বজ্জাত বউ,পর্ব ১৫,১৬

0
1215

বজ্জাত বউ,পর্ব ১৫,১৬
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ১৫

পরশ: আম্মু আমি গিয়ে দেখি আসি বলে পরশ দিশার রুমে যেতেই পরশ মিষ্টির দিকে তাকাতেই দেখে মিষ্টির নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।
পরশ: ওর নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখে আমার বুকে ভেতর রা একটু টান দিয়ে উঠলো। আমি মিষ্টির কাছে গিয়ে মিষ্টিকে নিজের দিকে করে ওর নাকে হাত দিয়ে রক্ত মুছে হাতটা ওর সামনে ধরে বললাম তোমার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে কেনো
মিষ্টি: ( সর্বনাশ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে আমি বুঝতে পারি নি। কি বলবো আমি ওনাকে) নাক দিয়ে রক্ত। আসলে সামনে আবহাওয়া চেন্জ হচ্ছে তাই বুঝি নাক দিয়ে পড়ছে। আর পড়তে পারে
পরশ: মিষ্টি বলে আমি ওকে জরিয়ে ধরলাম। আর বললাম তোমার কিছু হলে আমি শেষ হয়ে যাবো।
মিষ্টি: আরে কি করছেন বাড়ি ভরতি মানুষ। সবাই দেখছে ছারুন।
পরশ: দেখুক আমি আমার বউকে জরিয়ে ধরেছি।
মিষ্টি: ছারুন তো বলে ওনার কাছ থেকে সেরে আসলাম। আপনার মাথা গেছে। আপনি আগে দিশার সাথে দেখা করে ফ্রেস হয়ে নিন। কতো কাজ বাকি আছে। সন্ধ্যায় আবার গায়ে হলুদ যানতো বলে আমি কাজের দিকে নজর দিলাম। ওনি কিছু না বলে দিশার রুমে গিয়ে দিশার সাথে দেখা করে নিজের রুমে গিলেন। আমি বাড়ির বাকি কাজ গুলো সারতে সারতে বিকেল পেরিয়ে গেলো। একটু পর গায়ে হলুদ শুধু হবে। আমি ফ্রেস হওয়ার জন্য নিজের রুমে গেলাম। আলমারি থেকে একটা হলুদ রঙের শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে গিলাম। ওয়াশরুম থেকে শাড়িটা পড়ে আয়নার সামনে দাড়াতে ওনি পেছন থেকে আমাকে জরিয়ে ধরলেন।
পরশ: আজ তোমাকে হলুদ শাড়িতে দারুন লাগছে। বলে আমি ওর গালে একটা চুমো খেলাম।
মিষ্টি: আমি ওনার কথা শুনে হাসলাম। তারপর ড্রেসিং টেবিলের পর রাখা চুড়ি গুলো পড়তে লাগলাম। গলায় একটা মালা পড়তে যাবো তখন ওনি বললো
পরশ: আমি পড়িয়ে দিচ্ছি বলে আমি ওর গলায় মালাটা পড়িয়ে দিলাম। আর কপালে একটা ছোটো লাল টিপ পড়ালাম। তারপর ওকে নিজের দিকে করে কপালে একটা চুমো খেলাম।
মিষ্টি: কি হয়েছে আপনার বলতে ওনার দিকে তাকিয়ে দেখি (ওনি একটা হালকা হলুদ রঙের পান্জাবি পড়েছেন। ওনাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। একদম হিরো হিরো।) আপনাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে বলতে দরজায় ওপার থেকে নিলুফা ডাকতে লাগলো
নিলুফা: ভাবি সবাই আপনাকে নিচে ডাকছে
মিষ্টি: তুই যা আমি আসছি।
নিলুফা: আচ্ছা।
মিষ্টি: চলুন নিচে যাই
পরশ: আগে আমাকে একটা কিস তারপর যাবো।
মিষ্টি: আপনে না পারেনো বলে আমি ওনার গালে একটা চুমো খেলাম। এবার চলুন
পরশ: চলো
