। সামনে দাড়িয়ে বললো
মিষ্টি: আসবো ভাইয়া।
আহাদ: হ্যা আয় ভেতরে আয়।
মিষ্টি: ভাইয়া আজকে রিপোট দেওয়া কথা।
আহাদ: তোর মুখ চোখ এ রকম হয়েছে কেনো। দাড়া আমি তোর প্রিয় খাবার পিজা অডার করি।
অপর দিকে
দিশার বন্ধু: দিশা তুই এখানে আর তোর ভাবিকে আহাদ স্যারে রুমে দেখলাম।
দিশা: তুই ঠিক দেখছিস। ভাবি এখানে
দিশা বন্ধু: আমি স্যারে আফিরে রুমে আসতে পরে দেখছি।
দিশা: তোরা বস আমি আসছি বলে দিশা উঠে আসলো।
এদিকে
মিষ্টি: ভাইয়া রিপোটটে কি এসেছে।
আহাদ: তুই এতো তারাহুরা করছিস কেনো।
মিষ্টি: আমি আমার ভাইকে চিনি সে খুড়েফিরে কথা বলতে পারে না।
আহাদ: তুই এ রকম ভাবছিস কেনো বলতে আহাদে চোখে পানি চলে আসলো।
মিষ্টি: ভাইয়া তোমার বোন দুর্বল নয়। সে সবকিছু শুনতে প্রস্তুত।
আহাদ: মিষ্টি তুই বলতে আহাদ মিষ্টিকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
মিষ্টি: এই ভাইয়া তুই কাঁদছিস কেনো হ্যা। ভাইয়া এই ভাইয়া দেখ তোর বোনের তেমন কিছু হবে নাই না। আর হলে কি আছে আমার ভাই আমাকে সুস্থ করবে না।
আহাদ: আমি পারবো না।
মিষ্টি: আরে বল না কি হয়েছে আমার আহাদ কে ধাক্কা দিয়ে বললো
আহাদ: আমি বলতে পারবো না।
মিষ্টি: বলতে তোকে হবে বল কি হয়ছে আমার। আহাদে শার্টের কলার ধরে বললো
আহাদ: না
মিষ্টি: বল ভাইয়া বল বলছি আহাদকে ঝাকিয়ে বললো
আহাদ: মিষ্টির তোর
মিষ্টি: কি
আহাদ:……
(চলবে)