মিষ্টি: চলুন বলে আমরা নিচে আসলাম। নিচে এসে দিশার গায়ে হলুদ দেওয়া শুধু হলো। সবাই অনেক অান্দন করে গায়ে হলুদ মাখলো। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে করে আত্নীয় স্বজন যার যার মতো ঘরে গেলো। আমি সবটা দেখে নিলান ঠিক আছে কি না। দেখার পর নিজের রুমে আসলাম। এসে দেখি ওনি বিছানাতে শুয়ে আছেন। আমি ওনার পাশে গিয়ে বসতে ওনি ওনার মাথাটা আমার কোলের উপর রাখলো। হঠ্যৎ করে বৃষ্টি পড়তে লাগলো।
পরশ:এই সময় বৃষ্টি
মিষ্টি :ভালো তো চলুন না বৃষ্টি তে ভিজি।
পরশ: এই ঠান্ডার মধ্য বৃষ্টিতে ভেজলে জ্বড় আসবে।
মিষ্টি: ও আপনি ভেজবেন না। চলুন না এটা আমার আর আপনার শেষ বৃষ্টিতে ভেজা আর কখনো ভেজবো না। চলুন না চলুন বলছি
পরশ: আরে ঠিক আছে যাচ্ছি চলো। বলে আমি মিষ্টির সাথে ছাদে গেলাম বৃষ্টিতে ভেজতে।
মিষ্টি: আহ্ কি ভালো না লাগছে বৃষ্টিতে ভেজতে বলে আমি মনে অানন্দ ভিজতে লাগলাম।
পরশ: পাগলী একটা। বাচ্চা দের মতো করে বৃষ্টিতে ভেজছে। তবে ওকে আজ অন্য রকম সুন্দর লাগছে।
মিষ্টি: আসুন বলে আমি ওনার হাত ধরে ছাদের মাঝখানে নিয়ে আসলাম। তারপর ওনার চারপাশে ঘুরতে লাহলাম।
পরশ: আমি ওকে ঘুরতে দেকে জরিয়ে ধরলাম। আর কোলে তুলে নিয়ে বললাম। অনেক হয়েছে এবার রুমে চলো বলে ওকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসলাম।
মিষ্টি: আর একটু ভেজলে কি হতো।
পরশ: ঠান্ডা লেগে যেতো। যাও পোকাশটা চেন্জ করে আসো।
মিষ্টি: দুর বলে আমি ওয়াশরুম থেকে চেন্জ করে এসে ওনার বকুের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম।
পরশ: রাগ হয়েছে বুজি। ঠিক আছে এখনি রাগ ভেঙে দিচ্ছি বলে ওকে নিয়ে হারিয়ে গেলাম ভালোবাসার দুনিয়ার।
সকালে
মিষ্টি: এই রে অনেক বেলা হয়ে গেছে। বলে আমি ওঠে ফ্রেস হয়ে ওনাকে ডাকলাম।
পরশ: আর পাচ মিনিট পর উঠবো।
মিষ্টি: ওঠাছি পাচ মিনিট পর নিজের বোনের বিয়ে আজ আর ওনি ঘুমাচ্ছে বলে ওনার গায়ে এক জগ পানি ঢেলে দিলাম।
পরশ: কি করলে এটা।
মিষ্টি: ঠিক করেছি এবার ওঠে রেডি হয়ে নিচে আসুন বলে আমি নিচে গিয়ে কাজে লেগে পড়লাম। কিন্তু আজ আমার কাজ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে বলতে নিলুফা বললো
নিলুফা: ভাবি আপনার নাকে রক্ত
মিষ্টি: আমি নাকে হাত দিয়ে রক্ত মুছে বললাম তোর কাজ কর। আজ আমার এমন লাগছে কেনো। না না বলে আমি কাজ করতে লাগলাম। মামনি দিশার সাজানোর জন্য লোক এনো না আজ আমি ওকে সাজাবো
মামনি: ঠিক আছে
পরশ: আম্মু খাওয়ার আয়োজন জন্য লোক এসেগেছে আমি দেখছি
মিষ্টি: আমি বরং বাকিটা দেখছি বলে চলে গেলাম। সনধ্যায় পর দিশার রুমে গিয়ে দিশাকে সাজাতে লাগলাম। দিশা তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে আমার ভাইয়া আজ চোখ ফেরাতে পারবে না।
দিশা: তুমি কিন্তু আজ ইনজেকশনটা
মিষ্টি: চুপ একটা কথা বলবেনা। বাহ্ দারুন লাগছে। এই আমাকে তো সাজতে হবে তুমি বসে থাকো আমি সেজে আসি বলে নিচের রুমে গিয়ে ওনার দেওয়ার লাল রঙের শাড়িটা পড়লাম। কিছু গহনা পড়লাম হালকা সাজ করলাম। কিন্তু আজ এমন লাগছে কেনো বলতে ওনি রুমে ঢুমে আমার কাছে এসে আমাকে জরিয়ে ধরে বললেন
পরশ: চলো আমরা আবার বিয়ে করি
মিষ্টি: করবো আমি সাদা শাড়ি পড়ে আর আপনি শেরোয়ানি পড়ে। আমার শেষ বিয়ে আর আপনার ২য় বিয়ে
পরশ: কি সব বলো তুমি
মিষ্টি: আমি ঠিক বলতে নিচে থেকে গাড়ির শব্দ পাওয়াতে চলুন বর এসে গেছে
পরশ: যাচ্ছি তুমি এসো বলে আমি চলে গেলাম।
মিষ্টি: একি আমার রক্ত পড়ছে। আমাকে আজ যা করার করতে হবে ডাইরিয়া কোথায় রাখবো এমন জায়গায় রাখতে যাতে আমার পর যে আসবে সে ছাড়া যেনো কেউ না পায়। আমি জানি কে তু মি হবে তবে আমার বিশ্বাস তুমি এই ডাইরিটা পড়বে। রাখবে পেয়েছি ছাদের চিলিকোঠার রুমে যাই রেখে আসি বলে আমি ডাইরি টা রেখে নিচে আসলাম। সবার সাথে দেখা করে সব ঠিক সেটা দেখলাম। কিন্তু আমার মাথা ব্যাথাটা বড়ছে কেনো নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। পেছন থেকে কাজি সাহেব বললো এখন বিয়ে পাড়াতে হবে বলে কাজি সাহেব বিয়ে পাড়াতে লাগলেন। ওনি আমার পাশে এসে দাড়ালেন। কিন্তু আমি সহ্য করতে পারছিনা কেনো। আঃ না আমি এখানে থাকতে পারছিনা বলে আমি ওনার পাশ থেকে সরে ছাদে চলে আসলাম। আমার খুব কাশি হচ্ছে মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে আঃ আঃ আল্লাহ গো
পরশ: একি মিষ্টি কোথায় গেলো। এখানে তো ছিলো। না আশ পাশে নেই তো। আম্মু তুমি মিষ্টিকে দেখেছো।
আম্মু: না তো
পরশ: আমি রুমে দেখে আসি বলে রুমে গিয়ে মিষ্টিকে ডাকতে লাগলাম। কোথায় মিষ্টি রুমে নেই তো বলতে ফোনটা হাত থেকে পড়ে গেলো। আমি ফোনটা তুলতে গিয়ে দেখি আলমারি নিচে একটা কাগজ। কিসের কাগজ বলে আলমারি নিচ থেকে বের করি। এ তো সেই যেটা দেখতে বসে মিষ্টির আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিলো। কিন্তু এটা আলমারি নিচে কি করে গেলো। দেখিতো কি আছে ভেতরে বলতে আমি কাজটা দেখতে আমি………

(চলবে)

বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ১৬
পরশ আলমারি নিচ থেকে কাগজ টা বের করে হাতে নিয়ে কাগজটাতে চোখ ফেলতে যেনো পরশের হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেলো। চোখ দিয়ে পানি ভেসে পড়তে লাগলো।
পরশ: না আমার মিষ্টির কিছু হতে পারে। ও আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না। আমি ওকে যেতে দেবো না। মিষ্টি এই মিষ্টি কোথায় গেলো আমার মিষ্টি। আমি তোমার কিছু হতে দেবো বলে পরশ মিষ্টিকে খুজতে লাগলো পাগলে মতো।
মিষ্টি: আঃ আঃ আমি পারছি না আর সহ্য করতে। আমার সারা শরীল অবেশ হয়ে আসছে। আমার এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো।
আহাদ: ( মিষ্টিকে দেখছি না কেনো) দিশা মিষ্টিকে দেখতে পারছি না কেনো।
দিশা: আমিও অনেক ক্ষন ধরে দেখছি না ভাবিকে
আহাদ: ওর কিছু না না
পরশ: সারা বাড়ি খুজলাম কোথায় নেই মিষ্টি। কোথায় গেলো। ছাদ হ্যা ছাদে য়াই নি তো। আমি ছাদে দেখে আসি বলে পরশ ছাদে গিয়ে দাড়াতে দেখে মিষ্টি ছাদে এক কোনার বসে আছে। আমি মিষ্টির কাছে যেতেই দেখি ওর নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। আমি মিষ্টিকে জরিয়ে ধরে এক মিষ্টির বলে চিৎকার করলাম।
দিশা: ভাইয়া গলা। ভাইয়া ভাবির নাম ধরে চিৎকার দিলো কেনো। স্যার ভাবি
আহাদ: আমিও চিৎকার শুনেছি।
দিশা: চিৎকার ছাদ থেকে আসছে। চলুন স্যার বলে দিশা উঠে ছাদে দিকে গেলো
মিষ্টি: আমাকে শক্ত করে ধরেন। আমি সহ্য করতে পারছিনা।
পরশ: তোমার কিছু হবে না মিষ্টি আমি আছি তোমার বর আছে।
মিষ্টি: আঃ আল্লাহ আ আ
পরশ: আমি ডাক্তার ডাকছি বলে প্যাকেটে হাত দিলো ফোন বের করার জন্য। আমি তো ফোন টা বিছানাতে রেখে এসেছি বলে পরশ উঠতে যাবো তখন মিষ্টি পরশকে জরিয়ে ধরে বলে
মিষ্টি: ডা ডাক্তার ডেকে লাভ নেই। আমার হাতে সময় নেই।
পরশ: না মিষ্টি তুমি এ কথা বলে না বলে পরশ কাঁদতে লাগলো।
দিশা: ভাবি বলে মিষ্টির কাছে আসলো
মিষ্টি: দি দিশা ভাইয়া আম্মু আর মা মামনি কো কোথায়
আম্মু: মিষ্টি মা আমার বলে মিষ্টিকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
মিষ্টি: আ আম্মু বা বাবা
বাবা: এই তো মা আমি বলে মিষ্টি কে জরিয়ে ধরে বললে মা রে আমি তোর কিছু হতে দেবে না বলে কাঁদতে লাগলো।
মিষ্টি: তোমরা সবাই এসেছো। বাবা তোমার মে মেয়ে আর তো তোমার কাছ থেকে চকলেট আর পুতুল চাই বে
বাবা: না মা না
মিষ্টি: আম্মু দাদি আমার জন্য ওখানে দাড়িয়ে আছে আমাকে নিয়ে যাবে বলে। আম্মু আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি পারছিনা। ভাইয়া
আহাদ: বোন আমার
মিষ্টি: ভাইয়া তুই দিশাকে ভা ভালো রাখিস। ওর কোনো কষ্ট না হয়। আর আম্মু তুমি বাবাকে দেখে রেখো আঃ
পরশ: তোমরা সরোতে আমি আমার মিষ্টিকে হাসপাতালে নিয়ে যাবো বলে মিষ্টিকে ধরতে
মিষ্টি: না আমি বললাম তো আমার সময় নেই। ভাইয়া তুই আম্মু বাবা বড় মা বড় বাবাকে দেখে রাখিস। আর মামনি
মামনি: হ্যা মা
মিষ্টি: মা মামনি আমার বরকে তোমার কাছে রেখে যা যাচ্ছি। তুমি দেখে রাখো। ওনার যেনো কষ্ট না হয়। আরে তোমরা কাঁদছো কেনো। আমাকে সবাই কথা দাও আমি চলে যাওয়ার পর কেউ কাঁদবে না। বলো।
পরশ: এই মিষ্টি আমি তোমাকে ছাড়া মরে যাবো।
মিষ্টি: আ আপনি কাঁদছেন কেনো। আমার বর কাঁদে না তো। আমার না আপনার ব বজ্জাত বউ হওয়ার খুব শখ ছিলো।
পরশ: না
মিষ্টি: আমি বজ্জাত বউ হতে পারলাম না। আপনি আমাকে একটা কথা দিন আমি চলে যাওয়া পর আপনি আর একটা মেয়ে দেখে বিয়ে করবেন।
পরশ: আমি শুধু তোমার মিষ্টি। বলে মিষ্টিকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
মিষ্টি: কি হলো কথা দিনআপনি বিয়ে করবেন। আর দেখবেন সেই মেয়েটা আপ আপনার বজ্জাত বউ হবে। কথা দিন।
পরশ: না
মিষ্টি: আঃ আঃ আল্লাহ। আমার শেষ ইচ্ছা টা পুরন করবেন বলেন। আর মামনি কে দেখে রাখবেন।
পরশ: তুমি আমাকে ছেরে যাবে না
মিষ্টি: আ আমি আপনার খুব ভা ভালো বা বা বাসি। আমাকে আরো শক্ত করে ধরুন। আমি পাড়ছি না। বলতে পরশ মিষ্টিকে শক্ত করে ধরে রাখলো।
পরশ: আমি আছি তো মিষ্টি। মিষ্টি এই মিষ্টি কথা বলছো কেনো। বলে মিষ্টির মুখটা সামনে এনে মিষ্টির মুখে পাগলে মতো চুমো দিতে লাগলো। এই মিষ্টি আম্মু আমার মিষ্টি কথা বলছে না কেনো। মিষ্টি এই মিষ্টি বলে মিষ্টিকে জাকাতে লাগলো।
মিষ্টির আম্মু: আমার মেয়ে টা আমাকে ছেড়ে চলে গেলো। আমি কি নিয়ে থাকবো। বলে জোড়ে জোড়ে কাঁদতে লাগলো
পরশ: চুপ একদম চুপ। কি সব বলছেন। মিষ্টি কোথাও যাই নি। দেখবেন আমি ডাকলে ও সারা দেবো। এই মিষ্টি তুমি ওদের বলে দেইতো তুমি কোথাও যাই নি। কি হলো কথা বলছো কেনো। দেখো অনেক দুষ্টামী করেছো। এবার না কথা বললে আমি রেগে যাবো কিন্তু কথা বলো না। আম্মু তুমি ওকে কথা বলতে বলো না আম্মু। দিশা তুই বল না
আম্মু: পরশ মিষ্টি আমাদের ছেড়ে চলে গেছে অনেক দুরে
পরশ: না তুমি মিথ্যা কথা বলছো। ও কোথাও যাই নি। আহাদ তুমি তো ডাক্তার আমার মিষ্টিকে দেখো না।
আহাদ: আমার বোনকে আমি বাঁচাতে পারলাম না বলে কাঁদতে লাগলো।
পরশ: না
মিষ্টির বাবা: বাবা আমার মেয়েটাকে আমার কাছে একটু দাও
পরশ:না না ও আমার কাছে থাকবে । আমি ওকে সবসময় জরিয়ে রাখবো।
দিশা: ভাইয়া এমন করছিস কেনো ভাবি আর নেই
পরশ: কি বলছিস না না আমার মিষ্টি আমায় ছেড়ে যেতে পারে না। এই মিষ্টি উঠে না। ও আমাকে কষ্ট দিয়ে মজা লাগছে তোমার না। বলবে নাতো কথা।
পরশের আম্মু: মিষ্টিকে ডাকলে ও আর সারা দেবো না বাবা। ওকে ছাড়।
পরশ: এরা সব কখন থেকে আজে বাজে কথা বলছে তুমি বলে দওতো তোমার কিছু হয়নি। বলো না মিষ্টি। তুমি দেখো সবাই কেমন কাঁদছে। এই মিষ্টি আমি তোমাকে কথা দিচ্ছা কখনো তোমার উপর রাগ দেখাবো না শুধু একবার কথা বলো না মিষ্টি।
দিশা: ভাইয়া তুই ভাবিকে ছাড়। ছাড় ভাইয়া বলে দিশা পরশের কাছ থেকে মিষ্টিকে ছাড়িয়ে নিলো। আঙেক আপনি ভাবিকে নিচে নিয়ে যান।
মিষ্টির বাবা: মা আমার বলে মিষ্টিকে জরিয়ে কাঁদতে লাগলো। তারপর কোলে তুলে নিয়ে নিচে নেমে গেলো।
দিশা: ভাইয়া এই ভাইয়া চল নিচে চল
পরশ:………
দিশা: ভাইয়া উঠ ভাইয়া। ভাইয়া তোর মিষ্টিকে নিচে নিয়ে গেছে চল
পরশ: মিষ্টি আমার মিষ্টি কোথাও নিয়ে যেতে দেবো না বলে পরশ ছাদ থেকে উঠে সিড়ি নিচে নামতে পেছন থেকে দিশা ভাইয়া বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো……….

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here